সিলেট-১০ খনি থেকে তেল উত্তোলনে পরীক্ষা চলছে: নসরুল হামিদ



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সিলেট থেকে: বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, সিলেট কূপ-১০ থেকে বাণিজ্যিকভাবে তেল উৎপাদনের বিষয়ে সরকার আশাবাদী। এখনও পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে দুই মাসের মধ্যে জানা যাবে। 

শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সিলেট-১০ কূপ এলাকা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছিলেন তিনি।

এর আগে অনুসন্ধানাধীন কূপ কৈলাশটিলা-৮ খনন প্রকল্প পরিদর্শন, জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম লিমিটেডের প্রধান কার্যালয় পরিদর্শন এবং বঙ্গবন্ধু কর্নার ও প্রিপেইড মিটার প্রকল্পের ডাটা সেন্টার উদ্বোধন করেন প্রতিমন্ত্রী।

তিন দিনের সফরে সিলেট অঞ্চলে থাকছেন তিনি। কয়েকটি গ্যাস ফিল্ড ও প্রসেস প্লান্ট পরিদর্শন, মডেল পেট্রোল পাম্প উদ্বোধন, পাইপলাইনে গ্যাস সরবরাহ উদ্বোধনসহ একগুচ্ছ কর্মসূচি থাকছে- এই সময়ে।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, কূপের ভিতরে এবং মুখে প্রেসার খুব ভালো, যে প্রেসারে তেল পাওয়া যাচ্ছে তাতে আমরা আশাবাদী।

তিনি জানান, এখানে গ্যাসের চাপ বেশি হওয়ায় আরও দুটি কূপ খনন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এতে করে গ্যাসের উৎপাদন সক্ষমতাও বাড়বে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, সাবমেরিন কেবলের মাধ্যমে আমরা দ্বীপে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছি। এখন গ্রামীণ অর্থনীতিতে গতির সঞ্চার করেছে। অর্থনীতির গতি ধরে রাখার জন্য জ্বালানি নিশ্চিত করতে হবে। বসে থাকার সময় নেই, সিলেট গ্যাস ফিল্ড কোম্পানি ভালো করছে, পুরস্কার পাওয়ার যোগ্য।

এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে পরীক্ষিত বিশেষজ্ঞ রয়েছেন। এখন প্রযুক্তিগত সাপোর্ট রয়েছে। আর যারা সমালোচনা করেন, তারা অনেকেই এ সম্পর্কে ভালো ধারণা রাখেন না’।

সিলেট গ্যাস ফিল্ড কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিজানুর রহমান এ সময় উপস্থিত ছিলেন। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, সিলেট-১০ নম্বর কূপটি খুবই সৌভাগ্যের, এখানে গ্যাসের চাপ ৬০০০ পিএসআই পাওয়া গেছে। পরীক্ষার সময় ২৫ মিলিয়ন ঘনফুট উত্তোলন করার সময় চাপ ৩২০০ পিএসআই পাওয়া গেছে। অনেক কূপেই উত্তোলনের সময় চাপ কমে যায়, কিন্তু সিলেট-১০ খুবই ব্যতিক্রম।


সিলেট গ্যাস ফিল্ডের ১০ নম্বর কূপে অনুসন্ধান চলাকালে গত ৮ ডিসেম্বর তেলের উপস্থিতি জানা যায়। কূপটিতে তিনটি গ্যাস স্তরের পাশাপাশি তেলের অবস্থান নিশ্চিত করেন অনুসন্ধানকারীরা। ১৩৯৭-১৪৪৫ মিটার গভীরতায় তেলের অবস্থান চিহ্নিত করা হয়েছে। প্রথম দিন ২ ঘণ্টায় ৭০ ব্যারেল তেল ওঠে।

