‘দেশ যদি ডুবেই যায় তবে কার জন্য পলিটিক্স?’



আশরাফুল ইসলাম, পরিকল্পনা সম্পাদক, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (আইবিসিসিআই) সভাপতি এবং নিটল মোটরসের চেয়ারম্যান আবদুল মাতলুব আহমাদ বলেছেন, অর্থনীতি একটি দেশের মূল চালিকাশক্তি, তাই অর্থনীতির ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে এমন কর্মকাণ্ড সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হওয়া উচিত। অর্থনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত কর্মকাণ্ডকে রাজনৈতিক কর্মসূচির বাইরে অবশ্যই রাখবে হবে।


রাজনীতিবিদদের কাছে প্রশ্ন রেখে এই শীর্ষ ব্যবসায়ী নেতা বলেছেন, দেশ যদি ডুবেই যায় তবে কার জন্য পলিটিক্স?

দেশের চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতায় ব্যবসা-বাণিজ্যের ওপর পড়া নেতিবাচক প্রভাব নিয়ে বুধবার বার্তা২৪.কম-কে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেছেন আবদুল মাতলুব আহমাদ। কথা বলেছেন পরিকল্পনা সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম

বার্তা২৪.কম: ৮ বছর পর দেশের আবারও সহিংস রাজনৈতিক কর্মসূচি শুরু হলো। এক দিন হরতালের পর টানা ৩ দিনের অবরোধের দ্বিতীয় দিন চলছে আজ। ব্যবসা-বাণিজ্যে কি ধরণের প্রভাব ফেলছে এসব কর্মসূচি

আবুল মাতলুব আহমেদ: আমরা ব্যবসায়ী কমিউনিটি থেকে ইতিমধ্যেই বলা শুরু করেছি, বিগত দিনেও বলেছি আবারও খুব দুঃখের সঙ্গে লক্ষ্য করছি-এই যে হরতাল কিংবা অবরোধ, যা জনগণের মুখের হাসি কেড়ে নেওয়ার কর্মসূচি এগুলো ব্যবসা-বাণিজ্যের অনেক ক্ষতি করে। হাজার হাজার কোটি টাকা লোকসান হয় এক দিনেই। এটা আমরা গরীবদের মাঝে বিলিয়ে দিলেও তারা অনেক খুশি হতো। সে জন্য আমরা সব সময়ই প্রত্যাশা করি, রাজনীতি চলবে, সারা বিশ্বেই চলে কিন্তু জনগণের মুখের হাসি হচ্ছে রাজনীতির আলটিমেইট এইম, তাদের হাসিই যদি আপনি নিয়ে যান, তাইলে আপনি কার জন্য আন্দোলন করছেন? এজন্য জাপানের মতো দেশে, ওরা যখন হরতাল করে তখন তারা ওভার প্রোডাকশন করে। কোনো ফ্যাক্টরি থামায় না। সাপ্লাই চেইনকে ডিস্টার্ব করে না। আমাদের এখানে আনফর্চুনেটলি আমরা পাবলিকের জিনিস নষ্ট করে ফেলি। রাষ্ট্রের জিনিস নষ্ট করে ফেলি। এবং আমাদের ইকনমিকে আমরা চলতে দিই না। বাংলাদেশের মতো একটি দেশের ইকনমনি যদি..গ্রোয়িং দেশ যদি ইকনমিক্যাললি থামিয়ে দেন, হাতির মতো… যা উঠতে বসতে টাইম লাগে। অর্থনীতিকে থামিয়ে দিয়ে আবার আগের মতো সচল হতে অনেক সময় লেগে যায়। এই লসটা কোন দিন পূরণ হয় না। এজন্য আমি সব সময় বলি পলিটিক্সে …নিজেদের মধ্যে কর্মসূচি হবে, আলাপ-আলোচনা হবে, ধাক্কাধাক্কি হবে…এগুলো হবে, সারা দুনিয়াতেই হয়। কিন্তু ইকনমিকে ডেস্ট্রয় করে এখনকার দুনিয়াতে আর করে না। বাংলাদেশেও এটা হওয়া উচিত না।

বার্তা২৪.কম: আমাদের রাজনীতিবিদরা কি সময়ে এই চাওয়া বা জনআকাঙ্খার সঙ্গে নিজেদের খাপ-খাওয়াতে পারছেন না? আপনার কি মনে হয়

