সবজির দাম কমলেও মাছের বাজারে নাকাল ক্রেতারা

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

সবজির দাম কমলেও মাছের বাজারে নাকাল ক্রেতারা। ছবি- বার্তা২৪.কম

সবজির দাম কমলেও মাছের বাজারে নাকাল ক্রেতারা। ছবি- বার্তা২৪.কম

সরকার পরিবর্তনের পর কমতে শুরু করে বিভিন্ন নিত্যপণ্যের বাজার দর। সবজির বাজারেও ফেরে স্বস্তি। তবে এখনও ধরাছোঁয়ার বাহিরে মাছের দাম। ফলে ক্রেতাদের মধ্যে বাড়ছে অসন্তোষ।

ক্রেতারা বলছেন, মাছ ‍কিনতে গেলে গুণতে হচ্ছে হাজার টাকা। এত বেশি দামে মাছ কেনা সম্ভব না হওয়ায় ভরসা রাখতে হচ্ছে শাক-সবজিতেই।

বিজ্ঞাপন

শুক্রবার (৩০ আগস্ট) রাজধানীর খিলগাঁও এলাকার সিপাহীবাগ বাজারে ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, কাঁচা শাক-সবজির মধ্যে পুইশাক প্রতি মুঠো ২০ টাকা, কলমি শাক ১০ টাকা, ডাটা শাক ১৫ টাকা, মুলা শাক ১৫ টাকা, বেগুন আকারভেদে প্রতি কেজি ৬০ থেকে ৮০ টাকা, বেন্টি ৪০ থেকে ৬০ টাকা, পেপে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০ টাকা, শশা ৬০ টাকা, বরবটি ১০০ টাকা, কাঁচামরিচ ২৪০ থেকে ২৮০ টাকা, টমেটো ১৬০ টাকা, লাউ ৮০ টাকা, পটল ৫০ টাকা, গাজর ১৬০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, কুমড়া ৫০ টাকা ও ফুলকপি ৩০ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

মাছ বাজার ঘুরে দেখা যায় ভিন্ন চিত্র। এখনো জনসাধারণের সাধ্যের বাইরে রয়েছে মাছের দাম। দেশি কৈ মাছ প্রতি কেজি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা, হাইব্রিড কৈ মাছ ২০০ থেকে ২৪০ টাকা, কাতলা ৪০০ থেকে ৪২০ টাকা, শিং ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা, রুই ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা, সরপুঁটি ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা, পাবদা ৪৫০ থেকে ৬০০ টাকা ও তেলাপিয়া ২২০ থেকে ২৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া প্রতি কেজি আলু ৬০ টাকা, পেয়াজ ১২০ টাকা, রসুন ২২০ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে। ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা, পাকিস্তানি মুরগি ২৮০ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা যায়।

সবজির দাম কমায় স্বস্তিতে ক্রেতারা। ছবি: বার্তা২৪.কম

সবজির দাম কমায় সন্তোষ থাকলেও মাছের অতিরিক্ত দামের কারণে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাধারণ মানুষ। ক্রেতারা জানান, সবজির দাম সাধ্যের মধ্যে থাকলেও এখনো মাছের দাম ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছে।

আরমান নামের এক ক্রেতা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, শাক-সবজির দাম কিছুটা কমেছে। কিন্তু মাছের গায়ে হাতই দেয়া যায়না! এত বেশি দাম হলে মাছ কেনা অসম্ভব হয়ে পড়বে। বাজার করার জন্য এক হাজার টাকা নিয়ে আসলে শুধু মাছ কেনার পেছনে সব টাকা খরচ হয়ে যায়। পরবর্তীতে অন্যান্য জিনিস আর কিনতে পারিনা।

এদিকে সরকার পতনের পর এখন আর কোনো চাঁদা দেওয়া লাগেনা বলে জানিয়েছেন শাক-সবজি ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন, আগে আমরা শাক-সবজি নিয়ে আসার সময় চাঁদা দেওয়া লাগতো। এখন আর চাঁদা দেওয়া লাগেনা। সেজন্য শাক-সবজি কম দামে বিক্রি করলেও আমাদের লাভ থাকে।