এয়ার-কার্গো সহজলভ্য করার দাবি ব্যবসায়ীদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ইমপোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট অব ফ্রূটস অ্যান্ড ভেজিটেবল বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির সভা

ইমপোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট অব ফ্রূটস অ্যান্ড ভেজিটেবল বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির সভা

  • Font increase
  • Font Decrease

ফল ও শাক-সবজিসহ কৃষিপণ্যের রফতানি সম্প্রসারণে পর্যাপ্ত এয়ার-কার্গো চান রফতানিকারকরা। পাশাপাশি রফতানি বাজারে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে বিমানের ভাড়া বা ফ্রেইট কস্ট যৌক্তিক পর্যায়ে রাখার দাবি জানিয়েছেন এই খাতের ব্যবসায়ীরা। এছাড়া পচনশীল কৃষিপণ্য পরিবহনের জন্য প্রয়োজনে ডেডিকেটেড কার্গো ব্যবস্থা চালুর পক্ষেও মত দিয়েছেন তারা।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) সকালে এফবিসিসিআই’র মতিঝিল কার্যালয়ে ইমপোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট অব ফ্রূটস অ্যান্ড ভেজিটেবল বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির প্রথম সভায় সংশ্লিষ্ট খাতের ব্যবসায়ী ও রফতানিকারকরা এসব কথা বলেন।

উক্ত সভায় সভাপতিত্ব করেন কমিটির চেয়ারম্যান এবং মনসুর জেনারেল ট্রেডিং কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মনসুর। কমিটির ডিরেক্টর ইন-চার্জ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এফবিসিসিআই’র পরিচালক সিরাজুল ইসলাম।

সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চ্যুয়ালি অংশগ্রহণ করেন এফবিসিসিআই’র সভাপতি মাহবুবুল আলম। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ডলার সংকট, বাড়তি বিমান ভাড়া, কাস্টমস এবং এইচএস কোড সংক্রান্ত নানা জটিলতার কারণে পণ্য আমদানি ও রফতানির ব্যয় বেড়ে যাচ্ছে। এতে করে ব্যবসা পরিচালনার ব্যয়ও বেড়ে যাচ্ছে। পণ্য আমদানি-রফতানি সংক্রান্ত সমস্যা দূরীকরণে এফবিসিসিআই ইতিমধ্যে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের আলোচনা করেছে বলেও জানান তিনি।

এসময় ফল ও শাক-সবজি আমদানি-রফতানিতে বিদ্যমান চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং করণীয় নির্ধারণে কমিটির সদস্যবৃন্দের কাছে সুচিন্তিত মতামত আহ্বান করেন এফবিসিসিআই সভাপতি।

জাতীয় অর্থনীতিতে কৃষির গুরুত্ব তুলে ধরে এফবিসিসিআই’র সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. আমিন হেলালী বলেন, ফল, শাক-সবজিসহ কৃষিপণ্য রফতানিতে শতভাগ স্থানীয় ভ্যালু অ্যাডিশন হয়। সুতরাং এসব পণ্যের রফতানি বিঘ্নিত করা যাবে। রফতানি বাড়াতে বিমান ভাড়া, কার্ডো প্রাপ্তি, কাস্টমসসহ সব ধরণের প্রতিবন্ধকতা দূর করতে হবে। পাশাপাশি, উপযুক্ত পলিসি এবং নির্ভুল তথ্যভান্ডার গড়ে তোলার ওপর জোর দেন তিনি।

সভার উন্মুক্ত আলোচনায় অংশ নিয়ে ফল ও শাক-সবজি রফতানির জটিলতা দূর করতে বিমান বন্দরে এক্সপ্লোসিভ ডিটেকশন স্ক্যানার (ইডিএস) মেশিনসহ কারিগরি সক্ষমতা বৃদ্ধির সুপারিশ জানান কমিটির সদস্যবৃন্দ। এছাড়া, কৃষকের হাতের নাগালে আধুনিক ওয়্যারহাউজ স্থাপন, উন্নত পরিবহন ও সরবরাহ ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণ, পচনশীল পণ্যের জন্য বিমানবন্দরে বিশেষ ওয়্যারহাউজ স্থাপন, কৃষিপণ্যের জাত এবং গুণগত মান উন্নয়ন, চাষ পরবর্তী ব্যবস্থাপনা (পোস্ট হার্ভেস্ট ম্যানেজমেন্ট) উন্নত করা, প্যাকেজিং প্রভৃতি বিষয়ে কৃষক, রফতানিকারকসহ অন্যান্য অংশীজনদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে উদ্যোগ গ্রহণের প্রস্তাব জানানো হয় ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে।