আবুল মাতলুব আহমেদ: আমরা তো খুব খুশি ছিলাম, আন্দোলন হচ্ছে কিন্তু কোন ভাঙ্গাভাঙ্গি নাই, হরতাল নাই, বেশ কয়েকটা মাস দেখলাম। শঙ্কা ছিল যে এ ধারাটি হয়তো অব্যাহত রাখতে পারবে না। দুঃখজনকভাবে তাই ঘটলো। আমি খুব খুশি হতাম যদি ধরে রাখতে পারতো। এবং তারা তাদের যে ডিমান্ডস নিয়ে কথা বলছিলেন…সেগুলো আলাপ আলোচনার মাধ্যমে হোক, কিংবা থার্ড পার্টি ডিসকাশনের মাধ্যমে হোক, সেটা করা উচিত ছিল। কিন্তু ইকনমিকে জিম্মি করে বিশেষ করে, ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর ইসরায়েল-ফিলিস্তিন-হামাসের যুদ্ধ; এই দুনিয়াতে যে সমস্যা, এর মধ্যে আমাদের দেশটা, আমরার কোন মতে বেঁচে ছিলাম, ইকনমিটা কোন রকমে বেঁচে ছিল। রিজার্ভ ক্রাইসিস, ডলার ক্রাইসিস…এর মধ্যে আরও একটি বড় চ্যালেঞ্জ নেবার মতো ক্ষমতা বাংলাদেশের ইকনমিতে এখন নেই। আমরা যারা ব্যবসা-বাণিজ্য, শিল্প করি , আমরা বেশ আতঙ্কিত।

বার্তা২৪.কম: আপনি কি মনে করেন এটি রাজনীতিবিদদের দায়িত্বহীন আচরণ?

আবুল মাতলুব আহমেদ: আমি বলব যে, আন্দোলনের বাইরে ওনাদের সমাধান খোঁজা উচিত ছিল। যাঁরা দায়িত্বশীল, তাদের সমাধান আনা উচিত ছিল, আমাদের প্রত্যাশা ছিল, অন্ততঃ এই বারে এরকম সহিংস আন্দোলন ছাড়াই তারা একটি সমাধানে আসবেন। আমি এখনো আশা করি, এটি আর বিস্তৃত না হয়ে রাজনীতিবিদরা একটি বোঝাপড়ায় পৌছাবেন। তারা চিন্তা করবেন যে আমরা দেশকে বাঁচাব। দেশকে এগিয়ে নেব এবং দেশের জনগণের যে গ্রোথ ছিল, যে হাসি ছিল, সেটা ফেরত নিয়ে আসব। 

বার্তা২৪.কম: চলমান এই অবরোধ বা সহিংস রাজনৈতিক কর্মসূচিতে ব্যবসা-বাণিজ্যে কি ধরণের প্রভাব পড়বে বলে মনে করেন?

আবুল মাতলুব আহমেদ: আমদানিতে আমাদের ডলার ক্রাইসিস চলছে দেড় থেকে পৌনে দু’বছর। ক্রাইসিস অলরেডি আমাদের আছে। এখন আমরা কিছু ইনভেস্টমেন্ট বিদেশ থেকে পাচ্ছিলাম। এই পরিস্থিতিতে ওরা (বিনিয়োগকারীরা) একটু ঘাবড়ে যেতে পারে, অর্থছাড় বিলম্ব করে দিতে পারে। আমাদের ডলার ইনফ্লোটা ডিলে করলেও আমাদের জন্য ক্ষতি। এই জন্য আমি মনে করি যে, ইনভেস্টমেন্ট স্লো ডাউন হওয়ার সম্ভাবনা আছে। আমরা যারা শিল্প করি, তাদের আমদানি পণ্য আসতে পারবে না। কাঁচামাল আসতে পারবে না। উৎপাদন বাধাগ্রস্ত হতে পারে। জনগণের জন্য আমরা যে মালামাল বানাচ্ছিলাম এমন চলতে থাকলে তো আমরা তা তৈরি করতে পারব না। তখন জিনিসের দাম আরও বেড়ে যেতে পারে। বটম লাইন এটাই হচ্ছে যে, এমপ্লয়মেন্ট ইফেক্ট করবে এবং জনগণের যে পণ্য চাহিদা আমরা তা আনতে পারব না, দেশেও উৎপাদন করতে পারব না। জনগণের যে প্রত্যাশা রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীদের প্রতি এটি আমরা কেউই পূরণ করতে পারব না। আমরা তো দাঁড়িয়ে আছে ফুলফিল করার জন্য। কিন্তু রাজনীতিবিদদের অবশ্যই এক্ষেত্রে আমাদের সহযোগিতা করতে হবে।

