২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট প্রতিক্রিয়া

কম্পিউটার যন্ত্রাংশসহ নিত্যপণ্যে কমেছে শুল্ককর, তবে বাজারে প্রভাব নেই



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪, বাজারে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটের প্রভাব

ছবি: বার্তা২৪, বাজারে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটের প্রভাব

  • Font increase
  • Font Decrease

বড় ধরনের কোনো পরিবর্তন ছাড়াই রোববার (৩০ জুন) জাতীয় সংসদে পাস হয়েছে, ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার বাজেট। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য পাস হওয়া এই বাজেট কার্যকর হচ্ছে সোমবার (১ জুলাই) থেকে।

‘সুখী, সমৃদ্ধ, উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে অঙ্গীকার’- এই স্লোগানকে সামনে রেখে ৬ জুন জাতীয় সংসদে এই বাজেট উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।

এটি দেশের ৫৩তম ও আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের ২৫তম বাজেট।

প্রতিবারের মতো এবারের বাজেটেও বিভিন্ন ধরনের পণ্যের চাহিদা ও প্রয়োজনের কথা মাথায় রেখে শুল্ক ও কর হ্রাস-বৃদ্ধি ঘটেছে। এর মধ্যে শুল্ক ও কর হ্রাস করা হয়েছে, এমন কিছু পণ্যের মধ্যে আছে, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য, চিকিৎসা, প্রযুক্তি, নির্মাণসামগ্রীসহ আরো বেশ কিছু পণ্য। তবে বিভিন্ন অংশীজন ও ভোক্তাদের সঙ্গে কথা বলে পাস হওয়া বাজেটের প্রভাব টের পাওয়া যায়নি বাজারের কোথাও।

ল্যাপটপ ও কম্পিউটারের যন্ত্রাংশের মূল্যে বাজেটের প্রভাব

ল্যাপটপ ও কম্পিউটার যন্ত্রাংশের ওপর শুল্ক কমানো হয়েছে বাজেটে, ছবি- সংগৃহীত

ল্যাপটপ ও কম্পিউটার যন্ত্রাংশের ওপর বাজেটে শুল্ক কমানো হয়েছে। তবে সে প্রভাব কতটা পড়েছে মার্কেটে, তা জানতে সোমবার (১ জুলাই) আগারগাঁওয়ে অবস্থিত বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ কম্পিউটার মার্কেট আইডিবি ভবনে গিয়ে হতাশ হতে হয়। ক্রেতা ও বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলেও পাওয়া যায়নি কোনো ধরনের সুখবর।

‘স্টার টেক কম্পিউটার্স’-এ কম্পিউটার কিনতে আসা যুবায়ের ও সামিউল নামে দুই ক্রেতার সঙ্গে কথা হয় বার্তা২৪.কম প্রতিবেদকের।

কম্পিউটার কিনবেন বলে অনেকদিন ধরেই খোঁজখবর রাখছেন বিভিন্ন যন্ত্রাংশের মূল্যের। অনলাইন ও অফলাইন দুই জায়গাতেই বিভিন্ন ওয়েবসাইট ও দোকান ঘুরে মূল্য যাচাই করতে দেখা যায় তাদের। তবে এই এক মাসেরও বেশি সময়ের মধ্যেও মূল্যে কোনো ধরনের পার্থক্য চোখে পড়েনি তাদের।

তারা জানালেন, একেক জায়গায় একেক দাম। তবে এই সময়ের মধ্যে কোনোকিছুর দাম কমেছে বলে মনে হয়নি। দাম আগের মতোই একই তো দেখতে পাচ্ছি!

রায়ান'স কম্পিউটারের বিক্রয়কর্মী ইমন বলেন, 'বাজেটের পর আমাদের নতুন কোনো শিপমেন্ট হয়নি। আমাদের যা প্রোডাক্ট আছে, তা সবই আগের। নতুন এলসি খুলে নতুন পণ্য আনলে তখন হয়ত দাম কমতে পারে। সে ক্ষেত্রে তখন হয়ত ক্রেতারা কিছুটা সুবিধা পেতে পারেন’।

‘কম্পিউটার ভিলেজ’-এর আইডিবি শাখার ম্যানেজার এস এ সাব্বির বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘আমি বিষয়টা নিয়ে এখনো পরিষ্কার না। তবে আমদানিকারকদের কাছ থেকে এখন পর্যন্ত যা জানতে পেরেছি, তাতে মনে হচ্ছে- যেই লাউ, সেই কদু! এক জায়গা থেকে ১০ শতাংশ কমিয়ে আরেক জায়গায় ১০ শতাংশ বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে’।