প্রাথমিকভাবে এপিআই গ্র্যাভিটি ভিটি ২৯.৭ ডিগ্রি পাওয়া যায়। পরীক্ষা সম্পন্ন হলে তেলের মজুদ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে। তবে প্রাথমিকভাবে মজুদ ৮ থেকে ১০ মিলিয়ন ব্যারেল ধারণা করা হলেও বাপেক্সের মূল্যায়ন বলছে, এখানে মজুদ ১৫ থেকে ১৮ মিলিয়ন ব্যারেল হতে পারে। দিনে ৫০০ থেকে ৬০০ ব্যারেল তেল পাওয়ার আশা করা হচ্ছে। 

উত্তোলিত তেল পরীক্ষার জন্য বুয়েট, ইস্টার্ন রিফাইনানিসহ তিনটি ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। রেজাল্ট পাওয়া গেলে আরও বিস্তারিত ধারণা পাওয়া যাবে। পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে পুরোপুরি নিশ্চিত হতে আরও ৪ থেকে ৫ মাস সময় লাগবে।

কূপটির গ্যাস স্তরগুলোর অবস্থান হচ্ছে ২৪৬০ থেকে ২৪৭৫ মিটার, ২৫৪০ থেকে ২৫৭৬ মিটার ও ৩৩০০ মিটার গভীরতায়। গ্যাসের মজুদ হতে পারে ৪৩.৬ থেকে ১০৬ বিলিয়ন ঘনফুট। যার মূল্য ৮ হাজার ৫০০ কোটি টাকা হবে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী

সিলেট গ্যাস ফিল্ড কোম্পানি বর্তমানে দৈনিক ১১৫.২ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করছে। কৈলাশটিলা-৮, সিলেট-১০, সিলেট-১০ এক্স ও সিলেট-১১ সহ বেশকিছু প্রকল্প চলমান রয়েছে। কোম্পানিটি আশা করছে চলমান কার্যক্রম ২০২৫ সাল নাগাদ শেষ হলে দৈনিক ২৫০ থেকে ২৮০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করা সম্ভব হবে।

   

ডলারের মূল্যবৃদ্ধির বিকল্প কি ছিল, যা জানালেন ড. বিরূপাক্ষ পাল



আশরাফুল ইসলাম, পরিকল্পনা সম্পাদক, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

এক লাফে ডলারের দাম ৭টা বাড়ানোর ফলে দেশের অর্থনীতিতে সৃষ্ট উভয়সংকটের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নরকে দায়ী করে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. বিরূপাক্ষ পাল বলেছেন, বর্তমান পরিস্থিতি পলিসি অস্থিরতার ফল। বার্তা২৪.কম-কে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক এই প্রধান অর্থনীতিবিদ উল্লেখ করেন, ‘এই পরিস্থিতি তখনই আসে যখন কেউ পলিসি সম্পর্কে দৃঢ় নয়, জ্ঞানলব্ধ, প্রজ্ঞাশীল কিংবা স্থিতপ্রজ্ঞ নয়’।

যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ইউনিভার্সিটি অব নিউ ইয়র্ক এর অর্থনীতির অধ্যাপক বিরূপাক্ষ পাল সাম্প্রতিক বছরে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতি দুর্বলতা, সাংবাদিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা, একাডেমিয়ার সঙ্গে আমলাতন্ত্রের বিরোধ ছাড়াও সমকালীন অর্থনীতির বিভিন্ন দিক নিয়েও তাঁর মূল্যায়ন তুলে ধরেছেন। কথা বলেছেন পরিকল্পনা সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম।

বার্তা২৪.কম: ডলারের দাম এক লাফে ৭টাকা বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। অর্থনীতি সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এর ফলে পুরো আর্থিক খাতেই বড় ধরণের সংকট তৈরি হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে এর বিকল্প আসলে আর কি ছিল?

