রোড শো’র মধ্যেও বহুজাতিক কোম্পানিগুলোতে কমছে বিদেশি বিনিয়োগ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বহুজাতিক কোম্পানিগুলোতে কমেছে বিদেশি বিনিয়োগ

বহুজাতিক কোম্পানিগুলোতে কমেছে বিদেশি বিনিয়োগ

  • Font increase
  • Font Decrease

বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্টে দেশের বাইরে গত দুই বছর ধরে রোড শো করছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এসব রোড শো’র মাধ্যমে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের মাঝে বাংলাদেশের উন্নয়ন, বিনিয়োগের রিটার্নসহ বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরা হয়। বাংলাদেশে বিনিয়োগে উৎসাহিত করতে বিএসইসির এমন আয়োজনের পরও সম্প্রতি তালিকাভুক্ত বহুজাতিক কোম্পানিগুলোতে কমেছে বিদেশি বিনিয়োগ। প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) দেয়া তথ্য বিশ্লেষণে এ চিত্র উঠে এসেছে।

দেশের পুঁজিবাজারে বিদেশি বিনিয়োগ কমায় বাজার সংশ্লিষ্টরা নিয়ন্ত্রক সংস্থার নীতিকে দুষছেন। তাঁরা বলছেন, ফ্লোর প্রাইস জারি করে দেশের শেয়ারবাজারকে পঙ্গু করে দেয়া হয়েছে। ফলে বিদেশে রোড শো করলেও এর সুফল পাওয়া যাচ্ছে না। একই সাথে রাজনৈতিক অস্থিরতাকেও বিদেশি বিনিয়োগ না আসার অন্তরায় মনে করছেন অনেকে।

জানা গেছে, দেশের শেয়ারবাজারে একাধিক বহুজাতিক কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়। এর মধ্যে রয়েছে- সিঙ্গার বাংলাদেশ, ইউনিলিভার কনজ্যুমার কেয়ার লিমিটেড, লিন্ডে বাংলাদেশ লিমিটেড, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ, বার্জার পেইন্টস, ম্যারিকো বাংলাদেশ, বাটা শু, আরএকে সিরামিকস, রবি, গ্রামীণফোন এবং লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ লিমিটেড। এই এগারো প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৬টি কোম্পানিতেই গত ৯ মাসে বিদেশি বিনিয়োগ কমেছে। তিন কোম্পানিতে বিদেশি বিনিয়োগের পরিমাণ আগে থেকেই শূন্যের কোঠায়। আর বাকি এক কোম্পানিতে বিদেশি বিনিয়োগের পরিমাণ অপরিবর্তিত রয়েছে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের তথ্য অনুযায়ী, গত ৯ মাসে সবচেয়ে বেশি বিদেশি বিনিয়োগ কমেছে সিঙ্গার বাংলাদেশ লিমিটেডের। গত বছরের (২০২২ সাল) ডিসেম্বরে কোম্পানিটির মোট শেয়ারের ৪ দশমিক ৫২ শতাংশ শেয়ারে বিনিয়োগ ছিল বিদেশিদের। চলতি বছরের সেপ্টেম্বর শেষে কোম্পানিটিতে বিদেশি বিনিয়োগের পরিমাণ কমে দাঁড়ায় ৩ দশমিক ৯১ শতাংশ। অর্থাৎ ৯ মাসে সিঙ্গারের বিদেশি বিনিয়োগ কমেছে দশমিক ৬১ শতাংশ।

বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর মধ্যে বিদেশি বিনিয়োগ কমার দ্বিতীয় স্থানে আছে গ্রামীণফোন লিমিটেডের। নয় মাসে টেলিকমিউনেকশন খাতের কোম্পানিটিতে বিদেশি বিনিয়োগ কমেছে দশমিক ৫৩ শতাংশ। বর্তমানে কোম্পানিটির ১ দশমিক ৬০ শতাংশ শেয়ার বিদেশিদের হাতে রয়েছে। তৃতীয় স্থানে থাকা ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগ দশমিক ৫৩ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ৩৯ শতাংশে।

