প্রকাশিত সংবাদের প্রেক্ষিতে ইসলামী ব্যাংকের ব্যাখ্যা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত,  ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ

ছবি: সংগৃহীত, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ

  • Font increase
  • Font Decrease

সম্প্রতি, কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত ‘শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকের অবস্থা এখন আরও খারাপ’ শীর্ষক সংবাদের প্রতি ইসলামী ব্যাংকের দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়েছে। প্রকাশিত সংবাদের প্রেক্ষিতে ইসলামী ব্যাংক এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে তাদের ব্যাখ্যা দিয়েছে।

সোমবার (১ জুলাই) ব্যাংকের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ব্র্যান্ড অ্যান্ড কমিউনিকেশন ডিভিশনের প্রধান নজরুল ইসলামের পক্ষ থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে ইসলামী ব্যাংকের ব্যাখ্যাটি সংবাদমাধ্যমে পাঠানো হয়।

ইসলামী ব্যাংকের ব্যাখ্যায় বলা হয়, শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকের বিষয়ে যে তথ্য প্রকাশিত হয়েছে, তা ইসলামী ব্যাংকিং ধারাকে জনগণের মধ্যে প্রশ্নবিদ্ধ করার একটি অপপ্রয়াস। দেশের ব্যাংকিং সেক্টরে সর্বোচ্চ আমানত নিয়ে ইসলামী ব্যাংক কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতিমালা অনুসরণ করেই বিনিয়োগ বিতরণ করেছে।

ব্যাখ্যায় বলা হয়, ‘ইসলামী ব্যাংকগুলো আগ্রাসী ঋণ বিতরণ অব্যাহত রেখেছে’ উল্লেখ করে যে বক্তব্য উপস্থাপন করা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ অনুমাননির্ভর। ইসলামী ব্যাংক সম্প্রতি বড় ধরনের কোনো বিনিয়োগ বিতরণ করেনি। ব্যাংকের বিতরণকৃত বিনিয়োগের বেশিরভাগই কৃষি, ক্ষুদ্র ও এসএমই বিনিয়োগ।

ইসলামী ব্যাংকের এসএমই বিনিয়োগের পরিমাণ মোট বিতরণকৃত বিনিয়োগের ২৩ শতাংশ এবং দেশের মোট এসএমই বিনিয়োগের ১১ শতাংশ। কৃষি ক্ষেত্রে রয়েছে, ইসলামী ব্যাংকের মোট বিনিয়োগের প্রায় ২ শতাংশ, যার মার্কেট শেয়ার ৭.১০ শতাংশ।

ইসলামী ব্যাংকের ব্যাখ্যায় আরো বলা হয়, জনবল নিয়োগের বিষয়ে যে বক্তব্য দেওয়া হয়েছে, তাও সঠিক নয়। সম্প্রতি, ব্যাংকের প্রবেশনারি অফিসার ও ফিল্ড অফিসার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে। ব্যাংক চাহিদা অনুযায়ী, সময় সময় মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনার নিয়ম অনুসরণ করেই জনবল নিয়োগ দিয়ে থাকে।

এ বিষয়ে ব্যাংক থেকে নিন্দা জানিয়ে বলা হয়- আমরা এ সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং আশা করি, ইসলামী ব্যাংকিংয়ের মতো একটি ক্রমবর্ধমান ও আস্থাশীল ধারার বিষয়ে সংবাদ পরিবেশনের ক্ষেত্রে সবাই আরো দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করবে।

লোকসান কাটিয়ে তিন কোটি টাকা নিট মুনাফা অর্জন রাকাব’র



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের লগো, ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের লগো, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক (রাকাব) অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের নজির স্থাপন করেছে। দীর্ঘ ৩৭ বছরের ২২৪ কোটি টাকার লোকসান কাটিয়ে ব্যাংকটি সম্প্রতি প্রায় তিন কোটি টাকা নিট মুনাফা অর্জন করেছে।

রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক (রাকাব) সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘ ৩৭ বছরের লোকসানের ধারা থেকে মুক্ত হয়ে ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে নিট মুনাফা অর্জন করেছে এবং সব আর্থিক সূচকে কাঙ্ক্ষিত সফলতা পেয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রদত্ত লক্ষ্যমাত্রাসমূহও শতভাগ অর্জিত হয়েছে ।

