সোমবার ব্যাংক হলিডে, বন্ধ থাকবে লেনদেন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
বাংলা‌দেশ ব্যাংক। ছবি: বার্তা২৪.কম

বাংলা‌দেশ ব্যাংক। ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রতি বছরের মতো সোমবার (০১ জুলাই) ব্যাংক হলিডে থাকায় আগামীকাল ব্যাংকের সব ধরনের লেনদেন বন্ধ থাক‌বে। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সব ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় ও গুরুত্বপূর্ণ শাখা খোলা থাক‌বে।

রোববার (৩০ জুন) বাংলা‌দেশ ব্যাংক সূ‌ত্রে এ তথ্য জানা গে‌ছে।

প্রতি বছরই ০১ জুলাই ব্যাংক হলিডে হয়ে থাকে। কারণ এদিন ব্যাংকগু‌লোর বিভিন্ন শাখা থেকে পাঠানো হিসাব একত্রিত করে অর্ধবার্ষিক আর্থিক প্রতিবেদন প্রস্তুত করা হয়। যে কারণে এ দিনটিকে ‘ব্যাংক হলিডে’ হিসেবে ধরা হয়। এ দিন বন্ধ থাকবে শেয়ারবাজারের লেনদেনও।

সং‌শ্লিষ্টরা সূত্রে জানা গেছে, ০১ জুলাই ব্যাংকগুলো বাংলাদেশ ব্যাংক বা অন্যান্য ব্যাংক গ্রাহকদের সঙ্গে কোনো ধরনের লেনদেন বা দাফতরিক কার্যক্রম করে না। একইভাবে ৩১ ডিসেম্বরও ব্যাংক হলিডে হিসেবে পালন করা হয়ে থাকে। ওইদিন ব্যাংকগুলো পঞ্জিকা বছরের হিসাব শেষ ক‌রে বার্ষিক আর্থিক প্রতিবেদন প্রস্তুত করে। যে কারণে ওই দিনটিকেও ‘ব্যাংক হলিডে’ হিসেবে ধরা হয়।

সোমবার পুঁজিবাজারের শেয়ার লেনদেন বন্ধ থাকলেও দাফতরিক কার্যক্রম চলবে দুই স্টক এক্সচেঞ্জে। বছরের এই দুই দিন ব্যাংকগুলো শুধু অভ্যন্তরীণ কাজের জন্য খোলা থাকে, কোনো লেনদেন হয় না। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সব ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় ও গুরুত্বপূর্ণ শাখা খোলা থাকবে।

মঙ্গলবার (০২ জুলাই) যথারীতি সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৬টা পর্যন্ত সাধারণ নিয়মে খোলা থাকবে ব্যাংক খাত। বাণিজ্যিক ব্যাংকের মতো একই সূচিতে চলবে বাংলাদেশ ব্যাংক। বাণিজ্যিক ব্যাংকে লেনদেন (অর্থ উত্তোলন ও জমা) চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। অবশিষ্ট দুই ঘণ্টা দাফতরিক প্রয়োজনে খোলা থাকবে।

আয়ুর্বেদিক ও হোমিওপ্যাথিক ঔষধ শিল্পের উন্নয়নে নীতিমালা চান ব্যবসায়ীরা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
এফবিসিসিআই’র স্ট্যান্ডিং কমিটির সভা

এফবিসিসিআই’র স্ট্যান্ডিং কমিটির সভা

  • Font increase
  • Font Decrease

আয়ুর্বেদিক ও হোমিওপ্যাথিক ঔষধ শিল্পের বিকাশ, উন্নয়ন এবং রফতানি সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে সরকারের নীতি সহায়তা চান এই খাতের ব্যবসায়ীরা। দেশে আয়ুর্বেদিক এবং হোমিওপ্যাথিক ঔষধ তৈরির উপকরণ ও কাঁচামাল সহজলভ্য করা, বিলুপ্ত প্রায় ঔষধী গাছ সংরক্ষণ এবং ভেষজ বনায়ন গড়ে তোলা, হার্বাল পণ্যের ব্র্যান্ডিং, পণ্য উন্নয়ন, মান নিয়ন্ত্রণসহ প্রযুক্তির প্রয়োগ ও গবেষণায় সরকারি-বেসরকারি সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন তারা।