সাব্বির বলেন, ‘তবে সত্যি সত্যিই যদি শুল্ক কমে থাকে, তাহলে অবশ্যই দাম কমবে। আমরা এই সেক্টরে কেউই সাধারণত ২-৫ শতাংশের বেশি লাভ কোনো প্রোডাক্টে করতে পারি না। যদি শুল্ক কমে থাকে, তাহলে সে সুবিধা গ্রাহক পাবেন’।

উল্লেখ্য, ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের জন্য পাস হওয়া বাজেটে ল্যাপটপ ও কম্পিউটার যন্ত্রাংশে যথাক্রমে ১০.৫ ও ৫ শতাংশ শুল্ক প্রত্যাহার করা হয়েছে।

ল্যাপটপ ও কম্পিউটার যন্ত্রাংশে শুল্ক কমানোর বিষয়ে বাজেটে বলা হয়েছে, আমদানিকারকদের বর্তমানে ল্যাপটপ আমদানিতে ৫ শতাংশ শুল্কসহ মোট ৩১ শতাংশ শুল্ক-কর দিতে হচ্ছে। তবে বাজেটে শুল্ক ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশ এবং ভ্যাট অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে শুল্ক-কর ৩১ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০.৫০ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে।

কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, সরকার আগে স্থানীয় প্রস্তুতকারকদের সুরক্ষা দিতে ল্যাপটপ আমদানিতে কর বাড়িয়েছিল। তবে এমন পদক্ষেপে শেষপর্যন্ত গ্রাহকদের খরচ বেড়েছে। কারণ, স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত ল্যাপটপের মান ও দাম নিয়ে ক্রেতারা সন্তুষ্ট নন।

অন্যদিকে, কম্পিউটার ও কম্পিউটার সামগ্রী আমদানির জন্য আমদানিকারকরা কোনো শর্ত ছাড়াই শুধুমাত্র ৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক প্রদান করে সব ধরনের কম্পিউটার ও প্রিন্টারের যন্ত্রাংশ ইত্যাদি আমদানি করতে পারেন, যা প্রকৃত কম্পিউটার সামগ্রী উৎপাদকদের জন্য অসুবিধাজনক। তাই, বাজেটে ওই শুল্ক প্রত্যাহার করার কথা বলা হয়েছে।

নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যে বাজেটের প্রভাব

২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে প্রয়োজনীয় খাদ্যশস্যে উৎসে কর কমানো হয়েছে, ছবি- সংগৃহীত


একইভাবে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার স্থিতিশীল রাখা ও উচ্চ মূল্যস্ফীতির লাগাম টানতে অন্তত ৩০টি প্রয়োজনীয় পণ্য ও খাদ্যশস্য সরবরাহের ওপর উৎসে কর কমানো হয়েছে।

২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের বাজেটে এসব পণ্যে উৎসে কর ২ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১ শতাংশ করা হয়েছে। পণ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে- পেঁয়াজ, রসুন, মটর, ছোলা, চাল, গম, আলু, মসুর, ভোজ্যতেল, চিনি, আদা, হলুদ, শুকনা মরিচ, ডাল, ভুট্টা, ময়দা, আটা, লবণ, গোলমরিচ, এলাচ, দারুচিনি, লবঙ্গ, খেজুর, তেজপাতা, পাট, তুলা, সুতা এবং সব ধরনের ফলসহ ৩০ পণ্য।

নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজারে বাজেটের প্রভাব দেখা যায়নি। সোমবার দেশের সর্ববৃহৎ কাঁচাপণ্যের পাইকারি বাজার কারওয়ান বাজারে গিয়ে দেখা যায়, বাজেটের কোনো প্রভাব নেই বাজারে।

বাজেটের প্রভাব নিয়ে জানতে চাইলে কাঁচাপণ্যের আড়ৎদার ব্যবসায়ী আজগর আলী বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘আজ (সোমবার, ১ জুলাই) সকাল থেকেই বৃষ্টি। সে কারণে বাজারে কাস্টমার (ক্রেতা) কম। তাই, সব কিছুর দামও আজ কিছুটা কম। কিন্তু এখানে বাজেটের কোনো প্রভাব আছে বলে আমার মনে হয় না’।

