মেগা প্রকল্পে বড় ঋণ নিতে বাড়তি অনুমোদন লাগবে না



আসিফ শওকত কল্লোল, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নিয়ম অনুযায়ী সরকারের অগ্রাধিকার পাওয়া মেগা প্রকল্পগুলোর জন্য বড় অঙ্কের ঋণ নিতে হলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমোদন প্রয়োজন হয়। কিন্তু এখন থেকে বড় অঙ্কের ঋণ পেতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বাড়তি অনুমোদন লাগবে না। ব্যাংক ও গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে এই ঋণ নেওয়া যাবে। বাংলাদেশ ব্যাংক এ বিষয়ে নতুন নীতিমালা করার উদ্যোগ নিয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

গত ডিসেম্বর পর্যন্ত ব্যাংকগুলো তারল্য সংকটের কারণে চাহিদা অনুযায়ী কৃষি ঋণ বিতরণ করতে পারেনি। বেসরকারি খাতেও ঋণের প্রবাহ কমে গেছে। এ অবস্থায় বড় প্রকল্পে বেশি ঋণের যোগান দিলে বেসরকারি খাতে ঋণের সংকট দেখা দেবে। তখন বেসরকারি খাতের বিকাশ বাধাগ্রস্ত হবে।

সূত্রে আরও জানা যায়, ব্যাংকিং খাতে নীতিনির্ধারণী বিষয়গুলো নিয়ে সৃষ্ট সমস্যা চিহ্নিত করে সেগুলো সমাধানের লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবৃদ্ধি ও নীতি বিভাগের মহাব্যবস্থাপক একেএম আমজাদ হোসেনের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে একই বিভাগের কর্মকর্তারা আছেন। ওই কমিটি অন্যান্য বিষয়ের সঙ্গে অগ্রাধিকার পাওয়া বড় প্রকল্পগুলোর চাহিদা অনুযায়ী সহজে ঋণ পাওয়ার বিষয়ে সুপারিশ করবে। এর আলোকে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সরকারের অগ্রাধিকার পাওয়া বড় প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করতে বড় অঙ্কের ঋণের প্রয়োজন। এছাড়া বিদেশ থেকে এসব প্রকল্পের যন্ত্রপাতি ও কাঁচামাল আমদানি করতে বড় অঙ্কের ঋণপত্রও খুলতে হচ্ছে। কিন্তু বড় অঙ্কের ঋণের ক্ষেত্রে আইনগত বাধার কারণে ওইসব প্রকল্পে চাহিদা অনুযায়ী ঋণের যোগান দেয়া সম্ভব হচ্ছে না।

মেগা প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে- পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, পদ্মা সেতুতে রেল সংযোগ প্রকল্প, দোহাজারী থেকে ঘুনধুম পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণ, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, মাতারবাড়ী কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, এলএনজি টার্মিনাল, রামপাল থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্ট, পায়রা গভীর সমুদ্রবন্দর এবং সোনাদিয়া গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ প্রকল্প।

ব্যাংক কোম্পানি আইন-১৯৯১ এর ২৬ অনুচ্ছেদের (খ) ধারা অনুযায়ী, কোনো একক শিল্প গ্রুপ বা প্রতিষ্ঠানকে কোনো ব্যাংক তাদের মূলধনের ২৫ শতাংশের বেশি ঋণ দিতে পারে না। এর মধ্যে ১৫ শতাংশ নগদ আকারে এবং বাকি ১০ শতাংশ পরোক্ষ ঋণ হিসেবে (ঋণপত্র, ব্যাংক গ্যারান্টি এসব খাতে)। এর বেশি ঋণ দিতে পারে না।

এ হিসেবে উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, কোনো ব্যাংকের মূলধন ৪০০ কোটি টাকা থাকলে তারা একক কোনো কোম্পানিকে ১০০ কোটি টাকার বেশি ঋণ দিতে পারে না। এছাড়া খেলাপি ঋণের হার বেশি থাকলে এর চেয়ে আরও কম ঋণ নিতে পারবে। মূলধন কম থাকলে ঋণের বিতরণের ক্ষমতা আরও কমে যায়।