মঙ্গলবার (২ জুলাই) সকালে এফবিসিসিআই’র মতিঝিল কার্যালয়ে আয়ুর্বেদিক এবং হোমিওপ্যাথিক ঔষধ শিল্প বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির সভায় এই আহ্বান জানান ব্যবসায়ী নেতারা।

উক্ত সভায় সভাপতিত্ব করেন স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশ হার্বাল প্রোডাক্টস ম্যানুফেকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. আলমগীর মতি। কমিটির ডিরেক্টর ইন-চার্জ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এফবিসিসিআই’র পরিচারক এবং ইউনিভার্সেল টেকনোলজি বাংলাদেশ লিমিটেডের চেয়্যারম্যান প্রীতি চক্রবর্তী।

সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চ্যুয়ালি অংশগ্রহণ করেন এফবিসিসিআই’র সভাপতি মাহবুবুল আলম। তিনি বলেন, আয়ুর্বেদিক ও হোমিওপ্যাথিক খাতের বাণিজ্যিক এবং রফতানি সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে এফবিসিসিআই নীতিগত সহায়তা প্রদান করবে। খাতের প্রতিবন্ধকতা সমূহ চিহ্নিতকরণ এবং তার সমাধানে নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে আলোচনা করার আশ্বাস দেন তিনি। এ জন্য, আয়ুর্বেদিক ও হোমিওপ্যাথিক শিল্পের উদ্যোক্তাদের কাছে যৌক্তিক প্রস্তাবনা আহ্বান করেন এফবিসিসিআই সভাপতি।

এ সময় এফবিসিসিআই’র সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. আমিন হেলালী বলেন, হার্বাল ঔষধ, খাদ্যদ্রব্য এবং কসমেটিকস শিল্পে শতভাগ স্থানীয় ভ্যালু অ্যাডিশনের সুযোগ রয়েছে। সারাবিশ্বেই হার্বাল এবং হালাল পণ্যের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। এই বাজার ধরতে হলে উদ্যোক্তাদের প্রযুক্তি ও গবেষণায় বিনিয়োগে মনযোগী হতে হবে। এ সময়, আয়ুর্বেদিক ও হোমিওপ্যাথিক শিল্পের টেকসই উন্নয়নে সকল অংশীজনকে সাথে নিয়ে দ্রুত একটি কৌশলপত্র তৈরির উদ্যোগ গ্রহণের পরামর্শ দেন মো. আমিন হেলালী।

আয়ুর্বেদিক ও হোমিওপ্যাথিক ঔষধ শিল্পের মেডিক্যাল রেকর্ড এবং ডেটা কালেকশনের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেন কমিটির ডিরেক্টর ইন-চার্জ প্রীতি চক্রবর্তী। হার্বাল পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণেও এই খাতের উদ্যোক্তাদের দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

আয়ুর্বেদিক শিল্পের অবকাঠামো, হিমাগার ও সরবরাহ ব্যবস্থা উন্নয়ন এবং সরকারি উদ্যোগে সারা দেশে ঔষধী বনায়ন গড়ে তোলার ওপর আলোকপাত করেন কমিটির চেয়ারম্যান ডা. আলমগীর মতি।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই’র পরিচালকবৃন্দ, কমিটির কো-চেয়ারম্যান ও সদস্যবৃন্দ।

;

‘স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ডিএসই টেকনোলজি হাব হিসেবে কাজ করবে’



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ডিএসই’র চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হাফিজ মুহম্মদ হাসান বাবু

ডিএসই’র চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হাফিজ মুহম্মদ হাসান বাবু

