আমদানি বাড়লে স্থিতিশীল থাকবে পেঁয়াজের বাজার



ইসমাঈল হোসাইন রাসেল, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
বগুড়ার রাজাবাজারের একটি পাইকারি আড়ত | ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

বগুড়ার রাজাবাজারের একটি পাইকারি আড়ত | ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কুরবানি ঈদের আগে আগে দেশের বাজারে বেড়ে যায় পেঁয়াজের চাহিদা। আমদানি কম হচ্ছে এমন অজুহাতে চলতি মাসে পেঁয়াজের দাম বাড়িয়ে দেন ব্যবসায়ীরা। এতে হিমশিম খেতে হয় মধ্যবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্তদের। তবে সমস্যা কাটিয়ে এবার ঈদকে সামনে রেখে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির জন্য পর্যাপ্ত এলসি খুলেছেন আমদানিকারকরা। আর বন্দরগুলোতেও প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে পেঁয়াজ বোঝাই ট্রাক। এসব ট্রাক দেশে প্রবেশ করতে পারলে পেঁয়াজের বাজার সম্পূর্ণ স্থিতিশীল থাকবে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

জানা গেছে, দেশে পেঁয়াজের বার্ষিক চাহিদা প্রায় ২৪ লাখ মেট্রিক টন। বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশনের প্রতিবেদন অনুসারে, এক মাস আগে পেঁয়াজের আন্তর্জাতিক বাজারদর ছিল ২১২ দশমিক ১০ ডলার, বর্তমানে তা ২৩১ দশমিক ৪২ ডলার। আর বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুসারে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে গত ৩১ মে পর্যন্ত ১০ লাখ ৬৮ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজের এলসি খোলা হয়েছে এবং ১০ লাখ ৩০ হাজার মেট্রিক টন এলসি নিষ্পত্তি হয়েছে। অন্যদিকে আগের বিগত অর্থবছরে একই সময়ে এলসি খোলা ও নিষ্পত্তির পরিমাণ ছিল যথাক্রমে ৮ লাখ ১১ হাজার মেট্রিক টন ও ৭ লাখ ৭৬ হাজার মেট্রিক টন।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাংলাদেশে এই মৌসুমে পেঁয়াজের চাষ না থাকায় গত বছরের সংরক্ষিত দেশি পেঁয়াজের পাশাপাশি বছরজুড়েই আমদানির পেঁয়াজ দিয়ে ভোক্তাদের চাহিদা মেটানো হয়। ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যের নাসিকে পেঁয়াজের দাম সামান্য বাড়লেও তার প্রভাব যতটা পড়ার কথা বাজারে তারচেয়েও বেশি দামে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছিল। তবে সরকারের নির্দেশনা এবং ব্যবসায়ীরা বেশি বেশি এলসি খোলায় পেঁয়াজের পাইকারি দাম সহনীয় পর্যায়ে আসতে শুরু করেছে। প্রতিদিন স্থলবন্দরগুলোতে গড়ে ৬০ থেকে ৭০ ট্রাক পেঁয়াজ ঢুকতে পারছে আর ওপারে অপেক্ষায় থাকছে শত শত ট্রাক। যার প্রভাব পড়ে পেঁয়াজের দামে।
https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/24/1563980900123.jpg
বুধবার (২৪ জুলাই) দুপুরে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে পবিত্র ঈদুল আজহার প্রাক্কালে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি যেমন- পেঁয়াজ, রসুন, আদা, মসলা ইত্যাদির মূল্য স্থিতিশীল রাখা এবং গবাদি পশু পরিবহন সংক্রান্ত বিষয়ে অংশীজনদের নিয়ে সভা করেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। সভায় বাজার নিয়ন্ত্রণে তিনি ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের সহযোগিতা চান।

সভা সূত্রে জানা গেছে, সভায় পেঁয়াজের দাম নিয়ে আলোচনা বেশি গুরুত্ব পেয়েছে। যেভাবেই হোক ঈদে পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন মন্ত্রী। এর জবাবে ব্যবসায়ীরা জানান, বাংলাদেশের পেঁয়াজের বাজার নির্ভর করে ভারত থেকে আমদানির ওপর। বর্তমানে বর্ডার দিয়ে মাত্র ৫০ থেকে ৭০ ট্রাক পেঁয়াজ প্রবেশ করানো হয়। এ সংখ্যা আরো অনেক বাড়াতে হবে। তাহলে পেঁয়াজের বাজারে দাম স্থিতিশীল থাকবে। সামনে কুরবানির ঈদ হওয়ায় সোনা মসজিদ ও ভোমরা সীমান্ত দিয়ে প্রতিদিন ১৫০টি গাড়ি ঢোকার ব্যবস্থা করলে সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে। এটা না হলে বাজার অনিয়ন্ত্রিত থেকে যাবে। স্থলবন্দরগুলো আরো বেশি সময় খোলা রাখার অনুরোধ জানান ব্যবসায়ীরা।

জবাবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মফিজুল ইসলাম বলেন, আগের তুলনায় এখন বেশি সংখ্যক পেঁয়াজের ট্রাক প্রবেশ করছে। উত্তরে অনেক ব্যবসায়ীরা বলেন, নির্দেশনা অনুযায়ী বন্দর বাড়তি সময় খোলা রাখা হচ্ছে না।

এরপর বাণিজ্য সচিব বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট উপ-সচিব জিন্নাত রেহানার উদ্দেশে বলেন, ‘আমি যে কাস্টমস আরও এক ঘণ্টা বেশি খোলা রাখার জন্য চিঠি দিতে বলেছিলাম। সেটা কি দিয়েছেন?’ তখন উপসচিব উত্তর দিতে পারেননি।

মফিজুল ইসলাম চিঠি দেখতে চাইলে উপসচিব বলেন, ‘সাতক্ষীরার ডিসিকে দিতে বলা হয়েছে।’ এরপর সচিব বলেন, ‘আমি তো আপনাকে দিতে বলেছি। দিয়েছেন কিনা?’ উত্তরে উপসচিব বলেন, ‘দেওয়া হয়নি।’ এর পরিপ্রেক্ষিতে সচিব বলেন, ‘দেন নাই কেন? মিটিং থেকে আপনি উঠে যান। গিয়ে চিঠি দিয়ে আসেন।’
https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/24/1563980929836.jpg
এরপর মিটিং চলাকালেই বাণিজ্য সচিব সাতক্ষীরার ডিসির সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলেন। ডিসিকে সচিব বলেন, ‘তোমাকে অনুরোধ করেছিলাম যে, পেঁয়াজের ট্রাক যেন বেশি করে ঢুকতে পারে সে জন্য কী করতে পারলা?’ ডিসি বলেন, ‘ইতোমধ্যে এক ঘণ্টা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এর চেয়ে বেশি ট্রাক আসতে দিতে হলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে একটি চিঠি দিতে হবে।’ বৈঠক চলা অবস্থায় সচিব বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়ার নির্দেশ দেন।

এদিকে প্রয়োজনের ক্ষেত্রে স্থলবন্দর ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখা যায় বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। তারা বলছেন, ‘এ সংক্রান্ত আইন আছে। অত্যাবশ্যকীয় সার্ভিস আইনের মাধ্যমে প্রয়োজনে ২৪ ঘণ্টা বন্দর খোলা থাকবে।’

বৈঠকে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, ‘ঈদের সময় যেন সাধারণ মানুষ কষ্ট না পায়। তারা যেন সহনীয় মূল্যে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে পারে— এ ব্যাপারে আপনারা (ব্যবসায়ীরা) সহযোগিতা করবেন। কোথাও প্রয়োজন হলে সরকার ভর্তুকি দেবে। পেঁয়াজ ও রসুনসহ যেসব পণ্যের মূল্য বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে টিসিবি সেসব পণ্য ট্রাক সেলে বিক্রি করবে।’

ঈদে নিত্য প্রয়োজনীয় কোন পণ্যের দাম না বাড়াতে ব্যাবসায়ীদের অনুরোধ জানান টিপু মুনশি।