ড. বিরূপাক্ষ পাল: বিকল্প ছিল একটাই, সময় থাকতে কাজ করা। গেল সেপ্টেম্বরে (২০২৩) আমি লিখেছিলাম যে, টাকার মান কমলে জাতির মান কমে না। টাকার মানকে রিয়েল এক্সচেঞ্জ রেটের সঙ্গে এডজাস্ট করা। সেটা তো তারা (বাংলাদেশ ব্যাংক) কখনো করেনি। এক লাফে বাড়িয়ে এখন প্রশংসা নেওয়ার চেষ্টা করছে। এটাকে বলছে ‘ক্রলিং পেগ’ কিন্তু আসলে এটা তো ক্রলিং নয়, তারা সবকিছু ফোর্সড করেন আন্ডার ভলান্টারি। মার্জারের মত, করছে ফোর্সড নাম দিচ্ছে ভলান্টারি। এককালীন ডলরের দাম বাড়িয়েছে শুধু আইএমএফ এর শর্তপূরণের জন্য। আইএমএফ এর ইন্টারন্যাশনাল রিজার্ভ এর যে লিমিটটা ছিল তা তারা পূরণ করতে পারেনি, সুতরাং থার্ড গ্রেডে তারা কোয়ালিফাই করতে পারে। কোয়ালিফাই করতে পারেনি, যোগ্যতা না থাকায় বাধ্য হয়ে এখন এই কঠোর সিদ্ধান্তটা নিয়েছে এবং বলতে গেলে নিতে বাধ্য হয়েছে। এর বিকল্প ছিল একটাই-যা ইতিমধ্যে অর্থনীতিবিদরা যেটা বলেছেন সেটা অনুসরণ করা ।

বার্তা২৪.কম: পরিস্থিতির জন্য কাকে দায়ী করবেন?

ড. বিরূপাক্ষ পাল: গভর্নর নিজে এই উভয়সংকটের জন্য দায়ী। উনি প্রথমে একবার গত জুলাই মাসে মনিটারি পলিসি দিয়ে বলেছেন, আমরা এক্সচেঞ্জ রেট বাজারভিত্তিক করব। ডিসেম্বরের দিকে সম্ভবত একটি অনুষ্ঠানের গিয়ে তিনি ভেতরের কথা বললেন যে এক্সচেঞ্জ রেটকে কোনভাবেই বাজারের উর্ধ্বে করা যাবে না। অর্থাৎ তাদের ভেতরের মধ্যে পলিসি ডিলেমা, নীতি অসংবেদনশীলতা। মুখে একটা বলা আর তা না করার শাস্তি হিসাবে এই এক লাফে ৭ টাকা বাড়াতে হল। জানা মতে, স্বাধীনতার পরে একবার এমন হয়েছিল বিশেষ একটি অবস্থায় ১৯৭৫ সালের দিকে। তাছাড়া এমন এক লাফে এভাবে ৭ টাকা আর বাড়েনি। যেখানে ৪ আনা, ৮ আনা করে বাড়ানো হয়-সেখানে ৭ টাকা বাড়ানোর কোন কারণ নেই। দ্বিতীয় আরও একটি হিপোক্রেসি তারা করেছেন, কিছুদিন আগে ডলারকে ১১০টাকা থেকে কমিয়ে ১০৯ টাকা ৭৫ পয়সা করেছে, এটা এক ধরণের হিপোক্রেসি। এর মানেটা কি বোঝাতে চাচ্ছেন? মানেটা কি টাকা ডলারের সঙ্গে শক্তিশালী হয়ে উঠছে! এটা ফেইক সিগন্যাল। আসলে এই ফেইক সিগন্যাল দেওয়ার কোন দরকার ছিল না । তখনও বাজারে ১২০ টাকা দিয়ে ডলার কেনা লাগতো। এটা পলিসি হিপোক্রেসি। সাবেক গভর্নর ড. ফরাসউদ্দিন যেটি বলেছেন, আমি সেটাকে আশ্রয় করে বলছি, উনি তো অনেক কথাই বলেছেন, যেটা কোন সাবেক গভর্নর বলেন না। যার সারমর্ম হচ্ছে কিছুসংখ্যক আমদানিকারককে খুশি করতে ডলারকে কৃত্রিমভাবে অবমূল্যায়ন করে রাখা হয়েছে, টাকাকে অতিমূল্যায়িত করে রাখা হয়েছে। এই আমদানিকারকদের ফোর্সটা এখানে স্ট্রং, এটা বুঝতে পারছি। তারা জিনিসপত্র আমদনি করবে এবং এই গোষ্ঠীটা এক্সচেঞ্জ রেটটা বাজারের সঙ্গে আসতে দিচ্ছে না। তারা বিগত দীর্ঘসময় দেয়নি, আসতে আসতে একটা বিল্ডিংয়ের মধ্যে চাপ নিতে নিতে কোভিডের সময় ফেটে পড়ে। এর জন্য কোভিডেরও দোষ নেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধেরও দোষ নয়। এগুলো খামোখা অজুহাত।