  • Font increase
  • Font Decrease

স্টক এক্সচেঞ্জ ইলেক্ট্রনিক সাবস্ক্রিপশন সিস্টেমের (ইএসএস) মাধ্যমে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মধ্যে শততম ইস্যু হিসেবে টেকনো ড্রাগস লিমিটেডের শেয়ার প্রো-রাটার ভিত্তিতে বরাদ্দ দেয়া হয়৷।

মঙ্গলবার (২ জুলাই) ডিএসই ট্রেনিং একাডেমিতে এই বরাদ্দ প্রদান করা হয়। শততম ইস্যুর শেয়ার বরাদ্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হাফিজ মুহম্মদ হাসান বাবু, ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) সাওিক আহমেদ শাহ, প্রধান রেগুলেটরি কর্মকর্তা খাইরুল বাসার আবু তাহের মোহাম্মদ, টেকনো ড্রাগস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহ জালাল উদ্দিন আহমেদ, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের উপ-মহাব্যবস্থাপক হাসনাইন বারী, সিডিবিএলের মহা-ব্যবস্থাপক রাকিবুল ইসলাম চৌধুরী এবং ডিএসই’র লিস্টিং অ্যাফেয়ার্স ডিপার্টমেন্টের সহকারি মহাব্যবস্থাপক মো. রবিউল ইসলামসহ প্রতিষ্ঠানসমূহের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ৷

ডিএসই’র চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হাফিজ মুহম্মদ হাসান বাবু বলেন, প্রধানমন্ত্রী যে স্মার্ট বাংলাদেশের চিন্তা করছেন তার একটি ছোট নমুনা হলো ইএসএস সফটওয়্যারের ১০০তম ইস্যু পরিচালনা। ডিএসই স্মার্ট বাংলাদেশের অটোমেশনের হাব হতে পারে। বিশ্বব্যাপী ক্যাপিটাল মার্কেট ডিজিটালাইজেশন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে চলছে। এখন পুঁজিবাজারের অধিকাংশ কাজ টেকনোলজির মাধ্যমে চলছে। আজকে ইএসএস সিস্টমে যে সফটওয়্যারটি ব্যবহার করছি তা দেশীয় একটি সফটওয়্যার। স্মার্ট বাংলাদেশ সেদিন বাস্তবায়িত হবে যেদিন আমরা নিজস্ব টেকনোলজি ব্যবহার করে আমাদের কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবো। এই ইএসএস সফটওয়্যারের মাধ্যমে শুধু অর্থ সাশ্রয় করিনি। এতে আইপিও প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা বৃদ্ধি ও সময় কমিয়ে আনা হয়েছে। একইসাথে এর মাধ্যমে আমরা সুশাসন নিশ্চিত করতে পারছি। আশা করছি ভবিষ্যতে এই সফটওয়্যার আরও বড় পরিসরে আসবে। বর্তমানে রাইট শেয়ার ইস্যুর বিষয়টি এই সফটওয়্যারে যুক্ত করার জন্য বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের কাছে আবেদন করা হয়েছে। বিএসইসি’র অনুমোদনের পর এই সফটওয়্যার পূর্ণতা পাবে বলে আমি মনে করেন।

প্রো-রাটা পদ্ধতিতে ইএসএস-এর মাধ্যমে শেয়ার বরাদ্দের শততম ইস্যু টেকনো ড্রাগস লিমিটেড। এটি ডিএসই’র একটি মাইলফলক৷ আমরা গর্বিত ইএসএস-এর মাধ্যমে শততম ইস্যু শেয়ার বরাদ্দ করতে পেরে৷ ইলেকট্রোনিক সাবসক্রিপসন সিস্টেম (ইএসএস) সফটওয়্যারে নতুন যে মডিউল তৈরি করা হয়েছে, তা শেয়ার বরাদ্দের আধুনিক পদ্ধতি। যা দেশের পুঁজিবাজার, বিনিয়োগকারী ও ব্যবসায়ের জন্য একটি নতুন মাত্রা যোগ করেছে। এর ফলে খুবই অল্প সময়ে আইপিও প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা যায়৷ এই পদ্ধতিতে খুবই সহজে, স্বল্প সময়ে, স্বল্প খরচে শেয়ার বরাদ্ধ দেয়া যায়৷