বৈঠক শেষে ঢাকা মহানগর কৃষিপণ্য আমদানিকারক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার বাবুল বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ভারতের সীমান্তে প্রতিদিন তিন থেকে চারশ' গাড়ি পেঁয়াজ দাঁড়িয়ে থাকে। সেগুলো সেখান থেকেই কন্ট্রোল করা হয়। পেঁয়াজের দাম ঢাকার আমাদিকারকদের হাতে নেই। এটি নিয়ন্ত্রণ করে ভারতের দিকের ব্যবসায়ী ও বর্ডারের যারা নিয়ন্ত্রক আছেন তারা। আগে ৫০ ট্রাক পেঁয়াজ ঢুকত, এখন সেই জায়গায় ৭০ গাড়ি ঢুকছে। কিন্তু এখন দেড়শ' থেকে ২০০ গাড়ি ঢুকতে পারলে পেঁয়াজের দাম একদম কমে যাবে। তখন পেঁয়াজ থাকবে ২০ থেকে ২২ টাকা।
https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/24/1563980978797.jpg
বন্দরে অতিরিক্ত ট্রাক ঢোকাতে বাড়তি সময় স্থলবন্দর খোলা রাখার বিষয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য (শুল্ক নীতি) সৈয়দ গোলাম কিবরিয়া বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, আরো বেশি সংখ্যক ট্রাক যাতে ঢুকতে পারে সে জন্য আরো বেশি সময় বন্দর খোলা রাখার জন্য চেষ্টা করছি। বেনাপোল, ভোমরা, সোনা মসজিদসহ বন্দরগুলোতে শুল্ক বিভাগের অফিসগুলো যেন বেশি সময় কাজ করে সে জন্য চিঠি দেব। যাতে করে আমাদানি ও মজুদ বাড়ানো যায়।

বাজারে পেঁয়াজসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখতে প্রয়োজনে ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশকে (টিসিবি) ট্রাকে করে ন্যায্যমূল্যে পণ্য বিক্রি করার নির্দেশ দিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী। একই সঙ্গে টিসিবিকে বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদারের নির্দেশনাও দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে টিসিবি'র চেয়ারম্যান ব্রি. জেনারেল হাসান জাহাঙ্গীর বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, আজকে বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশনা পেলে আমরা ব্যবস্থা নেব। বাজারে ন্যায্যমূল্যে পণ্য বিক্রিতে আমাদের সক্ষমতা আছে।

   

লাইসেন্সবিহীন ও অনিরাপদ সফটওয়্যার ব্যবহার বন্ধে আহ্বান বিএসএর



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
লাইসেন্সবিহীন ও অনিরাপদ সফটওয়্যার ব্যবহার বন্ধে আহ্বান বিএসএর

লাইসেন্সবিহীন ও অনিরাপদ সফটওয়্যার ব্যবহার বন্ধে আহ্বান বিএসএর

  • Font increase
  • Font Decrease

সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশে লাইসেন্সকৃত সফটওয়্যারের ব্যবহার বাড়াতে সংশ্লিষ্ট সরকারি-বেসরকারি সংস্থাগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সফটওয়্যার বিষয়ক বৈশ্বিক সংস্থা দ্য সফটওয়্যার এলায়েন্স বা বিএসএ।

দেশের তথ্য-প্রযুক্তি খাতের বিস্তৃতি সত্বেও লাইসেন্সবিহীন সফটওয়্যারের ব্যাপক ব্যবহার হচ্ছে। সাইবার ঝুঁকি এড়াতে লাইসেন্সবিহীন সফটওয়্যার ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণ আনা অন্য যে কোন সময়ের চেয়ে এখন জরুরি বলে মনে করছে সংস্থাটি।

বিএসএ-এর সিনিয়র ডিরেক্টর তরুণ সাওনি বলেন, লাইসেন্সবিহীন সফটওয়্যারের ব্যবহার তথ্য নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকি তৈরি করে। যার ফলে সম্ভাব্য সাইবার আক্রমণ, তথ্য চুরি ও ম্যালওয়্যার আক্রমণের শঙ্কা বেড়ে যায়। এসব ঘটনা গ্রাহক, অংশীদার ও সহযোগীদের বিশ্বাস ও আস্থা নষ্ট করতে পারে। এছাড়া এটি যে কোন সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের জন্য আইনী ঝুঁকি তৈরির পাশাপাশি ‍সুনাম ক্ষুণ্নের কারণও হতে পারে। আইনি দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে লাইসেন্সবিহীন সফটওয়্যারের ব্যবহার কপিরাইট আইনের লঙ্ঘন, যার ফলে যে কোন সংস্থা বা সংগঠন মামলা, জরিমানা অথবা আইনি জরিমানার সম্মুখীন হতে পারে।

তিনি বলেন, “বাংলাদেশে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী এবং ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দকে তাদের কোম্পানিগুলোয় সফটওয়্যার সক্রিয়ভাবে পরিচালনার আহ্বান জানিয়েছে। অনেক কোম্পানিই তাদের ব্যবসায় কার্যক্রম পরিচালনায় লাইসেন্সবিহীন সফটওয়্যার ব্যবহার করে থাকেন, বিশেষ করে নির্মাণ এবং অবকাঠামোর উন্নয়নের সাথে যুক্ত ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানগুলো। বাংলাদেশের সিইওদের দায়িত্ব হল তাদের কোম্পানিগুলো নিরাপদ, সুরক্ষিত সফটওয়্যার ব্যবহার করে আইন মেনে চলছে কি না তা নিশ্চিত করা।”