কারওয়ান বাজারে বাজার করতে আসা ক্রেতা মার্জিয়া আক্তারও বাজেটের কোনো প্রভাব বাজারে দেখতে পাননি বলে জানান। মার্জিয়া আক্তার বলেন, 'আজকে তো সব কিছুর দামই কিছুটা কম মনে হচ্ছে। তবে এটা বৃষ্টির কারণে হতে পারে। কারণ, এগুলো তো আর রেখে দেওয়া সম্ভব না। তাই, একটু কম দামেই ছেড়ে দিচ্ছে। তবে কাল (মঙ্গলবার) দিন ভালো থাকলে দেখা যাবে, আবার দাম বেড়ে গেছে’!

মার্জিয়া আরো বলেন, ‘দাম তো সব আগেই বাড়িয়ে রেখেছে। এখন ১০ টাকা বাড়িয়ে ৫ টাকা কমালে আমাদের কী লাভ হবে’!

নির্মাণ সামগ্রীর ওপর বাজেটের প্রভাব

নির্মাণ সামগ্রীর পণ্য আমদানিতে শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছে, ছবি- সংগৃহীত


উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে নির্মাণ সামগ্রীর দাম বেড়ে যাওয়ায় সেখানেও কমানো হয়েছে শুল্ক। বাজেটে আবাসনসহ বিভিন্ন নির্মাণখাতে ব্যবহৃত হওয়া রড, বার ও এঙ্গেল তৈরির কাঁচামাল ম্যাঙ্গানিজ আমদানিতে শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছে।

বাজেটে দাম কমলেও বাজারে সে প্রভাব এখনো পড়েনি। একইদিন কথা হয়, মিরপুর শেওড়াপাড়ার আলাউদ্দিন ট্রেডার্স-এর মালিক মো. আলাউদ্দিন এর সঙ্গে। তবে তিনিও কোনো সুখবর দিতে পারেননি। মো. আলাউদ্দিন বলেন, ‘বাজেটে কমানো হয়েছে কি না, বলতে পারি না। তবে আমাদের এখানে সব কিছু আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে। আমরা আগে যে দামে রড কিনে আনতাম, এখনো একই দামে কিনে আনি। যদি সরকার শুল্ক কমিয়ে থাকে, তাহলে হয়ত দাম কমবে। তবে সময় লাগবে’।

এসব পণ্য ছাড়াও ২০২৪-২০২৫ সালের বাজেটে আরো বেশ কিছু পণ্যে শুল্ক-কর কমানো হয়েছে। এর মধ্যে আছে-

প্যাকেটজাত গুঁড়াদুধ
প্যাকেটজাত গুঁড়াদুধ আমদানিতে কমানো হয়েছে করের হার। আড়াই কেজি ওজন পর্যন্ত গুঁড়া দুধের ওপর কর হার ৮৯.৩২ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫৮.৬০ শতাংশ করা হয়েছে।

বিদেশি চকোলেট

এবারের বাজেটে বড় ধরনের কর হার কমানো হয়েছে চকোলেট আমদানিতে। এখাতে সম্পূরক শুল্ক ৪৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে করা হয়েছে ২০ শতাংশ।

কিডনি ডায়ালাইসিসের ফিল্টার
কিডনি ডায়ালাইসিসে ব্যবহৃত ফিল্টার ও সার্কিট আমদানির শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে এক শতাংশ করা হয়েছে।

কার্পেট
কার্পেট তৈরির প্রধান কাঁচামাল পলিপ্রোপাইলিন ইয়ার্ন আমদানির শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছে। এতে দেশে তৈরি কার্পেটের দাম কমতে পারে।

ডেঙ্গু কিট
ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় কিট আমদানিতে রেয়াতি সুবিধা দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে ডেঙ্গু রোগীদের এনএস-১ এন্টিজেন পরীক্ষার খরচ সরকারি হাসপাতালের জন্য ১শ টাকা এবং বেসরকারি হাসপাতালের জন্য ৩শ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিভিন্ন পণ্যের মূল্যে বাজেটের প্রভাব
এছাড়াও বাসা-বাড়িতে ব্যবহৃত সুইচ-সকেট, ইলেকট্রিক মোটর, উড়োজাহাজের ইঞ্জিন-প্রপেলার, মোটরসাইকেলের সিকেডি ইঞ্জিনের পার্টসে কমানো হয়েছে শুল্ক-কর।ক্যান্সার চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধের কাঁচামাল আমদানিতেও দেওয়া হয়েছে রেয়াতি সুবিধা। ফলে, ক্যান্সার চিকিৎসায়ও কমতে পারে খরচ।