এছাড়া গত বছর ব্যাংকগুলো আগ্রাসী ভিত্তিতে ঋণ বিতরণ করায় এখন পর্যন্ত ১৭টি ব্যাংক আমানত ও ঋণসীমা নির্ধারিত হারের মধ্যে নামাতে পারেনি। ফলে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলো এখন বড় অঙ্কের ঋণ দিতে পারছে না। উপরন্তু ব্যাংকগুলোতে তারল্য সংকটতো আছেই। এসব মিলে সরকারের অগ্রাধিকার পাওয়া বড় প্রকল্পগুলো ব্যাংক থেকে চাহিদা অনুযায়ী ঋণ পাচ্ছে না। এতে প্রকল্প বাস্তবায়ন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

   

বেড়েছে রেমিট্যান্স প্রবাহ, ২৪ দিনে এলো ১৭৯ কোটি ডলার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
২৪ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১৭৯ কোটি ডলার

২৪ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১৭৯ কোটি ডলার

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশে চলতি মাসের প্রথম ২৪ দিনে প্রবাসী আয় এসেছে ১৭৮ কোটি ৯৭ লাখ মার্কিন ডলার। গত এপ্রিলের প্রথম ২৪ দিনে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৫৫ কোটি ২৮ লাখ মার্কিন ডলার। সে হিসেবে চলতি মাসে বেড়েছে রেমিট্যান্স প্রবাহ।

রোববার (২৬ মে) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

এতে বলা হয়, মে মাসের প্রথম ২৪ দিনে দেশে এসেছে ১৭৮ কোটি ৯৭ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার। এই হিসাবে প্রতিদিন দেশে রেমিট্যান্স এসেছে গড়ে ৭ কোটি ৪৬ লাখ ডলার। গত এপ্রিলের প্রথম ২৪ দিনে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৫৫ কোটি ২৮ লাখ মার্কিন ডলার। সে হিসেবে চলতি মাসে রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, চলতি মাসে ২০০ কোটি ডলার ছুঁতে পারে দেশের প্রবাসী আয়। মূলত আসন্ন কোরবানিকে ঘিরে বাড়ছে রেমিট্যান্স পাঠানোর প্রবণতা।

এদিকে চলতি বছরের মে মাসের প্রথম ২৪ দিনে রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে ১৯ কোটি ১২ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার। এছাড়া বিশেষায়িত ব্যাংকের মাধ্যমে ৮৫ লাখ ২০ হাজার ডলার, বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে ১৫৮ কোটি ৪০ লাখ ৪০ হাজার ডলার ও বিদেশি খাতের ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৫৯ লাখ ডলার।

এর আগে, চলতি বছরের জানুয়ারিতে ২১০ কোটি ডলার, ফেব্রুয়া‌রি‌তে ২১৬ কো‌টি ৬০ লাখ ডলার, মার্চে ১৯৯ কোটি ৬৮ লাখ ডলার এবং এপ্রিল মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ২০৪ কোটি ৩০ লাখ ৬০ হাজার ডলার।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যমতে, ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে প্রবাসীরা ১৯৫ কোটি ৮৮ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন। এ ছাড়া ফেব্রুয়ারিতে ১৫৬ কোটি ডলার, মার্চে ২০২ কোটি, এপ্রিলে ১৬৮ কোটি, মে মাসে ১৬৯ কোটি, জুনে ২২০ কোটি, জুলাইয়ে ১৯৭ কোটি, আগস্টে ১৫৯ কোটি ৯৪ লাখ, সেপ্টেম্বর মাসে ১৩৩ কোটি, অক্টোবরে ১৯৭ কোটি, নভেম্বর ১৯৩ কোটি ডলার এবং ডিসেম্বরে এসেছিল ১৯৯ কোটি ডলার রেমিট্যান্স।

;