সভায় উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই’র পরিচালক হাফেজ হাজী হারুন-অর-রশিদ, মোহাম্মদ ইসহাকুল হোসেন সুইট, মো. আবুল হাশেম, বাংলাদেশ বিমানের কার্গো এক্সপোর্ট বিভাগের ডিজিএম তফাজ্জল হোসেন আকন্দ, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের পরিচালক মো. তাজুল ইসলাম পাটোয়ারী, স্ট্যান্ডিং কমিটির কো-চেয়ারম্যান ও সদস্যবৃন্দ।

আগামী বছর মূল্যস্ফীতি ৬.৫ শতাংশ নেমে আসবে আশা অর্থমন্ত্রীর



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী

অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী

  • Font increase
  • Font Decrease

আগামী অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি ৬ দশমিক ৫ শতাংশ নেমে আসবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।

শনিবার (২৯ জুন) জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট আলোচনার সমাপনী বক্তব্যে তিনি এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘মুদ্রানীতির সংকোচনমূলক উদ্যোগের সাথে সঙ্গতি রেখে আমরা রাজস্ব নীতিতেও সহায়ক নীতিকৌশল অবলম্বন করেছি, যেমন বাজেট ঘাটতি হ্রাসকরণ, কম গুরুত্বপূর্ণ ব্যয় নিরুৎসাহিতকরণ এবং বিভিন্ন খাতে কৃচ্ছ্রতাসাধনের উদ্যোগ। আমাদের গৃহীত এসব নীতি-কৌশলের ফলে আশা করছি আগামী অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি ৬.৫ শতাংশে নেমে আসবে।’

মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সরকারের নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন,এবারের প্রস্তাবিত বাজেটে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণসহ সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা আনয়নকে আমরা সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছি। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে মুদ্রানীতিতে ইতোমধ্যে সংকোচনমূলক নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। নীতি সুদহার (রেপো) উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বাড়িয়ে ৮.৫ শতাংশে উন্নীত করা হয়েছে এবং ব্যাংক সুদের হার সম্পূর্ণরূপে বাজারভিত্তিক করা হয়েছে

তিনি বলেন, এর পাশাপাশি রপ্তানি উৎসাহিতকরণ এবং প্রবাস আয়ে গতি সঞ্চারের মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধির লক্ষ্যে ডলারের বিনিময় হারের ক্ষেত্রে ক্রলিং পেগ পদ্ধতি প্রবর্তন করা হয়েছে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যে সংকোচনমূলক নীতি গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা থাকলেও দীর্ঘমেয়াদে এ পন্থা অবলম্বন করা হলে প্রবৃদ্ধির গতি শ্লথ হয়ে যেতে পারে। অথচ ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হলে আমাদের প্রয়োজন ধারাবাহিক উচ্চ প্রবৃদ্ধি। এমতাবস্থায়, অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা অর্জন এবং প্রবৃদ্ধির গতি ধরে রাখা -এ দু’টি আপাত বিপরীতমুখী লক্ষ্যের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখার কঠিন চ্যালেঞ্জ সামনে রেখে এবারের বাজেট প্রণয়ন করা হয়েছে। আমরা দৃঢ়ভাবে আশা করি প্রধানমন্ত্রীর সুদক্ষ, অভিজ্ঞ ও প্রাজ্ঞ নেতৃত্বে আমরা সাধ ও সাধ্যের মধ্যে ব্যবধান ঘুচিয়ে শিগগিরইই উচ্চ প্রবৃদ্ধির পথে ফিরতে পারবো।

‘উন্নত-সমৃদ্ধ-স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার প্রসঙ্গে সরকারের নানা উদ্যোগের বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্য নিয়ে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, স্থানীয় সরকার ও পল্লি উন্নয়ন, বিদ্যুৎ, যোগাযোগ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি খাতে প্রয়োজনীয় বরাদ্দ প্রদানের চেষ্টা করেছি। পাশাপাশি, খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার উপর যথাযথ গুরুত্ব প্রদান করা হয়েছে।