বার্তা২৪.কম: এটাকে কি তাহলে নীতিগত ব্যর্থতা বলা যায়?

ড. বিরূপাক্ষ পাল: হ্যা অবশ্যই। তারা জ্ঞানভিত্তিক পলিসি নির্ধারণ করে না। তারা কিছু গোষ্ঠীর স্বার্থ দেখে কাজ করে। অর্থনীতিবিদদের কথা তারা কোনভাবেই শোনে না। আরেকটা মকারি তারা করেছেন, সমস্ত খ্যাতিমান অর্থনীতিবিদদের বাংলাদেশ ব্যাংকে ডেকে নিয়ে উপদেশ শুনেছে, একটা উপদেশও তারা রাখেনি। উনি (গভর্নর) আমদানি করেছেন ‘স্মার্ট’, এটা আসলে একটা ভুয়া জিনিস। স্মার্ট মানে কি আমাদের ক্ষমতাকে অন্যের হাতে দিয়ে দেওয়া? পৃথিবীতে এমন উদ্ভট কাজ কেউ করে না। শেষ পর্যন্ত বাতিল করতে হয়েছে। এখন যে মার্জার নিয়ে কথা হচ্ছে, আমি মার্জার নিয়ে পড়াশোনা করেছি। এ নিয়ে আমিও লিখেছি, এটা হল ‘সামন্তবাদী বিয়ের’ মতন ব্যাপার। জোর করে বিয়ে দেওয়ার মতো। অলরেডি মার্জার থেকে সরে এসেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আরেকটা জিনিস তারা শুরু করল, ক্রলিং পেগ। এটি যেভাবে শুরু হওয়ার কথা, সেটা কিছুই না। চাপে পড়ে করে এখন বলছে আমি করে ফেলেছি। ঘটনাটি বোঝাতে একটি গল্প বলা যেতে পারে, জাহাজের কিনারায় দাঁড়িয়ে একটা লোক দৃশ্য দেখছিল। হঠাৎ হইচই হচ্ছে, কেউ একজন পড়ে গেছে নীচে। হইচই, কান্নাকাটি। কিছুক্ষণ পর আরেকটা মানুষ ঝাঁপ দিয়ে উদ্ধার করল। তারপর ওই মানুষকে যখন মেডেল দিচ্ছে, তখন তিনি বললেন, ‘আমি তো আসলে মেডেল নেওয়ার যোগ্য নই। আমি দেখলাম কেউ আমাকে ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়েছে, এর জন্য আমি মহান হয়ে গেছি।’ এখন ধাক্কাটি মেরেছে আইএমএফ, আর এক ধাক্কায় ডলারের দাম বাড়িয়ে দিয়ে বলছে ‘ক্রলিং পেগ’। ‘জাম্পিং পেগ’ কখনো ক্রলিং প্যাক হয় না। আরেকটা ভুয়া নামের আশ্রয় তারা নিয়েছেন। কেন করলেন? কারণ তারা কমিট করেছিলেন এটা তারা করবেন। এত কথা, কবিরাজি, টুটকা চিকিৎসার প্রয়োজন কি? ঝাড়ফুঁক দেওয়ার প্রয়োজন কি পড়ল? যেটা মানা উচিত সেটা মেনে চললেই তো হয়। তারা ভুয়া জিনিস আমদানি করে চমক লাগায়। ‘স্মার্ট’, ‘সোয়াপ’, ‘এক্সচেঞ্জ রেট’ ইত্যাদি নানাকিছু। এজন্যই আমি বলছি, বর্তমান পরিস্থিতিটা হল পলিসি অস্থিরতা। এটা কখন আসে যখন কেউ পলিসি সম্পর্কে দৃঢ় নয়, জ্ঞানলব্ধ-প্রজ্ঞাশীল বা স্থিতপ্রজ্ঞ নয়, এমন অবস্থাতেই এই অস্থিরতাগুলো ভিতরে আসতে থাকে। হঠাৎ করেই কিছু টার্ম নিয়ে আসেন, যা আমদানির কোন দরকার ছিল না।

