আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূতের জিপিএইচ ইস্পাতের প্লান্ট পরিদর্শন



সেন্ট্রাল ডেস্ক, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
জিপিএইচ ইস্পাতের নতুন প্লান্ট পরিদর্শন সংযুক্ত  আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত সাইয়েদ মোহাম্মদ আল মেহরি

জিপিএইচ ইস্পাতের নতুন প্লান্ট পরিদর্শন সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত সাইয়েদ মোহাম্মদ আল মেহরি

  • Font increase
  • Font Decrease

‘পেশাগত দক্ষতা ও আধুনিক প্রযুক্তির সম্মিলন বাংলাদেশে তথা এশিয়ার ইস্পাত খাতে নতুন দিগন্তের সূচনা করবে। এই দৃষ্টান্ত অনুসরণ করে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের প্রাইভেট সেক্টরের ইমেজ বৃদ্ধি পাবে।’

শুক্রবার (২ আগস্ট)  সীতাকুণ্ডের কুমিরায় অবস্থিত জিপিএইচ ইস্পাতের নতুন প্লান্ট পরিদর্শনকালে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বাংলাদেশস্থ রাষ্ট্রদূত সাইয়েদ মোহাম্মদ আল মেহরি এ এসব বলেন। তিনি উভয় দেশের সরকারের দ্বিপাক্ষিক সুসম্পর্ক ও বেসরকারিখাতে বাণিজ্যের সন্তোষ প্রকাশ করেন।

রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানিয়ে জিপিএইচ গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘জিপিএইচ ইস্পাত বিশ্বে প্রথম কোম্পানি যার কারখানায় একই ছাদের নিচে ইলেক্ট্রিক আর্ক ফার্নেস কোয়ান্টাম ও প্রযুক্তির সমন্বয় ঘটানো হয়েছে। এতে ২ হাজার ৪০০ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে। ইতিমধ্যে ৯৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে অত্যাধুনিক এ কারখানার। আগামী সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে কারখানাটি পরীক্ষামূলক উৎপাদনে যাবে।’

জিপিএইচ ইস্পাতের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলমগীর কবির বলেন, ‘আমরা অত্যন্ত পরিবেশ বান্ধব ও সেফটিকে প্রাধান্য দিয়ে কাজ করে যাচ্ছি।’

অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলমাস শিমুল বলেন, ‘এই প্লান্ট চালু হলে ২২৬ কোটি টাকা সরকারকে রাজস্ব প্রদান করা হবে। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ১০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান তৈরি হচ্ছে।’

পূর্বাহ্নে রাষ্ট্রদূত ও তার সফরসঙ্গী বাংলাদেশস্থ ব্রান্ড গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ নুরুল মোস্তফাকে নতুন প্রজেক্টের সামগ্রিক বিষয় নিয়ে মালটিমিডিয়া প্রেজেন্টেশন দেন হেড অব প্রজেক্ট ড. এ এস এম সুমন।

এ সময় অ্যাডভাইজর ইঞ্জিনিয়ার মোশতাক আহমদ, আমিরুল ইসলাম, এম এন দস্তুর এন্ড কোম্পানির প্রীতম চ্যাটার্জি, টেকনিকেল অডিটর অনিন্দ্য কে ব্যানার্জি উপস্থিত ছিলেন। রাষ্ট্রদূত প্লান্ট এলাকায় পৌঁছলে জিপিএইচ পরিবারের সদস্য সুবেহ সোহা ও সাফওয়ান সাজিদ রোয়াহেম ফুল দিয়ে বরণ করে নেন। রাষ্ট্রদূত ও তার সফরসঙ্গী নতুন প্লান্টের রোলিং-মিল, এডমিন বিল্ডিং, মেইন রিসিভিং সাবস্টেশন, এয়ার সেপারেশন ইউনিট, স্টোর এন্ড ইনভেন্ট্রি, সিসিএম ইউনিটগুলো সরেজমিন পরিদর্শন ও পর্যবেক্ষণ করেন।

   