রাকাব বলছে, এই ব্যাংকটি মুনাফা অর্জনকারী স্বাবলম্বী প্রতিষ্ঠানে পরিণত করার লক্ষ্যে অর্থবছরের শুরুতেই ব্যাংক ব্যবস্থাপনায় সুপরিকল্পিত কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। এই পরিকল্পনার ভিত্তিতে টাইম বাউন্ড অ্যাকশন প্ল্যান প্রণয়ন এবং বাস্তবায়ন করা হয়। ফলস্বরূপ, ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের ২২৪.১৫ কোটি টাকার লোকসান কাটিয়ে ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে ২.৯৮ কোটি টাকা নিট মুনাফা অর্জিত হয়।

অর্থবছরের শেষে লোকসানি শাখার সংখ্যা ৬০ থেকে কমে ১২তে নেমে এসেছে। এছাড়া আমানতের স্থিতি পূর্ববর্তী বছরের ৬ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকা থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ৭ হাজার ১৮০ কোটি টাকায় উন্নীত হয়েছে। ঋণ স্থিতি ৭ হাজার ৫৮৭ কোটি টাকা থেকে বেড়ে ৭ হাজার ৮৩৭ কোটি টাকায় পৌঁছেছে। অন্যদিকে শ্রেণিকৃত ঋণের স্থিতি ১ হাজার ৪৩০ কোটি থেকে কমে ১ হাজার ২৪২ কোটি টাকায় এবং শ্রেণিকৃত ঋণের হার ১৯ শতাংশ থেকে কমে ১৬ শতাংশে নেমে এসেছে।

রাকাবের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিরঞ্জন চন্দ্র দেবনাথ বলেন, ধারাবাহিকভাবে রাকাবের ব্যবসায়িক পরিধি ব্যাপকভাবে প্রসারিত হচ্ছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ এবং বাংলাদেশ ব্যাংকসহ নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠানসমূহের সার্বিক সহযোগিতা এবং সবার সম্মিলিত আন্তরিক প্রচেষ্টা ও অকুণ্ঠ সমর্থনে আজন্ম ক্ষতির গ্লানি মোচন করে নিট মুনাফা অর্জন করেছে।

তিনি বলেন, প্রধান কার্যালয়সহ মাঠ পর্যায়ের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীর আন্তরিক প্রচেষ্টা এবং নিরলস পরিশ্রম রাকাবকে বদলে দেয়ার দৃঢ় প্রত্যয়, নিজস্ব উদ্ভাবিত পোর্টেবল বিজনেস ইন্টেলিজেন্স ‘রাকাব লেন্স’ এর সাহায্যে ব্যাংক ব্যবস্থাপনার প্রাত্যহিক হালনাগাদ তথ্য ভিত্তিক কঠোর মনিটরিং ও সুস্পষ্ট দিক-নির্দেশনার মাধ্যমে এই লালিত স্বপ্ন বাস্তবায়ন সম্ভব হয়েছে। আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর ব্যাংকিং সেবাসমূহ স্বল্প খরচে দ্রুততার সাথে গ্রাহকের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়ার মাধ্যমে নন-ফান্ডেড আয় বৃদ্ধি পেয়েছে। রাকাবের গ্রাহকগণ এখন ঘরে বসে ব্যাংক হিসাব খোলা, রাকাব মোবাইল অ্যাপ ও ইন্টারনেট ব্যাংকিঙের মাধ্যমে ফান্ড ট্রান্সফার, নেসকো এবং ওয়াসাসহ বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের বিল প্রদান, সকল মোবাইল অপারেটরে টপ-আপ, আরটিজিএস, বিইএফটিএনসহ আধুনিক সব ব্যাংকিং সেবা নির্বিঘ্নে গ্রহণ করছেন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, অর্থমন্ত্রী, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব, রাকাব পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান ও পরিচালকবৃন্দ, ব্যাংকের সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, আমানত ও ঋণ গ্রাহক, অংশীজন, শুভানুধ্যায়ীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন এবং সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় অগ্রগতির এই ধারা অব্যাহত রেখে আগামীতে রাকাবকে একটি মডেল ব্যাংক হিসেবে গড়ে তোলার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

;

সামুদ্রিক সম্পদ কাজে লাগাতে সমন্বিত উদ্যোগের বিকল্প নেই: স্পিকার



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, ছবি: সংগৃহীত

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সামুদ্রিক সম্পদকে কাজে লাগানোর ক্ষেত্রে সমন্বিত উদ্যোগের বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। 

তিনি বলেন, সমুদ্রের খনিজ ও প্রাণিজ সম্পদের পাশাপাশি উপকূলীয় এলাকায় নবায়নযোগ্য জ্বালানির সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করে দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নেয়ার সুযোগ রয়েছে। 