বিএসএ-এর তথ্যে উঠে এসেছে যে বাংলাদেশে বিভিন্ন খাতের অনেক কোম্পানিই লাইসেন্সবিহীন সফটওয়্যার ব্যবহার করছে, যার মধ্যে আছে উৎপাদন ও প্রক্রিয়াজাতকরণ, খুচরা ও বড় ব্যবসা, নির্মাণ ও রিয়েল এস্টেট, ভোগ্যপণ্য, ব্যাংকিং, আর্থিক পরিষেবা এবং স্থাপত্য ও প্রকৌশলসহ অন্যান্য ক্ষেত্রের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান।

লাইসেন্সবিহীন সফটওয়্যার ব্যবহার করার ক্ষতিকর প্রভাবগুলো সামনে উঠে আসে যখন সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের জাতীয় ডেটা সেন্টার স্টোরেজ ক্ষমতা হ্রাস পাওয়া, ফায়ারওয়াল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া এবং আপডেট ইনস্টল করতে না পারার মতো একাধিক সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিল। এই সমস্যাগুলো তৈরি হওয়ার জন্য বাইরের বিভিন্ন উৎস থেকে সরবরাহকৃত লাইসেন্সবিহীন সফটওয়্যারের ব্যবহারকে দায়ী করা হয়েছিল যা মূলত আইন মেনে না চলার পরিনতিকেই নির্দেশ করে।

বিএসএ-এর সিনিয়র ডিরেক্টর বলেন, “লাইসেন্সবিহীন সফটওয়্যার ব্যবহারের ক্ষতি শুধু আর্থিক ক্ষতির মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, এর কারণে মারাত্মক নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি হয় এবং প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনও বাধাগ্রস্ত হয়। ব্যবসা পরিচালনার ক্ষেত্রে সফটওয়্যার সংক্রান্ত সম্পদ ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশের ব্যবসা মালিক, শেয়ারহোল্ডার এবং সি-স্যুট এক্সিকিউটিভদের জন্য এটা নিশ্চিত করা জরুরি হয়ে পড়েছে যে তাদের কর্মীরা লাইসেন্সকৃত সফটওয়্যারে বিনিয়োগকে অগ্রাধিকার দিচ্ছেন কিনা এবং তাদের প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শক্তিশালী সাইবার নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করছেন কিনা সে বিষয়ে সক্রিয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা।”

বিএসএ বাংলাদেশের ব্যবসায়িক সম্প্রদায়ে ব্যবহৃত বৃহৎ ভলিউমের সফটওয়্যারগুলো যাতে বৈধভাবে ব্যবহার করা হয় তার জন্য বাংলাদেশের আইসিটি মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন জাতীয় সাইবার সিকিউরিটি এজেন্সির মতো সরকারি সংস্থার সাথে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে।

তরুণ সাওনি বলেন, "সাইবার আক্রমণ থেকে সমগ্র বাংলাদেশকে নিরাপদ রাখার জন্য ব্যবসায়িক নেতৃবৃন্দ লাইসেন্সকৃত সফটওয়্যার ব্যবহার করছেন কি না তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশের সরকার মুখ্য ভূমিকা পালন করতে পারে।”

বাংলাদেশের ন্যাশনাল সাইবার সিকিউরিটি এজেন্সির মহাপরিচালক আবু সাঈদ মো. কামরুজ্জামান, এনডিসি, লাইসেন্সবিহীন সফটওয়্যার সংক্রান্ত ঝুঁকিগুলো তুলে ধরে বলেন, “লাইসেন্সবিহীন সফটওয়্যার সাইবার হুমকির ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে। শুধুমাত্র ঝুঁকি কমানোর জন্য নয় বরং একটি নিরাপদ ও বিপদমুক্ত সাইবার পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোর/সংস্থাগুলোর উচিত বৈধ সফটওয়্যার ব্যবহারকে অগ্রাধিকার দেয়া।”

