মৃত্যুর ৬ দিন আগে জ্বালানি খাতকে নিরাপদ করেন বঙ্গবন্ধু



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান

  • Font increase
  • Font Decrease

৯ আগস্ট এমন একটি দিন যেদিন বাংলাদেশের জ্বালানি খাতের অভাবনীয় সিদ্ধান্তে পিলে চমকে গিয়েছিল অনেক বোদ্ধার। নির্মম ব্যাপার হলো ঐতিহাসিক সেই দিনের মাত্র ৬ দিন পর বর্বর হত্যাকাণ্ডের শিকার হন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

১৯৭৫ সালের সেই দিনে ৫টি গ্যাস ক্ষেত্র (তিতাস, বাখরাবাদ, হবিগঞ্জ, রশিদপুর ও কৈলাশটিলা) নামমাত্র মূল্যে বিদেশি কোম্পানির কাছ থেকে কিনে নিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। যার মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছিল মাত্র ৪.৫ মিলিয়ন পাউন্ড। যার ওপর ভিত্তি করেই এখন দাঁড়িয়ে আছে দেশের জ্বালানি খাত।

একইসঙ্গে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিশন কোম্পানিতে থাকা শেল অয়েলের সব শেয়ার কিনে নেয় বাংলাদেশ। ১৮ বছরে মোট ৩৬টি কিস্তিতে পরিশোধযোগ্য হিসাবে চুক্তি সম্পাদন করা হয়। অনেকে এই মূল্যকে নামমাত্র মূল্য হিসেবে মনে করেন। কারণ প্রকৃত মূল্য ছিল কয়েক গুণ বেশি। জাতির জনকের কৌশলী বুদ্ধিতে সেদিন অনেকটা বোকা বনে গিয়েছিলো বহুজাতিক কোম্পানি শেল অয়েল।

সেই সময় ওই ৫টি গ্যাসক্ষেত্রে গ্যাস মজুদ ছিল ১৩ দশমিক ৩৩৫ টিসিএফ। হিসাবে দেখা গেছে ২০১০ সালের জুন পযর্ন্ত ৬.৫২ ট্রিলিয়ন ঘনফুট (টিসিএফ) গ্যাস উত্তোলন করা হয়েছে, যার বাজার মূল্য ৭৯ হাজার কোটি টাকা। পুরো গ্যাসের মূল্য দাঁড়ায় প্রায় দেড় লাখ কোটি টাকা। গ্যাস ক্ষেত্রগুলো সেদিন কিনে নেওয়ায় স্বল্পমূল্যে গ্যাস সরবরাহ সম্ভব হচ্ছে বলে মনে করে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

এ কারণে ৯ আগস্টকে দেশের জ্বালানি খাতের জন্য টার্নিং পয়েন্ট হিসেবে গণ্য করা হয়। ঐতিহাসিক ওই ক্ষণকে স্মরণীয় করে রাখতে ২০১০ সাল থেকে ৯ আগস্টকে ‘জাতীয় জ্বালানি নিরাপত্তা দিবস’ হিসেবে পালন করা হচ্ছে। বিগত বছরগুলোর মতো এবারও দিবসটি উপলক্ষে জ্বালানি মন্ত্রণালয় বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়েছে।

কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে সাশ্রয়ী জ্বালানি ব্যবহারে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য মোবাইলে এসএমএস প্রদান, আলোচনা সভা ও বিশেষ সেমিনার, নির্ধারিত সড়কদ্বীপ সজ্জিতকরণ, বিশেষ স্মরণিকা প্রকাশ। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির বাইরে জেলা পর্যায়ে জ্বালানি নিরাপত্তা দিবস পালনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

বঙ্গবন্ধু সরকার জ্বালানি খাতের আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করে। শত্রু সম্পতি হওয়ায় সিলেট ও ছাতক গ্যাস ক্ষেত্রের পরিচালনার দায়িত্ব সরকার নিজ হাতে নেয় এবং পেট্রোলিয়াম অধ্যাদেশ জারি করে।