বার্তা২৪.কম: এই পলিসি অস্থিরতা কিংবা ডলারের মূল্য বৃদ্ধির কি কি প্রভাব পড়বে আমাদের অর্থনীতিতে…

ড. বিরূপাক্ষ পাল: প্রভাবটাই বড় কথা নয়, যদি করতেই হল, তবে এত দেরি করে কেন? লাফ দিয়ে বাড়ানোর প্রয়োজন কেন পড়ল? কোন শিক্ষার্থী পড়াশোনা না করলে পরীক্ষার আগে সারারাত পড়লে স্বাস্থ্যের ক্ষতি হয়-বিষয়টি তেমনি। ইট ইজ মুভিং টোয়ার্ড দ্য কামিং স্টিল এওেয়ে ফর্ম মার্কেট...‘যদি সেই নথ খসালি, তবে কেন লোক হাসালি’…মাঝে আবার ডলারের বিপরীতে টাকাকে শক্তিশালী করে দেয়। ব্যর্থতার জন্য হোচট খেয়ে এখন নানা অজুহাত নিতে হচ্ছে। মূল কথা আইএমএফ এর চাপে এটা করেছে। কোন দিন যেটা করেনি। বিকল্পটা ছিল ধীরে ধীরে জিনিসটাকে এডজাস্ট করা। মার্কেটে কি হয়েছে দেখুন, মানি চেঞ্জাররা বলছে, ‘ডলার নাই’ আসলে তো সব লুকিয়ে রেখেছে। তারা বলছে-‘আমাদের কাছে কোন ডিরকেশন নেই আমরা কত করে বিক্রি করব?’ এই ক্রলিং পেগের মার্জিন কত হবে তাও কি বলেছে? মার্জিনটা আবার কেন টানা হচ্ছে? যদি বাজারের ভিত্তিতে করা হয় তাহলে মার্জিন নিয়ে কথার প্রয়োজন কি? রেট যেটা আছে সেটা ঘোষণা করুন ‘অফিসিয়াল রেট’। বাজারের ওপরই একটা প্যানিক ক্রিয়েট করে দিয়েছে হঠাৎ করে।

বার্তা২৪.কম: আর্থিক সংকটের মাঝেই নতুন করে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণে যে সংকট সৃষ্টি হল সেটা কি তবে অদূরদর্শিতার ফল?

ড. বিরূপাক্ষ পাল: অদূরদর্শিতা তো বটেই। ‘ক্রলিং পেগ’ বলে তারা আবার ক্রেডিট নেওয়ার চেষ্টা করছেন। এটা ক্রলিং হয় নাকি? ক্রলিং করার কথা ছিল ১০-১৫টা দেশের ট্রেডিং পার্টনারের এক্সচেঞ্জ রেট নিয়ে একটা কম্পোজিট রেট বের করে তা নিয়ে অংক কষে বা গবেষণার মাধ্যমে নিরূপণ করা।

বার্তা২৪.কম: কেন্দ্রীয় ব্যাংকে সাংবাদিকদের ঢুকতে না দেওয়াকে কিভাবে দেখেন?

