৩ লাখ গ্রাহকের বিমা দাবি পূরণ করছে না কোম্পানিগুলো



মাহফুজুল ইসলাম, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ), ছবি: সংগৃহীত

বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ), ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিদায়ী বছর অর্থাৎ ২০১৮ সালে দেশের বিমা খাতের কোম্পানিগুলোর গ্রস প্রিমিয়াম বাবদ আয় হয়েছে ১২ হাজার ৪১৬ কোটি ৪৭ লাখ ৬ হাজার টাকা। এর আগের বছর একই সময়ে আয় হয়েছিল ১১ হাজার ১৭৯ কোটি ৯৮ লাখ ৮০ হাজার টাকা। অর্থাৎ বিমা কোম্পানিগুলোর বিদায়ী বছরে আয় হয়েছে প্রায় ১ হাজার কোটি টাকা।

কিন্তু তারপরও লাইফ ও নন-লাইফ মিলিয়ে ৭৯টি কোম্পানি বিদায়ী বছরে গ্রাহকের ৩ লাখ ৮ হাজার ৯৬৭টি বিমা দাবির ২ হাজার ৩৮২ কোটি ৪৫ লাখ ৭০ হাজার টাকা পরিশোধে গড়িমসি করছে।

মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পাশাপাশি মৃত্যু, স্বাস্থ্য বিমা এবং সম্পদ বিমার দাবি গ্রাহকদের দিচ্ছে না কোম্পানিগুলো। গ্রাহকরা কোম্পানির কাছে দিনের পর দিন ধরনা দেওয়ার পরও বিমা দাবির অর্থ না পেয়ে বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) কাছে আবেদন করেছে। আইডিআরএ বিশেষ প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে।

আইডিআরএ’র পরিচালক (উপ-সচিব) আবুল কাশেম মো. ফজলুল হক বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘বিমা খাতের ইমেজ সঙ্কট থেকে উত্তরণে বছরব্যাপী সচেতনতামূলক কার্যক্রম, প্রচার-প্রচারণা, বিমা মেলা এবং বিমা দাবি পরিশোধের বিষয়ে একের পর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। যারা বিমা দাবি পরিশোধে গড়িমসি করছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

আইডিআরএ’র তথ্য মতে, ২০১৮ সালে ৩২টি জীবন বিমা কোম্পানি এবং ৪৭টি সাধারণ বিমা কোম্পানির কাছে গ্রাহকদের দাবি ছিল ২৪ লাখ ২১ হাজার ৯৩৭টি। যা টাকার অংকের মোট বিমা দাবির পরিমাণ ১০ হাজার ১৬৫ কোটি ৭৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা।

তার মধ্যে ২১ লাখ ৩২ হাজার ৯৬০টি বিমা দাবির ৭ হাজার ৭৮৩ কোটি ৩১ লাখ ৮ হাজার টাকা পরিশোধ করেছে। অর্থাৎ ৩ লাখ ৮ হাজার ৯৬৭টি দাবির ২ হাজার ৩৮২ কোটি ৪৫ লাখ ৭০ হাজার টাকা পরিশোধ করছে না কোম্পানিগুলো। যা মোট শতাংশের হিসেবে বিমা দাবির ২৪ শতাংশ।

দুই প্রকার বিমা কোম্পানির মধ্যে জীবন বিমা খাতের কোম্পানিগুলো ২ লাখ ৯৫ হাজার ৭২৯টি বিমার ৬৭২ কোটি ৪৭ লাখ ১০ হাজার টাকার দাবি পরিশোধ করেনি। যা জীবন বিমা কোম্পানির মোট ১০ শতাংশ।

অন্যদিকে সাধারণ বিমা কোম্পানিগুলো ১৩ হাজার ২৩৮টি বিমা দাবি পরিশোধ করেনি। যা টাকার অংকে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৭০৭ কোটি ৩৮ লাখ ৬০ হাজার টাকা। আর শতাংশের হিসেবে ৬০ শতাংশ।

দেশের বিমা খাতে সরকারি-বেসরকারি, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত-অতালিকাভুক্ত মোট ৭৯টি কোম্পানি রয়েছে। এর মধ্যে জীবন বিমা কোম্পানির সংখ্যা ৩২টি আর বাকি সব কয়টি কোম্পানি হচ্ছে সাধারণ বিমা কোম্পানি। এই বিমা কোম্পানিগুলোতে সারাদেশে ৭ হাজার ৮০৬টি শাখা রয়েছে। তাতে কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছে ৩৯ হাজার ৯৫৪ জন। আর এজেন্ট রয়েছে ৪ লাখ ৩ হাজার ৬৭৮ জন।

