জাহাজ মালিকদের চাপে ছন্দহীন ঢাকা-চট্টগ্রাম পাইপ লাইন



সেরাজুল ইসলাম সিরাজ, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

লাইটারেজ মালিকদের চাপে ছন্দহীন হয়ে পড়েছে ঢাকা-চট্টগ্রাম পাইপ লাইনের কাজ। প্রধানমন্ত্রীর একজন উপদেষ্টা এ নিয়ে দৌড়ঝাঁপ চালিয়ে যাচ্ছেন বলে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) সূত্র জানিয়েছে।

প্রকল্পটির কাজ শেষ হলে বছরে ৬৫ কোটি টাকা পরিবহন খরচ সাশ্রয় হবে। আবার লাইটারেজের পরিবর্তে পাইপ লাইনে জ্বালানি তেল সরবরাহ হলে সিস্টেম লস ও ঝুঁকি শূন্যে নেমে আসবে।

এতো সম্ভাবনার পরও শুধু লাইটারেজ মালিকদের তদবিরের মুখে ঢিমেতালে চলছে সম্ভাবনাময় এ প্রকল্পটি। এর সঙ্গে রাষ্ট্রীয় অয়েল কোম্পানি পদ্মা, মেঘনা, যমুনার কিছু অসাধু কর্মকর্তা জড়িত বলে জানা গেছে। যারা এসব লাইটারেজ মালিকদের কাছ থেকে নিয়মিত কমিশন পেয়ে থাকেন।

প্রকল্পটি ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু সে অনুযায়ী দৃশ্যমান অগগ্রতি নেই। এখনও ভূমি অধিগ্রহণের কাজই শেষ করা যায়নি। ঠিক কতখানি অগ্রগতি হয়েছে, সে বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারেননি প্রকল্পটির দায়িত্বে থাকা পদ্মা অয়েল কোম্পানির জেনারেল ম্যানেজার আমিনুল ইসলাম।

তিনি বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে জানিয়েছেন, এ কথা ঠিক যে লাইটারেজ মালিকদের পক্ষ থেকে চাপ রয়েছে। তারা দাবি করছেন, এ পাইপ লাইন হলে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। তারা ব্যাংক ঋণ নিয়েছেন, ভাড়া বন্ধ হয়ে গেলে ঋণ পরিশোধে সংকটে পড়বেন। তবে লাইটারেজ মালিকরা দাবি করতেই পারেন, সেজন্য প্রকল্পের কাজ আটকে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। প্রকল্পের কাজ এগিয়ে চলছে।

এক প্রশ্নের জবাবে আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘প্রকল্পটি সেনাবাহিনীকে দেওয়া হয়েছে। তারা দেখভাল করছেন। নির্ধারিত সময় ২০২০ সালের ডিসেম্বরে কাজ শেষ করা যাবে কি না, সেটা তারা ভালো বলতে পারবেন।’

প্রকল্পটির ইঞ্জিনিয়ারিং ডিজাইনের জন্য ভারতীয় কোম্পানি সেকন ইঞ্জিনিয়ারিং এবং রুট চূড়ান্ত করার জন্য কনসালটেশন ফার্ম হিসেবে চাইনিজ প্রতিষ্ঠান কেএমসির সঙ্গে চুক্তি করা হয় ২০১৮ সালের আগস্টে। সে কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে জানাতে পারেননি আমিনুল ইসলাম।

মূল প্রকল্পের নাম ঢাকা-চট্টগ্রাম পাইপ লাইন প্রকল্প। ২০১৭ সালে প্রাক সমীক্ষা শেষ হয়। প্রকল্পের মূল ব্যয় ধরা হয়েছে ২ হাজার ৮৬১ কোটি টাকা। বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) অর্থায়নে গৃহীত এ প্রকল্পের আওতায় ঢাকা-চট্টগ্রাম ২৩৭ কিলোমিটার, কুমিল্লা থেকে চাঁদপুর পর্যন্ত ৫৯ কিলোমিটার এবং ফতুল্লা থেকে গোদনাইল ডিপো পর্যন্ত সাড়ে ৮ কিলোমিটার পাইপ লাইন স্থাপন করা হবে।

বিপিসি ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে ১.১৭ মিলিয়ন মেট্রিক টন ক্রড অয়েল এনে চট্টগ্রামে অবস্থিত ইস্টার্ন রিফাইনারিতে শোধন করে বাজারজাত করে। আর ৫.৫৪ মিলিয়ন মেট্রিক টন পরিশোধিত তেল আমদানি করে। এর মধ্যে নারয়ণগঞ্জে অবস্থিত গোদনাইল ও ফতুল্লা ডিপোর মাধ্যমে ৩২ শতাংশ অর্থাৎ ২.২ মিলিয়ন টন বিতরণ করা হয়ে থাকে। এ জ্বালানির প্রায় পুরোটাই চট্টগ্রাম থেকে লাইটারেজ জাহাজে করে চট্টগ্রামে নেওয়া হয়।