ড. বিরূপাক্ষ পাল: সাংবাদিকদের সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর যদি মুখ বন্ধ করে রাখেন তাহলে বিষয়টা কেমন দাঁড়ায়? বাংলাদেশ ব্যাংক এখন পৃথিবীর উল্টো পথে চলছেন। যেমন ইন্টারেস্ট রিট নিয়ে বেশ কিছু দিন দ্যোদুল্যমান থেকে তারপর শেষ পর্যন্ত মানতে বাধ্য হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক অর্থনৈতিক সংবাদ প্রদানের বড় উৎস। সচিবালয়ে তো রাখঢাক করে কিন্তু সেন্ট্রাল ব্যাংক পৃথিবীজুড়েই সংবাদের উৎস। সেই উৎস যদি রুদ্ধ করে দেয় তাহলে দৈনিক পত্রিকাতেই বা কি পড়ব আমরা?

বার্তা২৪.কম: একাডেমিয়ার সঙ্গে রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠানগুলোর নীতিনির্ধারকদের যদি এত দুরত্ব থাকে তাহলে দেশের অগ্রযাত্রায় কি ধরণের প্রভাব পড়ে?

ড. বিরূপাক্ষ পাল: আজকাল একাডেমিয়া লাগে না। আমরা অর্থনীতিবিদরা ফোরকাস্ট করি পসিবিলিটি দেখে..অন্যদের তা লাগে না। তারা যখন স্থির করেন কাজটি করবেন, ব্যস্হ-য়ে গেল! ড. ফরাসউদ্দিনও বললেন, ‘রিটায়ার্ড আমলাদের পলিটিক্সে আসা উচিত নয়। এতে কোয়ালিটি খারাপ হয়ে যায় সার্ভিসে।’ কিন্তু এখন প্রবণতাটি হয়ে গেছে, সার্ভিসে বসেই চিন্তা করে কিভাবে রাজনীতিতে আসা যাবে…। নিয়োগেও যোগ্যতা হচ্ছে আনুগত্য। কটু কথা বলা লোকও যে অনেক বেশি উপকার করতে পারেন সেটা বোঝা হয় না। গেল আড়াই বছরে অর্থনীতিতে যে দূর্যোগটা হচ্ছে সেটা এই সকল অনুগত মানুষদের সৃষ্ট। এটা কোভিডেরও দোষ নয়, যুদ্ধেরও দোষ নয়। সংকটগুলো নীতি বিভ্রান্তির জন্য সৃষ্টি।

;

সোনার দামে রেকর্ড, ভরিতে বেড়েছে ১৮৩১ টাকা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের বাজারে আবারও বেড়েছে সোনার দাম। এবার ভরিতে এক হাজার ৮৩১ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের একভরি সোনার দাম ১ লাখ ১৭ হাজার ২৮১ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)।

শনিবার (১১ মে) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস।

আগামীকাল রোববার (১২ মে) থেকে নতুন এ দাম কার্যকর হবে বলেও জানানো হয়।

নতুন দাম অনুযায়ী প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের সোনার দাম পড়বে ১ লাখ ১৭ হাজার ২৮১ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১১ হাজার ৯৫১ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৫ হাজার ৯৬০ টাকা ও সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনার দাম ৭৯ হাজার ৩৩৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এর আগে, গত ৭ মে ২২ ক্যারেটের সোনার দাম ১ লাখ ১৫ হাজার ৪৫০ টাকা নির্ধারণ করে বাজুস। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১০ হাজার ২০১ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৪ হাজার ৪৫৫ টাকা ও সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনার দাম ৭৮ হাজার ৯০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল।

