জনবল সংকটে বিদ্যুতের সংস্থা-কোম্পানি, পদ শূন্য ১০৪৩৬



সেরাজুল ইসলাম সিরাজ, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জনবল সংকটে ধুঁকছে বিদ্যুৎ বিভাগের আওতাধীন দফতর, সংস্থা ও কোম্পানিগুলো। ১৬ প্রতিষ্ঠানে ১০ হাজার ৪৩৬টি পদ শূন্য পড়ে রয়েছে। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা রয়েছে প্রধান বিদ্যুৎ পরিদর্শকের দফতর।

প্রতিষ্ঠানটির ৭২ শতাংশ পদই শূন্য পড়ে রয়েছে। দফতরটির মূল দায়িত্ব হচ্ছে বিদ্যুৎ সঞ্চালণ, বিতরণ, সরবরাহ ও ব্যবহারের প্রতিটি ক্ষেত্রে জনজীবন ও সম্পদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে নিরাপদ বিদ্যুৎ ব্যবহার নিশ্চিত করা। মাত্র ২৮ শতাংশ লোকবল দিয়ে খুঁড়িয়ে চলছে দফতরটির কার্যক্রম।

মিশন হচ্ছে ‘জন নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে শিল্প কল-কারখানাসহ ৫০কিলোওয়াট বা তদুর্ধ্ব ক্ষমতাসম্পন্ন সকল উচ্চ ও মধ্যম চাপের নতুন বৈদ্যুতিক উপকেন্দ্র ও স্থাপনা পরিদর্শন ও পরীক্ষা-নিরীক্ষান্তে বিদ্যুৎ সংযোগের অনুমোদন প্রদানের পাশাপাশি বৈদ্যুতিক কাজে পেশাজ্ঞান সম্পন্ন উপযুক্ত ঠিকাদার, প্রকৌশলী ও ইলেকট্রিশিয়ানদের চিহ্নিতপূর্বক তাদের অনুকূলে বৈদ্যুতিক ঠিকাদারি লাইসেন্স, সুপারভাইজারী সার্টিফিকেট ও কারিগরি পারমিট ইস্যুকরণ।

বলা চলে পুরো নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দায় দায়িত্ব যাদের উপর নির্ভর করছে। মাঠ পরিদর্শন থাকলো দূরের কথা অফিসিয়াল কার্যক্রম পরিচালনাই দূরহ হয়ে পড়েছে জনবল সংকটে।

প্রধান বিদ্যুৎ পরিদর্শকের দফতরের সিনিয়র বিদ্যুৎ পরিদর্শক ও সদস্য সচিব প্রকৌশলী মো. আতোয়ার রহমান মোল্লা বার্তা২৪.কম-কে বলেছেন, প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির পদে পিএসসির মাধ্যমে নিয়োগের জন্য বিদ্যুৎ বিভাগে পত্র প্রেরণ করা হয়েছে। নিচের দিকে ৪৪টি পদে নিয়োগ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড থেকে একজনকে প্রেষণে দেওয়া হয়েছে। অবশিষ্ট শূন্যপদ পরণ করতে হলে নিয়োগ বিধিমালা অনুমোদিত হতে হবে। আমরা ১ বছর আগে নিয়োগ বিধি বিদ্যুৎ বিভাগে প্রেরণ করেছি। সেই ফাইল চলতি মাসের শুরুতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় হয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে গেছে। আমরা যোগাযোগ করেছিলাম, তারা বলেছে প্রায় তিন-শতাধিক ফাইল পড়ে রয়েছে, ধারাবাহিকভাবে এগুলো শেষ করা হবে।

প্রধান বিদ্যুৎ পরিদর্শকের দফতরের পরেই রয়েছে কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেড। কোম্পানিটির অনুমোদিত পদের বিপরীতে মাত্র ৩৩ শতাংশ জনবল রয়েছে। জনবল কাঠামো অনুযায়ী ৫৭৫ পদের বিপরীতে লোকবল রয়েছে মাত্র ১৮৯ জন। আর পদ শূন্য রয়েছে ৩৮৬টি।