বিপিসির এক সমীক্ষায় দেখা গেছে প্রতি টন জ্বালানি তেল পরিবহনের জন্য নটিক্যাল মাইল প্রতি ৪.৬৯ টাকা হারে মাসুল দিতে হয়। বছরে ১৫ লাখ মেট্রিক টন জ্বালানি তেল চট্টগ্রাম থেকে নারায়ণগঞ্জে (১৫৩.৮ নটিক্যাল মাইল) পরিবহনের জন্য ১০৮ কোটি ১৯ লাখ টাকা গুণতে হয়। এর সঙ্গে দশমিক ১৭ শতাংশ হারে সিস্টেম লস সমান ১৫ কোটি ৯৪ লাখ টাকা গচ্চা গেছে।

একই পরিমাণ জ্বালানি তেল পরিবহনে পাইপ লাইনের অপেরশনাল খরচসহ ৬২ কোটি টাকার মতো খরচ পড়বে। সিস্টেম লস নেই, পরিবহনের ঝুঁকিও কম। দেশের এমন স্বার্থ লাইটারেজ মালিকদের কাছে ক্ষুদ্র হয়ে দাঁড়িয়েছে। তারা একজোট হয়ে এর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছেন। অভিযোগ রয়েছে, সম্প্রতি এ জোটে যুক্ত হয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর একজন প্রভাবশালী উপদেষ্টা। প্রকল্পের কাজ বন্ধ করার জন্য তদবির চালিয়ে যাচ্ছেন বলে বিপিসি ও জ্বালানি বিভাগ সূত্র দাবি করেছে।

বিপিসির চেয়ারম্যান মো. সামছুর রহমান বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেছেন, ‘সেনাবাহিনীকে কাজটি দেওয়া হয়েছে। অধিগ্রহণের জন্য জমি চিহ্নিত করা হয়েছে। এখন দাগ খতিয়ান সংগ্রহ করা হচ্ছে। সারা বিশ্বেই এখন পাইপ লাইনে তেল সরবরাহ হচ্ছে, এখানেও হবে। এখান থেকে সরে আসার কোনো সুযোগ নেই।’

কাজের অগ্রগতি প্রসঙ্গে বিপিসি চেয়ারম্যান বলেন, ‘আর্থিক অগ্রগতি সম্ভবত ৫ থেকে ৭ শতাংশ হবে। কাজের অগ্রগতি ১০ থেকে ১৫ শতাংশ হতে পারে। প্রকল্পটির কাজ শেষ হতে নির্ধারিত সময়ের চেয়ে একটু বেশি সময় লাগতে পারে।’

   

ইসলামী ব্যাংকের নোয়াখালী জোনের কর্মকর্তা সম্মেলন অনুষ্ঠিত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির নোয়াখালী জোনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিয়ে কর্মকর্তা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার ( ২৬ এপ্রিল) ম্যাজিক প্যারাডাইস পার্ক এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

ব্যাংকের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। ব্যাংকের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. মাকসুদুর রহমান-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মুহাম্মদ কায়সার আলী, ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মুহাম্মদ শাব্বির এবং সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট আবু ছাঈদ মো. ইদ্রিস।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন নোয়াখালী জোনপ্রধান এ. এফ. এম আনিছুর রহমান। সম্মেলনে ব্যাংকের কুমিল্লা জোনপ্রধান মো. মুনিরুল ইসলাম, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট খালেদ মাহমুদ রায়হান, এফসিসিএ সহ প্রধান কার্যালয়ের নির্বাহী, নোয়াখালী জোনের অধীন শাখাসমূহের প্রধান, উপ-শাখা ইনচার্জ, সর্বস্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন।

;

বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা, নিন্দনীয় দৃষ্টান্ত: টিআইবি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বাংলাদেশ ব্যাংক

বাংলাদেশ ব্যাংক

  • Font increase
  • Font Decrease

আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠান এবং জনগণের অর্থের শেষ অবলম্বন বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে নিয়ন্ত্রণ আরোপের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।

এমন পদক্ষেপকে জনস্বার্থে ব্যাংকিং ও আর্থিক খাতের তথ্য প্রকাশে গণমাধ্যমের পেশাগত দায়িত্ব পালনের পথে অভূতপূর্ব প্রতিবন্ধকতা উল্লেখ করে অবিলম্বে তা প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।

গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ অনুযায়ী, ব্যাংকিং ও আর্থিক খাতের তথ্য সংগ্রহে গণমাধ্যম ও সংবাদকর্মীরা বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রবেশের ক্ষেত্রে প্রায় মাসাধিককাল ধরে বাধার সম্মুখীন হচ্ছিলেন। এক্ষেত্রে নিরুপায় হয়ে সমস্যা সমাধানে গভর্নরের সহায়তা চাইলেও ইতিবাচক কোনো ফল আসেনি।