এছাড়াও ইউনিলিভার কনজ্যুমার কেয়ারে দশমিক ১৮ শতাংশ, ম্যারিকো বাংলাদেশে দশমিক ০৮ শতাংশ, লাফার্জ হোলসিম বাংলাদেশে দশমিক ০৫ শতাংশ এবং বাটা শুতে বিদেশি বিনিয়োগ ৯ মাসে দশমিক ০১ শতাংশ কমেছে। বার্জার পেইন্টসের বিদেশি বিনিয়োগের পরিমাণ গত ৯ মাসে অপরিবর্তিত রয়েছে। অপরদিকে রবি আজিয়াটা, লিন্ডে বাংলাদেশ এবং আরএকে সিরামিকস বাংলাদেশে আলোচ্য সময়ে কোন বিদেশি বিনিয়োগ ছিল না।

বহুজাতিক কোম্পানিগুলোতে বিদেশি বিনিয়োগ কমার বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ও পুঁজিবাজার বিশ্লেষক অধ্যাপক আবু আহমেদ বলেন, রোড শো করে বিদেশি বিনিয়োগ আনা যায় না, এটা বিএসইসি নিজেই জানে। বাংলাদেশের শেয়ারবাজারকে ফ্লোর প্রাইস দিয়ে পঙ্গু করে রাখা হয়েছে, বিদেশিদের সামনে শতবার বক্তব্য দিলেও তো তাঁরা বিনিয়োগ করতে আসবে না। নির্দিষ্ট প্রজেক্টের আওতায় বিএসইসি রোড শো করে নিজেদের দায়িত্ব পালন করছে। বিদেশি বিনিয়োগের জন্য রোড শো করতে হয় না। নিয়ন্ত্রক সংস্থা মনে করেছে ফ্লোর প্রাইস দিয়ে বেঁচে যাওয়া যাবে, তবে এ বেঁচে যাওয়া হচ্ছে শেয়ারবাজারকে অচল করে দেয়া। অচল বাজারে তো বিদেশিরা বিনিয়োগ করতে আসবে না।

তিনি বলেন, ফ্লোর প্রাইস না থাকলে শেয়ারের দাম উঠানামা করতো। এখনতো এক শেয়ার বিক্রি করে আরেক কোম্পানির শেয়ার ক্রয় করা যাচ্ছে না। তবে ফ্লোর প্রাইস কারসাজি চক্রের জন্য বাঁধা হয়েছে এটিও ঠিক।

বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাকও মনে বিদেশি বিনিয়োগ কমার পেছনে ফ্লোর প্রাইস অন্যতম কারণ। তবে তিনি বলেন, আমাদের দাবির মুখেই বিএসইসি ফ্লোর প্রাইস দিয়েছে। সঠিক সময়ে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থেই ফ্লোর প্রাইস আরোপ করেছে বিএসইসি। রাজনৈতিক অস্থিরতা শেষ হলে হয়তো নির্বাচনের পর নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফ্লোর প্রাইস উঠিয়ে দেবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম বার্তা টোয়েন্টিফোরকে বলেন, সুদহার বৃদ্ধি, রিজার্ভ কমে যাওয়া এবং ডলারের মূল্যবৃদ্ধির কারণে শেয়ারবাজারে কিছু নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। এছাড়াও নির্বাচনকে কেন্দ্র করে একটি শঙ্কা আছে। আশা করি নির্বাচনের পর শেয়ারবাজার ভালো হবে। তখন তারল্যসংকট কেটে যাবে। ফলে দেশি বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়বে এবং শেয়ারবাজার ভালো হবে।

উল্লেখ্য, দেশের পুঁজিবাজারে বিদেশিদের বিনিয়োগে আকৃষ্ট করতে ২০২১ সালে রোড শো শুরু করে বিএসইসি। এর প্রেক্ষিতে প্রথম দফায় দুবাইতে, দ্বিতীয় দফায় যুক্তরাষ্ট্রে, তৃতীয় দফায় সুইজারল্যান্ড, চতুর্থ দফায় যুক্তরাজ্য, পঞ্চম দফায় কাতার, ষষ্ঠ দাফয় জাপান, সপ্তম দফায় দক্ষিণ আফ্রিকায় রোড শো করা হয়। অস্টম দফায় গত ২৩ অক্টোব ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে, ২৫ অক্টোবর তুলুসে এবং আজ (সোমবার) জার্মানের বার্লিনে রোড শো করে বিএসইসি। এ দফায় ফ্রাঙ্কফুর্ট ও বেলজিয়ামের ব্রাসেলেসেও বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) সঙ্গে যৌথভাবে রোড শো করবে সংস্থাটি।