চলতি অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি ৫.৮২ শতাংশ: বিবিএস



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চলতি ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) আগের বছরের তুলনায় কিছুটা বেড়ে ৫ দশমিক ৮২ শতাংশ হয়েছে। 

সোমবার (২০ মে) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গত অর্থবছরে ৫ দশমিক ৭৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধির তুলনায় চলতি অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি বেড়েছে মাত্র ০ দশমিক ০৪ শতাংশীয় পয়েন্ট।

অর্থবছরের প্রথম সাত মাসের গতি প্রকৃতি পর্যালোচনা করে এ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে বলে জানানো হয়।

প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা গেছে, বাজার মূল্যে চলতি বছরে জিডিপির আকার দাড়িয়েছে ৫০ লাখ ৪৮ হাজার কোটি টাকায়। গত অর্থবছের ৪৪ লাখ ৯১ হাজার কোটি টাকার তুলনায় এবার জিডিপির আকার বেড়েছে প্রায় ৪ লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকা।

খাত ভিত্তিক পর্যালোচনায় দেখা গেছে, এবার সেবা খাতে সর্বোচ্চ ৬ দশমিক ৬৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এ খাতে গত অর্থবছরে ৮ দশমিক ৩৭ শতাংশের তুলনায় এবার প্রবৃদ্ধি কমেছে। শিল্প খাতে আগের বছরের ৫ দশমিক ৩৭ শতাংশ থেকে কিছুটা বেড়ে এবার প্রবৃদ্ধি দাড়িয়েছে ৫ দশমিক ৮০ শতাংশে। কৃষি খাতে আগের বছরের ৩ দশমিক ৩৭ শতাংশ থেকে আরও কমে এবার উৎপাদন বেড়েছে মাত্র ৩ দশমিক ২১শতাংশ।

চলতি বছরে মাথাপিছু আয় ৩৫ ডলার বাড়ছে বলে জানিয়েছে বিবিএস।

প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে বছর শেষে মাথাপিছু আয় দাঁড়াবে ২,৭৮৪ মার্কিন ডলার, যা আগের অর্থবছরে ছিল ২,৭৪৯ ডলার। আর দেশীয় মুদ্রায় মাথাপিছু আয় ২ লাখ ৭৩ হাজার টাকা থেকে বেড়ে প্রথম বারের মত তিন লাখ ৪১ হাজার ৪৪ টাকায় উঠেছে।

জিডিপির তুলনায় সঞ্চয়ের অনুপাত কিছুটা বাড়লেও বিনিয়োগে চলতি বছরে বড় কোন উন্নতি দেখা যায়নি। জিডিপির আকারের তুলনায় এবার বিনিয়োগের হার ৩০ দশমিক ৯৮ শতাংশে উঠেছে, যা আগের অর্থবছরে ছিল ৩৯ দশমিক ৯৫ শতাংশ।

এ সময়ে ব্যক্তি খাতের বিনিয়োগ জ্জিডিপির ২৩ দশমিক ৫১ শতাংশে নেমে এসেছে, যা গত পাঁচ বছর সর্ব নিম্ন। গত অর্থবছরে জিডিপির ২৪ দশমিক ১৮ শতাংশ বিনিয়োগ করেছিল ব্যক্তি খাত।

সরকারি বিনিয়োগ বৃদ্ধির ধারাবাহিকতা এবারও অব্যাহত থাকছে বলে জানিয়েছে বিবিএস। চলতি অর্থবছরে জিডিপির ৭ দশমিক ৪৭ শতাংশ বিনিয়োগ করেছে সরকার, যা গত অর্থ বছরে ছিল ৬ দশমিক ৭৭ শতাংশ।

;

বাজেট সহায়তা ও অনুদান মিলে এএফডি দেবে ৩৮৮২ কোটি টাকা



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাজেট সহায়তা হিসেবে ফ্রান্সের উন্নয়ন সংস্থা এএফডি আগামী তিন বছরে বাংলাদেশকে মোট ৩০ কোটি ইউরো বাজেট সহায়তা দেবে বলে জানিয়েছে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি)।