বার্তা২৪.কম:  আমরা বিভিন্ন সময়ে দেখেছি, ব্যবসায়ী নেতারা রাজনীতিকে ডমিনেট করেন, এবারের এই সংকটে কি আপনারা রাজনীতিবিদদের সহিংস কর্মসূচি থেকে বিরত রাখার জন্য কোন ভূমিকা নিতে পারেন?

 আবুল মাতলুব আহমেদ: মনে রাখতে হবে যে  পলিটিক্সের আগে হচ্ছে দেশ। এবং আমি যেটি মনে করি, পলিটিশিয়ান, বিজনেস পিপল-যারাই আছেন তাদের এখন দেশের জন্য সেক্রিফাইসের সময় এসেছে। জিনিস ক্রাইসিস আছে, ব্যবসায়ীরা দাম বাড়াবেন না। চেষ্টা করতে হবে আগের দামেই দেওয়ার জন্য। দাম কিছুতেই বাড়ানো যাবে না। সরকারের উচিত হবে, যেমন কোভিডের সময় ট্রাক চালু রেখেছিলেন, সব পার্টি মিলে অন্ততঃ ইকনমিক লাইফ লাইন যেমন ট্রাকসহ পণ্য পরিবহণের যানসমূহ, এগুলোকে হরতাল-অবরোধ কর্মসূচির বাইরে রাখতে হবে। যেমন আমদানি পণ্য আনতে হবে। রপ্তানি পণ্য পাঠাতে হবে। এগুলো পলিটিক্যাল ইভেন্টস এর বাইরে রাখতে হবে। দেশের জন্য সর্বাগ্রে চিন্তা করতে হবে। দেশ যদি ডুবেই যায় তবে কার জন্য পলিটিক্স?

বার্তা২৪.কম:  আপনারা কি রাজনীতিবিদদের এটি বোঝাবার জন্য কোন দায়িত্ব নেবেন, যাতে তারা সহিংস কর্মসূচি থেকে বিরত হয়?

আবুল মাতলুব আহমেদ: বিগত দিনে আমরা এ রকম প্রচেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু ইফেক্টিভনেস আমরা পাইনি। সেজন্য আমরা চাই যে, পলিটিশিয়ানরা আমাদের বলুক, দ্য উইল ওয়ান্ট থার্ড পার্টি টু মেডিয়েট। ওনারা যদি মেডিয়েশন না চান তাহলে কিন্তু মেডিয়েটররা কোন রুল পান না। যখন দু’পক্ষই বলবে আমরা একটি থার্ড পার্টি রুল চাই, যারা আমাদের মধ্যে একটি সমাধান আনবে। এটি দেশে-বিদেশে মিলেও হতে পারে বা শুধুমাত্র দেশেও হতে পারে, ব্যবসায়ী কমিউনিটি থেকেও হতে পারে। এটা নির্ভর করবে রাজনীতিবিদদের ওপর। তারা যতোক্ষণ পর্যন্ত সমমনা হচ্ছেন না, বলছেন না যে আমরা সমাধান চাই-ততোক্ষণ পর্যন্ত যে যতো কথাই বলেন না কেন , দু’জনের যে কোন একজন যদি বেঁকে বসেন তাহলে কিন্তু আর মেডিয়েশন হয় না। আমি প্রত্যাশা করব, অচিরেই আমরা হয়তো আলোচনার ইঙ্গিত দেখতে পাব। ৪ তারিখে যেমন ইলেকশন কমিশন সব পার্টিকে ডেকেছেন। হয়তো এমনও হতে পারে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী হয়তো সবাইকে ডাকবেন ইনক্লুডিং বিএনপি। এটা উনার ওপর নির্ভরশীল অনেক বেশি। আর আমরা যারা আছি, আমরা যখন দেখব যে মেডিয়েশন করলে আমাদের কথা তারা কানে দেবেন, ব্লাইন্ড থাকবেন না, শোনার জন্য বা বলার জন্য রেডি থাকেবেন তখন আমরা চেষ্টা করতে পারি নয়তো কি করে এগুবো। এজন্য পলিটিশিয়ানদের জানান দিতে হবে, ‘উই আর রেডি ফর অ্যা মেডিয়েশন ফর দিজ টেল মিট’…টেল মিট মেডিয়েশন করতেই হবে।