পেট্রোলিয়াম অপারেশনের সব বিষয় পরিচালনা এবং পরিবীক্ষণের জন্য পেট্রোবাংলা গঠন করা হয়। একইভাবে কয়লাসহ কঠিন খনিজ অনুসন্ধান ও আহরণের জন্য বাংলাদেশ মিনারেল এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট করপোরেশন গঠন করেন বঙ্গবন্ধু।

সংস্থা দু’টির চেয়ারম্যানকে সচিবের পদমর্যাদা দেওয়া হয়। পেট্রোলিয়াম কনসেশন প্রথা বিলুপ্ত করে প্রডাকশন শেয়ারিং কন্টাক্ট (উৎপাদন বণ্টন চুক্তি) প্রথা চালু করেন জাতির জনক। ৫টি বিদেশি কোম্পানির সঙ্গে সমুদ্র উপকূলে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের চুক্তি করেন তিনি।

ওই সময়ই বাংলাদেশ ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ অধিদফতরকে পুনর্গঠন ও গতিশীল করা হয়। মধ্যপাড়া কঠিন শিলা খনি প্রকল্পের আর্থ-কারিগরি সমীক্ষার জন্য পরামর্শক নিয়োগ ও আলজেরিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ভারত, সোভিয়েত রাশিয়াসহ পূর্ব ইউরোপের বিভিন্ন দেশে পেট্রোবাংলার কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়।

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, বঙ্গবন্ধু যে দূরদর্শী নেতা ছিলেন এই একটি উদাহরণেই যথেষ্ট। তার সেই ঐতিহাসিক সিদ্ধান্তের কারণে জাতি আজ অনেকখানি স্বস্তিতে রয়েছে।

   

ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে মিলিয়নিয়ার হলেন চট্টগ্রামের আলম



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
আবু আলমের হাতে ১০ লাখ টাকার চেক তুলে দেন জনপ্রিয় চিত্রনায়ক আমিন খান ও চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস

আবু আলমের হাতে ১০ লাখ টাকার চেক তুলে দেন জনপ্রিয় চিত্রনায়ক আমিন খান ও চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস

  • Font increase
  • Font Decrease

ওয়ালটন পণ্য কিনে মিলিয়নিয়ার হওয়ার কাতারে এবার যুক্ত হলেন বন্দর নগরী চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী আবু আলম। ঈদ উপলক্ষে দেশব্যাপী চলমান ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-২০ এর আওতায় দেশের সুপারব্র্যান্ড ওয়ালটনের ফ্রিজ কিনে নগদ ১০ লাখ টাকা পেয়েছেন তিনি। হয়েছেন ওয়ালটন ডিজিটাল ক্যাম্পেইনের ৩৬তম মিলিয়নিয়ার।

মঙ্গলবার (২১ মে) বন্দর নগরীর আগ্রাবাদে ওয়ালটনের ডিস্ট্রিবিউটর শোরুম ‘কেএসটিএল এন্টারপ্রাইজ’ এ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে আবু আলমের হাতে ১০ লাখ টাকার চেক তুলে দেন জনপ্রিয় চিত্রনায়ক ও ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর আমিন খান এবং চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস।

এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন ডিস্ট্রিবিউটর নেটওয়ার্কের হেড অব সেলস ফিরোজ আলম, ওয়ালটন ফ্রিজের চিফ বিজনেস অফিসার তাহসিনুল হক, ওয়ালটনের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর শাহজালাল হোসেন লিমন, ডিস্ট্রিবিউটর নেটওয়ার্কের ডিভিশনাল সেলস ম্যানেজার আব্দুল বারী, রেজিওনাল সেলস ম্যানেজার নেসার উদ্দীন, কেএসটিএল এন্টারপ্রাইজের সত্ত¡াধিকারী আব্দুল কাদের খান।