তিনি বলেন, সরকারের লক্ষ্য হলো দেশে শিল্পায়ন ও দেশি-বিদেশি বিনিয়োগের জন্য কাঙ্ক্ষিত অনুকূল ও সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টি করা এবং তার সর্বোচ্চ ব্যবহারের মাধ্যমে ব্যাপক কর্মসংস্থান বৃদ্ধি তৈরি। আমরা বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা)’র মাধ্যমে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যকে সামনে রেখে কাজ করে যাচ্ছি। ব্যবসা সহজীকরণের জন্য বাংলাদেশ বিনিয়োগ পরিবেশ উন্নয়ন কর্মসূচির অধীনে ১১০টি সংস্কার বাস্তবায়নের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।

আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান সহায়ক অবকাঠামো উন্নয়নে আমরা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সম্পদ সঞ্চালনের পরিকল্পনা করেছি। এসব উদ্যোগের ফলে জিডিপি প্রবৃদ্ধি আগামী অর্থবছরে ৬.৭৫ শতাংশে এবং মধ্যমেয়াদে ৭.২৫ শতাংশে পৌঁছাবে বলে আমরা আশা রাখছি। তিনি জানান, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে সামাজিক সুরক্ষা জালের আওতায় বরাদ্দ ১ লাখ ৩৬ হাজার ২৬ কোটি টাকায় উন্নীত করা হয়েছে যা চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটের চেয়ে ১২.২ শতাংশ বেশি।

অর্থমন্ত্রী তার বক্তব্যে কর রাজস্ব আহরণে গতি বৃদ্ধি এবং কর প্রশাসনকে আরও জনবান্ধব এবং কার্যকর করার লক্ষ্যে সাম্প্রতিক সময়ে আইনি কাঠামোতে ব্যাপক পরিবর্তন আনার কথা উল্লেখ করেন।

তিনি বলেন, উন্নয়নের গতিকে টেকসই করতে কর-জিডিপি অনুপাত বাড়ানোর উপর জোর দিয়ে আমরা কর অব্যাহতি কমিয়ে আনাসহ কর আহরণ বৃদ্ধির লক্ষ্যে নানা কৌশল অবলম্বন করেছি। রাজস্ব আদায়ের ক্ষেত্রে বিদ্যমান চ্যালেঞ্জসমূহ সমাধান করে মধ্যমেয়াদে রাজস্ব আয় বাড়ানোর লক্ষ্যে আমরা রাজস্ব ব্যবস্থাপনায় বিভিন্ন সংস্কার কার্যক্রম পরিচালনা করছি। একইসাথে, ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা হতে উত্তরণ-পরবর্তী সময়ের বাস্তবতা মাথায় রেখে জাতীয় শুল্কনীতি সংস্কার করা হয়েছে।

;

২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট পাস রোববার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট পাস রোববার

২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট পাস রোববার

  • Font increase
  • Font Decrease

দ্বাদশ জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট অনুমোদন করতে অর্থ বিল পাস হয়েছে। বিল উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।

অর্থবিল আজ শনিবার (২৯ জুন) পাস হলেও বাজেটের উপর দীর্ঘ আলোচনা ও যাচাই বাছাই শেষে আগামীকাল রোববার বাজেট পাস হবে। অধিবেশনে সভাপতিত্ব করবে স্পিকার ড. শিরীন শারমীন চৌধুরী।

আগামীকাল রোববার (৩০ জুন) নতুন অর্থবছরের বাজেট পাস হবে জাতীয় সংসদে। যা পরের দিন সোমবার (১ জুলাই) থেকে কার্যকর হবে। এবারের বাজেট আলোচনায় ২৬৪ জন সংসদ সদস্য অংশগ্রহণ করেছিলো।

এর আগে চলতি মাসে গত ৬ জুন আগামী অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের আকার সাত লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের চেয়ে এবারের বাজেটের আকার বাড়ছে চার দশমিক ছয় শতাংশ। এটি দেশের ৫৩তম, আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের ২৫তম ও অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর প্রথম বাজেট।