   

ন্যাশনাল ব্যাংক দখল হয়নি, দাবি নতুন চেয়ারম্যানের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বেসরকারি খাতের ন্যাশনাল ব্যাংক দখল হয়নি বলে দাবি করেছেন প্রতিষ্ঠানটির নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান মোহাম্মদ খলিলুর রহমান। 

সোমবার (০৬ মে) রাজধানীর বাংলামোটরে ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে নতুন চেয়ারম্যানের কাছে প্রশ্ন করা হয়েছিল কোনো বিশেষ গোষ্ঠী কি ব্যাংকটি দখল করেছে? জবাবে খলিলুর রহমান বলেন, ‘না না এটি সঠিক নয়, ব্যাংকটি দখল হয়নি।’

তবে নতুন গঠিত পর্ষদের অনেক পরিচালক নিজেরাও জানেন না তারা কোন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিত্ব করছেন। এমন পরিস্থিতিতে সংবাদ সম্মেলনে এসে নিজেদের পরিচয় নিয়ে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়ে নতুন পর্ষদ। পরে ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে বৈঠক আছে’ বলে দ্রুত সংবাদ সম্মেলনের স্থান ত্যাগ করেন চেয়ারম্যানসহ পরিচালকরা।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার (০২ মে) আগের পর্ষদের চেয়ারম্যানসহ চার জন পদত্যাগ করেন। পরে রোববার (৫ মে) নতুন পর্ষদ গঠন করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এরপর বিভিন্ন গণমাধ্যমে চট্টগ্রামভিত্তিক একটি প্রভাবশালী প্রতিষ্ঠান ব্যাংকটি দখলে নিয়েছে বলে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এমন পরিস্থিতিতে সোমবার সংবাদ সম্মেলন ডাকে নতুন পর্ষদ।

প্রতিনিধি পরিচালকরা কে কোন প্রতিষ্ঠান থেকে এসেছেন এবং ওই প্রতিষ্ঠান ব্যাংকের কত শতাংশ শেয়ারের মালিক তা জানতে চান উপস্থিত সাংবাদিকরা। এসময় চেয়ারম্যান পরিচয় দিতে পারেননি পরিচালকদের। তিনি বলেন, তারা কোন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি তা লিখিত আছে। সিএফও পরে জানাতে পারবেন।

এরপর উপস্থিত থাকা প্রতিনিধি পরিচালকদের কাছে তাদের পরিচয় ও কোন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি হয়েছেন তা জানতে চাওয়া হলে তারাও পরিচয় দিতে পারেননি। এসময় বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে বৈঠক আছে বলে দ্রুত সংবাদ সম্মেলনের স্থান ত্যাগ করে চলে যান চেয়ারম্যানসহ পরিচালকরা।

সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তৌহিদুল আলম খান সূচনা বক্তব্য দেন। এরপর নতুন চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য তুলে ধরেন। সেখানে প্রতিনিধি পরিচালকদের নাম উল্লেখ করা হয়– ব্যাংকটির উদ্যোক্তা শেয়ারহোল্ডার মোয়াজ্জেম হোসেন, প্রতিনিধি পরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. সফিকুর রহমান, প্রতিনিধি পরিচালক ও প্রিমিয়ার ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক রিয়াজুল করিম, ব্যবসায়ী ও প্রতিনিধি পরিচালক এরশাদ মাহমুদ, প্রতিনিধি পরিচালক ও সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র অ্যাডভোকেট এহসানুল করিম, প্রতিনিধি পরিচালক ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর এ কে এম তফাজ্জল হক। এছাড়া স্বতন্ত্র পরিচালক চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর মো. হেলাল উদ্দীন নিজামী, চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট ড. রত্না দত্ত ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক এ বি এম জহুরুল হুদার নাম বলা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে শুরুর দিকে চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান বলেন, নবগঠিত পরিচালনা পর্ষদ প্রাথমিকভাবে ন্যাশনাল ব্যাংকের মূলধনে শেয়ারহোল্ডারদের মাধ্যমে এক হাজার কোটি টাকা সরবরাহ করবেন। এছাড়া পরে আরও তিন হাজার কোটি টাকা বিভিন্ন আমানত সংগ্রহ ক্যাম্পেইনের ও প্রকল্পের মাধ্যমে সরবরাহ করা হবে। এতে ন্যাশনাল ব্যাংকের চলমান তারল্য সংকট নিরসন হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। খারাপ হয়ে যাওয়া ঋণ পুনরুদ্ধারকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। বিশেষত খারাপ ঋণ পুনরুদ্ধারে কাউকেই কোনও ছাড় দেওয়া হবে না বলে নবগঠিত পরিচালনা পর্ষদ জানায়।