বুধবার (৩ জুলাই) পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের (জিইডি) আয়োজনে আন্তর্জাতিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, বেসরকারি খাত ও উন্নয়ন সহযোগীদের সমন্বয়ে টেকসই এ খাতের সম্ভাবনা কার্যকরভাবে কাজে লাগাতে হবে।

বাংলাদেশের সমুদ্র সম্পদের সঠিক ধারণা ও ব্যবহার নিশ্চিত করতে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এই আন্তর্জাতিক সন্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে।

স্পিকার বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন, সমুদ্র দূষণসহ নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।  টেকসই সমুদ্র সম্পদের সঠিক ব্যবহারে প্রয়োজনে আধুনিক প্রযুক্তি, ধারণা ও অভিজ্ঞতা বিনিময়েও গুরুত্ব আরোপ করেন তিনি।

বাংলাদেশের সমুদ্রের ইকো সিস্টেমের উন্নয়ন ও টেকসই ব্যবস্থাপনায় সংশ্লিষ্ট সবার সহায়তা কামনা করেন স্পিকার।

এ সময় তিনি বলেন, মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দরের কাজ শেষ হলে এটি দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর জন্য বাণিজ্যের হাবে পরিণত হবে। পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপের মাধ্যমে নীল অর্থনীতির সম্ভাবনা কাজে লাগানো যেতে পারে।

সমুদ্রের টেকসই ব্যবহার নিশ্চিত করতে অতিমাত্রায় মৎস্য আহরণ, জনসংখ্যা বৃদ্ধি এবং জলববায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের (জিইডি) সদস্য (সচিব) ড. কাওসার আহমেদের সভাপতিত্বে সম্মেলনের উদ্বোধনী পর্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী আব্দুস সালাম।

তিনি বলেন, বেসরকারি খাত ও গবেষকদের সমন্বয়ে সরকারের দেশের সমুদ্র সম্পদকে টেকসইভাবে কাজে লাগানোর সুযোগ রয়েছে।

টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে ব্লু ইকোনমি কাজে লাগানোর বিকল্প নেই মন্তব্য করে তিনি বলেন, এটি অর্থনীতির লাইফলাইনে পরিণত হতে পারে।

সমুদ্র অর্থনীতি নিয়ে আরও গবেষণার তাগিদ দিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশ বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে। সমুদ্রকে কাজে লাগিয়ে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক পর্যটন শিল্প গড়ে তোলার কাজ চলছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

অনুষ্ঠানে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী মো. শহীদুজ্জামান সরকার, মন্ত্রী পরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) ভাইস প্রেসিডেন্ট ইংমিং ইয়ংএডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টও এডিমন গিন্টিং বক্তব্য রাখেন।

আমাদানি রফতানি বাণিজ্য সম্প্রসারণে সমুদ্র পরিবহন ব্যাপক ভূমিকা রাখছে বলে অনুষ্ঠানে মন্তব্য করেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শহীদুজ্জামান সরকার।

তিনি বলেন, সমুদ্র অর্থনীতির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য টেকসই সমুদ্র নিশ্চিত করা হবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসাইন বলেন, ডেল্টা পরিকল্পনা ২১০০ বাস্তবায়নের মাধ্যমে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা শক্তিশালী করার পাশাপাশি সমুদ্রকে কাজে লাগাতে বন্দরসহ বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণ করে চলেছে সরকার।

মৎস্য আহরণ, খনিজ সম্পদের সম্ভাবনা, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং পর্যটনসহ বিভিন্ন বিষয়ে বাংলাদেশের সমুদ্র অঞ্চল অনেক সম্ভাবনাময় দাবি করে তিনি বলেন, এই সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর উদ্যোগ বাস্তবায়ন হচ্ছে। বাংলাদেশ টেকসই অর্থনতির জন্য সুনীল অর্থনীতির বিকল্প নেই মন্তব্য করে এ খাতে আর্থিক ও কারিগরি সহায়তা দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন এডিবির ভাইস প্রেসিডেন্ট ।

দিনব্যাপী সম্মেলনের বিভিন্ন অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমানসহ নীতি নির্ধারক ও দেশি ও বিদেশি বিশেষজ্ঞরা বক্তব্য রাখেন।

;