এ নিয়ে গত ২৪ দিনের ব্যবধানে দেশের বাজারে ১৫ বার সোনার দাম সমন্বয় করল বাজুস। যার মধ্যে ৯ বার দাম কমানো হয়েছে, আর বাড়ানো হলো ৬ বার।

উল্লেখ্য, চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ২২ বার সোনার দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ১১ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ১১ বার। আর ২০২৩ সালে দাম সমন্বয় করা হয়েছিল ২৯ বার।

;

করেরহাট-চৌমুহনীসহ ৩ গ্রিড লাইনে বিদ্যুৎ সঞ্চালন শুরু



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

করেরহাট-চৌমুহনীসহ নবনির্মিত তিনটি বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন সফলভাবে চালু হয়েছে বলে জানিয়েছে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ লিঃ (পিজিসিবি)।

লাইনগুলো হচ্ছে, করেরহাট-চৌমুহনী ২৩০ কেভি ফোর সার্কিট সঞ্চালন লাইন, চৌমুহনী-কচুয়া ২৩০ কেভি ফোর সার্কিট সঞ্চালন লাইন এবং চৌমুহনী-মাইজদী ২৩০ কেভি ডাবল সার্কিট সঞ্চালন লাইন।

শনিবার (১১ মে) দুপুর ১ টায় চৌমুহনী গ্রিড উপকেন্দ্র প্রান্ত থেকে ভোল্টেজ দিয়ে সফলভাবে চার্জ (চালু) করা হয়েছে করেরহাট-চৌমুহনী ২৩০ কেভি ফোর সার্কিট সঞ্চালন লাইন।

এর আগে, ১০ মে চৌমুহনী-কচুয়া ২৩০ কেভি ফোর সার্কিট সঞ্চালন লাইন’ এবং ‘চৌমুহনী-মাইজদী ২৩০ কেভি ডাবল সার্কিট সঞ্চালন লাইন’ চৌমুহনী গ্রিড উপকেন্দ্র থেকে ভোল্টেজ দিয়ে সফলভাবে চার্জ (চালু) করা হয়।

নবনির্মিত লাইনগুলো জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সঞ্চালনে গুরুত্বপূর্ণ ও কার্যকর ভুমিকা রাখবে এবং এর ফলে গ্রিডের সক্ষমতা বাড়বে। ‘করেরহাট-চৌমুহনী, চৌমুহনী-কচুয়া এবং ‘চৌমুহনী-মাইজদী’ লাইনসমূহের দৈর্ঘ্য যথাক্রমে ৫৩ কিলোমিটার, ৫০ কিলোমিটার এবং ২০ কিলোমিটার।

পিজিসিবি’র “পূর্বাঞ্চলীয় গ্রিড নেটওয়ার্কের পরিবর্ধন ও ক্ষমতাবর্ধন (ইএসপিএনইআর)” শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় নতুন লাইনগুলো নির্মাণ করা হয়েছে। বিশ্ব ব্যাংক, বাংলাদেশ সরকার এবং পিজিসিবি সম্মিলিতভাবে এ প্রকল্পে অর্থায়ন করেছে।

;

ব্র্যান্ড প্র্যাকটিশনার্স বাংলাদেশের ইলেকট্রনিক্স ও হোম অ্যাপ্লায়েন্স মার্কেটিং ফেস্ট অনুষ্ঠিত



নিউজ ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

"ইলেকট্রিফাই স্ট্র্যাটেজি, অ্যামপ্লিফাই ইমপ্যাক্ট" থিমের আলোকে ইলেকট্রনিক্স ও হোম অ্যাপ্লায়েন্স মার্কেটিং ফেস্ট আয়োজন করেছে ব্র্যান্ড প্র্যাক্টিশনার্স বাংলাদেশ।

শুক্রবার (১০ মে) রাজধানীর ওয়েস্টিন হোটেলের গ্র্যান্ড বলরুমে এই ফেস্টটি অনুষ্ঠিত হয়। এই আয়োজনে ২ শতাধিক ইলেকট্রনিক্স সেক্টরের সাথে জড়িত উদ্যোক্তা, পেশাজীবী, ব্র্যান্ড এবং বিপণন বিশেষজ্ঞরা অংশ নেন।