উল্লেখ্য, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার এই বাজেটে আছে, ২ লাখ ৫১ হাজার ৬০০ কোটি টাকার বিশাল বাজেট ঘাটতি। এর মধ্যে বৈদেশিক ঋণ নেওয়া হবে এক লাখ ২৭ হাজার ২০০ কোটি টাকা আর অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে, ১ লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকা।

৯ গিগাওয়াট বায়ু বিদ্যুতের সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে: প্রতিমন্ত্রী



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪, খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরল হামিদ বলেছেন, ৯ গিগাওয়াট বায়ু বিদ্যুতের সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে

ছবি: বার্তা২৪, খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরল হামিদ বলেছেন, ৯ গিগাওয়াট বায়ু বিদ্যুতের সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে

  • Font increase
  • Font Decrease

বায়ু বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য উপকূলীয় এলাকায় ২২টি ক্ষেত্র চিহ্নিত করা হয়েছে। ৯ গিগাওয়াট আওয়ার বিদ্যুৎ উৎপাদনের সম্ভাবনার কথা বলা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরল হামিদ, এমপি।

বুধবার (৩ জুলাই) রাজধানী ঢাকার বিআইসিসি কনফারেন্স রুমে বাংলাদেশ প্ল্যানিং কমিশন আয়োজিত ‘ওশান প্রোসপারিটি ক্যাটালাইজিং ব্লু ইকোনমি ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী নসরল হামিদ এ মন্তব্য করেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের উপকূলীয় এলাকায় বায়ু বিদ্যুৎ উৎপাদন নিয়ে প্রাক-সমীক্ষা করা হয়েছে। সমীক্ষা চলমান রয়েছে। এতে ২২টি ক্ষেত্র চিহ্নিত করা হয়েছে। এসব এলাকায় ৯ গিগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করার সুযোগ রয়েছে।

ব্লু ইকোনমির সুফল প্রসঙ্গে নসরুল হামিদ বলেন, ব্লু ইকোনমি নিয়ে বিদ্যুৎ সেক্টর অনেক কাজ করছে। মাতারবাড়িতে গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণ করেছে। সেখানে ৮০ হাজার টন কয়লার জাহাজ ভিড়েছে। মাতারবাড়িতে ল্যান্ডবেজড এলএনজি এবং এলপিজি টার্মিনাল নির্মাণের প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, সাগরে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে, মাল্টিক্লায়েন্ট সার্ভে শেষ করে আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। তেল-গ্যাসের বিশাল সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। অনেক খ্যাতনামা কোম্পানি এতে আগ্রহ দেখাচ্ছে।

প্রতিমন্ত্রী এ সময় আরো বলেন, সাগরের জোয়ার-ভাটা থেকেও বিদ্যুৎ উৎপাদনের সম্ভাবনার কথা বলা হচ্ছে। আমরা পাইলট আকারে প্রকল্প করে দেখবো। গ্যাস হাইডেড নিয়েও কাজ করা দরকার। আমাদের পুরো সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে সমন্বিতভাবে কাজ করা দরকার। আমাদের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করার জন্য ব্লু ইকোনমি বিশাল ভূমিকা রাখতে পারে।

সম্মেলনে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিটের সচিব রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) খুরশেদ আলম।

খুরশেদ আলম বলেন, নানাবিধ সম্ভাবনা রয়েছে। এর মধ্যে মৎস্য আহরণ অন্যতম। গভীর সমুদ্রে মৎস্য আহরণে বাংলাদেশ ১৭টি প্রতিষ্ঠানকে লাইসেন্স দিয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কেউ জাহাজ নিয়ে আসেনি। সে কারণে বিশাল সম্ভাবনা থাকলেও গভীর সমুদ্রে মৎস্য আহরণ এখনো শুরু করা যায়নি। আমাদের সাগরে ৬০-৭০ কিলোগ্রাম ওজনের অনেক টুনা রয়েছে কিন্তু আমরা কাজ শুরু করতে পারিনি। এখানে অনেক কাজ করার সুযোগ রয়েছে।