এর বাইরে জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক কার্যক্রমে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পক্ষের কারিগরি দক্ষতা বাড়াতে অনুদান হিসেবে আরও ৫০ লাখ ইউরো অনুদান দেবে সংস্থাটি।

ঋণ ও অনুদান মিলে ৩০ কোটি ৫০ লাখ ডলার বা ৩ হাজার ৮৮২ কোটি টাকা ছাড় করতে সোমবার সরকারের সঙ্গে একটি ফ্রেমওয়ার্ক অ্যাগ্রিমেন্ট সই করেছে ফ্রান্সের সংস্থাটি।

অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব শাহরিয়ার কাদের সিদ্দিকী এবং এএফডি বাংলাদেশ অফিসের ডেপুটি কান্ট্রি ডিরেক্টর Cecilia CORTESE নিজ নিজ পক্ষে চুক্তিতে সই করেন।

অনুষ্ঠানে ঢাকায় নিযুক্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত Marie MASDUPUY উপস্থিত ছিলেন বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে ইআরডি।

ইআরডির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বাজেট সহায়তা সুনির্দিষ্ট কিছু শর্তের অনুকূলে ছাড় হলেও এই খাতের অর্থ সরাসরি সরকারের ট্রেজারিতে জমা হয়। প্রকল্পের বাইরেও যে কোনো খাতে এই অর্থ ব্যয় করার সুযোগ থাকে।

রাজস্ব আহরণে ব্যর্থতায় তীব্র আর্থিক সংকট ও বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভে ঘাটতির মধ্যে এই ধরনের সহায়তা সংকট মোকাবেলায় বড় ধরনের সহায়ক ভূমিকা রাখে বলে তারা জানিয়েছেন।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, তিন বছরের বাজেট সহায়তার প্রথম কিস্তির ১০ কোটি ইউরো আগামী জুনের মধ্যে দেওয়া হবে। এ হিসাবে চলতি অর্থবছরের বাজেট বাস্তবায়নে সরকারের তহবিলে যোগ হচ্ছে প্রায় ১ হাজার ২৭৪ কোটি টাকা।

ইআরডির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জলবায়ু সংক্রান্ত জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা, ন্যাশনাল ডিটারমাইন্ড কন্ট্রিবিউশনস (NDC) এবং মুজিব ক্লাইমেট প্রসপারিটি প্ল্যানের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক অভিঘাতের বিরুদ্ধে কার্যকর ও শক্তিশালী ভিত্তি প্রস্তুত করার লক্ষে তিন বছরের প্রকল্পটি নেয়া হচ্ছে। এই প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে জলবায়ু-সহিষ্ণু ও স্বল্প কার্বন নিঃসরণভিত্তিক অগ্রযাত্রা ত্বরান্বিত করা হবে বলেও জানিয়েছে ইআরডি।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়েছে, ফরাসি সরকারের দ্বিপাক্ষিক উন্নয়ন সহায়তা বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট সংস্থা এএফডি ২০১২ সাল থেকে বাংলাদেশে কার্যক্রম শুরু করে। সংস্থাটি বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন, পরিবহন ও যোগাযোগ এবং স্বাস্থ্য ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ খাতে সহায়তা দিচ্ছে।

বাংলাদেশে চলমান ১১টি প্রকল্পে মোট ১১৪ কোটি ১৯ লাখ ইউরো সহায়তা দিচ্ছে এএফডি। এর মধ্যে ১.১২ মিলিয়ন ইউরো ঋণ আর ১ কোটি ৯৯ লাখ ইউরো অনুদান রয়েছে।

;

বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় টিকতে পণ্য বহুমুখীকরণ-সক্ষমতা বাড়ানো জরুরি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবে বাংলাদেশ। এলডিসি গ্রাজুয়েশনের ফলে একদিকে যেমন আন্তর্জাতিক বাজারে শুল্কমুক্ত বাণিজ্যের অধিকার হারাবে বাংলাদেশ, তেমনি প্রতিযোগী দেশগুলোর সঙ্গেও প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে নানা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে দেশকে। এ অবস্থায় এলডিসি গ্রাজুয়েশন পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এখন থেকেই নিজেদের সক্ষমতা বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন ব্যবসায়ীরা।

পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বাজার সম্প্রসারণ করতে ব্যবসাবান্ধব নীতিমালা প্রণয়ন, দক্ষিণ এশিয়াসহ বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি, আঞ্চলিক বাণিজ্য চুক্তি, মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি, অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি সম্পন্ন করা অত্যন্ত জরুরি বলেও মনে করছেন তারা।

এসব চুক্তির সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করতে নিজেদের সক্ষমতা ও দক্ষতা বাড়ানোর প্রতিও গুরুত্বারোপ করেছেন। এ লক্ষ্যে সরকার ও বেসরকারিখাতের মধ্যে সমন্বয় আরো জোরদার করা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন ব্যবসায়ীরা।

সোমবার (২০ মে) সকালে এফবিসিসিআই-এর ‘আরটিএ, পিটিএ, এফটিএ ও ডব্লিউটিও’ বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির প্রথম সভায় ব্যবসায়ীরা এসব কথা বলেন বলে এফবিসিসিআই-এর হেড অব পিআর অ্যান্ড কমিউনিকেশনস তানজিদ বসুনিয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে অনলাইনে যুক্ত ছিলেন এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, দেশে ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ তৈরিতে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছে সরকার। উদ্যোক্তাদের এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রেও বিভিন্ন ধরনের সহায়তা প্রদান করছে। তবে এলডিসি গ্রাজুয়েশনের পর প্রতিযোগী দেশগুলোর সঙ্গে টিকে থাকতে নিজেদের সক্ষমতা বাড়ানো অত্যন্ত জরুরি।

লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং, চামড়া, হস্তশিল্প, চা, পাট ইত্যাদি খাতে আরো বৈচিত্র্যকরণ আনতে হবে বলে মন্তব্য করেন মাহবুবুল আলম। একইসঙ্গে ব্যবসায়ীদের হয়রানি কমাতে কাস্টমস, বন্দর ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)-এর অটোমেশন জরুরি বলে মন্তব্য করেন তিনি।

এফবিসিসিআই-এর সিনিয়র সহসভাপতি মো. আমিন হেলালী বলেন, ভারতসহ বিভিন্ন দেশ প্রস্তুতি নিয়েই বাণিজ্য চুক্তিগুলো করছে। আমাদেরও এসব চুক্তির আগে প্রস্তুতি নিতে হবে। স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে টিকে থাকার মতো সক্ষমতা অর্জন না করলে স্থানীয় বাজার হারানোরও আশঙ্কা থেকে যাবে।

এফবিসিসিআই-এর সহসভাপতি ড. যশোদা জীবন দেবনাথ বলেন, প্রযুক্তিতে আমরা অনেক এগিয়েছি। আইটি ও আইটি এনাবেল সার্ভিসে বাংলাদেশের বড় সম্ভাবনা থাকলেও উচ্চ ডিউটি দিয়ে সেসব পণ্য দেশে আনতে হয়। অনেক দেশ এসব পণ্য আমদানিতে ডিউটি না রাখলেও আমাদের এখানে উচ্চ মূল্য দিতে হচ্ছে।

এসময় পণ্য আমদানি সহজীকরণে কাস্টমসকে সহযোগিতামূলক আচরণ করার আহ্বানও জানান তিনি।

‘কাস্টমস আইন-২০২৩’-এ জটিলতা ও আমদানির ক্ষেত্রে বিভিন্ন জায়গায় বাধা রয়েছে উল্লেখ করে বাণিজ্য সংগঠন ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে জনমত গঠনের মাধ্যমে এ আইন সংশোধনের তাগিদ দেন কমিটির ডিরেক্টর ইন-চার্জ এ এম মাহবুব চৌধুরী।

বন্দরে দ্রুত পণ্য খালাস প্রক্রিয়া সহজীকরণ করার তাগিদ দেন তিনি। এছাড়া রফতানি পণ্য বহুমুখীকরণের গুরুত্বও তুলে ধরেন এ এম মাহবুব চৌধুরী।