আসন্ন ঈদ উৎসবকে ঘিরে ক্রেতাদের ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-২০ এর আওতায় ‘ননস্টপ মিলিয়নিয়ার’ হওয়ার সুবিধা দিচ্ছে ওয়ালটন। ক্যাম্পেইন চলাকালীন দেশের যেকোনো ওয়ালটন প্লাজা, পরিবেশক শোরুম ও অনলাইন সেলস প্ল্যাটফর্ম ‘ই-প্লাজা’ থেকে ফ্রিজ, এসি, টিভি, ওয়াশিং মেশিন এবং ফ্যান কিনে মিলিয়নিয়ার হওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন ক্রেতারা।

এছাড়াও পাচ্ছেন নগদ এক লাখ টাকা পাওয়ার সুযোগ। রয়েছে কোটি কোটি টাকার নিশ্চিত উপহার।

এই ক্যাম্পেইনের আওতায় আবু আলম গত ১৩ মে কেএসটিএল এন্টারপ্রাইজ থেকে ৪৭ হাজার টাকায় ওয়ালটনের ৩৬৫ লিটারের একটি ফ্রিজ কেনেন।ফ্রিজটি কেনার পর তার নাম, মোবাইল নম্বর এবং ক্রয়কৃত ফ্রিজের মডেল নম্বর ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন করা হয়। এর কিছুক্ষণ পর তার মোবাইলে ওয়ালটনের কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা ক্যাশব্যাক পাওয়ার একটি ম্যাসেজ যায়।

চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে চট্টগ্রামের আয়রন ও স্টিলের ব্যবসায়ী আবু আলম বলেন, ওয়ালটন দেশীয় ব্র্যান্ড, তাই সব সময় ওয়ালটনের পণ্য ব্যবহার করি। এক আত্মীয়কে উপহার দেওয়ার জন্য ওয়ালটনের ফ্রিজটি কিনেছি। ফ্রিজটি কিনে ১০ লাখ টাকা পেয়ে আমি বিষ্মিত। সাধারণ ক্রেতাদের এ রকম বিশেষ সুবিধা দেয়ায় ওয়ালটন কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ।

অনুষ্ঠানে সবাইকে দেশীয় ব্র্যান্ডের পণ্য কেনার আহবান জানিয়ে চিত্রনায়ক আমিন খান বলেন, ওয়ালটন ডিজিটাল ক্যাম্পেইনের আওতায় সারা দেশে এখন পর্যন্ত মিলিয়নিয়ার হয়েছেন ৩৬জন ক্রেতা। বহু ক্রেতা হয়েছেন লাখপতি। ওয়ালটনের সেই টাকায় তাদের ভাগ্যের চাকা ঘুরেছে। সচ্ছল হয়েছে অনেকের সংসার। ব্যবসার পাশাপাশি আর্থ-সামাজিক কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে এগিয়ে চলেছে দেশীয় ব্র্যান্ড ওয়ালটন। অর্জন করে নিয়েছে দেশের সিংহভাগ ক্রেতার আস্থা।

অপু বিশ্বাস বলেন, ওয়ালটন আমাদের দেশের জন্য একটি গর্ব। দেশীয় ইলেকট্রনিক্স শিল্পের বিকাশ, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, দক্ষ জনবল তৈরিসহ দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে বিস্ময়করভাবে অবদান রেখে চলছে ওয়ালটন। দেশের সীমানা পেরিয়ে বিশ্বের বহু দেশে পণ্য রফতানি করছে ওয়ালটন। দেশের জন্য সুনাম বয়ে আনছে। তাই আমাদেরকে দেশি ব্র্যান্ডের পণ্য কিনতে হবে। এতে দেশের টাকা দেশে থাকবে। উপকৃত হবে দেশ।

;

শুরু হচ্ছে বিকাশ ও বিজ্ঞানচিন্তার আয়োজনে ‘বিজ্ঞান উৎসব’র তৃতীয় আসর



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নতুন প্রজন্মকে বিজ্ঞান চর্চায় উদ্বুদ্ধ করতে সারাদেশের স্কুল শিক্ষার্থীদের জন্য তৃতীয়বারের মতো ‘বিকাশ-বিজ্ঞানচিন্তা বিজ্ঞান উৎসব ২০২৪’ আয়োজন করতে যাচ্ছে বিকাশ ও শীর্ষস্থানীয় বিজ্ঞান বিষয়ক ম্যাগাজিন, বিজ্ঞানচিন্তা। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমনস্ক জাতি গঠনে শিক্ষা জীবন থেকেই বিজ্ঞান চর্চার গুরুত্ব তুলে ধরতেই এই উদ্যোগ।