তিনি বলেন, বিশ্বের ৩০-৩২ শতাংশ জ্বালানির জোগান আসে সাগরাঞ্চল থেকে। আমাদের সাগরে ১শ ৭ টিসিএফ গ্যাস হাইড্রেড রয়েছে; যদিও এগুলো উত্তোলনের কোনো প্রযুক্তি এখনো আসেনি।

ব্লু ইকোনমি নিয়ে গবেষণা ও উন্নয়ন বাড়ানো প্রয়োজন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব এনার্জির পরিচালক ড. এসএম নাফিস শামস বলেন, আমাদের অফশোর এলাকায় ৯.৬ গিগাওয়াট আওয়ার বায়ু বিদ্যুৎ উৎপাদন করার সুযোগ রয়েছে। একটি প্রাক-সমীক্ষা রিপোর্টে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন ভূঁইয়া বলেন, আমাদের উপকূলীয় এলাকায় মিঠা পানির সংকট রয়েছে। ইলেকট্রোম্যাগনেটিভ সার্ভেতে দেখা গেছে, সুন্দরবন এলাকায় বিশাল মিঠা পানির আধার রয়েছে, যা উপকূলীয় এলাকায় ৪৪ মিলিয়ন জনগণের মিঠা পানির সংকট দূর করতে পারে। কয়েক দশকের চাহিদা পূরণ করা সক্ষমতা রাখে ওই আধার।

সিসিসিসি সেকেন্ড হারবার কনসালট্যান্ট কোম্পানির প্রধান প্রকৌশলী ভাইস প্রেসিডেন্ট লিউ লিহুয়া বলেন, ভাসমান সৌর বিদ্যুৎ, বায়ু ও ওয়েভ থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে। জিয়াংজিং পোর্টের আদলে গ্রিন পোর্ট স্থাপনের মাধ্যমে অর্থনীতিতে বিশাল ভূমিকা রাখার সুযোগ রয়েছে। চীন এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী।

অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন বঙ্গবন্ধু মেরিটাইম ইউনির্ভাসিটির সাবেক ভিসি রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) খালেদ ইকবাল। বক্তব্য রাখেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আলী হোসেন।

;

লোকসান কাটিয়ে তিন কোটি টাকা নিট মুনাফা অর্জন রাকাব’র



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের লগো, ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের লগো, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক (রাকাব) অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের নজির স্থাপন করেছে। দীর্ঘ ৩৭ বছরের ২২৪ কোটি টাকার লোকসান কাটিয়ে ব্যাংকটি সম্প্রতি প্রায় তিন কোটি টাকা নিট মুনাফা অর্জন করেছে।

রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক (রাকাব) সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘ ৩৭ বছরের লোকসানের ধারা থেকে মুক্ত হয়ে ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে নিট মুনাফা অর্জন করেছে এবং সব আর্থিক সূচকে কাঙ্ক্ষিত সফলতা পেয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রদত্ত লক্ষ্যমাত্রাসমূহও শতভাগ অর্জিত হয়েছে ।

রাকাব বলছে, এই ব্যাংকটি মুনাফা অর্জনকারী স্বাবলম্বী প্রতিষ্ঠানে পরিণত করার লক্ষ্যে অর্থবছরের শুরুতেই ব্যাংক ব্যবস্থাপনায় সুপরিকল্পিত কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। এই পরিকল্পনার ভিত্তিতে টাইম বাউন্ড অ্যাকশন প্ল্যান প্রণয়ন এবং বাস্তবায়ন করা হয়। ফলস্বরূপ, ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের ২২৪.১৫ কোটি টাকার লোকসান কাটিয়ে ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে ২.৯৮ কোটি টাকা নিট মুনাফা অর্জিত হয়।

অর্থবছরের শেষে লোকসানি শাখার সংখ্যা ৬০ থেকে কমে ১২তে নেমে এসেছে। এছাড়া আমানতের স্থিতি পূর্ববর্তী বছরের ৬ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকা থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ৭ হাজার ১৮০ কোটি টাকায় উন্নীত হয়েছে। ঋণ স্থিতি ৭ হাজার ৫৮৭ কোটি টাকা থেকে বেড়ে ৭ হাজার ৮৩৭ কোটি টাকায় পৌঁছেছে। অন্যদিকে শ্রেণিকৃত ঋণের স্থিতি ১ হাজার ৪৩০ কোটি থেকে কমে ১ হাজার ২৪২ কোটি টাকায় এবং শ্রেণিকৃত ঋণের হার ১৯ শতাংশ থেকে কমে ১৬ শতাংশে নেমে এসেছে।