বিদায়ী বছরে বিমা কোম্পানিগুলোতে বিনিয়োগ হয়েছে ৩৭ হাজার ২২৮ কোটি ৫৯ লাখ ৪০ হাজার টাকা। এর আগের বিনিয়োগ হয়েছে ৩৬ হাজার ৫৩ কোটি ৭৫ লাখ ৩ হাজার।

ফলে সম্পদের পরিমাণও তিন হাজার কোটি টাকা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫০ হাজার ৪২৭ কোটি ৪৭ লাখ ৬০ হাজার টাকায়। এর আগের বছর সম্পদের পরিমাণ ছিল ৪৭ হাজার ৭৮৩ কোটি ৬৩ লাখ ১০ হাজার টাকা। সম্পদ ও মুনাফা বাড়ায় বিমা কোম্পানিগুলো সরকারকে ২০১৮ সালে ভ্যাট ও ট্যাক্স পরিশোধ করেছে ১ হাজার ৫৬৫ কোটি ৬ লাখ টাকা।

সার্বিক বিষয়ে আইডিআরএ’র সদস্য মো. বোরহান উদ্দিন আহমেদ বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘বিমা খাতে সাধারণ মানুষের আস্থা কম। এ খাতের প্রতি সাধারণ মানুষের মধ্যে আস্থা বাড়াতে বিমা দাবি পরিশোধের প্রতি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। বিমা দাবি দিচ্ছে না- গ্রাহকদের এ ধরনের অভিযোগ পেলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিচ্ছি।’

বিমা দাবি পরিশোধে বিশেষ সেল গঠন করা হয়েছে উল্লেখ করে বোরহান উদ্দিন আরও বলেন, ‘সেলের নাম দেওয়া হয়েছে বিমা দাবি নিষ্পত্তি কমিটি। আইডিআরএ’র বর্তমান কমিটি ২০১৭ সালের এপ্রিল মাসে দায়িত্ব নেয়। ফলে বিমা কোম্পানিগুলো দাবি পরিশোধে আগ্রহী হচ্ছে।’

   

বেড়েছে রেমিট্যান্স প্রবাহ, ২৪ দিনে এলো ১৭৯ কোটি ডলার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
২৪ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১৭৯ কোটি ডলার

২৪ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১৭৯ কোটি ডলার

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশে চলতি মাসের প্রথম ২৪ দিনে প্রবাসী আয় এসেছে ১৭৮ কোটি ৯৭ লাখ মার্কিন ডলার। গত এপ্রিলের প্রথম ২৪ দিনে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৫৫ কোটি ২৮ লাখ মার্কিন ডলার। সে হিসেবে চলতি মাসে বেড়েছে রেমিট্যান্স প্রবাহ।

রোববার (২৬ মে) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

এতে বলা হয়, মে মাসের প্রথম ২৪ দিনে দেশে এসেছে ১৭৮ কোটি ৯৭ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার। এই হিসাবে প্রতিদিন দেশে রেমিট্যান্স এসেছে গড়ে ৭ কোটি ৪৬ লাখ ডলার। গত এপ্রিলের প্রথম ২৪ দিনে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৫৫ কোটি ২৮ লাখ মার্কিন ডলার। সে হিসেবে চলতি মাসে রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, চলতি মাসে ২০০ কোটি ডলার ছুঁতে পারে দেশের প্রবাসী আয়। মূলত আসন্ন কোরবানিকে ঘিরে বাড়ছে রেমিট্যান্স পাঠানোর প্রবণতা।

এদিকে চলতি বছরের মে মাসের প্রথম ২৪ দিনে রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে ১৯ কোটি ১২ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার। এছাড়া বিশেষায়িত ব্যাংকের মাধ্যমে ৮৫ লাখ ২০ হাজার ডলার, বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে ১৫৮ কোটি ৪০ লাখ ৪০ হাজার ডলার ও বিদেশি খাতের ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৫৯ লাখ ডলার।

এর আগে, চলতি বছরের জানুয়ারিতে ২১০ কোটি ডলার, ফেব্রুয়া‌রি‌তে ২১৬ কো‌টি ৬০ লাখ ডলার, মার্চে ১৯৯ কোটি ৬৮ লাখ ডলার এবং এপ্রিল মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ২০৪ কোটি ৩০ লাখ ৬০ হাজার ডলার।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যমতে, ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে প্রবাসীরা ১৯৫ কোটি ৮৮ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন। এ ছাড়া ফেব্রুয়ারিতে ১৫৬ কোটি ডলার, মার্চে ২০২ কোটি, এপ্রিলে ১৬৮ কোটি, মে মাসে ১৬৯ কোটি, জুনে ২২০ কোটি, জুলাইয়ে ১৯৭ কোটি, আগস্টে ১৫৯ কোটি ৯৪ লাখ, সেপ্টেম্বর মাসে ১৩৩ কোটি, অক্টোবরে ১৯৭ কোটি, নভেম্বর ১৯৩ কোটি ডলার এবং ডিসেম্বরে এসেছিল ১৯৯ কোটি ডলার রেমিট্যান্স।