পরিশেষে, আমি আশা করি কোম্পানিটি পুঁজিবাজার থেকে যে মূলধন উত্তোলন করেছে তা সঠিকভাবে ব্যবহার করে তাদের ব্যবসাকে আরো সম্প্রসারণ করবে৷

তার আগে অনুষ্ঠানের শুরুতেই স্বাগত বক্তব্যে ডিএসই’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) সাত্বিক আহমেদ শাহ বলেন, শুরুতে ইএসএস বিদেশি সংস্থার সহযোগিতায় যাত্রা শুরু হলেও, ২০১৬ সাল থেকে স্টক এক্সেচেঞ্জের নিজস্ব মেধা ও দক্ষতায় ইএসএস সফটওয়্যার তৈরি হয়েছে। রেগুলেটরি কমপ্লায়েন্স এবং স্বল্প সময়ে শেয়ার বন্টন নিশ্চিতকরণে ইএসএস পুঁজিবাজারের আস্থার প্রতীক হয়ে উঠেছে। নিয়ন্ত্রক সংস্থার নির্দেশনামূলক বিভিন্ন রেগুলেটরি আপগ্রেডেশন, এমেন্ডমেন্ট স্বল্প সময়ে ইএসএস-এ সংযোজনের সক্ষমতা সত্যি প্রশংসনীয়। ইএসএস ভবিষ্যতে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষায় এবং টেকসই পুঁজিবাজার গঠনে গতিশীল অবদান রাখবে।

টেকনো ড্রাগস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহ জালাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, ডিএসই ও ইস্যু ম্যানেজারদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে আমাদের ডিএসইতে তালিকাভুক্তির কার্যক্রম চালু হয়েছে। আমি চাই নতুন নতুন মেডিসিন প্রোডাক্টগুলো বাংলাদেশে তৈরি হোক। এই কোম্পানির আইপিওতে ২৪.৬৪ গুণ বেশি সাবস্ক্রিপশন হয়েছে। যা আমাদের জন্য অত্যন্ত গর্বের বিষয়। আমি আশা করি, আমরা বিনিয়োগকারীদের ভালো লভ্যাংশ দিতে পারবো।

সিএসই’র উপ-মহাব্যবস্থাপক হাসনাইন বারী বলেন, আজকে ইএসএস এর মাধ্যমে ১০০তম সাবসক্রিপশন। এ সফটওয়্যারটি মূলত প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর জন্য তৈরি হয়েছিল। এখন এটি একটি মাল্টিপারপাস এপ্লিকেশন হিসেবে দাঁড়িয়ে গেছে। আগে এই বিষয়ে বৈদেশিক মুদ্রা খরচ হতো এখন আমাদের এই খরচ অনেক কমে গেছে।

সিডিবিএল-এর মহাব্যবস্থাপক রাকিবুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, সিডিবিএল ক্যাপিটাল মার্কেটে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান। সিডিবিএল সবসময় অনেক উদ্ভাবনীর সাথে থাকে। ইএসএস-এর খুব গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে সিডিবিএল কাজ করে যাচ্ছে। সিডিবিএল ইএসএসকে বিনিয়োগকারীদের তথ্যের ভেরিফিকেশন প্রদান করে। আমরা সিডিবিএল ইএসএস-এর একটি পার্ট হতে পেরে খুবই আনন্দিত।