বাজেটে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা থাকছে পাঁচ লাখ ৪১ হাজার কোটি টাকা। বাকি দুই লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা থাকবে। দুই লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকার বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) ইতোমধ্যে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে 'সুখী, সমৃদ্ধ, উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে অঙ্গীকার' স্লোগান সামনে রেখে বাজেট ঘোষণা করা হয়। নতুন বাজেটে খাতভিত্তিক যেহারে বরাদ্দ দেওয়ায় হয়। আগামী বাজেটে ১৫টি খাতে সাত লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ ধরা হয়েছে।

খাতভিত্তিক বরাদ্দ হলো—জনপ্রশাসন খাতে এক লাখ ৭৫ হাজার ৭৭৪ কোটি টাকা, স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন খাতে ৪৭ হাজার ৯৫৩ কোটি টাকা, প্রতিরক্ষা খাতে ৪২ হাজার ১৪ কোটি টাকা, জনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা খাতে ৩৩ হাজার ৫২০ কোটি টাকা, শিক্ষা ও প্রযুক্তি খাতে এক লাখ ১১ হাজার ১৫৭ কোটি টাকা, স্বাস্থ্য খাতে ৪১ হাজার ৪০৮ কোটি টাকা, সামাজিক নিরাপত্তা ও কল্যাণ খাতে ৪৩ হাজার ২০৮ কোটি টাকা, গৃহায়ন খাতে ছয় হাজার ৯২৯ কোটি টাকা, বিনোদন, সংস্কৃতি ও ধর্ম খাতে ছয় হাজার ৭০০ কোটি টাকা, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ৩০ হাজার ৩১৭ কোটি টাকা, কৃষি খাতে ৪৭ হাজার ৩৩২ কোটি টাকা, শিল্প ও অর্থনৈতিক সেবা খাতে পাঁচ হাজার ৬৯৪ কোটি টাকা, পরিবহন ও যোগাযোগ খাতে ব্যয় ৮২ হাজার ৯১৮ কোটি টাকা, সুদ খাতে এক লাখ ১৩ হাজার ৫০০ টাকা এবং অন্যান্য খাতে আট হাজার ৫৭৬ টাকা।

;

আংশিক উৎপাদনে থাকা আদানি বিদ্যুৎ পুরোপুরি বন্ধ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
আংশিক উৎপাদনে থাকা আদানি বিদ্যুৎ পুরোপুরি বন্ধ

আংশিক উৎপাদনে থাকা আদানি বিদ্যুৎ পুরোপুরি বন্ধ

  • Font increase
  • Font Decrease

কয়েক দিন ধরেই একটি ইউনিট বন্ধ থাকায় আংশিক উৎপাদনে ছিল ভারতের গোড্ডায় নির্মিত আদানি গ্রুপের কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটি।

শনিবার (২৯ জুন) পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে।

ওই বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি থেকে ১৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করে বাংলাদেশ। যা বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জের রহনপুর হয়ে। পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের (পিজিসিবি) প্রতিবেদনে দেখা গেছে, গত ২১ জুন ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ দিয়েছে।

আদানি গ্রুপের বাংলাদেশ অফিস সূত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে বার্তা২৪.কমকে বলেছেন, বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির একটি ইউনিট নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বন্ধ রয়েছে। আরেকটি ইউনিট টেকনিক্যাল সমস্যার কারণে বন্ধ হয়ে গেছে। দু’একদিনের মধ্যেই উৎপাদনে আসবে। বাংলাদেশের কাছে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির অনেক টাকা বকেয়া পড়ে রয়েছে। সেই বকেয়ার কোন ইস্যু এখানে রয়েছে কিনা। এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বকেয়ার সঙ্গে এর কোনো যোগসূত্র নেই। পুরোপুরি টেকনিক্যাল কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ রয়েছে।

পিজিসিবি সূত্র জানিয়েছে, ঈদের ছুটির সময় চাহিদা কম থাকে, সে কারণে বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়ে থাকে। আদানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিট সিডিউল রক্ষণাবেক্ষণে যায় ঈদের আগে। এটি আগামী ৫ জুলাই উৎপাদনে ফেরার কথা রয়েছে। হঠাৎ দ্বিতীয় ইউনিট থেকে সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দেশে বিদ্যুৎ সরবরাহে বড় ঘাটতি তৈরি হয়েছে। এ ছাড়া পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রের ৬২২ মেগাওয়াট ক্ষমতার একটি ইউনিট রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ২৫ জুন থেকে বন্ধ। এতে ঢাকার বাইরে গ্রামাঞ্চলে লোডশেডিং দেখা দেয়।

আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিট থেকে গড়ে ৭৫০ মেগাওয়াট করে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয় গত বছরের মার্চে। দ্বিতীয় ইউনিট থেকে উৎপাদন শুরু হয় জুনে।

ঈদের পর থেকেই লোডশেডিংয়ের খবর আসছে। গ্রামে কোন কোন এলাকায় দিনে-রাতের অধিকাংশ সময় বিদ্যুৎ থাকছে না বলে অনেকে আক্ষেপ ঝাড়ছেন ফেসবুকে।

;

২০২৪-২৫ অর্থবছরের অর্থবিল পাস



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দ্বাদশ জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট অনুমোদন করতে অর্থ বিল পাশ হয়েছে। বিল উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। আগামীকাল নতুন অর্থবছরের বাজেট পাস হবে জাতীয় সংসদে। যা সোমবার (১ জুলাই) থেকে কার্যকর হবে।

শনিবার (২৯ জুন) বিকেলে জাতীয় সংসদে বাজেট অধিবেশনে বিল উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। হ্যাঁ ভোটের মাধ্যমে এই বিল পাস হয়। অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন স্পিকার ড শিরীন শারমীন চৌধুরী।

নতুন অর্থবছরের ২০২৪-২৫ বাজেট প্রস্তাবের ওপর ১১ দিন সাধারণ আলোচনা শেষে আজ এই বিল পাশ হয়। ফলে নতুন অর্থবছরে ১৫ শতাংশ কর দিয়ে অপ্রদর্শিত টাকা সাদা করার সুযোগ রেখে অর্থবিল সংসদে পাস হয়েছে। এছাড়াও ব্যক্তির সর্বোচ্চ করহার ৩০ শতাংশের পরিবর্তে আগের মতই ২৫ শতাংশ থাকছে।

সর্বজনীন পেনশন স্কিমের আওতায় পেনশন বাবদ যেকোনো আয় এবং পেনশন স্কিমে প্রদত্ত যেকোনো পরিমাণ চাঁদা করের আওতামুক্ত থাকবে। কোম্পানি, তহবিল ও ট্রাস্ট কর্তৃক অর্জিত মূলধনি আয়ের উপরও ১৫ শতাংশ কর বসছে।

নতুন বিল অনুযায়ী একাধিক ব্যাক্তিগত গাড়ির ক্ষেত্রে পরিবেশ সারচার্জ দিতে হবে, কোনো সরকারি প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানির জন্য এই বিধান প্রযোজ্য হবে না বলে অর্থবিলে সংশোধন আনা হয়েছে। এছাড়াও কেবল সিটি করপোরেশনে অবস্থিত কোনো কমিউনিটি সেন্টার, কনভেনশন হল ভাড়া নিলে আয়কর রিটার্ন জমার প্রমাণ দেখানো বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

এছাড়া নতুন অর্থবিলে রয়েছে ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের বাজেট, বাজেটের মঞ্জুরি দাবি এবং দায়যুক্ত ব্যয় নির্দিষ্টকরণ সম্পর্কে সাধারণ আলোচনা করা হবে। এদিন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী প্রস্তাব করবেন সরকারের আর্থিক প্রস্তাবাবলি কার্যকর করা এবং কতিপয় আইন সংশোধন করে আনীত বিলটি (অর্থ বিল, ২০২৪) অবিলম্বে বিবেচনার জন্য গ্রহণ করা হোক। এরপর অর্থমন্ত্রী প্রস্তাব করবেন সরকারের আর্থিক প্রস্তাবাবলি কার্যকর করা এবং কতিপয় আইন সংশোধনকল্পে আনীত বিলটি (অর্থ বিল, ২০২৪) পাস করা হোক। পরে সংসদ সদস্যদের হ্যাঁ ভোটে বিলটি পাশ হয়েছে।

এর আগে চলতি মাসে গত ৬ জুন আগামী অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের আকার সাত লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের চেয়ে এবারের বাজেটের আকার বাড়ছে চার দশমিক ছয় শতাংশ। এটি দেশের ৫৩তম, আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের ২৫তম ও অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর প্রথম বাজেট।

বাজেটে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা থাকছে পাঁচ লাখ ৪১ হাজার কোটি টাকা। বাকি দুই লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা থাকবে। দুই লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকার বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) ইতোমধ্যে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

;