বাংলাদেশ জ্বালানি ও বিদ্যুৎ গবেষণা কাউন্সিলে অনুমোদিত জনবলের সংখ্যা রয়েছে ৫৫টি। এরমধ্যে মাত্র ২৫টি পদে লোকবল রয়েছে, শূন্য পড়ে রয়েছে ৩০টি পদ। অর্থাৎ ৫৫ শতাংশ পদ খালি রয়ে গেছে গবেষণা কাউন্সিলের। বি-আর পাওয়ারজেন লিমিটেডে ৩০৯টি পদের বিপরীতে ২১৭ জন লোকবল রয়েছে। শূন্য পড়ে রয়েছে ৯২টি পদ। ইলেকট্রিসিটি জেনারেশন কোম্পানি বাংলাদেশে (ইজিসিবি) ৫৭২ পদের বিপরীতে শূন্য পড়ে রয়েছে ৬৫টি। বাংলাদেশের সবচেয়ে পুরনো বিদ্যুৎ উৎপাদন হাব আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানি (এপিএসসিএল) । বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের অধীন থেকে পৃথক কোম্পানিতে রূপান্তরিত এপিএসসিএল’র লোকবল রয়েছে মাত্র ৮২৮ জন। আর শূন্য পড়ে রয়েছে ৫৫৫টি।

বিদ্যুৎ খাতের সবচেয়ে পুরনো এবং বড় প্রতিষ্ঠান হচ্ছে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি)। এক সময় একক আধিপত্য থাকলেও, এখন তাকে ভেঙে অনেকগুলো বিতরণ, উৎপাদন ও একটি সঞ্চালন কোম্পানি গঠন করা হয়েছে। চট্টগ্রাম, সিলেট ও ময়মনসিংহ অঞ্চলে বিতরণের দায়িত্বে রয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। তবে এখনও পাইকারি বিদ্যুতের একক ক্রেতা ও বিক্রেতা হিসেবে কার্যক্রম পরিচালনা করছে বিপিডিবি। আবার বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার তার হাতেই রয়েছে। বিপিডিবিতে ৫ হাজার ১০৭টি পদ শূন্য পড়ে রয়েছে। ১৭ হাজার ৫৮৪টি অনুমোদিত পদের বিপরীতে লোকবল রয়েছে মাত্র ১১ হাজার ৮৮৩ জন। তবে এই প্রতিষ্ঠানটির যেহেতু কর্ম এলাকা কমে এসেছে তাই বিষয়টিকে জরুরি বিবেচনা করেন না অনেকেই।

নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রসার, আবাসিক, বাণিজ্যিক ও শিল্পখাতে জ্বালানি সাশ্রয়, সংরক্ষণ ও দক্ষ ব্যবহারের মাধ্যমে জ্বালানির অপচয় রোধকল্পে ২০১২ সালে টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (স্রেডা) গঠন করা হয়। ২০১৪ সালের মে মাসে স্রেডার কার্যক্রম শুরু হয়। অতিরিক্ত সচিব পদ মর‌্যাদায় সংস্থাটির শীর্ষ কর্মকর্তার পদবী হচ্ছে চেয়ারম্যান। নাম, কাজ ও উদ্দেশ্যে বিশাল হলেও বাস্তবতায় খুবই অনালোচিত সংস্থাটি। অনুমোদিত পদ রয়েছে মাত্র ৪০টি, তারমধ্যে ১০টি এখনও শূন্য পড়ে রয়েছে। পরিচালক ১টি ও উপ-পরিচালক ১টি পদের বিপরীতে প্রেষণে নিয়োগ দেওয়ার জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছে স্রেডা। এখন পর্যন্ত সাড়া মেলেনি।

ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির (ডিপিডিসি) অনুমোদিত পদ রয়েছে ৫ হাজার ৭১৮টি। শূন্য পদের সংখ্যা রয়েছে ৩৪৫ টি। কোম্পানিটিতে সরাসরি নিয়োগযোগ্য পদ রয়েছে ৮৫টি। ঢাকার আরেক বিতরণ কোম্পানি ডেসকোর ( ঢাকা ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি) ২২১১টি পদের বিপরীতে শূন্য রয়েছে ২২১টি। পদোন্নতিযোগ্য ১১৪ জনকে চলতি দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

ডেসকোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাওছার আমীর আলী বার্তা২৪.কমকে বলেছেন, শূন্যপদে লোকবল নিয়োগ প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে। পদোন্নতির জন্য যোগ্য না হওয়ায় ১১৪ জনকে চলতি দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। যোগ্য হলেই তাদের পদোন্নতি দেওয়া হবে।

এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, লোকবল ঘাটতি থাকায় কিছু কিছু ক্ষেত্রে সংকট হয়, অনেকের উপর বাড়তি চাপ হয়ে যায়। আমাদের সেবার পরিধি বেড়েছে, বছরে ১ লাখের উপরে গ্রাহক বাড়ছে। আগে ছিল ১৬টি ডিভিশন এখন ২৪টি ডিভিশনে উন্নীত করা হয়েছে।

ওয়েস্টজোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির (ওজোপাডিকো) ২০১১ পদের বিপরীতে শূ্ন্য রয়েছে ৪৮৬টি। নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি (নেসকো) ২৬১৯ অনুমোদিত পদের বিপরীতে শূন্য রয়েছে ৫৩৫টি। বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (বাপবিবো) পদ শূন্য রয়েছে ২৬৬টি। দেশের একমাত্র সঞ্চালন কোম্পানি পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি বাংলাদেশ (পিজিসিবি) এর ৪৬৭৭টি পদের বিপরীতে লোকবল রয়েছে মাত্র ৩২৭৩জন।

বিদ্যুৎ বিভাগের অন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় শূন্য পদে জনবল নিয়োগ প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করার জন্য তাগাদা দিয়েছেন সিনিয়র সচিব মো. হাবিবুর রহমান।

   

ভারতে ৩০০ শোরুমে শুরু হলো ওয়ালটন ফ্রিজের বিক্রয় ও বিপণন



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগণা জেলার কাঁচরাপাড়া শহরে ওয়ালটন ফ্রিজের শোরুম।

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগণা জেলার কাঁচরাপাড়া শহরে ওয়ালটন ফ্রিজের শোরুম।

  • Font increase
  • Font Decrease

এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ ভারতের বাজারে নিজস্ব ব্র্যান্ড বিজনেস সম্প্রসারণ করেছে ওয়ালটন। দেশটিতে এতদিন ওইএম (ওরিজিনাল ইক্যুইপমেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার) হিসেবে ফ্রিজ, টিভি, ওয়াশিং মেশিনসহ বিভিন্ন ধরণের ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক্স পণ্য রফতানি করে আসছে ওয়ালটন। এবার দেশটিতে ওইএম এর পাশাপাশি নিজস্ব ব্র্যান্ড লোগোতেও ফ্রিজ রফতানি কার্যক্রম শুরু করেছে বাংলাদেশের ইলেকট্রনিক্স জায়ান্ট ওয়ালটন। এই সাফল্য ভারতের বিশাল বাজারে বাংলাদেশি তথা ওয়ালটন ব্র্যান্ডের পণ্য দ্রুত ছড়িয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে এক বিশাল মাইলফলক।

ওয়ালটন গ্লোবাল বিজনেস শাখার সূত্রমতে, ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ ট্যাগযুক্ত ওয়ালটন ব্র্যান্ডের ফ্রিজ ইতিমধ্যে ভারতের বাজারে পৌঁছে গেছে। প্রাথমিকভাবে প্রতিবেশী দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলে প্রায় ৩০০টি আউটলেটে বিক্রয় হচ্ছে ওয়ালটন ফ্রিজ। পর্যায়ক্রমে বাড়বে আউটলেটের সংখ্যা। সেইসঙ্গে ফ্রিজের পাশাপাশি এয়ার কন্ডিশনার, টেলিভিশন, ওয়াশিং মেশিন, হোম ও কিচেন অ্যাপ্লায়েন্স এবং ইলেকট্রিক্যাল পণ্যও ওয়ালটন ব্র্যান্ড লোগোতে রপ্তানির পরিকল্পনা রয়েছে।