যৌথ এই আয়োজনের লক্ষ্যে মঙ্গলবার (২১ মে ২০২৪) বিকাশ এর সাথে বিজ্ঞানচিন্তা’র একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। রাজধানীর কারওয়ান বাজারে বিজ্ঞানচিন্তার প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিকাশ-এর চিফ এক্সটার্নাল অ্যান্ড কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার মেজর জেনারেল শেখ মো. মনিরুল ইসলাম (অব.) এবং বিজ্ঞানচিন্তার সম্পাদক আব্দুল কাইয়ুম নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তি স্বাক্ষর করেন।

এসময় দৈনিক প্রথম আলোর সহযোগী সম্পাদক আনিসুল হক, বিকাশ-এর ইভিপি ও হেড অব রেগুলেটরি অ্যান্ড কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স হুমায়ুন কবির, বিকাশ-এর রেগুলেটরি অ্যান্ড কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স বিভাগের ভিপি সায়মা আহসান, বিজ্ঞানচিন্তার নির্বাহী সম্পাদক আবুল বাসার সহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

এই আয়োজনের অংশ হিসেবে ‘বিজ্ঞানে বিকাশ’ প্রতিপাদ্য নিয়ে দেশব্যাপী বিভাগীয় শহরগুলোতে স্কুল শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে বিজ্ঞান উৎসব অনুষ্ঠিত হবে। শিক্ষার্থীরা সেখানে তাদের উদ্ভাবনী ও গবেষণাধর্মী বিভিন্ন প্রকল্প প্রদর্শনের সুযোগ পাবে। পাশাপাশি থাকবে কুইজ প্রতিযোগিতা, বিজ্ঞান বিষয়ক আলোচনা, রোবট প্রদর্শনী, বই প্রদর্শনী ও বিক্রির ব্যবস্থা, বিজ্ঞান ম্যাজিকসহ নানা আয়োজন।

বিভাগীয় পর্যায়ে বিজ্ঞান প্রকল্পে বিজয়ী শিক্ষার্থীদের নিয়ে পরবর্তীতে ঢাকায় জাতীয় পর্যায়ের চূড়ান্ত বিজ্ঞান উৎসব আয়োজন করা হবে। চূড়ান্ত পর্বে সেরাদের জন্য থাকবে পুরষ্কার ও সম্মাননা পত্র।

;

আর্থিকখাতের অপচয়কারীদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে: ডেপুটি স্পিকার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের আর্থিকখাতের অপচয়কারীদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু।

বুধবার (২২ মে) সকালে রাজধানীর বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের হল রুমে ‘উন্নয়ন সমন্বয়’-এর উদ্যোগে আসন্ন বাজেট বিশ্লেষণ করতে সংসদ সদস্য ও অংশীজনদের সহযোগিতায় 'আমাদের সংসদ' কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ সব কথা বলেন।

ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু বলেন, আমি যখন স্টেট মিনিস্টার ছিলাম তখন বলেছিলাম, যারা উন্নয়ন করে তাদের মিতব্যয়ী হতে হবে। তখন আমার ওপর অনেকেরই রাগ হয়েছে। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে মিতব্যয়িতার কোনো বিকল্প নেই।

ডেপুটি স্পিকার আরো বলেন, বাংলাদেশ কোনো দ্বীপ নয়। আন্তর্জাতিক বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলছে। করোনায় যখন বিশ্ব অর্থনীতি হাবুডুবু খেয়েছে, তখন বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর কন্যার নেতৃত্বে দেশে কী হয়েছে, সেটা সবাই দেখেছেন। করোনার সংকট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দক্ষতার সঙ্গে কাটিয়ে উঠেছেন। তাতে জনগণেরও সহযোগিতা ছিল।