নারী উদ্যোক্তাদের উন্নয়নে এবি ব্যাংকের প্রশিক্ষণ কর্মশালা



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
নারী উদ্যোক্তাদের উন্নয়নে এবি ব্যাংকের প্রশিক্ষণ কর্মশালা

নারী উদ্যোক্তাদের উন্নয়নে এবি ব্যাংকের প্রশিক্ষণ কর্মশালা

  • Font increase
  • Font Decrease

নারী উদ্যোক্তাদের ব্যবসায়িক কর্মদক্ষতা উন্নয়নে বরিশালে দিনব্যাপী এক প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করেছে এবি ব্যাংক পিএলসি।

বুধবার (৩ জুলাই) এ প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করা হয়।

প্রশিক্ষণ কর্মশালা শেষে নারী উদ্যোক্তাগণের মাঝে সনদ ও স্মার্ট কার্ডের মাধ্যমে সহজ ঋণ- স্মরণে বঙ্গবন্ধু বিতরণ করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব মোঃ আব্দুল মান্নান, নির্বাহী পরিচালক, বাংলাদেশ ব্যাংক, বরিশাল কার্যালয় এবং অনুষ্ঠানটির সভাপতিত্ব করেন জনাব তারিক আফজাল, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, এবি ব্যাংক পিএলসি।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ ও এজেন্টগণ।

;

সাগরে তেল-গ্যাস অনুসন্ধান দরপত্র জমার সময় ৩ মাস বাড়ছে!



সেরাজুল ইসলাম সিরাজ, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
তেল-গ্যাস অনুসন্ধান দরপত্র জমার সময় ৩ মাস বাড়ছে!

তেল-গ্যাস অনুসন্ধান দরপত্র জমার সময় ৩ মাস বাড়ছে!

  • Font increase
  • Font Decrease

সাগরের তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের দরপত্র জমার মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে পেট্রোবাংলা। বিদেশি একাধিক কোম্পানির আবেদনের প্রেক্ষিতে সময় বাড়ানোর প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে পেট্রোবাংলা সূত্র।

বাংলাদেশের সমুদ্র অঞ্চলে ২৪টি ব্লকে (গভীর সমুদ্রে ১৫টি এবং অগভীর সমুদ্রে ৯ টি) তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের দরপত্র আহ্বান করা হয় গত ১১ মার্চ। দরপত্র জমার জন্য ৬ মাস (৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত) সময় দেওয়া হয়েছে। সময় শেষ হওয়ার আগেই কেউ কেউ ৬ মাস পর্যন্ত সময় চাইলেও ৩ মাসের বিষয়ে বিবেচনা করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।

পেট্রোবাংলার পরিচালক (পিএসসি) প্রকৌশলী মো. রফিকুল ইসলাম বার্তা২৪.কম-কে বলেছেন, কয়েকটি কোম্পানি সময় বাড়ানোর অনুরোধ করেছে। তার প্রেক্ষিতে একটি প্রস্তাবনা মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে। বিষয়টি এখন তাদের সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করছে।

কতদিন সময় বাড়ানোর সুপারিশ করা হয়েছে, সে বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি।

পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার কয়েকদিন আগে বার্তা২৪.কম-কে বলেছিলেন, অনেকগুলো বড় বড় কোম্পানি সাগরের তেল-গ্যাস অনুসন্ধান ও উৎপাদনে আগ্রহ দেখাচ্ছে। কয়েকটি কোম্পানি সময় বাড়ানোর অনুরোধ করেছে, আমরা চিন্তাভাবনা করছি।

এক প্রশ্নের জবাবে জনেন্দ্র নাথ সরকার বলেছিলেন, কৌশলগত কারণে কোনো কোম্পানির নাম আমরা প্রকাশ করতে পারছি না। কিছু রীতি মেনে চলতে হয়, কোনো বিদেশি কোম্পানির নাম এই পর্যায়ে প্রকাশ করা ঠিক হবে না। তবে এটুকু বলতে পারি, বিশ্বের অনেক খ্যাতনামা কোম্পানি বিড ডকুমেন্ট সংগ্রহ করেছে। তারা টাকা দিয়ে আমাদের ডাটাও কিনেছে।

বাংলাদেশের গভীর সমুদ্রে ১৫টি এবং অগভীর সমুদ্রে ১১টি ব্লক আছে। অগভীর সমুদ্রের দুটি ব্লকে অনুসন্ধান চালাচ্ছে ভারতের কোম্পানি ওএনজিসি। আর ২৪টি ব্লকে দরপত্র ডাকা হয়েছে। এর আগে সর্বশেষ ২০১৬ সালে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছিল। এরপর ২০১৯ সালে নতুন পিএসসি আপডেট করা হলেও দরপত্র ডাকা হয়নি।