ন্যাশনাল ব্যাংক একীভূত হবে কি না– জানতে চাইলে নতুন চেয়ারম্যান বলেন, আগে ব্যাংকটির অনেক টাকা এদিক-সেদিক হয়েছে। পরিচালকদের লুটপাটের কারণে ব্যাংকটি দুর্বল হয়েছে। তাই বাংলাদেশ ব্যাংক একীভূত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। আমরা দায়িত্ব নিয়েছি, বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে কথা হয়েছে। এখন ন্যাশনাল ব্যাংক একীভূত হবে না। বাংলাদেশ ব্যাংক দ্রুত সময়ের মধ্যে ব্যাংকের আর্থিক উন্নতির শর্ত দিয়েছে। আমরা আগামী এক বছরের মধ্যে ওই শর্ত পূরণ করার চেষ্টা করব।

;

ন্যাশনাল ব্যাংকের নতুন চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ন্যাশনাল ব্যাংকের নতুন চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান

ন্যাশনাল ব্যাংকের নতুন চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান

  • Font increase
  • Font Decrease

ন্যাশনাল ব্যাংকের চেয়ারম্যান হলেন উদ্যোক্তা পরিচালক আলহাজ খলিলুর রহমান।

রোববার (৫ মে) বাংলাদেশ ব্যাংক খলিলুর রহমানকে ন্যাশনাল ব্যাংকের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব প্রদান করে।

সোমবার ন্যাশনাল ব্যাকের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়, খলিলুর রহমান দেশের একজন শীর্ষস্থানীয় শিল্পপতি ও ব্যবসায়ী ব্যক্তিত্ব। তিনি দেশের অন্যতম বৃহৎ ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান কেডিএস গ্রুপের চেয়ারম্যান। তিনি বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (সিআইপি)।

তিনি চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (সিএমসিসিআই) সভাপতি, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ কনটেইনার ডিপো অ্যাসোসিয়েশনের (বিআইসিডিএ) ভাইস প্রেসিডেন্ট, বাংলাদেশ সিআর কয়েল ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিসিআরসিএমইএ) চেয়ারম্যান এবং চট্টগ্রাম পটিয়া সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। তিনি আল-আরাফা ইসলামী ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা উদ্যোক্তা ছিলেন এবং বর্তমানে তিনি উক্ত ব্যাংকের উল্লেখযোগ্য শেয়ারের অধিকারী। এছাড়াও তিনি প্রগতি ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড এবং প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের সম্মানিত শেয়ারহোল্ডার। তিনি ভাটিয়ারি গলফ অ্যান্ড কান্ট্রি ক্লাব, চট্টগ্রাম বোট ক্লাব, চট্টগ্রাম ক্লাব লিমিটেড, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন লায়ন্স ক্লাব, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব, চট্টগ্রাম ইনস্টিটিউট লিমিটেড (সিনিয়রস ক্লাব), চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল ও জিরি জনকল্যাণ ট্রাস্টের আজীবন সদস্য।