;

রিমালের কারণে জ্বালানি তেলবাহী জাহাজ গভীর সমুদ্রে প্রেরণ

  ঘূর্ণিঝড় রিমাল



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঘূর্ণিঝড় রিমালের কারণে জ্বালানি তেলবাহী দুটি জাহাজ গভীর সমুদ্রে প্রেরণ করা হয়েছে। অন্যদিকে ঝড়ের গতিপথ কিছুটা পরিবর্তন করায় রোববার (২৬ মে) বিকেল ৪টায় এফএসআরইউ (ফ্লোটিং গ্যাস রিগ্যাসিফিকেশন ইউনিট) দুটি থেকে গ্যাস সরবরাহ শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, রাতের মধ্যেই ১০০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা সম্ভব হবে। অভ্যন্তরীণ নৌরুটে তেল পরিবহণ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় 'রিমাল' হতে উদ্ভুত দুর্যোগ পরিস্থিতি মোকাবিলার লক্ষ্যে (ভূমিধস ও ভূমিকম্প বিষয়ে) ঘূর্ণিঝড় কবলিত জেলা ও উপজেলা বিশেষ করে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ি জেলাসমূহের বাংলাদেশ ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদফতরের নিম্নলিখিত নম্বরে যোগাযোগের অনুরোধ করা হয়েছে (০১৭১২-৮১১২৫২, ০১৭১৫-৮২১৮০২, ০১৯১২-৬৭৫১৮০, ০১৭১৭-২৯৩৪১১, ০১৭২৬-৭০৬৭৫৫, ০১৫৫২৪৪৭০৯৩)।

বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (বাপবিবো) ও ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির (ওজোপাডিকো) খুলনা এবং বরিশাল অঞ্চলে কোন পদ খালি থাকলে দ্রুত একজন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব প্রদান, বিদ্যুৎ সংযোগ যথাসময়ে বিচ্ছিন্ন করা, খুলনা এবং বরিশাল অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড় রিমালের কারণে বাপবিবো ও ওজোপাডিকো'র কর্মকর্তা/কর্মচারীর ছুটি প্রয়োজনে বাতিল, সরকারের উন্নয়নমূলক কাজগুলো ঘূর্ণিঝড় রিমালের অভিঘাত থেকে রক্ষা করা, বাপবিবো ও ওজোপাডিকো'র খুলনা এবং বরিশাল অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড় রিমাল বিষয়ক কাজে সাপোর্ট দেয়ার জন্য অতিরিক্ত জনবল প্রস্তুত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ঝড় বা অন্য কারণে বিচ্ছিন্ন লাইন যাতে কেউ স্পর্শ না করে সে ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে এবং ছেঁড়া বৈদ্যুতিক তার দেখলে অতি দ্রুত নিকটবর্তী বিদ্যুৎ অফিসে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হয়েছে।

এছাড়াও বিদ্যুৎ সংক্রান্ত যে কোন প্রয়োজনে ১৬৯৯৯ নম্বরে যোগাযোগ করা, পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের সেন্ট্রাল কন্ট্রোল রুম (০১৭৯২-৬২৩৪৬৭, ০২-৮৯০০৫৭৫), ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির বরিশাল অঞ্চলের ০১৭১৩-৮৫০২১৮, খুলনা অঞ্চলের ০১৭১৩-৮৫০২১১, পটুয়াখালী অঞ্চলের ০১৭১৩-৮৫০২১৯ নম্বর সার্বক্ষণিক খোলা থাকছে বলে জানানো হয়েছে।

;

ইসলামী ব্যাংকে শরী‘আহ পরিপালন বিষয়ক ওয়েবিনার অনুষ্ঠিত



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির ঢাকা সেন্ট্রাল, নর্থ, সাউথ ও ইস্ট জোনের ব্যাংকিং কার্যক্রমে শরী‘আহ পরিপালন শীর্ষক ওয়েবিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (২৫ মে) এই ওয়েবিনার অনুষ্ঠিত হয়। ব্যাংকের রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মোহাম্মদ সালেহ জহুর ওয়েবিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ম্যানেজিং ডাইরেক্টর (চলতি দায়িত্ব) মুহাম্মদ কায়সার আলী।