ডিএসই’র লিস্টিং ডিপার্টমেন্টের সহকারি মহাব্যবস্থাপক মো. রবিউল ইসলাম ইলেক্ট্রনিক সাবস্ক্রিপশন সিস্টেম (ইএসএস) সম্পর্কে বলেন, সফটওয়্যারটির ২০০৯ সালে পাবলিক ইস্যু রুল অনুযায়ী প্রবর্তন করা হয়, ১ মার্চ, ২০১০-এ দুবাই ভিত্তিক "ইনফোটেক মিডল ইস্ট" দ্বারা তৈরি করা হয় । সফটওয়্যারটির তৈরি ব্যয় ছিল ৭০,৮৭৫ ডলার এবং বার্ষিক রক্ষণাবেক্ষণ চুক্তি ছিল ৪৫,৩৬০ ডলার (প্রথম ৩ বছর) এবং পরবর্তী বছরগুলোর জন্য ১৭,৭১৮ ডলার। বিশাল খরচ কমাতে এবং পাবলিক ইস্যু বিধিগুলির ঘন ঘন সংশোধনের জন্য, ডিএসই ২০১৪ সালে ডিএসই'র অভ্যন্তরীণ কর্মকর্তাদের দ্বারা সাম্প্রতিক প্রযুক্তি এবং আরও উন্নত বৈশিষ্ট্যসহ নতুন বুক বিল্ডিং সিস্টেম তৈরি করেছে যা বর্তমানে ইলেকট্রনিক সাবস্ক্রিপশন সিস্টেম নামে পরিচিত। সিস্টেমটি ডিএসই ও সিএসই উভয় এক্সচেঞ্জের মালিকানাধীন।

পরবতী‍র্তে ডিএসই’র লিস্টিং ডিপার্টমেন্টের সহকারি মহাব্যবস্থাপক মো. রবিউল ইসলাম প্রো-রাটার ভিত্তিতে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মধ্যে শেয়ার বরাদ্দের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের জন্য মোট ১০০ কোটি টাকার বিপরিতে ২৪৮৭ কোটি ১৮ হাজার ১০৪ টাকার আবেদন জমা পড়ে, যা ২৪.৬৪ গুণ বেশি। প্রতি ১০,০০০ টাকা আবেদনের বিপরীতে নিবাসী বাংলাদেশি বিনিয়োগকারীগণ ১১টি শেয়ার এবং অনিবাসী বাংলাদেশি বিনিয়োগকারীগণ ২০টি শেয়ার বরাদ্দ পায়।

ডিএসই’র প্রধান রেগুলেটরি কর্মকর্তা খাইরুল বাসার আবু তাহের মোহাম্মদ বলেন, আজকের ইলেক্ট্রনিক সাবস্ক্রিপশন সিস্টেমের মাধ্যমে ১০০তম ইস্যুতে টেকনো ড্রাগস লিমিটেডের আইপিও-তে সর্বোচ্চ ২৪শত কোটি টাকার সাবস্ক্রিপশন একটি মাইলফলক তৈরি করেছে। আমি আশা করি এটি আমাদের পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের অনুপ্রাণিত করবে। এছাড়াও তিনি আশা পোষণ করেন কোম্পানিটি সকল নিয়ম-কানুন মেনে চলবে এবং বিনিয়োগকারীদের প্রত্যাশা পূরণ করবে। ডিএসইর পক্ষ থেকে সকল ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে তিনি আশ্বাস প্রদান করেন।

;

এশিয়ান পেইন্টসের উদ্যোগে ‘কালার অব দ্য ইয়ার’ ঘোষণা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত, এশিয়ান পেইন্টসের উদ্যোগে ‘কালার অব দ্য ইয়ার’ ঘোষণা

ছবি: সংগৃহীত, এশিয়ান পেইন্টসের উদ্যোগে ‘কালার অব দ্য ইয়ার’ ঘোষণা

  • Font increase
  • Font Decrease

এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম পেইন্ট প্রস্তুতকারক এশিয়ান পেইন্টস বিশ্বব্যাপী অংশগ্রহণকারীদের সঙ্গে বিশদ গবেষণার ভিত্তিতে বাংলাদেশে ২০২৪ সালের ‘কালার অব দ্য ইয়ার’ ঘোষণা করেছে।

এ উপলক্ষে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এসময় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- এশিয়ান পেইন্টস ইন্টারন্যাশনালের চিফ এক্সিকিউটিভ প্রজ্ঞান কুমার এবং এশিয়ান পেইন্টস বাংলাদেশের অন্যান্য সদস্যরা।

সেইসঙ্গে বাংলাদেশের বিশিষ্ট স্থপতি, ডিজাইনার এবং অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যক্তিরাও এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