এই মার্কেটিং ফেস্টে আলোচনা করা হয় বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে ইলেকট্রনিক্স এবং হোম অ্যাপ্লায়েন্সেস সেক্টরের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার এবং এই মার্কেটের বিভিন্ন গুরুত্বপুর্ন দিক। এই সেক্টরের ৬ জন উদ্যোক্তার পাশাপাশি ব্র্যান্ড, মার্কেটিং, সেলস, সাপ্লাই চেইন বিভাগের ২৬ জন বক্তা এই বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা রাখেন। এই অনুষ্ঠানে মার্কেট চ্যালেঞ্জ, সুযোগ, বিক্রয় প্রসার, মার্কেটিং প্রমোশন, মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট, মার্কেট ইনসাইট এবং স্ট্র্যাটেজি, কেস সেসান, এবং মার্কেটিং অপারেশন সেশানসহ ১০টি অনুষ্ঠিত হয়। ফেস্টটিতে "বিজনেস ব্রিলিয়ানয" ম্যাগাজিনের পঞ্চম সংস্করণের মোড়ক উন্মোচন হয়। এই সংস্করনে ড্যাফোডিল গ্রুপের চেয়ারম্যান মোঃ সবুর খানের জীবন এবং কর্মকে ফোকাস করা হয়েছে।

এই আয়োজন নিয়ে ইলেক্ট্রো মার্টের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর নুরুল আফসার বলেন, "ইলেক্ট্রনিক্স মার্কেটকে ফোকাস করে এই ধরণের উদ্যোগ সার্বিকভাবে বিপণন, উদ্ভাবন এবং ইন্ডাস্ট্রি প্লেয়ারদের মাঝে সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য একটি ক্যাটালিস্ট হিসেবে কাজ করে, যা বাংলাদেশের ইলেকট্রনিক্স মার্কেট সার্বিক বৃদ্ধির জন্য দরকারী।" তিনি কনকা ব্র্যান্ডের উত্থান এবং গ্রি এসির মার্কেট গ্রোথ নিয়েও কথা বলেন।
মার্কেট প্রফিটেবিলিটি সেশানে কথা বলেন বাটারফ্লাই ব্র্যান্ডের সেলস ডিরেক্টর মকবুলা হুদা। কনকা টিভির কালজয়ী বিজ্ঞাপন ‘আমাদের টিভি’ নিয়ে কথা বলেছেন অমিতাভ রেজা চৌধূরী এবং মোহাম্মদ আলী সাগর। এই অনুষ্ঠানে হালিমা টেলিকমের চেয়ারম্যান আবুল কামাল হোসেন সাগর, মোশনভিউ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইমরুল হাসান, যমূনা ইলেট্রনিক্সের হেড অফ বিজনেস মোঃ সাজ্জাদুল ইসলাম, আকাশ ডিটিএইচ এর হেড অফ সেলস এমএ হানিফ, ডেইলি স্টারের হেড অফ বিজনেস তাজদিন হাসান তাদের বক্তব্য পেশ করেন।

ব্র্যান্ড প্র্যাকটিশনার্স বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও মির্জা মোঃ ইলিয়াস বলেন, এই মার্কেটিং ফেস্টের উদ্দেশ্য ছিল ইলেক্ট্রনিক্স পণ্যের মার্কেটিং অপারেসন্স ক্ষেত্রে সেরা প্র্যাক্টিসগুলো খুঁজে বের করা, নতুন এবং কার্যকরী বিপনণ পন্থা নিয়ে আলোচনা করা এবং পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি করা। আমাদের লক্ষ্য হল ব্যবসা ও বিপণন পেশাদারদের মধ্যে সম্পর্ক বাড়ানো এবং কোলাবরেশন করা।"

;