এবার বিশ্বের শীর্ষ পর্যায়ের ৫৫টি কোম্পানিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আমেরিকান কোম্পানি শেভরন বাংলাদেশ ও এক্সোন মবিল, জাপানি প্রতিষ্ঠানসহ অনেকগুলো কোম্পানি আগ্রহ দেখাচ্ছে। সাগর সীমানা বিরোধ নিষ্পত্তির পর ১ লাখ ১৮ হাজার ৮১৩ বর্গ কিলোমিটার সমুদ্র অঞ্চলের ওপর মালিকানা প্রতিষ্ঠিত হয় বাংলাদেশের। ২০১০ সালে গভীর সমুদ্রে ডিএস-১০ ও ডিএস-১১ ব্লকে কাজ নেয় কনোকো ফিলিপস। তারা ২ডি জরিপ শেষে গ্যাসের দাম বাড়ানোর দাবি করে। সেই দাবি পূরণ না হওয়ায় কাজ ছেড়ে চলে যায়। এ ছাড়া চুক্তির পর কাজ ছেড়ে চলে যায় অস্ট্রেলিয়ার স্যান্তোস ও দক্ষিণ কোরিয়ার পস্কো দাইয়ু। বাংলাদেশের পাশের ব্লক থেকে দীর্ঘদিন ধরে গ্যাস উত্তোলন করছে মায়ানমার। যে কারণে বাংলাদেশ অংশে গ্যাস পাওয়ার বিষয়টি অনেকটা নিশ্চিত বলে ধারণা করা হয়। বাংলাদেশের সাগরাঞ্চলে গ্যাসের মজুদের বিষয়ে আশাবাদী জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা। তারা মনে করছে, দেশের গ্যাস সংকট কাটাতে বিশাল ভূমিকা পালন করতে পারে।

পেট্রোবাংলা সূত্র জানিয়েছে, বহুজাতিক কোম্পানিগুলোকে আগ্রহী করে তোলার জন্যই আকর্ষণীয় করা হয়েছে পিএসসি। আগের পিএসসিগুলোতে গ্যাসের দর স্থির করা দেওয়া হলেও এবার গ্যাসের দর নির্ধারিত করা হয়নি। ব্রেন্ট ক্রডের আন্তর্জাতিক বাজার দরের সঙ্গে উঠানামা করবে গ্যাসের দর। প্রতি হাজার ঘনফুট গ্যাসের দাম ধরা হয়েছে ব্রেন্ট ক্রডের ১০ শতাংশ দরের সমান। অর্থাৎ ব্রেন্ট ক্রডের দাম ৮০ ডলার হলে গ্যাসের দাম হবে ৮ ডলার। যা বিদ্যমান পিএসসিতে যথাক্রমে অগভীর ও গভীর সমুদ্রে ৫.৬ ডলার ও ৭.২৫ ডলার স্থির দর ছিল। ব্রেন্ট ক্রডের দামের ক্ষেত্রে সারা মাসের দর গড় হিসাব ধরা হবে।

দামের পাশাপাশি বাংলাদেশের শেয়ারের অনুপাতও নামিয়ে দেওয়া হয়েছে। মডেল পিএসসি-২০১৯ অনুযায়ী গ্যাসের উৎপাদন বৃদ্ধির সঙ্গে বাংলাদেশের অনুপাত বৃদ্ধি পেতে থাকবে। আর কমতে থাকে বহুজাতিক কোম্পানির শেয়ার। গভীর সমুদ্রে ৩৫ থেকে ৬০ শতাংশ এবং অগভীর সমুদ্রে বাংলাদেশের হিস্যা ৪০ থেকে ৬৫ শতাংশ পর্যন্ত উঠানামা করবে।

গত ৮ মে পিএসসি নিয়ে নিয়ে আন্তর্জাতিক সেমিনার করা হয়। সেখানে বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, বাংলাদেশের সমুদ্রে কাজ করতে অনেকেই আগ্রহ প্রকাশ করছে। এই সেমিনারেও ১৫টির বেশি আন্তর্জাতিক কোম্পানি অংশ নিয়েছে। দরপত্রে দেশের স্বার্থের পাশাপাশি বিনিয়োগকারী কোম্পানির স্বার্থও দেখা হয়েছে। ফলে এবারের দরপত্র নিয়ে আমরা বেশ আশাবাদী।

;