মঙ্গলবার (২ জুলাই) সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এশিয়ান পেইন্টস প্রতি বছর বিভিন্ন সৃজনশীল শাখার বিশেষজ্ঞ যেমন- স্থপতি, শিল্পী, ইন্টেরিয়র ডিজাইনার এবং মিডিয়া, সমাজবিজ্ঞান ও ফ্যাশনের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নিয়ে ‘কালার নেক্সট’ তৈরি করে।

এটি একটি বিস্তৃত রিপোর্ট, যা বিশ্বজুড়ে রঙ, উপকরণ, টেক্সচার ফিনিশ এবং ট্রেন্ডের ডিজাইন দিকনির্দেশনা তুলে ধরে। ২০০৩ সাল থেকে এশিয়ান পেইন্টস রঙ ও উপকরণ নিয়ে গবেষণা করে আসছে। এতে প্রতিষ্ঠানটি নিত্যনতুন ট্রেন্ড বিশ্লেষণ করে।

সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ‘কালার নেক্সট’ এশিয়ার অন্যতম এবং অনন্য রঙ ও উপকরণের নির্দেশিকা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এশিয়ান পেইন্টস বাংলাদেশের একমাত্র হোম ডেকোর কোম্পানি, যারা ট্রেন্ডগুলো নিয়ে গবেষণা করে এবং গ্রাহকদের তৃপ্তি এবং সন্তোষ এনে দিতে দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ।

২০২৪ সালের ইভেন্টে ‘কালার অব দ্য ইয়ার’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়: টেরা

বাংলাদেশের উর্বর ভূমি এবং উষ্ণ মাটি থেকে অনুপ্রাণিত এই রঙটি, যাতে রয়েছে সমৃদ্ধ এবং মাটির টোন। এটির মাধ্যমে স্থিরতা, উষ্ণতা এবং মাটির সঙ্গে গভীর সম্পর্ক প্রতীক হিসেবে প্রতিফলিত হয়, যা দেশের কৃষি ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের প্রতিফলন। ‘টেরা’ স্বাচ্ছন্দ্য এবং সামঞ্জস্যপূর্ণ পরিবেশ তৈরি করতে আদর্শ।

বিজ্ঞপ্তিতে ইভেন্ট সম্পর্কে আরো বলা হয়, এই ইভেন্টে আরো চারটি প্রেরণামূলক কালার ট্রেন্ড উঠে আসে। সেগুলি হচ্ছে- সয়েল- যেটির অভিনব উপাদান ডিজাইন ও সৃজনশীলতায় উৎসাহ জোগায়; ইন্টু দ্য ডিপ- এটি অপরূপ সমুদ্রের গভীরতা ও এর নৈসর্গিক সৌন্দর্যের প্রতি মুগ্ধতা বাড়িয়ে তোলে; রেট্রোফিউচারিজম- যা চিরচেনা ল্যান্ডস্ক্যাপ, ফোকলোর গল্পের মাধ্যমে ভবিষ্যতকে বুঝতে সাহায্য করে; এবং গবলিন মোড- যা কি না নিখুঁত হওয়ার তাড়নাকে দমন করে নিজেকে খুঁজে পাওয়াকে নির্দেশ করে।

এই উৎসবময় ইভেন্টে এশিয়ান পেইন্টস ইন্টারন্যাশনালের প্রধান নির্বাহী প্রজ্ঞান কুমার বলেন, বর্ণিল, মুগ্ধকর ও সংস্কৃতির সঙ্গে মানানসই রঙগুলো নিয়ে গ্রাহক ও ভোক্তাদের মধ্যে আগ্রহ রয়েছে।