ওয়ালটন ফ্রিজের চিফ বিজনেস অফিসার তোফায়েল আহমেদ বলেন, বাংলাদেশের বাজারে এখন একচেটিয়া আধিপত্য ওয়ালটন ফ্রিজের। ওয়ালটনের টার্গেট- বিশ্ববাজারেও শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করা। সেজন্য এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপ, আমেরিকার উন্নত দেশগুলোর বাজারে ওইএম এর পাশাপাশি ওয়ালটনের নিজস্ব ব্র্যান্ড বিজনেস সম্প্রসারণে কাজ করছি আমরা। এরই ধারাবাহিকতায় বিশ্বের সর্ববৃহৎ বাজার ভারতে ওয়ালটনের নিজস্ব ব্র্যান্ড বিজনেস সম্প্রসারণ করেছি। বাংলাদেশের মতো ভারতের বাজারেও শীর্ষস্থানে পৌঁছাতে শক্তিশালী বিক্রয়, বিপণন ও বিক্রয়োত্তর সেবার ফ্যাসিলিটি গড়ে তুলেছি।

তিনি জানান, ভারতে বেশ কয়েক বছর ধরে ওইএম এর আওতায় বাৎসরিক ১১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের ফ্রিজ রফতানি করছে ওয়ালটন। ওয়ালটনের রফতানিকৃত ফ্রিজের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ও ফিচার, দীর্ঘস্থায়ীত্ব এবং উচ্চ গুণগত মান অতি অল্প সময়ে ভারতের ক্রেতাদের আস্থা অর্জন করে নিতে সক্ষম হয়েছে। এরই প্রেক্ষিতে দেশটিতে এবার ওয়ালটনের ব্র্যান্ড লোগোতে ফ্রিজ রফতানি কার্যক্রম শুরু করেছি। যা কিনা বৈশ্বিক বাজারে ওয়ালটন ব্র্যান্ড বিজনেস সম্প্রসারণে এক বিশাল মাইলফলক।

ওয়ালটন গ্লোবাল বিজনেস শাখার ভাইস-প্রেসিডেন্ট আব্দুর রউফ জানান, ভারত এশিয়ার মধ্যে অন্যতম এক বৃহৎ অর্থনীতির দেশ। বিশ্বের সর্ববৃহৎ জনসংখ্যার এই দেশটিতে বাৎসরিক ১ কোটি ৪০ লাখ ইউটিন ফ্রিজের চাহিদা রয়েছে। দেশটিতে ওয়ালটনের ব্র্যান্ড লোগোতে ফ্রিজ বিক্রয় ও বিপণন শুরুর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের ইলেকট্রনিক্স পণ্য রফতানি খাতে সম্ভাবনাময় এক বিশাল বাজারের দ্বার উম্মোচিত হলো। বাংলাদেশের মত ভারতের বাজারেও মার্কেট লিডার হওয়ার টার্গেট নিয়েছি আমরা। সেজন্য দেশটিতে ব্যাপক ব্র্যান্ডিং কার্যক্রম চালাতে প্রস্তুত করা হয়েছে অত্যন্ত দক্ষ মার্কেটিং টিম। ইতিমধ্যে ভারতে Walton.in নামে নিজস্ব ওয়েবসাইট চালু করেছি।

এছাড়া, ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর নিয়োগ দেওয়ার কাজ চলমান আছে। ভারতের অন্যতম বৃহৎ ‘ইন্ডিয়া কনজ্যুমার ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড হোম অ্যাপ্লায়েন্সেস’ মেলাসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মেলাতেও ওয়ালটন ফ্রিজ প্রদর্শনী করা হবে।

ওয়ালটন সূত্রমতে, বাংলাদেশের বাজারে সিংহভাগ চাহিদা পূরণের পাশাপাশি বিশ্বের ৪০টিরও বেশি দেশে ফ্রিজ, টিভি, এসি, ওয়াশিং মেশিন, ফ্যান, কম্প্রেসার, হোম ও কিচেন অ্যাপ্লায়েন্স পণ্য রফতানি করছে ওয়ালটন। ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ কনজ্যুমার ইলেকট্রনিক্স ব্র্যান্ড হওয়ার টার্গেট নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশি এই ইলেকট্রনিক্স জায়ান্ট।

;

