ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে ২০ লাখ টাকা পেলেন ফেনীর তারেক
ফেনী শহরের ধলিয়া এলাকায় বাবা-মা ও তিন বোন নিয়ে বসবাস করেন সিএনজি অটোরিকশা চালক তারেক হোসেন। মা ফরিদা আক্তারের শখ ঘরে একটা ফ্রিজ আনার। মায়ের শখ পূরণ করতে জমানো ২৯ হাজার ৩০০ টাকা দিয়ে ওয়ালটন ব্র্যান্ডের একটি ফ্রিজ কেনেন তারেক। এতেই বদলে যায় তার ভাগ্য।
ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে ‘ডাবল মিলিয়ন’ অফারের আওতায় তিনি পেয়েছেন ২০ লাখ টাকা। এর আগে ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে ২০ লাখ টাকা পেয়েছেন দিনাজপুরের রানা ইসলাম ও মেহেরপুরের কলেজ শিক্ষার্থী রাশেদ আলী।
সম্প্রতি ফেনীর ওয়াপদা মাঠে আয়োজিত এক জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানে তারেক হোসেনের হাতে ২০ লাখ টাকার চেক তুলে দেন ওয়ালটনের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ও জনপ্রিয় চিত্রনায়ক আমিন খান। এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটনের ডেপুটি চিফ মার্কেটিং অফিসার জোহেব আহমেদ, মিরাক্কেল খ্যাত কৌতুক অভিনেতা আবু হেনা রনি, সাপ্তাহিক মুহুরী পত্রিকার সম্পাদক ফজলুর রহমান বকুল, স্থানীয় বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন পাটোয়ারী, জাফর উদ্দীন ও গিয়াস উদ্দিন হেলাল, ওয়ালটন প্লাজার (ওয়েস্ট) চিফ সেলস এক্সিকিউটিভ ওয়াহিদুজ্জামান তানভীর ও আরিফুল ইসলাম (ইস্ট) সহ প্রতিষ্ঠানটির ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তাগণ।
উল্লেখ্য, গত ১০ অক্টোবর থেকে সারাদেশে চলছে ওয়ালটনের ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-২১। এই সিজনে ঘোষিত ‘ডাবল মিলিয়ন’ অফারে দেশের যে কোনো ওয়ালটন প্লাজা, পরিবেশক শোরুম ও অনলাইন সেলস প্ল্যাটফর্ম ‘ই-প্লাজা’ থেকে ফ্রিজ, টিভি, ওয়াশিং মেশিন অথবা বিএলডিসি ফ্যান কিনে ক্রেতারা ২০ লাখ টাকা পাওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন। এছাড়া রয়েছে কোটি কোটি টাকার নিশ্চিত ক্যাশ ভাউচার।
সিজন-২১ এর আওতায় গত ১৯ নভেম্বর ফেনীর শহীদ শহীদুল্লাহ কায়সার সড়কের ওয়ালটন প্লাজা থেকে ফ্রিজ কেনেন তারেক হোসেন। কেনার পর তার নাম, মোবাইল নম্বর এবং ক্রয়কৃত ফ্রিজটির ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন করা হয়। এর কিছুক্ষণ পরই ওয়ালটন কোম্পানির কাছ থেকে তার মোবাইল নম্বরে ২০ লাখ টাকা উপহার পাওয়ার একটি এসএমএস আসে।
তিনি বলেন, একটি ফ্রিজ কিনে ২০ লাখ পেয়েছি তা যেন বিশ্বাস হচ্ছিল না। এ অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। ওয়ালটন থেকে পাওয়া টাকায় পরিবারকে স্বাবলম্বী করার চেষ্টা করবো। আমি ওয়ালটন পরিবারের কাছে কৃতজ্ঞ।
অনুষ্ঠানে চিত্রনায়ক আমিন খান বলেন, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে ওয়ালটন দেশের মানুষের জন্য কাজ করে আসছে। মানুষ যেন সাধ্যের মধ্যে ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী ব্যবহার করতে পারে সেজন্যে কাজ করছে ওয়ালটন। শুধু ব্যবসায়ই নয়; বিভিন্ন ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নেও কাজ করছে দেশীয় এই প্রতিষ্ঠানটি।