অনুষ্ঠানে সংসদের হুইপ সাজেদা খানম বলেন, বাজেট প্রণয়নের চেয়েও বাজেট বাস্তবায়ন করা কঠিন। আমাদের আলোচনা করা উচিত, এই চ্যালেঞ্জ কীভাবে মোকাবিলা করবো! ইউক্রেন ও রাশিয়ার যুদ্ধের ফলে পুরো পৃথিবীতে অর্থনৈতিক সংকট শুরু হয়েছে। সেই সংকট বাংলাদেশেও তৈরি হয়েছে। দেশের অধিকাংশ খাদ্যদ্রব্য ইউক্রেন থেকেই আমদানি হতো।

বরিশাল-২ আসনের সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেনন বলেন, সাধারণ মানুষের ধারণা, বাজেট দিচ্ছে মানে জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে। আর সংবাদমাধ্যম কোন জিনিসের দাম বাড়বে, কোন জিনিসের দাম কমবে, তা নিয়ে রিপোর্ট করে। কিন্তু বাজেট নিয়ে গঠনমূলক আলোচনা কেউ করে না। এমনকী সংসদীয় কমিটিগুলো বাজেট নিয়ে কোনো আলোচনা করে না। শুধু অর্থ মন্ত্রণালয় জানে আর প্রধানমন্ত্রী জানে! বাজেট নিয়ে কোথায় ফোকাস হওয়া উচিত, সেটা আমাদের করতে হবে।

চট্টগ্রামের-৫ আসনের সংসদ সদস্য আনিসুল ইসলাম, এমপি বলেন, বাজেট প্রণয়নে সংসদ সদস্যদের তেমন কোনো ভূমিকা নেই। বাজেটে ভূমিকা রাখতে পারে- সিপিডি, ব্যবসায়ী সংগঠন আর সিন্ডিকেটগুলো। বাজেটের ওপর কতটুকু আলোচনা হয়, তাও আমাদের জানতে হবে। বাজেটে কী হয়- সরকারি দল বলে ‘ভালো বাজেট’, ‘বড় বাজেট’ আর বিরোধীদল বলবে- ‘এই বাজেট ভালো না’! এই তো হয়!

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ও ‘উন্নয়ন সমন্বয়’-এর সভাপতি আতিউর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মো. শামসুল হক টুকু। বিশেষ অতিথি ছিলেন সংসদে হুইপ সানজিদা খানম, এমপি, বরিশাল-২ আসনের সংসদ সদস্য রাশেদ খান, এমপি ও চট্টগ্রাম-৫ আসনের আনিসুল ইসলাম, এমপি।

;

ঢাকায় বসছে ২৪তম রিনিউয়েবল এনার্জি কনফারেন্স



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী সিনেট ভবনে শুরু হচ্ছে ২৪তম ন্যাশনাল রিনিউয়েবল এনার্জি কনফারেন্স অ্যান্ড গ্রিন এক্সপো-২০২৪। দুই দিনব্যাপী ওই আয়োজনে প্রদশর্নীর পাশাপাশি থাকছে ৪টি টেকনিক্যাল সেমিনার।

বুধবার (২২ মে) সকাল ১০টায় উদ্বোধনী সেশনে থাকছে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। আর সমাপনীতে থাকছেন বন ও পরিবেশমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী এমপি। পৃথক দু’টি সেশনে যোগ দেবেন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ ও অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়েশা খান এমপি।

আয়োজকরা বলেছেন, বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানির যেমন সম্ভাবনা রয়েছে, তেমনি চ্যালেঞ্জও রয়েছে। বাংলাদেশ ২০৪০ সালের মধ্যে ৪০ শতাংশ নবায়নযোগ্য জ্বালানি নিশ্চিত করার কথা বলেছে। লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে হলে এ খাতে ২৪ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের প্রয়োজন হবে। সে কারণে এবারের আয়োজনে বিনিয়োগকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (২১ মে) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব এনার্জি এবং গ্রিনটেক ফাউন্ডেশন আয়োজিত ওই এক্সপো সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরা হয়। আয়োজনে সহযোগী হিসেবে রয়েছেন ইউএসএআইডি, স্রেডা, ইডকল, ফোরাম ফর এনার্জি রিপোর্টার্স বাংলাদেশ ও বিএসআরইএ।