বার্তা২৪.কম:  আপনি যে ইতিবাচকভাবে বললেন তা যদি হতো তবে তো ভালোই হতো রাজনীতির জন্য

আবুল মাতলুব আহমেদ: অবশ্যই হবে..ডোন্ট বি ডিজহার্টেনড..সবই হবে। পলিটিক্স তো, একটু প্রেশারে খেলা হয়। এখন কার প্রেশার কতোটুকু যাবে….কার প্রেশারে কতটুকু গিয়ে কোথায় আউট ব্রাশ্ড হয়ে একটি সল্যুশনে আসবে …বিগত দিনে আমরা বহু দেখেছি ৫০ বছরে। আলটিমেটলি একটি সল্যুশনে আসবে আর যদি সল্যুশনে না আসে তবে দেশের ক্ষতি হবে, জনগণের ক্ষতি হবে। এবং যার জন্য পলিটিক্স সেই টার্গেট থেকে আমরা ছিটকে পড়ে যাব।

বার্তা২৪.কম: এবারের নির্বাচনকে ঘিরে পশ্চিমা দেশগুলোর একটি প্রেশার রয়েছে। রাজনীতিবিদদের একটি চাপের মধ্যে রাখতে চেষ্টা করছে তারা। দেশের রাজনৈতিক অচলাবস্থার সমাধান যদি না হয় তাহলে পশ্চিমানির্ভর ব্যবসা-বাণিজ্যের যে খাতগুলো রয়েছে, সেগুলো কি ধরণের সংকটের মধ্যে পড়তে পারে বলে আপনার মনে হয়?

আবুল মাতলুব আহমেদ: সব দেশের সঙ্গেই আমোদের যে সম্পর্ক, বিশেষ করে বঙ্গবন্ধুর পররাষ্ট্র নীতি, ‘সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়’ এটা কিন্তু আমাদের পলিসির মধ্যে আছে। পলিটিশিয়ানরাও সেটা জানেন। আজকে আমাদের এখানে ডেভেলপমেন্টটা হচ্ছে ‘বিকজ অব আওয়ার রিলেশনশিপ উইথ দ্য ফরেন ন্যাশনস্’। আমাদের কিন্তু প্রাকটিক্যালি কোন সমস্যা নাই। এখন যদি আমরা জোর করে শত্রু বানাই তাইলে নিশ্চিতভাবেই যারা শত্রু বানাবে তারা দেশের জন্য কাজ করছেন না। দেশের খারাপের জন্যই তারা কাজ করছেন..। আমি এটা বলব, এখনও আমাদের এক্সপোর্ট যেসব দেশের ওপর নির্ভরশীল সেসব দেশকে কিন্তু আমরা সার্ভিস দিচ্ছি। আমরা কিন্তু কম দামে জিনিস দিচ্ছি। তারাও উপকৃত হচ্ছে, শুধু আমরাই উপকৃত হচ্ছি তা নয়। তারাও যদি বলেন, না আমরা কম দামে কিনব না, ডাবল দামে কিনব অন্য জায়গা থেকে নেব, সেটাও তাদের জন্য ডিফিকাল্ট। তাদের যারা জনগণ আছেন তারাও কিন্তু কম পয়সায় ভালো জিনিস চায়। দ্যট ক্যান বি ডেলিভার্ড অনলি ফর বাংলাদেশ। ওইদিকে আমাদের একটা বড় এডভান্টেজ আছে। যে তারা যদি বিগ কার্টেল না করে, যদি বলে বাংলাদেশ থেকে আমদানি বন্ধ..আজই আফ্রিকার ৪টি দেশের সঙ্গে ব্যবসাই বন্ধ করে দিয়েছে…নো বিজনেস। ওরকম যদি বাংলাদেশের সঙ্গে করে তবে নিশ্চিতভাবেই বাংলাদেশের ক্ষতি হবে। কিন্তু আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সব সময় বলেছেন যে, ‘লুক ফর নিউ মার্কেট অ্যান্ড নিউ প্রোডাক্টস’। তবে এটি এক কথায় বলা যাবে, অবশ্যই প্রভাব পড়বে। সেজন্য আমাদের উচিত, সবার সঙ্গে মিলমিশ করে একটি সিদ্ধান্তে পৌছানো। মনে রাখতে হবে, আমি আর আপনি যদি না মিলি তবে বিদেশিরা হাজার চেষ্টা করলেও মিলবে না। তখন ভিন্ন এঙ্গেলে যাবে, দেশটা ভোগান্তিতে পড়বে।