তিনি বলেন, এশিয়ান পেইন্টস প্রতিনিয়ত গ্লোবাল ট্রেন্ড এবং সেগুলোর লোকাল সম্পৃক্ততা বিশ্লেষণ করে, যা ভোক্তাদের সামগ্রিক চাহিদার প্রতিফলন ঘটায় ও ডিজাইনকে অনুপ্রাণিত করে। এই রিপোর্টে চলতি ‘ট্রেন্ড’গুলি সামনে নিয়ে আসতে স্বনামধন্য বিশেষজ্ঞরা অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন। আমাদের লক্ষ্য ভবিষ্যতবান্ধব, কার্যকর, নান্দনিক রঙ ও টেক্সচার তৈরির মাধ্যমে অভিনবত্বকে আরো সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া, যা সাধারণ মানুষের লাইফস্টাইলকে আরো সমৃদ্ধ করবে।

;

একনেকে ১১ প্রকল্প অনুমোদন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
একনেক সভা/ ছবি: সংগৃহীত

একনেক সভা/ ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কৃষি উন্নয়নসহ ৫ হাজার ৪৫৯ কোটি ৮৭ লাখ টাকা ব্যয়ে ১১ প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। মঙ্গলবার (২ জুলাই) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এসব প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়।

এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপার্সন শেখ হাসিনা। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন পরিকল্পনামন্ত্রী মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুস সালাম এবং পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শহীদুজ্জমান সরকার।

প্রকল্পে সরকারি তহবিল থেকে ৫ হাজার ২১৪ কোটি ৩৪ লাখ টাকা, বৈদেশিক ঋণ সহায়তা থেকে ১৪০ কোটি ৪৪ লাখ টাকা এবং বাস্তবায়নকারী সংস্থা থেকে ১০৫ কোটি টাকা ব্যয় করা হবে।

একনেকে অনুমোদিত প্রকল্প গুলো হচ্ছে, ঢাকা অঞ্চলের কৃষির উন্নয়ন প্রকল্প, বরগুনা ও মুন্সীগঞ্জ জেলার গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প, রায়পুরা ১২০ মেগাওয়াট এসি পিক গ্রিড টাইড সোলার পাওয়ার প্ল্যান্টের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ প্রকল্প। বিসিক মুদ্রণ শিল্প নগরী (২য় সংশোধিত) প্রকল্প, কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্র কিশোরগঞ্জ, জয়পুরহাট ও চট্টগ্রাম স্থাপন প্রকল্প, ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন (প্রথম সংশোধিত) প্রকল্প। কুমিল্লা-সালদা ও কসবা (সৈয়দাবাদ) সড়কে (এন১১৪) জাতীয় মহাসড়ক মানে উন্নীত করা প্রকল্প, নগরাঞ্চলের ভবন সুরক্ষা প্রকল্প, বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষ্যা, তুরাগ ও বালু নদীর তীর ভূমিতে পিলার স্থাপন, তীররক্ষা, ওয়াকওয়ে ও জেটিসহ আনুষঙ্গিক অবকাঠামো নির্মাণ (দ্বিতীয় পর্যায়, দ্বিতীয় সংশোধিত) প্রকল্প, দেশের বিভিন্ন স্থানে বাংলাদেশ পুলিশের থানার প্রশাসনিক কাম ব্যারাক ভবন নির্মাণ প্রকল্প।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা সচিব সত্যজিত কর্মকার, ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য ড. এমদাদউল্লাহ মিয়ান, কৃষি, পানি সম্পদ ও পল্লি প্রতিষ্ঠান বিভাগের সদস্য আব্দুল বাকী এবং পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব শাহনাজ আরেফিন।

পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শহীদুজ্জান সরকার বলেন, একটি একনেক বা মন্ত্রী পরিষদ বৈঠক হওয়া মানে এক ধাপ এগিয়ে যাওয়া নয়, এই বৈঠক হওয়া মানে একটি লম্ফ। এ অর্থবছর অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার শেষ বছর। সামনে আমরা এলডিসিতে উত্তরণ করছি। একনেকে প্রকল্প পাস হওয়ার মধ্য দিয়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন পর্যায়ে গেলে উন্নয়নকে আমরা এগিয়ে নিতে পারব। আমরা উন্নয়নকে এগিয়ে নিতেই কাজ করে যাচ্ছি।

;