সেচে বিদ্যুৎ-ডিজেলের সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে: প্রতিমন্ত্রী



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, কৃষি সেচের জন্য জ্বালানি তেলের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিত করা হবে। বিদ্যুৎ কিংবা ডিজেলের জন্য কৃষির ব্যাঘাত ঘটানো যাবে না।

রোববার (১০ ডিসেম্বর) অনলাইনে কৃষিসেচ মৌসুমে (ডিসেম্বর-মে) জ্বালানি তেলের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ সংক্রান্ত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় তিনি এ কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী যথাযথ নিরাপত্তা নিশ্চিত করে জ্বালনি তেল সংশ্লিষ্ট জেলায় চাহিদা মতো পৌঁছানোর উদ্যোগ অব্যাহত রাখার নির্দেশ দেন।

তিনি বলেন, চাহিদার সঙ্গে সমন্বয় রেখে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে হবে। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চাহিদা মোতাবেক প্রাকৃতিক গ্যাস ও ফার্নেস ওয়েল সরবরাহের আগাম উদ্যোগ নিতে হবে।

কৃষিসেচ মৌসুমে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে কৃষকগণের নিকট সঠিক সময়ে সরকার নির্ধারিত মূল্যে বর্ধিত পরিমাণ ডিজেল সরবরাহ কার্যক্রম নিবিড়ভাবে মনিটর করার জন্য বিপিসি’র চট্টগ্রামস্থ প্রধান কার্যালয়ে ‘কেন্দ্রীয় কন্ট্রোল সেল’ খোলা হয়েছে। সেচ মৌসুম উত্তীর্ণ না হওয়া পর্যন্ত চট্টগ্রামে ডিজেলের (প্রধান স্থাপনা+ইআরএল) মজুদ সার্বক্ষণিকভাবে ১ লাখ ৫০ হাজার মেট্টিক টন সংরক্ষণের চেষ্টা অব্যাহত থাকবে। ২০২৩-২৪ সালের কৃষিসেচ মৌসুমে ডিজেল ১২ লাখ ৫০ হাজার ৩৫৫ মেট্রিক টন ও লুব অয়েল ৪৪ হাজার ১২৩ মেট্রিক টন প্রাক্কলিত চাহিদা রয়েছে।

২০২২-২৩ অর্থবছরে কৃষিসেচ মৌসুমে (ডিসেম্বর-মে) ১৯ লাখ ২৯ হাজার ৭৩৮ মেট্রিকটন ডিজেল ব্যবহৃত হয়েছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে পেট্রোলিয়াম পণ্যের মধ্যে ৬৭.১৯ শতাংশ ডিজেল, ১১.৯৯ শতাংশ ফার্নেস ওয়েল, ৬.৪২ শতাংশ জেডএ-১, ৬.১৯ শতাংশ পেট্রোল ও ৫.৩৬ শতাংশ অকটেন ব্যবহৃত হয়। একই অর্থ বছরে জ্বালানি তেলের ৫৮ শতাংশ পরিবহনে, ১৮ শতাংশ বিদ্যুতে, ১৫ শতাংশ কৃষিতে, ৬ শতাংশ শিল্পে, ১ শতাংশ গৃহস্থালিতে এবং অন্যান্য খাত ২ শতাংশ ব্যবহার হয়েছে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ জানায়।

ভার্চুয়াল আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব মো. নূরুল আলম, বিপিডিবি’র চেয়ারম্যান মো. মাহবুবুর রহমান, আরইবি’র চেয়ারম্যান মোহাং সেলিম উদ্দিন, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনন্দ্র নাথ সরকার, জননিরাপত্তা বিভাগ, কৃষি মন্ত্রণালয়, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, রেলপথ মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিভাগের আওতাধীন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের দপ্তর প্রধানগণ সংযুক্ত ছিলেন।

;

দেশের সেবা খাতে সর্বোচ্চ ভ্যাট প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান বিকাশ



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতীয় পর্যায়ে সেবা খাতে ২০২১-২২ অর্থবছরে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে সর্বোচ্চ মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট প্রদান করার স্বীকৃতি হিসেবে টানা দ্বিতীয়বারের মতো শ্রেষ্ঠ ভ্যাট প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের সম্মাননা পেয়েছে দেশের সবচেয়ে বড় মোবাইল আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান বিকাশ।