আরও পড়ুন: ‘দেশ যদি ডুবেই যায় তবে কার জন্য পলিটিক্স?’

   

ন্যাশনাল ব্যাংক দখল হয়নি, দাবি নতুন চেয়ারম্যানের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বেসরকারি খাতের ন্যাশনাল ব্যাংক দখল হয়নি বলে দাবি করেছেন প্রতিষ্ঠানটির নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান মোহাম্মদ খলিলুর রহমান। 

সোমবার (০৬ মে) রাজধানীর বাংলামোটরে ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে নতুন চেয়ারম্যানের কাছে প্রশ্ন করা হয়েছিল কোনো বিশেষ গোষ্ঠী কি ব্যাংকটি দখল করেছে? জবাবে খলিলুর রহমান বলেন, ‘না না এটি সঠিক নয়, ব্যাংকটি দখল হয়নি।’

তবে নতুন গঠিত পর্ষদের অনেক পরিচালক নিজেরাও জানেন না তারা কোন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিত্ব করছেন। এমন পরিস্থিতিতে সংবাদ সম্মেলনে এসে নিজেদের পরিচয় নিয়ে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়ে নতুন পর্ষদ। পরে ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে বৈঠক আছে’ বলে দ্রুত সংবাদ সম্মেলনের স্থান ত্যাগ করেন চেয়ারম্যানসহ পরিচালকরা।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার (০২ মে) আগের পর্ষদের চেয়ারম্যানসহ চার জন পদত্যাগ করেন। পরে রোববার (৫ মে) নতুন পর্ষদ গঠন করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এরপর বিভিন্ন গণমাধ্যমে চট্টগ্রামভিত্তিক একটি প্রভাবশালী প্রতিষ্ঠান ব্যাংকটি দখলে নিয়েছে বলে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এমন পরিস্থিতিতে সোমবার সংবাদ সম্মেলন ডাকে নতুন পর্ষদ।

প্রতিনিধি পরিচালকরা কে কোন প্রতিষ্ঠান থেকে এসেছেন এবং ওই প্রতিষ্ঠান ব্যাংকের কত শতাংশ শেয়ারের মালিক তা জানতে চান উপস্থিত সাংবাদিকরা। এসময় চেয়ারম্যান পরিচয় দিতে পারেননি পরিচালকদের। তিনি বলেন, তারা কোন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি তা লিখিত আছে। সিএফও পরে জানাতে পারবেন।

এরপর উপস্থিত থাকা প্রতিনিধি পরিচালকদের কাছে তাদের পরিচয় ও কোন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি হয়েছেন তা জানতে চাওয়া হলে তারাও পরিচয় দিতে পারেননি। এসময় বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে বৈঠক আছে বলে দ্রুত সংবাদ সম্মেলনের স্থান ত্যাগ করে চলে যান চেয়ারম্যানসহ পরিচালকরা।

সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তৌহিদুল আলম খান সূচনা বক্তব্য দেন। এরপর নতুন চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য তুলে ধরেন। সেখানে প্রতিনিধি পরিচালকদের নাম উল্লেখ করা হয়– ব্যাংকটির উদ্যোক্তা শেয়ারহোল্ডার মোয়াজ্জেম হোসেন, প্রতিনিধি পরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. সফিকুর রহমান, প্রতিনিধি পরিচালক ও প্রিমিয়ার ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক রিয়াজুল করিম, ব্যবসায়ী ও প্রতিনিধি পরিচালক এরশাদ মাহমুদ, প্রতিনিধি পরিচালক ও সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র অ্যাডভোকেট এহসানুল করিম, প্রতিনিধি পরিচালক ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর এ কে এম তফাজ্জল হক। এছাড়া স্বতন্ত্র পরিচালক চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর মো. হেলাল উদ্দীন নিজামী, চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট ড. রত্না দত্ত ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক এ বি এম জহুরুল হুদার নাম বলা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে শুরুর দিকে চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান বলেন, নবগঠিত পরিচালনা পর্ষদ প্রাথমিকভাবে ন্যাশনাল ব্যাংকের মূলধনে শেয়ারহোল্ডারদের মাধ্যমে এক হাজার কোটি টাকা সরবরাহ করবেন। এছাড়া পরে আরও তিন হাজার কোটি টাকা বিভিন্ন আমানত সংগ্রহ ক্যাম্পেইনের ও প্রকল্পের মাধ্যমে সরবরাহ করা হবে। এতে ন্যাশনাল ব্যাংকের চলমান তারল্য সংকট নিরসন হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। খারাপ হয়ে যাওয়া ঋণ পুনরুদ্ধারকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। বিশেষত খারাপ ঋণ পুনরুদ্ধারে কাউকেই কোনও ছাড় দেওয়া হবে না বলে নবগঠিত পরিচালনা পর্ষদ জানায়।

ন্যাশনাল ব্যাংক একীভূত হবে কি না– জানতে চাইলে নতুন চেয়ারম্যান বলেন, আগে ব্যাংকটির অনেক টাকা এদিক-সেদিক হয়েছে। পরিচালকদের লুটপাটের কারণে ব্যাংকটি দুর্বল হয়েছে। তাই বাংলাদেশ ব্যাংক একীভূত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। আমরা দায়িত্ব নিয়েছি, বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে কথা হয়েছে। এখন ন্যাশনাল ব্যাংক একীভূত হবে না। বাংলাদেশ ব্যাংক দ্রুত সময়ের মধ্যে ব্যাংকের আর্থিক উন্নতির শর্ত দিয়েছে। আমরা আগামী এক বছরের মধ্যে ওই শর্ত পূরণ করার চেষ্টা করব।

;

ন্যাশনাল ব্যাংকের নতুন চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ন্যাশনাল ব্যাংকের নতুন চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান

ন্যাশনাল ব্যাংকের নতুন চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান

  • Font increase
  • Font Decrease

ন্যাশনাল ব্যাংকের চেয়ারম্যান হলেন উদ্যোক্তা পরিচালক আলহাজ খলিলুর রহমান।

রোববার (৫ মে) বাংলাদেশ ব্যাংক খলিলুর রহমানকে ন্যাশনাল ব্যাংকের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব প্রদান করে।

সোমবার ন্যাশনাল ব্যাকের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়, খলিলুর রহমান দেশের একজন শীর্ষস্থানীয় শিল্পপতি ও ব্যবসায়ী ব্যক্তিত্ব। তিনি দেশের অন্যতম বৃহৎ ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান কেডিএস গ্রুপের চেয়ারম্যান। তিনি বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (সিআইপি)।

তিনি চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (সিএমসিসিআই) সভাপতি, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ কনটেইনার ডিপো অ্যাসোসিয়েশনের (বিআইসিডিএ) ভাইস প্রেসিডেন্ট, বাংলাদেশ সিআর কয়েল ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিসিআরসিএমইএ) চেয়ারম্যান এবং চট্টগ্রাম পটিয়া সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। তিনি আল-আরাফা ইসলামী ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা উদ্যোক্তা ছিলেন এবং বর্তমানে তিনি উক্ত ব্যাংকের উল্লেখযোগ্য শেয়ারের অধিকারী। এছাড়াও তিনি প্রগতি ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড এবং প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের সম্মানিত শেয়ারহোল্ডার। তিনি ভাটিয়ারি গলফ অ্যান্ড কান্ট্রি ক্লাব, চট্টগ্রাম বোট ক্লাব, চট্টগ্রাম ক্লাব লিমিটেড, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন লায়ন্স ক্লাব, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব, চট্টগ্রাম ইনস্টিটিউট লিমিটেড (সিনিয়রস ক্লাব), চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল ও জিরি জনকল্যাণ ট্রাস্টের আজীবন সদস্য।