শিক্ষাক্ষেত্রের বিস্তারেও আলহাজ খলিলুর রহমানের রয়েছে অনবদ্য ভূমিকা। তিনি সাউদার্ন ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান। এছাড়াও খলিলুর রহমান মহিলা কলেজ, খলিল মীর ডিগ্রি কলেজ, খলিল রহমান বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, করতলা বেলখাইন মহাবোধি উচ্চ বিদ্যালয়, খলিলুর রহমান শিশু নিকেতন (কিন্ডার গার্টেন), সাবেরিয়া খলিলিয়া সিনিয়র মাদ্রাসা ও সান্দাইর গাউসিয়া তৈয়েবিয়া দেলোয়ারা বেগম সুন্নিয়া আলিয়া মাদ্রাসা সমূহের সভাপতি। এর পাশাপাশি তিনি সুপরিচিত জনহিতৈষী এবং দেশের বিভিন্ন আর্থ-সামাজিক কর্মকাণ্ডে জড়িত।

;

লোডশেডিং শূন্যে নেমে এসেছে, দাবি বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীর



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

তীব্র তাপপ্রবাহে গ্রামাঞ্চলে যে লোডশেডিং ছিল তা শূন্যে নেমে এসেছে বলে দাবি করেছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

তিনি বলেন, তেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ থাকায় তাপপ্রবাহে দেশের কোথাও কোথাও লোডশেডিং করতে হয়েছিল। সে পরিস্থিতি এখন নেই।

সোমবার (৬ মে) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী একথা বলেন।

বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে কিছু কিছু অঞ্চলে লোডশেডিং হচ্ছে, বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলের অনেক স্থানে। এটা গত এক মাস ধরে আমরা পর্যবেক্ষণ করছি। আমাদের বেশ কিছু বিদ্যুৎকেন্দ্র, বিশেষ করে তেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ ছিল, সেগুলো আমরা ধীরে ধীরে চালু করছি। এছাড়া, তেলেরও স্বল্পতা ছিল। এ সব বিষয় নজরদারিতে নিয়ে আমরা এখন একটা ভালো পজিশনে এসেছি।

তিনি বলেন, লোডশেডিংয়ের বিষয়ে সংসদে আলোচনা হয়েছে। বিষয়টি সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীও ওয়াকিবহাল। গ্রামাঞ্চলে যত দ্রুত পারা যায় তার ব্যবস্থা নিতে তিনি আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন। আমরা নিয়েছি, এখন আমরা ভালো অবস্থায় আছি।

গ্রামের লোডশেডিং কমাতে শহরে বাড়বে কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমার মনে হয় না কোথাও লোডশেডিং করে আরেক স্থানে দিতে হবে। আমি মনে করি, আগের চেয়ে অবস্থা অনেক ভালো।

তিনি আরও বলেন, সংসদ সদস্যদের অধিকার আছে সংসদে যেকোনো বিষয় নিয়ে কথা বলার। তারা নিজ নিজ এলাকার সমস্যা তুলে ধরেছেন। সেগুলো প্রকাশ করেছেন। বিদ্যুৎ খাতে অর্থ মন্ত্রণালয় টাকা ছাড় করা শুরু করেছে। সেটা দিয়ে ম্যানেজ করার চেষ্টা করছি।

নসরুল হামিদ বলেন, উৎপাদনে সর্বোচ্চ রেকর্ড হলেও সর্বোচ্চ চাহিদাও রয়েছে। এবার গত ৫০ বছরের ইতিহাসে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল। এটার জন্য তো আমরা কেউ প্রস্তুত ছিলাম না। আমাদের যতটুকু প্রস্তুতি ছিল সে পর্যন্ত আমরা দিয়েছি। তার ওপরে আমরা যেতে পারতাম। কিন্তু আমাদের হাতে বিদ্যুৎকেন্দ্র ছিল না।

;

মৎস্য খাতের উন্নয়নে পৃথক দু’টি রফতানি অঞ্চল চান ব্যবসায়ীরা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চিংড়ি, কাঁকড়া, সুস্বাদু পানির মাছ, সামুদ্রিক মাছসহ অন্যান্য মাছ বিদেশে রফতানি করে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের বিপুল সম্ভাবনা বিরাজ করছে। পার্শ্ববর্তী দেশগুলো এই সুযোগ কাজে লাগালেও বাংলাদেশ এখনো অনেক পিছিয়ে রয়েছে। সম্ভাবনাময় এই খাতের অবারিত সুযোগগুলো কাজে লাগাতে এবং স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে মাছের উৎপাদন ও সরবরাহ বাড়াতে এই খাতের জন্য পৃথক দু’টি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠাসহ সরকারের কাছে নীতিগত সহায়তা চায় মৎস্য খাতের ব্যবসায়ীরা।

