চট্টগ্রামে গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক হতে পারে রাত ১০টায়

  • স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামে গ্যাস সরবরাহ শুরু হতে পারে শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) রাত ১০টার পর থেকে। তবে পুরোপুরি স্বাভাবিক হবে রাত ১২টার পর। এই লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (কেজিডিসিএল) কর্তৃপক্ষ।

মহেশখালীর এলএনজি (তরলীকৃত ন্যাচারাল গ্যাস) সরবরাহের এফএসআরইউর (ফ্লোটিং স্টোরেজ রি-গ্যাসিফিকেশন ইউনিট) কারিগরি ত্রুটির কারণে শুক্রবার সকাল থেকে চট্টগ্রামে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়।

বিজ্ঞাপন

গ্যাস না থাকায় বেশিরভাগ বাসাতেই রান্নাবান্না হয়নি। অনেকে তাই খাবার খেতে ও কিনতে ছোটেন হোটেলে। একই কারণে গণপরিবহন কম চলায় সড়কেও ভোগান্তিতে পড়ে মানুষ। কবে গ্যাস আসবে, সেটি নিয়ে উৎকণ্ঠায় আছেন নগরবাসী।

এমন পরিস্থিতিতে কেজিডিসিএলের মহাব্যবস্থাপক (অপারেশন) প্রকৌশলী আমিনুর রহমানের কাছে গ্যাস সরবরাহ কবে স্বাভাবিক হবে জানতে চাইলে সন্ধ্যা ছয়টার দিকে তিনি বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘রাত ১০টায় মোটামুটি একটু ভালো পরিস্থিতি হতে পারে। গ্যাস সরবরাহ লাইনে পুরোপুরি ঢুকতে পারে। আর ১২টার ভেতরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বলে আশা করা যায়।’

বিজ্ঞাপন

মূলত চট্টগ্রাম অঞ্চলে কক্সবাজারের মহেশখালীতে ভাসমান দুটি টার্মিনাল থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে গ্যাস সরবরাহ করা হয়। এই দুটি টার্মিনালের একটির নির্মাতা মার্কিন প্রতিষ্ঠান এক্সিলারেট এনার্জি, অন্যটি নির্মাণ করেছে সামিট গ্রুপ।

কেজিডিসিএল জানিয়েছে, দুই টার্মিনালের মধ্যে এক্সিলারেট এনার্জির টার্মিনালটি ১ নভেম্বর থেকে সংস্কারের জন্য বন্ধ ছিল। ওই টার্মিনালটি বিচ্ছিন্ন করে সেসময় সিঙ্গাপুর নেওয়া হয়েছিল সংস্কার করতে। সেটি কয়েকদিন আগে দেশে আনা হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার এক্সিলারেট এনার্জির টার্মিনালটি গ্যাস সরবরাহের জন্য যুক্ত করার পর সামিটের টার্মিনালটি খুলে নেওয়া হয়। সংস্কারের জন্য সেটিও সিঙ্গাপুর পাঠানোর কথা রয়েছে। কিন্তু সরবরাহ চালুর পর এক্সিলারেট এনার্জির টার্মিনালে কিছু যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়। এ কারণে এই টার্মিনাল থেকেও গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছে। ফলে চট্টগ্রাম অঞ্চলে গ্যাস সরবরাহ একেবারেই বন্ধ হয়ে যায়।

কেজিডিসিএলের মহাব্যবস্থাপক (অপারেশন) প্রকৌশলী আমিনুর রহমান জানিয়েছেন, সিঙ্গাপুর থেকে বিশেষজ্ঞ টিম এসেছে ত্রুটি সমাধানের কাজ করছে। এর মধ্যে কিছু জায়গায় গ্যাস সরবরাহ শুরুও হয়েছে। তবে চাপ কম।’

কেজিডিসিএলের মোট গ্রাহক সংযোগ রয়েছে ৬ লাখ ১ হাজার ৯১৪ টি। এরমধ্যে ৫ লাখ ৯৭ হাজার ৫৬১ টি গৃহস্থালি সংযোগ ও বাকিগুলো বাণিজ্যিক। সব মিলিয়ে চট্টগ্রামে দৈনিক গ্যাসের চাহিদা থেকে ৩২৫ মিলিয়ন ঘনফুট। এখন গ্যাস না থাকায় এই বিপুল সংখ্যক গ্রাহক ভোগান্তিতে পড়েছেন।