রিমালের কারণে জ্বালানি তেলবাহী জাহাজ গভীর সমুদ্রে প্রেরণ

  ঘূর্ণিঝড় রিমাল



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঘূর্ণিঝড় রিমালের কারণে জ্বালানি তেলবাহী দুটি জাহাজ গভীর সমুদ্রে প্রেরণ করা হয়েছে। অন্যদিকে ঝড়ের গতিপথ কিছুটা পরিবর্তন করায় রোববার (২৬ মে) বিকেল ৪টায় এফএসআরইউ (ফ্লোটিং গ্যাস রিগ্যাসিফিকেশন ইউনিট) দুটি থেকে গ্যাস সরবরাহ শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, রাতের মধ্যেই ১০০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা সম্ভব হবে। অভ্যন্তরীণ নৌরুটে তেল পরিবহণ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় 'রিমাল' হতে উদ্ভুত দুর্যোগ পরিস্থিতি মোকাবিলার লক্ষ্যে (ভূমিধস ও ভূমিকম্প বিষয়ে) ঘূর্ণিঝড় কবলিত জেলা ও উপজেলা বিশেষ করে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ি জেলাসমূহের বাংলাদেশ ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদফতরের নিম্নলিখিত নম্বরে যোগাযোগের অনুরোধ করা হয়েছে (০১৭১২-৮১১২৫২, ০১৭১৫-৮২১৮০২, ০১৯১২-৬৭৫১৮০, ০১৭১৭-২৯৩৪১১, ০১৭২৬-৭০৬৭৫৫, ০১৫৫২৪৪৭০৯৩)।

বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (বাপবিবো) ও ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির (ওজোপাডিকো) খুলনা এবং বরিশাল অঞ্চলে কোন পদ খালি থাকলে দ্রুত একজন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব প্রদান, বিদ্যুৎ সংযোগ যথাসময়ে বিচ্ছিন্ন করা, খুলনা এবং বরিশাল অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড় রিমালের কারণে বাপবিবো ও ওজোপাডিকো'র কর্মকর্তা/কর্মচারীর ছুটি প্রয়োজনে বাতিল, সরকারের উন্নয়নমূলক কাজগুলো ঘূর্ণিঝড় রিমালের অভিঘাত থেকে রক্ষা করা, বাপবিবো ও ওজোপাডিকো'র খুলনা এবং বরিশাল অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড় রিমাল বিষয়ক কাজে সাপোর্ট দেয়ার জন্য অতিরিক্ত জনবল প্রস্তুত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ঝড় বা অন্য কারণে বিচ্ছিন্ন লাইন যাতে কেউ স্পর্শ না করে সে ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে এবং ছেঁড়া বৈদ্যুতিক তার দেখলে অতি দ্রুত নিকটবর্তী বিদ্যুৎ অফিসে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হয়েছে।

এছাড়াও বিদ্যুৎ সংক্রান্ত যে কোন প্রয়োজনে ১৬৯৯৯ নম্বরে যোগাযোগ করা, পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের সেন্ট্রাল কন্ট্রোল রুম (০১৭৯২-৬২৩৪৬৭, ০২-৮৯০০৫৭৫), ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির বরিশাল অঞ্চলের ০১৭১৩-৮৫০২১৮, খুলনা অঞ্চলের ০১৭১৩-৮৫০২১১, পটুয়াখালী অঞ্চলের ০১৭১৩-৮৫০২১৯ নম্বর সার্বক্ষণিক খোলা থাকছে বলে জানানো হয়েছে।

;

ইসলামী ব্যাংকে শরী‘আহ পরিপালন বিষয়ক ওয়েবিনার অনুষ্ঠিত



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির ঢাকা সেন্ট্রাল, নর্থ, সাউথ ও ইস্ট জোনের ব্যাংকিং কার্যক্রমে শরী‘আহ পরিপালন শীর্ষক ওয়েবিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (২৫ মে) এই ওয়েবিনার অনুষ্ঠিত হয়। ব্যাংকের রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মোহাম্মদ সালেহ জহুর ওয়েবিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ম্যানেজিং ডাইরেক্টর (চলতি দায়িত্ব) মুহাম্মদ কায়সার আলী।

ব্যাংকের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ঢাকা সেন্ট্রাল জোনপ্রধান মাহমুদুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য দেন ব্যাংকের শরী‘আহ সুপারভাইজরি কমিটির সদস্য ড. মানজুরে ইলাহী।