সোমবার (মে ৬) বেলা ১১টায় মৎস্য খাত বিষয়ক এফবিসিসিআই স্ট্যান্ডিং কমিটির প্রথম সভায় বক্তারা একথা বলেন।

এসময় ব্যবসায়ীরা বলেন, চিংড়ি, কাঁকড়া ও অন্যান্য মাছ রফতানি করে বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা আয় করার সুযোগ রয়েছে। তবে মাছ চাষের জন্য প্রয়োজনীয় জায়গার পরিমাণ দিন দিন কমে আসছে। বাধাহীনভাবে মাছ চাষের জন্য দেশের দুটি অর্থনৈতিক অঞ্চল বরাদ্দসহ নদীতে কেজকালচার বা খাঁচা পদ্ধতি ব্যবহারের মাধ্যমে মৎস্য চাষে সরকারের সহযোগিতা পেলে মাছের উৎপাদন অনেক বাড়বে।

সভায় ভার্চুয়ালি অংশ নিয়ে এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, আগে রফতানি খাত বলতে চা, চামড়া, মাছ এগুলোই ছিলো। এগুলো রফতানি করে অনেক বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন হতো বাংলাদেশের। এখনও হচ্ছে। তবে মৎস্য খাতে কিছুটা ছন্দপতন ঘটেছে। স্থানীয় চাহিদা মেটাতে গিয়ে আগের মত আর মাছ রফতানি করার সুযোগ হচ্ছে না। মৎস্য খাতের উন্নয়নে সুপারিশমালা তৈরি করতে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের মতামত চান এফবিসিসিআই সভাপতি।

মৎস্য খাতের উন্নয়নে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান এফবিসিসিআই সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. আমিন হেলালী। মৎস্য খাতে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সাংঘর্ষিক বিষয়গুলো সমাধান করা গেলে এ খাতে বিনিয়োগ বাড়বে বলে মনে করেন তিনি।

স্ট্যান্ডিং কমিটির ডিরেক্টর ইন-চার্জ কাজী বেলায়েত হোসেন বলেন, ২০৩০ সালে দেশের জনসংখ্যা হতে পারে ২৪ কোটি। আর এ জনসংখ্যার জন্য ৬০ লাখ মেট্রিক টন মাছ দরকার হবে। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন ও স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে মৎস্য খাতের উন্নয়ন অপরিহার্য। এক্ষেত্রে মৎস্য চাষিদের স্বল্প সুদে ব্যাংক ঋণ ও থানা থেকে ইউনিয়ন পর্যায়ে মৎস্য চাষে প্রশিক্ষণের আহ্বান জানান তিনি।

সভায় উপস্থিত ছিলেন মৎস্য অধিদফতরের মহাপরিচালক সৈয়দ মো. আলমগীর। মৎস্য খাতের উন্নয়নের জন্য ব্যবসায়ীদের দুইটি অর্থনৈতিক অঞ্চল বরাদ্দের দাবির সাথে একমত পোষণ করেন তিনি। এছাড়া মাছ রফতানি বাড়াতে মন্ত্রণালয় কাজ করছে বলে জানান তিনি। এসময়, অবৈধ জাল দিয়ে নদী ও সাগরে মৎস্য নিধনের বিরুদ্ধে মন্ত্রণালয়ের কঠোর অবস্থানের কথা ব্যক্ত করেন তিনি।

সভায় সভাপতিত্ব করেন কমিটির চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ নন-প্যাকার ফ্রোজেন ফুড্স এক্সপোর্টার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি মোহাম্মদ বাবুল আক্তার। সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআইর পরিচালক হাফেজ হাজী হারুন অর রশীদ, নিয়াজ আলী চিশতী, এফবিসিসিআই মহাসচিব মো. আলমগীর, কমিটির কো-চেয়ারম্যানবৃন্দ ও সদস্যবৃন্দ।

;