ব্যাংকের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ঢাকা সেন্ট্রাল জোনপ্রধান মাহমুদুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য দেন ব্যাংকের শরী‘আহ সুপারভাইজরি কমিটির সদস্য ড. মানজুরে ইলাহী।

মূল বিষয়ের ওপর আলোচনা করেন শরী‘আহ সেক্রেটারিয়েট-এর সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. শামসুদ্দোহা। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ঢাকা সাউথ জোনপ্রধান শিকদার মো. শিহাবুদ্দিন। জোনসমূহের অধীন বিভিন্ন শাখার নির্বাহী ও কর্মকর্তাগণ ওয়েবিনারে অংশগ্রহণ করেন।

;

পুঁজিবাজারের মূলধন শিল্পায়নে বিনিয়োগের আহ্বান এফবিসিসিআই'র



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পুঁজিবাজারের মূলধন শিল্পায়নে বিনিয়োগ করতে সরকারি, বেসরকারি কোম্পানি ও শিল্পমালিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন শীর্ষ বাণিজ্য সংগঠন এফবিসিসিআই'র সভাপতি মাহবুবুল আলম।

রোববার (২৬ মে) সকালে পুঁজিবাজার ও বন্ড বিষয়ক এফবিসিসিআইর স্ট্যান্ডিং কমিটির এক সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নিয়ে এ আহ্বান জানান এফবিসিসিআই সভাপতি।

তিনি বলেন, দেশের পুঁজিবাজারকে শক্তিশালী করতে শিল্পায়নে বিনিয়োগের কোনো বিকল্প নেই। শিল্প মালিকদের জন্যও এটি তুলনামূলক সহজ। কিন্তু দুঃখের বিষয়, অল্পসংখ্যক বড় কোম্পানি পুঁজিবাজারে এসেছে। এসময় দেশ-বিদেশের শীর্ষ কোম্পানিগুলোকে পুঁজিবাজারে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের জন্য নিরাপদ এক্সিট সুবিধা থাকা জরুরি বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

পুঁজিবাজার উন্নত হলে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ বা এফডিআই বাড়ে উল্লেখ করে এফবিসিসিআই সভাপতি পুঁজিবাজার ও বন্ড মার্কেটের উন্নয়নে সব স্টেকহোল্ডারদের নিয়ে একসাথে কাজ করার আহ্বান জানান। এসময় এই বিষয়ে এফবিসিসিআইতে মতবিনিময় সভা আয়োজনেরও পরামর্শ দেন তিনি।

সভাপতির বক্তব্যে কমিটির চেয়ারম্যান ও এফবিসিসিআইর সাবেক পরিচালক আসিফ ইব্রাহীম বলেন, এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন, স্মার্ট বাংলাদেশসহ রূপকল্প-২০৪১ এর লক্ষ্যগুলো অর্জনে পুঁজিবাজার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। তবে দেশের মোট বাজারের তুলনায় পুঁজিবাজার অনেক পিছিয়ে রয়েছে। ব্যাংক নির্ভরতা কমিয়ে একটি শক্তিশালী পুঁজিবাজার ও বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠায় সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

এফবিসিসিআইর সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি ও স্ট্যান্ডিং কমিটির ডিরেক্টর ইন-চার্জ মুনতাকিম আশরাফ বলেন, পুঁজিবাজারে ছোট বিনিয়োগকারীদের তুলনায় বড় বিনিয়োগকারীদের সংখ্যা অনেক কম। এই অবস্থার উন্নয়ন ঘটাতে হবে। তবে বিনিয়োগকারীদের নিরাপদ এক্সিট ব্যবস্থা নিশ্চিত করা জরুরি। পুঁজিবাজার ও বন্ড মার্কেটের উন্নয়নে গণমাধ্যমের সহযোগিতা বড় ভূমিকা পালন করতে পারে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

সভায় আরও বক্তব্য রাখেন এফবিসিসিআইর মহাসচিব মো. আলমগীর, সাবেক পরিচালক আক্কাস মাহমুদসহ কমিটির কো-চেয়ারম্যান ও সদস্যরা। উন্মুক্ত আলোচনায় অংশ নিয়ে বক্তারা বলেন, দেশে পুঁজিবাজার ও বন্ড মার্কেটের আকার বড় হওয়া দরকার। এজন্য বিনিয়োগকারীদের উৎসাহিত করা ও জণসচেতনতা বাড়ানোর পাশাপাশি স্টক এক্সেঞ্জগুলোকে সহজ নিয়ম নীতি প্রদান করা দরকার। এছাড়া সার্বিকভাবে প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতা চান ব্যবসায়ীরা।

;