রাকাবের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিরঞ্জন চন্দ্র দেবনাথ বলেন, ধারাবাহিকভাবে রাকাবের ব্যবসায়িক পরিধি ব্যাপকভাবে প্রসারিত হচ্ছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ এবং বাংলাদেশ ব্যাংকসহ নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠানসমূহের সার্বিক সহযোগিতা এবং সবার সম্মিলিত আন্তরিক প্রচেষ্টা ও অকুণ্ঠ সমর্থনে আজন্ম ক্ষতির গ্লানি মোচন করে নিট মুনাফা অর্জন করেছে।

তিনি বলেন, প্রধান কার্যালয়সহ মাঠ পর্যায়ের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীর আন্তরিক প্রচেষ্টা এবং নিরলস পরিশ্রম রাকাবকে বদলে দেয়ার দৃঢ় প্রত্যয়, নিজস্ব উদ্ভাবিত পোর্টেবল বিজনেস ইন্টেলিজেন্স ‘রাকাব লেন্স’ এর সাহায্যে ব্যাংক ব্যবস্থাপনার প্রাত্যহিক হালনাগাদ তথ্য ভিত্তিক কঠোর মনিটরিং ও সুস্পষ্ট দিক-নির্দেশনার মাধ্যমে এই লালিত স্বপ্ন বাস্তবায়ন সম্ভব হয়েছে। আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর ব্যাংকিং সেবাসমূহ স্বল্প খরচে দ্রুততার সাথে গ্রাহকের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়ার মাধ্যমে নন-ফান্ডেড আয় বৃদ্ধি পেয়েছে। রাকাবের গ্রাহকগণ এখন ঘরে বসে ব্যাংক হিসাব খোলা, রাকাব মোবাইল অ্যাপ ও ইন্টারনেট ব্যাংকিঙের মাধ্যমে ফান্ড ট্রান্সফার, নেসকো এবং ওয়াসাসহ বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের বিল প্রদান, সকল মোবাইল অপারেটরে টপ-আপ, আরটিজিএস, বিইএফটিএনসহ আধুনিক সব ব্যাংকিং সেবা নির্বিঘ্নে গ্রহণ করছেন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, অর্থমন্ত্রী, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব, রাকাব পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান ও পরিচালকবৃন্দ, ব্যাংকের সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, আমানত ও ঋণ গ্রাহক, অংশীজন, শুভানুধ্যায়ীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন এবং সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় অগ্রগতির এই ধারা অব্যাহত রেখে আগামীতে রাকাবকে একটি মডেল ব্যাংক হিসেবে গড়ে তোলার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

;

সামুদ্রিক সম্পদ কাজে লাগাতে সমন্বিত উদ্যোগের বিকল্প নেই: স্পিকার



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, ছবি: সংগৃহীত

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সামুদ্রিক সম্পদকে কাজে লাগানোর ক্ষেত্রে সমন্বিত উদ্যোগের বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। 

তিনি বলেন, সমুদ্রের খনিজ ও প্রাণিজ সম্পদের পাশাপাশি উপকূলীয় এলাকায় নবায়নযোগ্য জ্বালানির সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করে দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নেয়ার সুযোগ রয়েছে। 

বুধবার (৩ জুলাই) পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের (জিইডি) আয়োজনে আন্তর্জাতিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, বেসরকারি খাত ও উন্নয়ন সহযোগীদের সমন্বয়ে টেকসই এ খাতের সম্ভাবনা কার্যকরভাবে কাজে লাগাতে হবে।

বাংলাদেশের সমুদ্র সম্পদের সঠিক ধারণা ও ব্যবহার নিশ্চিত করতে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এই আন্তর্জাতিক সন্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে।

স্পিকার বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন, সমুদ্র দূষণসহ নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।  টেকসই সমুদ্র সম্পদের সঠিক ব্যবহারে প্রয়োজনে আধুনিক প্রযুক্তি, ধারণা ও অভিজ্ঞতা বিনিময়েও গুরুত্ব আরোপ করেন তিনি।

বাংলাদেশের সমুদ্রের ইকো সিস্টেমের উন্নয়ন ও টেকসই ব্যবস্থাপনায় সংশ্লিষ্ট সবার সহায়তা কামনা করেন স্পিকার।