শিক্ষাক্ষেত্রের বিস্তারেও আলহাজ খলিলুর রহমানের রয়েছে অনবদ্য ভূমিকা। তিনি সাউদার্ন ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান। এছাড়াও খলিলুর রহমান মহিলা কলেজ, খলিল মীর ডিগ্রি কলেজ, খলিল রহমান বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, করতলা বেলখাইন মহাবোধি উচ্চ বিদ্যালয়, খলিলুর রহমান শিশু নিকেতন (কিন্ডার গার্টেন), সাবেরিয়া খলিলিয়া সিনিয়র মাদ্রাসা ও সান্দাইর গাউসিয়া তৈয়েবিয়া দেলোয়ারা বেগম সুন্নিয়া আলিয়া মাদ্রাসা সমূহের সভাপতি। এর পাশাপাশি তিনি সুপরিচিত জনহিতৈষী এবং দেশের বিভিন্ন আর্থ-সামাজিক কর্মকাণ্ডে জড়িত।

;

লোডশেডিং শূন্যে নেমে এসেছে, দাবি বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীর



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

তীব্র তাপপ্রবাহে গ্রামাঞ্চলে যে লোডশেডিং ছিল তা শূন্যে নেমে এসেছে বলে দাবি করেছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

তিনি বলেন, তেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ থাকায় তাপপ্রবাহে দেশের কোথাও কোথাও লোডশেডিং করতে হয়েছিল। সে পরিস্থিতি এখন নেই।

সোমবার (৬ মে) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী একথা বলেন।

বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে কিছু কিছু অঞ্চলে লোডশেডিং হচ্ছে, বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলের অনেক স্থানে। এটা গত এক মাস ধরে আমরা পর্যবেক্ষণ করছি। আমাদের বেশ কিছু বিদ্যুৎকেন্দ্র, বিশেষ করে তেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ ছিল, সেগুলো আমরা ধীরে ধীরে চালু করছি। এছাড়া, তেলেরও স্বল্পতা ছিল। এ সব বিষয় নজরদারিতে নিয়ে আমরা এখন একটা ভালো পজিশনে এসেছি।

তিনি বলেন, লোডশেডিংয়ের বিষয়ে সংসদে আলোচনা হয়েছে। বিষয়টি সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীও ওয়াকিবহাল। গ্রামাঞ্চলে যত দ্রুত পারা যায় তার ব্যবস্থা নিতে তিনি আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন। আমরা নিয়েছি, এখন আমরা ভালো অবস্থায় আছি।

গ্রামের লোডশেডিং কমাতে শহরে বাড়বে কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমার মনে হয় না কোথাও লোডশেডিং করে আরেক স্থানে দিতে হবে। আমি মনে করি, আগের চেয়ে অবস্থা অনেক ভালো।

তিনি আরও বলেন, সংসদ সদস্যদের অধিকার আছে সংসদে যেকোনো বিষয় নিয়ে কথা বলার। তারা নিজ নিজ এলাকার সমস্যা তুলে ধরেছেন। সেগুলো প্রকাশ করেছেন। বিদ্যুৎ খাতে অর্থ মন্ত্রণালয় টাকা ছাড় করা শুরু করেছে। সেটা দিয়ে ম্যানেজ করার চেষ্টা করছি।

নসরুল হামিদ বলেন, উৎপাদনে সর্বোচ্চ রেকর্ড হলেও সর্বোচ্চ চাহিদাও রয়েছে। এবার গত ৫০ বছরের ইতিহাসে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল। এটার জন্য তো আমরা কেউ প্রস্তুত ছিলাম না। আমাদের যতটুকু প্রস্তুতি ছিল সে পর্যন্ত আমরা দিয়েছি। তার ওপরে আমরা যেতে পারতাম। কিন্তু আমাদের হাতে বিদ্যুৎকেন্দ্র ছিল না।

;

মৎস্য খাতের উন্নয়নে পৃথক দু’টি রফতানি অঞ্চল চান ব্যবসায়ীরা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চিংড়ি, কাঁকড়া, সুস্বাদু পানির মাছ, সামুদ্রিক মাছসহ অন্যান্য মাছ বিদেশে রফতানি করে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের বিপুল সম্ভাবনা বিরাজ করছে। পার্শ্ববর্তী দেশগুলো এই সুযোগ কাজে লাগালেও বাংলাদেশ এখনো অনেক পিছিয়ে রয়েছে। সম্ভাবনাময় এই খাতের অবারিত সুযোগগুলো কাজে লাগাতে এবং স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে মাছের উৎপাদন ও সরবরাহ বাড়াতে এই খাতের জন্য পৃথক দু’টি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠাসহ সরকারের কাছে নীতিগত সহায়তা চায় মৎস্য খাতের ব্যবসায়ীরা।