রোববার (১০ ডিসেম্বর) রাজধানীর জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ভবনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মোঃ রহমাতুল মুনিম, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য (মূসক নিরীক্ষা) ড. মোঃ সহিদুল ইসলাম এবং এফবিসিসিআই-এর প্রেসিডেন্ট মাহবুবুল আলম -এর উপস্থিতিতে সম্মাননা পত্র ও ক্রেস্ট গ্রহণ করেন বিকাশ’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কামাল কাদীর।

এসময় বিকাশ’র চিফ ফিনান্সিয়াল অফিসার মঈনুদ্দিন মোহাম্মদ রাহগীর সহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এ প্রসঙ্গে বিকাশ’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কামাল কাদীর বলেন, “বাংলাদেশ ব্যাংকের অধীনে সকল নিয়ম মেনে এক যুগেরও বেশি সময় ধরে বিকাশ গ্রাহকদের জন্য স্বচ্ছ, নিরাপদ ও ঝামেলামুক্ত ডিজিটাল ফিনান্সিয়াল ও পেমেন্ট সেবা দিয়ে আসছে। বিকাশ’র প্ল্যাটফর্মে হওয়া প্রতিটি লেনদেনের জন্য প্রযোজ্য ভ্যাট ও ট্যাক্স উৎস থেকেই সংগ্রহ করে সরাসরি সরকারি কোষাগারে জমা করে বিকাশ। টানা দ্বিতীয়বারের মতো সেবা খাতে দেশের সর্বোচ্চ ভ্যাট দাতা প্রতিষ্ঠান হিসেবে এই অর্জন আমাদেরকে আরও উজ্জীবিত করবে এবং দেশের উন্নয়নে আরও বলিষ্ঠভাবে কাজ করতে উৎসাহ জোগাবে।”

উল্লেখ্য, প্রতিবছর ১০ ডিসেম্বর জাতীয় ভ্যাট দিবস পালিত হয়। এই উপলক্ষ্যে কয়েক বছর ধরে সেরা ভ্যাটদাতা প্রতিষ্ঠানের সম্মাননা দিয়ে আসছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড। প্রতিবারের মতো এবারও উৎপাদন, ব্যবসা ও সেবা - এই তিন শ্রেণিতে তিনটি করে মোট ৯ প্রতিষ্ঠানকে সেরা ভ্যাটদাতার সম্মাননা দেয়া হয়। যেসব প্রতিষ্ঠানের ইলেকট্রনিক ব্যবসায় শনাক্তকরণ নম্বর (ইবিআইএন) আছে, ভোক্তাকে নিয়মিত ভ্যাট রসিদ প্রদান করে এবং ভ্যাট আদায় করে তা নিয়মিত সরকারি কোষাগারে জমা দেয়, এমন প্রতিষ্ঠানগুলোকে এ সম্মাননা পাওয়ার উপযুক্ত বলে বিবেচনা করে এনবিআর।

;

ইউনিয়ন ব্যাংক ও যশোদা হাসপাতালের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ইউনিয়ন ব্যাংক ও যশোদা হাসপাতালের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর

ইউনিয়ন ব্যাংক ও যশোদা হাসপাতালের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর

  • Font increase
  • Font Decrease

ইউনিয়ন ব্যাংক ও ভারতের যশোদা হাসপাতালের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে।

সম্প্রতি রাজধানীর গুলশান-১ এ ইউনিয়ন ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়। এই চুক্তির অধীনে ইউনিয়ন ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও তাদের পরিবার এবং ভিসা ডেবিট কার্ডধারী গ্রাহকগণ চিকিৎসা এবং স্বাস্থ্য পরীক্ষায় বিশেষ ছাড় ভোগ করবেন।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়ন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ. বি. এম মোকাম্মেল হক চৌধুরী এবং ভারতের যশোদা হাসপাতালের কান্ট্রি ম্যানেজার মো. শাহিনুর রহমান। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের ডিএমডি’দ্বয়, সিএবিডির ইনচার্জসহ অন্যান্য কর্মকর্তাগণ।

;