তিতাস অধিভুক্ত এলাকায় গ্যাস সংকটের শঙ্কা
বিবিয়ানা ও তিতাস গ্যাস ফিল্ডের জরুরি রক্ষণাবেক্ষণ কাজের জন্য কয়েকদিন গ্যাস উৎপাদন কিছুটা হ্রাস পাবে। সে কারণে তিতাস গ্যাস অধিভুক্ত কোনো কোনো এলাকায় গ্যাসের স্বল্পচাপ বিরাজ করতে পারে বলে জানিয়েছে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি।
শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ। তবে কবে নাগাদ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে পারে সে বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি।
বিজ্ঞপ্তিতে গ্রাহকবৃন্দের সাময়িক অসুবিধার জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ।
এক সময় দেশীয় গ্যাস ফিল্ডগুলো থেকে দৈনিক ২৮০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়া যেতো। বর্তমান কমবেশি ১৯০০ মিলিয়ন ঘনফুট উৎপাদন হয়েছে। দেশীয় উৎসের ৫০ শতাংশ জোগান আসছে বিবিয়ানা গ্যাস ফিল্ড থেকে। এক সময় ১৩৫০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদিত হলেও ১১ ডিসেম্বর পাওয়া গেছে মাত্র ৯৮৪ মিলিয়ন ঘনফুট।
পেট্রোবাংলা সূত্র জানিয়েছে, প্রতিশ্রুত গ্রাহকের দৈনিক চাহিদা প্রায় ৫ হাজারের মিলিয়ন ঘনফুটের মতো। সব গ্রাহক যেহেতু একসঙ্গে ব্যবহার করে না, তাই দৈনিক প্রায় ৪ হাজার মিলিয়ন চাহিদা বিবেচনা করা হয়। এর বিপরীতে ১১ ডিসেম্বর ২৭৮৬ মিলিয়ন ঘনফুটের সরবরাহ দেওয়া হয়েছে।
গ্যাসের ঘাটতি মোকাবিলায় ২০১৮ সাল থেকে এলএনজি আমদানি শুরু করা হয়। চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত ৪২৯ কার্গো (১ কার্গো= ৬১ হাজার ৫০০ মে. টন) এলএনজি আমদানি করা হয়েছে। এরমধ্যে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির আওতায় কাতার থেকে ২৪৪ কার্গো, ওকিউ ট্রেডিং লিমিটেড ওমান থেকে ১১৬ কার্গো এবং স্পর্ট মার্কেট থেকে ৬৯ কার্গো আমদানি করা হয়েছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম ৩ মাসে ১৯ কার্গো আমদানি করা হয়েছে। এরমধ্যে স্পর্ট মার্কেট থেকে মাত্র ২ কার্গো।
২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে খোলাবাজার থেকেও এলএনজি আমদানি শুরু করা হয়। তখন ৬ থেকে ৭ ডলারে পাওয়া যেতো প্রতি ইউনিট (এমএমবিটিইউ) এলএনজি। ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে সেই এলএনজির দাম ৬২ ডলারে গিয়ে ঠেকে। দাম বেড়ে যাওয়ায় ২০২৩ সালের আগস্টে খোলা বাজার থেকে এলএনজি আমদানি সাময়িকভাবে বন্ধ করে বাংলাদেশ। বর্তমানে কমবেশি ১৫ ডলার খরচ পড়ছে এলএনজি আমদানিতে। চলতি মাসের শেষ এবং জানুয়ারির প্রথমার্ধের জন্য তিন দফার দরপত্র আহ্বান করা হলেও উপযুক্ত দরদাতা পাওয়া যায়নি। যে কারণে পুনরায় দরপত্র আহ্বান করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে পেট্রোবাংলা।