সোমবার (মে ৬) বেলা ১১টায় মৎস্য খাত বিষয়ক এফবিসিসিআই স্ট্যান্ডিং কমিটির প্রথম সভায় বক্তারা একথা বলেন।

এসময় ব্যবসায়ীরা বলেন, চিংড়ি, কাঁকড়া ও অন্যান্য মাছ রফতানি করে বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা আয় করার সুযোগ রয়েছে। তবে মাছ চাষের জন্য প্রয়োজনীয় জায়গার পরিমাণ দিন দিন কমে আসছে। বাধাহীনভাবে মাছ চাষের জন্য দেশের দুটি অর্থনৈতিক অঞ্চল বরাদ্দসহ নদীতে কেজকালচার বা খাঁচা পদ্ধতি ব্যবহারের মাধ্যমে মৎস্য চাষে সরকারের সহযোগিতা পেলে মাছের উৎপাদন অনেক বাড়বে।

সভায় ভার্চুয়ালি অংশ নিয়ে এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, আগে রফতানি খাত বলতে চা, চামড়া, মাছ এগুলোই ছিলো। এগুলো রফতানি করে অনেক বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন হতো বাংলাদেশের। এখনও হচ্ছে। তবে মৎস্য খাতে কিছুটা ছন্দপতন ঘটেছে। স্থানীয় চাহিদা মেটাতে গিয়ে আগের মত আর মাছ রফতানি করার সুযোগ হচ্ছে না। মৎস্য খাতের উন্নয়নে সুপারিশমালা তৈরি করতে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের মতামত চান এফবিসিসিআই সভাপতি।

মৎস্য খাতের উন্নয়নে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান এফবিসিসিআই সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. আমিন হেলালী। মৎস্য খাতে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সাংঘর্ষিক বিষয়গুলো সমাধান করা গেলে এ খাতে বিনিয়োগ বাড়বে বলে মনে করেন তিনি।

স্ট্যান্ডিং কমিটির ডিরেক্টর ইন-চার্জ কাজী বেলায়েত হোসেন বলেন, ২০৩০ সালে দেশের জনসংখ্যা হতে পারে ২৪ কোটি। আর এ জনসংখ্যার জন্য ৬০ লাখ মেট্রিক টন মাছ দরকার হবে। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন ও স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে মৎস্য খাতের উন্নয়ন অপরিহার্য। এক্ষেত্রে মৎস্য চাষিদের স্বল্প সুদে ব্যাংক ঋণ ও থানা থেকে ইউনিয়ন পর্যায়ে মৎস্য চাষে প্রশিক্ষণের আহ্বান জানান তিনি।

সভায় উপস্থিত ছিলেন মৎস্য অধিদফতরের মহাপরিচালক সৈয়দ মো. আলমগীর। মৎস্য খাতের উন্নয়নের জন্য ব্যবসায়ীদের দুইটি অর্থনৈতিক অঞ্চল বরাদ্দের দাবির সাথে একমত পোষণ করেন তিনি। এছাড়া মাছ রফতানি বাড়াতে মন্ত্রণালয় কাজ করছে বলে জানান তিনি। এসময়, অবৈধ জাল দিয়ে নদী ও সাগরে মৎস্য নিধনের বিরুদ্ধে মন্ত্রণালয়ের কঠোর অবস্থানের কথা ব্যক্ত করেন তিনি।

সভায় সভাপতিত্ব করেন কমিটির চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ নন-প্যাকার ফ্রোজেন ফুড্স এক্সপোর্টার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি মোহাম্মদ বাবুল আক্তার। সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআইর পরিচালক হাফেজ হাজী হারুন অর রশীদ, নিয়াজ আলী চিশতী, এফবিসিসিআই মহাসচিব মো. আলমগীর, কমিটির কো-চেয়ারম্যানবৃন্দ ও সদস্যবৃন্দ।

;