তিনি আরও বলেন, “সরকার এই সমস্যা সমাধানে অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা নিয়মিতই ব্যবসায়িক সংস্থাগুলোকে বৈধ সফটওয়্যার ব্যবহার ও নিয়মিত লাইসেন্স নবায়ন করার পরামর্শ দিই৷ বিএসএ-এর মতো সংস্থাগুলোর সহযোগিতা এই বিষয়ক সচেতনতা এবং বাস্তবায়নের প্রচেষ্টাকে আরও বাড়িয়ে দেবে। এসব উদ্যোগ কার্যকরভাবে সাইবার নিরাপত্তার হুমকি কমাতে ভূমিকা রাখবে।”

বিএসএ তার সফটওয়্যার কমপ্লায়েন্স বাড়ানোর অঙ্গীকারে অবিচল। ২০১৯ সাল থেকে, সংস্থাটি প্রায় ১ মিলিয়ন পিসিতে বৈধ ও নিরাপদ সফটওয়্যার ইনস্টল করার লক্ষ্য নিয়ে ব্যবসায়ীদেরকে সহায়তার উদ্দেশ্যে ‘লিগ্যালাইজ অ্যান্ড প্রোটেক্ট’ নামের আঞ্চলিক প্রচারভিযানে নেতৃত্ব দিয়ে আসছে। অবৈধ সফটওয়্যারের ব্যবহার এখনও চালু থাকায় ব্যবসায়িক সংস্থাগুলিকে এ বিষয়ে সচেতন করতে এবং সফটওয়্যার কমপ্লায়েন্সের প্রচারে আঞ্চলিকভাবে এবং বিশ্বব্যাপী বিএসএ তার কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে।

বিএসএ বিভিন্ন দেশের সরকারের কাছে ও আন্তর্জাতিক বাজারে সফটওয়্যার খাতকে তুলে ধরতে শীর্ষস্থানীয় প্রতিনিধিত্বকারী সংস্থা হিসেবে পরিচিত দ্য সফটওয়্যার এলায়েন্স বা বিএসএ (www.bsa.org)। এর সদস্যদের মধ্যে আছে বিশ্বের সবচেয়ে উদ্ভাবনী প্রতিষ্ঠানগুলো, যারা যে কোন ধরণের ছোট-বড় ব্যবসার আধুনিকায়ন ও সমৃদ্ধির লক্ষে সফটওয়্যারভিত্তিক সমাধান তৈরি করে।

সংস্থাটির সদর দপ্তর যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে। ৩০টিরও বেশি দেশে বিএসএ’র কার্যক্রম চালু রয়েছে। বিএসএ বৈধ সফটওয়্যার ব্যবহারের প্রচার এবং প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন ও ডিজিটাল অর্থনীতির সমৃদ্ধির লক্ষে গৃহীত সরকারী নীতিমালা বাস্তবায়ন সম্পর্কিত বিভিন্ন কর্মসূচীতে নেতৃত্ব দিয়ে থাকে।

;

ওয়ালটন-বিএসপিএ স্পোর্টস কার্নিভাল টেবিল টেনিসে রুমেল খানের দ্বিমুকুট জয়



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ওয়ালটন-বিএসপিএ স্পোর্টস কার্নিভাল টেবিল টেনিসে রুমেল খানের দ্বিমুকুট জয়

ওয়ালটন-বিএসপিএ স্পোর্টস কার্নিভাল টেবিল টেনিসে রুমেল খানের দ্বিমুকুট জয়

  • Font increase
  • Font Decrease

ক্রীড়াবান্ধব প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি’র পৃষ্ঠপোষকতায় ও বাংলাদেশ স্পোর্টস প্রেস অ্যাসোসিয়েশনের (বিএসপিএ) আয়োজনে চলছে ‘ওয়ালটন-বিএসপিএ স্পোর্টস কার্নিভাল-২০২৪।’

শনিবার (১৮ মে) সকালে শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ উডেন ফ্লোরে টেবিল টেনিস ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হয়। এই ইভেন্টের এককে অষ্টমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন দৈনিক জনকণ্ঠের রুমেল খান। রানার্স-আপ হয়েছেন সংবাদ সংযোগের মো. শামীম হাসান এবং তৃতীয় হয়েছেন দৈনিক খবরের কাগজের মাহমুদুন্নবী চঞ্চল।

একই ইভেন্টে দ্বৈতে নবমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয়েছে রুমেল খান ও মাহমুদুন্নবী চঞ্চল জুটি। এর মধ্য দিয়ে দ্বিমুকুট জয় করেন রুমেল খান। দ্বৈতে রানার্স-আপ হয় মজিবুর রহমান ও মোরসালিন আহমেদ জুটি এবং তৃতীয় হয়েছে মো. শামীম হাসান ও সাজ্জাদ হোসেন মুকুল জুটি।

