শেয়ারবাজারের মূলধন কমেছে পাঁচ হাজার কোটি টাকা
বিদায়ী সপ্তাহে দেশের শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীদের মূলধন কমেছে পাঁচ হাজার কোটি টাকার বেশি। সপ্তাহজুড়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মূল্য সূচকে ছিল মিশ্র প্রবণতা। তবে সপ্তাহ শেষে এক্সচেঞ্জটিতে লেনদেন ১৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনা করে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, গত সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে ৩৭০ প্রতিষ্ঠানের ১১ কোটি ৬১ লাখ ৮৫ হাজার ৫৬টি শেয়ার ও ইউনিট হাতবদল হয়েছে। লেনদেনকৃত এসব শেয়ারের বাজারমূল্য ছিল দুই হাজার ৫৯৭ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। এর আগের সপ্তাহে ডিএসইতে দুই হাজার ১৯৫ কোটি ২১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল। এ হিসেবে এক সপ্তাহের ব্যবধানে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন ৪০২ কোটি ৩৩ লাখ টাকা বা ১৮ দশমিক ৩৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
শেয়ার লেনদেনের পরিমাণ বাড়লেও গেল সপ্তাহে প্রধান শেয়ারবাজারের বাজার মূলধন কমেছে। সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৭ লাখ ৮৪ হাজার ৫২৮ কোটি ৫৭ লাখ ৮৬ হাজার টাকা। বৃহস্পতিবার লেনদেন শেষে এক্সচেঞ্জটির বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৭৯ হাজার ২০৯ কোটি ৬২ লাখ টাকায়। অর্থাৎ এক সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের বাজার মূলধন কমেছে ৫ হাজার ৩১৮ কোটি ৯৫ লাখ ৮২ হাজার টাকা।
বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইর মূল্য সূচকগুলোতে ছিল মিশ্র প্রবণতা। প্রধান সূচক 'ডিএসই এক্স' পাঁচ কার্যদিবসে ৩ দশমিক ৯৪ পয়েন্ট বৃদ্ধি পেয়েছে। সপ্তাহ শেষে সূচকটি স্থির হয়েছে ৬ হাজার ২৭১ পয়েন্টে। এছাড়াও শরীয়াহভিত্তিক কোম্পানিগুলোর 'ডিএসই এস' সূচকে গত সপ্তাহে ৩ দশমিক ৩১ পয়েন্ট যোগ হয়েছে। তবে অপর সূচক 'ডিএস ৩০' ৫ দশমিক ৯০ পয়েন্ট হারিয়েছে।
সপ্তাহজুড়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেনে অংশ নেয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে ২২৬টির শেয়ারদরই ছিল অপরিবর্তিত। দর কমেছে ৬৯টির। বিপরীতে ৭৫ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারদর বৃদ্ধি পেয়েছে। অপরদিকে ৩৩টি কোম্পানি গত সপ্তাহে শেয়ার লেনদেন থেকে বিরত ছিল।
দেড় শ কোটি টাকার বেশি মূল্যের শেয়ার হাতবদলের মাধ্যমে সমাপ্ত সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে ফু-ওয়াং ফুড লিমিটেড। এক সপ্তাহে প্রতিষ্ঠানটির ১৫২ কোটি ১৪ লাখ টাকা মূল্যের ৪ কোটি ৪২ লাখ ৩৩ হাজার ৮৯৮টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
গত সপ্তাহে 'বি' ক্যাটাগরির কোম্পানিগুলোর প্রতি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ সবচেয়ে বেশি ছিল। ফলে এই ক্যাটাগরির খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং লিমিটেড ডিএসইতে সাপ্তাহিক দর বৃদ্ধির শীর্ষস্থান দখলে নিয়েছে। পাঁচ কার্যদিবসে কোম্পানিটির শেয়ারদর ৫২ দশমিক ১৪ শতাংশ বেড়েছে। অপরদিকে সর্বোচ্চ দর হারানো ক্যাপিটেক গ্রামীণ ব্যাংক গ্রোথ ফান্ডের ইউনিটর দর কমেছে ৩৩ দশমিক ৬৫ শতাংশ।