এ সময় তিনি বলেন, মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দরের কাজ শেষ হলে এটি দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর জন্য বাণিজ্যের হাবে পরিণত হবে। পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপের মাধ্যমে নীল অর্থনীতির সম্ভাবনা কাজে লাগানো যেতে পারে।

সমুদ্রের টেকসই ব্যবহার নিশ্চিত করতে অতিমাত্রায় মৎস্য আহরণ, জনসংখ্যা বৃদ্ধি এবং জলববায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের (জিইডি) সদস্য (সচিব) ড. কাওসার আহমেদের সভাপতিত্বে সম্মেলনের উদ্বোধনী পর্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী আব্দুস সালাম।

তিনি বলেন, বেসরকারি খাত ও গবেষকদের সমন্বয়ে সরকারের দেশের সমুদ্র সম্পদকে টেকসইভাবে কাজে লাগানোর সুযোগ রয়েছে।

টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে ব্লু ইকোনমি কাজে লাগানোর বিকল্প নেই মন্তব্য করে তিনি বলেন, এটি অর্থনীতির লাইফলাইনে পরিণত হতে পারে।

সমুদ্র অর্থনীতি নিয়ে আরও গবেষণার তাগিদ দিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশ বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে। সমুদ্রকে কাজে লাগিয়ে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক পর্যটন শিল্প গড়ে তোলার কাজ চলছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

অনুষ্ঠানে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী মো. শহীদুজ্জামান সরকার, মন্ত্রী পরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) ভাইস প্রেসিডেন্ট ইংমিং ইয়ংএডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টও এডিমন গিন্টিং বক্তব্য রাখেন।

আমাদানি রফতানি বাণিজ্য সম্প্রসারণে সমুদ্র পরিবহন ব্যাপক ভূমিকা রাখছে বলে অনুষ্ঠানে মন্তব্য করেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শহীদুজ্জামান সরকার।

তিনি বলেন, সমুদ্র অর্থনীতির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য টেকসই সমুদ্র নিশ্চিত করা হবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসাইন বলেন, ডেল্টা পরিকল্পনা ২১০০ বাস্তবায়নের মাধ্যমে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা শক্তিশালী করার পাশাপাশি সমুদ্রকে কাজে লাগাতে বন্দরসহ বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণ করে চলেছে সরকার।

মৎস্য আহরণ, খনিজ সম্পদের সম্ভাবনা, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং পর্যটনসহ বিভিন্ন বিষয়ে বাংলাদেশের সমুদ্র অঞ্চল অনেক সম্ভাবনাময় দাবি করে তিনি বলেন, এই সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর উদ্যোগ বাস্তবায়ন হচ্ছে। বাংলাদেশ টেকসই অর্থনতির জন্য সুনীল অর্থনীতির বিকল্প নেই মন্তব্য করে এ খাতে আর্থিক ও কারিগরি সহায়তা দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন এডিবির ভাইস প্রেসিডেন্ট ।

দিনব্যাপী সম্মেলনের বিভিন্ন অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমানসহ নীতি নির্ধারক ও দেশি ও বিদেশি বিশেষজ্ঞরা বক্তব্য রাখেন।

;

নারী উদ্যোক্তাদের উন্নয়নে এবি ব্যাংকের প্রশিক্ষণ কর্মশালা



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
নারী উদ্যোক্তাদের উন্নয়নে এবি ব্যাংকের প্রশিক্ষণ কর্মশালা

নারী উদ্যোক্তাদের উন্নয়নে এবি ব্যাংকের প্রশিক্ষণ কর্মশালা

  • Font increase
  • Font Decrease

নারী উদ্যোক্তাদের ব্যবসায়িক কর্মদক্ষতা উন্নয়নে বরিশালে দিনব্যাপী এক প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করেছে এবি ব্যাংক পিএলসি।

বুধবার (৩ জুলাই) এ প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করা হয়।

প্রশিক্ষণ কর্মশালা শেষে নারী উদ্যোক্তাগণের মাঝে সনদ ও স্মার্ট কার্ডের মাধ্যমে সহজ ঋণ- স্মরণে বঙ্গবন্ধু বিতরণ করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব মোঃ আব্দুল মান্নান, নির্বাহী পরিচালক, বাংলাদেশ ব্যাংক, বরিশাল কার্যালয় এবং অনুষ্ঠানটির সভাপতিত্ব করেন জনাব তারিক আফজাল, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, এবি ব্যাংক পিএলসি।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ ও এজেন্টগণ।

;