এবার ৭টি ডিসিপ্লিনে মোট ১০টি ইভেন্টে অংশ নিচ্ছেন বিএসপিএ’র শতাধিক সদস্য।

ইভেন্টগুলো হলো- ক্যারম একক ও দ্বৈত, টেবিল টেনিস একক ও দ্বৈত, দাবা, শুটিং, আরচারি, সাঁতার, কল ব্রিজ ও টোয়েন্টি নাইন। সবক’টি খেলাই অনুষ্ঠিত হবে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম ও এর সংলগ্ন বিভিন্ন ভেন্যুতে।

প্রতিবারের মতো এবারও স্পোর্টস কার্নিভালের সেরা ক্রীড়াবিদের হাতে তুলে দেয়া হবে আব্দুল মান্নান লাডু ট্রফি ও অর্থ পুরস্কার। ট্রফি ও অর্থ পুরস্কার থাকছে সেরা দুই রানার্সআপের জন্যও।

এছাড়াও প্রতিটি ইভেন্টের সেরাদের জন্য থাকছে ক্রেস্ট ও অর্থ পুরস্কার।

;

ফের বাড়ল সোনার দাম, ভরি ১১৮৪৬০ টাকা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের বাজারে আবারও বেড়েছে সোনার দাম। এ দফায় ভরিতে ১ হাজার ১৭৮ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ১ লাখ ১৮ হাজার ৪৬০ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)।

শনিবার (১৮ মে) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। 

আগামীকাল রোববার (১৯ মে) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের সোনার দাম পড়বে ১ লাখ ১৮ হাজার ৪৬০ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৩ হাজার ৮২ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৬ হাজার ৯১৬ টাকা ও সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনার দাম ৮০ হাজার ১৩১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এর আগে, গত শনিবার (১১ মে) ২২ ক্যারেটের সোনার দাম ১ লাখ ১৭ হাজার ২৮২ টাকা নির্ধারণ করে বাজুস। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১১ হাজার ৯৫১ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৫ হাজার ৯৬০ টাকা ও সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনার দাম ৭৯ হাজার ৩৩৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল।

উল্লেখ্য, চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ২৩ বার সোনার দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ১২ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ১১ বার। আর ২০২৩ সালে দাম সমন্বয় করা হয়েছিল ২৯ বার। 

;

প্লাস্টিক পণ্যের গুণগত মান নিশ্চিতে বাজারে এলো সিলমুন পাইপ এন্ড ফিটিংস



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
প্লাস্টিক পণ্যের গুণগত মান নিশ্চিতে বাজারে এলো সিলমুন পাইপ এন্ড ফিটিংস

প্লাস্টিক পণ্যের গুণগত মান নিশ্চিতে বাজারে এলো সিলমুন পাইপ এন্ড ফিটিংস

  • Font increase
  • Font Decrease

প্লাস্টিক পণ্যের গুণগত মান অর্জনে ব্রত নিয়ে বাজারে আসলো সিলমুন পাইপ এন্ড ফিটিংস।

রাজধানীর গুলশান ক্লাবে এই পণ্যের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন সিলমুনের চেয়ারম্যান, এস আলম গ্রুপ ও একুশে টিভির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ লাবু।

এসময় তিনি, গুণগত মান বজায় রেখে সিলমুন পাইপ প্লাস্টিক শিল্পে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখবে বলে জানান।

দেশে দিন দিন প্লাস্টিক পণ্যের ব্যবহার বাড়ছে। বিশেষ করে ভবন নির্মাণের সাথে সম্পৃক্ত পণ্যের উৎপাদন ও ব্যবহার বাড়ছে।

গ্রাহকের কথা মাথায় রেখে এবার বাজারে আসলো সিলমুন পাইপ এন্ড ফিটিংস।

'সঠিক পাইপে টেনশন ফ্রি লাইফে' এমন শ্লোগানে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সিলমুনের ব্যবস্থাপনা পরিচালকও জানান পণ্যের মান নিশ্চিতের কথা। দামও সাশ্রয়ীর কথাও জানান তিনি।

অনুষ্ঠানে সিলমুনের, ডিলার, বিক্রয়কর্মী ও ঊধ্বর্তন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান উপলক্ষে ২৬ শতাংশ ডিসকাউন্ট ঘোষণা করা হয়েছে।

;