দৈনিক ভিত্তিতে তারল্যের জোগান অব্যাহত থাকবে

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে বাণিজ্যিক ব্যাংক ও ফাইন্যান্স কোম্পানিগুলোয় তারল্যের জোগান দেওয়ার রেপো নিলাম অনুষ্ঠান কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে ব্যাংক ও ফাইন্যান্স কোম্পানিগুলোকে জরুরি প্রয়োজনে তারল্যের জোগান দিতে আগের মতো এখনো দৈনিক ভিত্তিতে প্রচলিত তৎক্ষণিক ঋণ সুবিধা ও তাৎক্ষণিক আমানত সুবিধা অব্যাহত থাকবে। এসব উপকরণ ব্যবহার করে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ঋণ ও আমানত সুবিধা নিতে পারবে।

এ বিষয়ে সোমবার (১ জুলাই) কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে একটি সার্কুলার জারি করে বাণিজ্যিক ব্যাংক ও ফাইন্যান্স কোম্পানিগুলোর প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়েছে। এ নির্দেশনা অবিলম্বে কার্যকর হবে।

বিজ্ঞাপন

এর আগে রবিবার কেন্দ্রীয় ব্যাংক এক সার্কুলার জারি করে ব্যাংকগুলোকে তারল্যের জোগান দিতে রেপো সুবিধা প্রতি কার্যদিবসের পরিবর্তে সপ্তাহে দুইদিন অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত নেয়। প্রতি সোম ও বুধবার এ নিলাম অনুষ্ঠিত হবে। ওই দুইদিনের কোনোদিন সরকারি ছুটি থাকলে পরবর্তী কার্যদিবসে নিলাম অনুষ্ঠিত হবে।

এ সিদ্ধান্তের পর ব্যাংক ও ফাইন্যান্স কোম্পানিগুলোর মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। বিশেষ করে জরুরি প্রয়োজনে তারল্যের জোগান নিয়ে তারা চিন্তিত হয়ে পড়ে। কারণ, ব্যাংকগুলোর প্রায় প্রতিদিনই টাকার প্রয়োজন। সেখানে দুইদিন দিলে তারা সমস্যায় পড়বেন। বিষয়টি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নজরে আনা হলে তারা দিনের শেষে নতুন নির্দেশনা জারি করে।

বিজ্ঞাপন

সূত্র জানায়, ব্যাংক ও ফাইন্যান্স কোম্পানিগুলোকে জরুরি ভিত্তিতে তারল্যের জোগান দিতে তৎক্ষণিক ঋণ সুবিধা ও তাৎক্ষণিক আমানত সুবিধা- এ দুটি উপকরণ আগে থেকেই চালু আছে। এর নিলামও প্রতিদিন অনুষ্ঠিত হওয়ার সুযোগ রয়েছে। তবে এর ব্যবহার কম হতো।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকও এ দুটি উপকরণ ব্যবহার করে তারল্যের জোগান কম দিত। এখন আইএমএফের শর্তের কারণে রেপো সুবিধা কমাতে হয়েছে। যে কারণে তৎক্ষণিক ঋণ সুবিধা ও তাৎক্ষণিক আমানত সুবিধা উপকরণ দুটিকে এখন আবার সক্রিয় করা হবে।

ব্যাংকগুলো চাইলে প্রতিদিন এসব উপকরণ ব্যবহার করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে তারল্য সুবিধা নিতে পারবে।

ব্যাংক ও ফাইন্যান্স কোম্পানিগুলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে নিলামের মাধ্যমে প্রতি সপ্তাহে সরকারি খাতের বিভিন্ন বিল ও বন্ড কিনে। এগুলো থেকে পাওয়া অর্থ কেন্দ্রীয় ব্যাংক সরকারকে ঋণ হিসাবে জোগান দেয়।

কোনো কারণে ব্যাংক ফাইন্যান্স কোম্পানির জরুরি ভিত্তিতে অর্থের প্রয়োজন হলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে ওইসব ট্রেজারি বিল বা বন্ড পুনরায় বিক্রি বা বন্ধক রেখে ঋণ দিতে পারে। একে বলা হয় রেপো। রেপোর মাধ্যমে আগে ব্যাংক ও ফাইন্যান্স কোম্পানিগুলো সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসেই ঋণ দিতে পারত।

এখন থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক রেপোর সুবিধা প্রতিদিন না দিয়ে সপ্তাহে দুই দিন অর্থাৎ সোমবার ও বুধবার দেবে। ফলে ব্যাংকগুলোকে ওই দুইদিনেই কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে তারল্য সহায়তা নিতে হবে।

এর বাইরে অন্য সময় জরুরি অর্থের প্রয়োজন হলে কলমানি মার্কেট বা অন্য ব্যাংক থেকে ধার করতে হবে। এছাড়া সেকেন্ডারি বন্ড মার্কেট থেকেও ধার করতে পারবে।

তবে সেকেন্ডারি বন্ড মার্কেট সক্রিয় নয়। অন্য ব্যাংকে তারল্য সংকট থাকায় কলমানিতে লেনদেন কমে গেছে। স্বল্প ও মেয়াদি ধারও কমেছে। এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে তহবিল ব্যবস্থাপনায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক আগের দুটি উপকরণকে আরও বেশি সক্রিয় করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।