সভাপতির বক্তব্যে কমিটির চেয়ারম্যান ও এফবিসিসিআই-এর সাবেক পরিচালক সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, বৈশ্বিক পরিবর্তনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে টিকে থাকতে হবে বাংলাদেশকে। আমরা কোনো দেশের সঙ্গে এফটিএ না করতে পারায় পার্শ্ববর্তী দেশগুলো ব্যবসার সুযোগ নিচ্ছে।

তিনি এসময় সরকারের সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে ব্যবসা-বাণিজ্য সম্পর্কিত আইনগুলো তৈরির ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করার আহ্বান জানান।

বিজিএমইএ-র সদ্য সাবেক সভাপতি ও এফবিসিসিআই-এর পরিচালক ফারুক হাসান বলেন, এলডিসি গ্রাজুয়েশনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলাসহ বিভিন্ন দেশের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তিতে সরকার কাজ করছে।

এলডিসি গ্রাজুয়েশনের পর ট্রানজিশন পিরিয়ড ৩ বছর থেকে বাড়িয়ে ৬ বছর করার ব্যাপারে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আলোচনা করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

সভায় আরো বক্তব্য রাখেন- এফবিসিসিআই-এর পরিচালক হাফেজ হাজী হারুন অর রশীদ, আলহাজ্ব আজিজুল হক, নিয়াজ আলী চিশতী, মহাসচিব মো. আলমগীর, কমিটির কো-চেয়ারম্যানবৃন্দ, সদস্যবৃন্দ ও সরকারি কর্মকর্তাবৃন্দ।

;

সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের ১০ নতুন উপশাখার উদ্বোধন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের ১০ নতুন উপশাখার উদ্বোধন

সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের ১০ নতুন উপশাখার উদ্বোধন

  • Font increase
  • Font Decrease

সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক আরও ১০টি নতুন উপশাখার উদ্বোধন করা হয়েছে।

সোমবার (২০ মে) প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে উপশাখাগুলোর উদ্বোধন করেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী জাফর আলম।

ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ ফোরকানুল্লাহ। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ হাবীবুর রহমান এবং ব্রাঞ্চেস কন্ট্রোল বিভাগের প্রধান জয়নাল আবেদীন।

ব্যাংকের ইন্টারনাল কন্ট্রোল এন্ড কমপ্লায়েন্স ডিভিশনের প্রধান এ এ এম হাবিবুর রহমানসহ বিভিন্ন বিভাগীয় প্রধান ও ঊর্ধ্বতন নির্বাহীগণ এসময় উপস্থিত ছিলেন।

স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক, সাংবাদিক, ব্যবসায়ীসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, ব্যাংকের বিভিন্ন অঞ্চলের আঞ্চলিক প্রধানগণ, সংশ্লিষ্ট শাখাসমূহের ব্যবস্থাপক ও উপশাখার ইনচার্জবৃন্দ এতে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন।

নতুন উপশাখাগুলো হচ্ছে- খাগড়াছড়ির গুইমারা, চট্টগ্রামের বারৈয়ারহাটের আবু তোরাব, বাকলিয়ার খাজা রোড, লোহাগাড়ার কানুরাম বাজার, নানুপুরের ইসলামিয়া বাজার, ফেনীর ফুলগাজীর ছাগলনাইয়া, মানিকগঞ্জ, কুমিল্লার মুন্সিরহাটের হাড়িসর্দার বাজার, হোমনার ঘাড়মোড়া বাজার এবং ঢাকার ইব্রাহিমপুর।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাফর আলম বলেন, ইসলামী ব্যাংকিং সুদমুক্ত ব্যাংকিং যা সকলের জন্য কল্যাণ বয়ে আনে। দেশের এক তৃতীয়াংশ রেমিট্যান্স
আসে ইসলামী ধারার ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে। আর আমাদের ব্যাংক এই মুহূর্তে রেমিট্যান্স আহরণে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের

গ্রাহক প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটি যাতে অচিরেই অর্ধকোটি মানুষের ব্যাংকে পরিণত হয় আমরা সেই লক্ষে কাজ করছি।

;