মূল বিষয়ের ওপর আলোচনা করেন শরী‘আহ সেক্রেটারিয়েট-এর সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. শামসুদ্দোহা। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ঢাকা সাউথ জোনপ্রধান শিকদার মো. শিহাবুদ্দিন। জোনসমূহের অধীন বিভিন্ন শাখার নির্বাহী ও কর্মকর্তাগণ ওয়েবিনারে অংশগ্রহণ করেন।

;

পুঁজিবাজারের মূলধন শিল্পায়নে বিনিয়োগের আহ্বান এফবিসিসিআই'র



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পুঁজিবাজারের মূলধন শিল্পায়নে বিনিয়োগ করতে সরকারি, বেসরকারি কোম্পানি ও শিল্পমালিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন শীর্ষ বাণিজ্য সংগঠন এফবিসিসিআই'র সভাপতি মাহবুবুল আলম।

রোববার (২৬ মে) সকালে পুঁজিবাজার ও বন্ড বিষয়ক এফবিসিসিআইর স্ট্যান্ডিং কমিটির এক সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নিয়ে এ আহ্বান জানান এফবিসিসিআই সভাপতি।

তিনি বলেন, দেশের পুঁজিবাজারকে শক্তিশালী করতে শিল্পায়নে বিনিয়োগের কোনো বিকল্প নেই। শিল্প মালিকদের জন্যও এটি তুলনামূলক সহজ। কিন্তু দুঃখের বিষয়, অল্পসংখ্যক বড় কোম্পানি পুঁজিবাজারে এসেছে। এসময় দেশ-বিদেশের শীর্ষ কোম্পানিগুলোকে পুঁজিবাজারে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের জন্য নিরাপদ এক্সিট সুবিধা থাকা জরুরি বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

পুঁজিবাজার উন্নত হলে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ বা এফডিআই বাড়ে উল্লেখ করে এফবিসিসিআই সভাপতি পুঁজিবাজার ও বন্ড মার্কেটের উন্নয়নে সব স্টেকহোল্ডারদের নিয়ে একসাথে কাজ করার আহ্বান জানান। এসময় এই বিষয়ে এফবিসিসিআইতে মতবিনিময় সভা আয়োজনেরও পরামর্শ দেন তিনি।

সভাপতির বক্তব্যে কমিটির চেয়ারম্যান ও এফবিসিসিআইর সাবেক পরিচালক আসিফ ইব্রাহীম বলেন, এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন, স্মার্ট বাংলাদেশসহ রূপকল্প-২০৪১ এর লক্ষ্যগুলো অর্জনে পুঁজিবাজার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। তবে দেশের মোট বাজারের তুলনায় পুঁজিবাজার অনেক পিছিয়ে রয়েছে। ব্যাংক নির্ভরতা কমিয়ে একটি শক্তিশালী পুঁজিবাজার ও বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠায় সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

এফবিসিসিআইর সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি ও স্ট্যান্ডিং কমিটির ডিরেক্টর ইন-চার্জ মুনতাকিম আশরাফ বলেন, পুঁজিবাজারে ছোট বিনিয়োগকারীদের তুলনায় বড় বিনিয়োগকারীদের সংখ্যা অনেক কম। এই অবস্থার উন্নয়ন ঘটাতে হবে। তবে বিনিয়োগকারীদের নিরাপদ এক্সিট ব্যবস্থা নিশ্চিত করা জরুরি। পুঁজিবাজার ও বন্ড মার্কেটের উন্নয়নে গণমাধ্যমের সহযোগিতা বড় ভূমিকা পালন করতে পারে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

সভায় আরও বক্তব্য রাখেন এফবিসিসিআইর মহাসচিব মো. আলমগীর, সাবেক পরিচালক আক্কাস মাহমুদসহ কমিটির কো-চেয়ারম্যান ও সদস্যরা। উন্মুক্ত আলোচনায় অংশ নিয়ে বক্তারা বলেন, দেশে পুঁজিবাজার ও বন্ড মার্কেটের আকার বড় হওয়া দরকার। এজন্য বিনিয়োগকারীদের উৎসাহিত করা ও জণসচেতনতা বাড়ানোর পাশাপাশি স্টক এক্সেঞ্জগুলোকে সহজ নিয়ম নীতি প্রদান করা দরকার। এছাড়া সার্বিকভাবে প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতা চান ব্যবসায়ীরা।

;