গ্রিনটেক ফাউন্ডেশনের সিইও অ্যান্ড এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর লুৎফর রহমান, ২৪তম আসরের সামনে থাকছে বিনিয়োগের বিষয়গুলো। সরকারের নীতিনির্ধারক, ব্যাংককার, বিনিয়োগকারী, উন্নয়ন সহযোগী, সরকারি প্রতিষ্ঠান, এনজিও এবং শিল্পমালিকরা অংশ নেবেন। আয়োজনের মধ্যমে উদ্যোক্তা, সরকার ও অর্থায়নকারী প্রতিষ্ঠানের মধ্যে আরও নিবিড় সংযোগ তৈরি হবে বলে আশা করি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব এনার্জির ডিরেক্টর ড. এসএম নাফিজ সামস বলেন, আমরা ২২ বছর ধরে নবায়নযোগ্য জ্বালানি নিয়ে গবেষণা করে যাচ্ছি, সেগুলো এখানে তুলে ধরা হবে। ব্যাংকগুলো এখানে অর্থায়ন করবে, কিন্তু সংশ্লিষ্ট শাখার লোকজনের নবায়নযোগ্য জ্বালানি নিয়ে কোনো ধারণা না থাকলে বিষয়টি জটিল। তেমনি সাংবাদিক এবং যারা এই সেক্টরকে লিড দিতে সহায়তা করবে তাদের ডিপ্লোমা করার ব্যবস্থা থাকা উচিত। ডিপ্লোমা করতে যেহেতু বিজ্ঞান বিভাগের পড়াশুনার বিষয় থাকে, এখানে বিষয়টি ভিন্নভাবে প্লানিং করা উচিত।

বাংলাদেশ সোলার অ্যান্ড রিনিউয়েবল এনার্জি অ্যাসোসিয়েশন (বিএসআরইএ) সভাপতি নুরুল আক্তার বলেন, আমাদের দেশে জায়গা কম, সেইভাবে বিনিয়োগ করতে হবে। ২০৪০ সালে নবায়নযোগ্য জ্বালানি ৪০ শতাংশ করতে চায়, এখন ৫ শতাংশের নিচে। শুধু গার্মেন্টসের ছাদে ৫ হাজার মেগাওয়াট সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদনের সুযোগ রয়েছে। এখানে বিনিয়োগের প্রয়োজন নেই, কেপেক্স মডেলে অর্থায়নের জন্য ইডকলসহ অনেকে রেডি রয়েছে। পরিবেশ এবং ভবিষ্যতের জন্যই নবায়নযোগ্য জ্বালানির দিকে যাওয়া উচিত। আমাদের অনেকগুলো সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্পের এলওআই দেওয়া হয়েছে, যার সক্ষমতা ১০ হাজার মেগাওয়াটের ওপরে। কিন্তু জমি সংস্থানের অভাবে আটকে আছে। উৎপাদনের পাশাপাশি আমাদের ব্যবহারে সাশ্রয়ী হওয়া জরুরি। যথাসময়ে সুইচ অফ করলে ২ শতাংশ ব্যবহার কমে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সৌর বিদ্যুতের যন্ত্রপাতির বড় একটি অংশ অ্যালুমিনিয়াম এগুলো পুনরায় ব্যবহারযোগ্য, আবার রয়েছে প্লাস্টিক সেগুলোও পুনঃব্যবহারযোগ্য। কিছু উপাদান রয়েছে যেগুলো নিয়ে গবেষণা চলছে। ইলেকট্রনিক বর্জ্য নিয়ে কাজ করছে।

মিট দ্য প্রেস আয়োজনে অন্যদের মধ্যে ফোরাম ফর এনার্জি রিপোর্টার্স বাংলাদেশ চেয়ারম্যান মো. শামীম জাহাঙ্গীর, গ্রিনটেক ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা আব্দুল কাউয়ুম মোহাম্মদ কিবরিয়া উপস্থিত ছিলেন।

;