এটিকে জনগণের তথ্য জানার আইনসিদ্ধ অধিকার নিশ্চিতের পথে অনৈতিক ও স্বেচ্ছাচারী পদক্ষেপ উল্লেখ করে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান প্রশ্ন রাখেন, ‘খেলাপি ঋণ, আর্থিক প্রতারণা ও জালিয়াতি এবং সার্বিক সুশাসনের অভাবসহ নানাবিধ সংকটে ব্যাংকিং খাত যখন জর্জরিত তখন তথ্যের অবাধ প্রবাহ বন্ধের সিদ্ধান্তের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের শীর্ষ নেতৃত্ব সবার কাছে কী বার্তা দিতে চান? কিংবা এর মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংক কী অর্জন করতে চায়? তবে কি খাদের কিনারায় উপনীত ব্যাংকিং খাতে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় নিজেদের ব্যর্থতার তথ্য গোপন করতেই এই উদ্যোগ? না-কি যারা ঋণখেলাপি ও জালিয়াতিসহ এ খাতের সংকটের জন্য দায়ী-তাদের স্বার্থ সুরক্ষার প্রয়াস এটি।’ 

বিগত কয়েক বছরে আর্থিক খাতের হাজার হাজার কোটি টাকা কেলেঙ্কারির যে সব তথ্য জনস্বার্থে প্রকাশিত হয়েছে তার বেশিরভাগই এসেছে গণমাধ্যমকর্মীদের বাংলাদেশ ব্যাংকে অবাধ প্রবেশাধিকারের সূত্র ধরে, এমন কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ড. জামান বলেন, ‘তবে কি ধরে নিতে হবে, বাংলাদেশ ব্যাংক এ খাতের অনিয়মের সঙ্গে জড়িত ঋনখেলাপি, জালিয়াতি ও অর্থপাচারের মতো অপরাধী মহলের অব্যাহত সুরক্ষা নিশ্চিতে কাজ করছে এবং চক্রটির হাতে বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতি ও নেতৃত্ব যে জিম্মি হয়ে পড়েছে, তা গোপন করতেই এহেন নিন্দনীয় পদক্ষেপ নিয়েছে।’

ব্যাংকিং খাত নিয়ে জনমনে যখন আস্থার প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে, কিংবা ব্যাংকের গ্রাহকদের স্বার্থ সুরক্ষার নামে ব্যাংক একীভ‚তকরণ নিয়ে যখন কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিজেই দৃশ্যমান কিংকর্তব্যবিমূঢ়, তখন গোপনীয়তার ঘেরাটোপ আরো বড় বিপদ ডেকে আনতে পারে বলে মনে করে টিআইবি। গণমাধ্যমকর্মীরা নিরুপায় হয়ে সমস্যা সমাধানে গর্ভনরের সহায়তা চাইলে ব্যাংকিং খাতের তথ্যের স্পর্শকাতরতা বিষয়ে গনমাধ্যম ও সংবাদকর্মীদের প্রশিক্ষণের নামে আমলাতান্ত্রিক দীর্ঘসূত্রিতার মাধ্যমে মূলবিষয়কে এড়িয়ে বাস্তবে সাংবাদিকদের বাধাহীন তথ্য সংগ্রহের সুযোগ ফিরিয়ে দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করতে যে বাংলাদেশ ব্যাংক নারাজ, তা পরিষ্কার বলে উদ্বেগ প্রকাশ করছে টিআইবি। যা শুধু স্বেচ্ছাচারিতার বহিঃপ্রকাশই নয়, বরং ঔপনিবেশিক মানসিকতারও পরিচায়ক আখ্যা দিয়ে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলছেন, ‘সমস্যার সমাধান না করে গভর্নর যে পাসনির্ভর ব্যবস্থা চালু করার কথা বলছেন, প্রশিক্ষণের প্রস্তাব দিচ্ছেন, তা আর যা-ই হোক, গণমাধ্যমকর্মীদের পেশাগত দায়িত্ব, বিশেষ করে অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের তথ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে বাস্তবে অপ্রতিরোধ্য নিষেধাজ্ঞা আরোপই শুধু নয়, বরং এর ফলে বাংলাদেশ ব্যাংকের যে কোনো পর্যায়ের কর্মকর্তাই সাংবাদিকদের সাক্ষাত প্রদানে বিরত থাকতে চাইবেন। কেননা সাক্ষাতের পর সংশ্লিষ্ট সাংবাদিক প্রতিবেদন প্রকাশ করলে নির্দিষ্ট কর্মকর্তাকে যে প্রশাসনিক জবাবদিহির নামে হয়রানির মুখোমুখি হতে হবে, তা না বললেও চলে। অর্থাৎ তথ্য প্রাপ্তির সুযোগ কার্যত রুদ্ধ হবে, জনগণ ব্যাংকিং খাতে কী হচ্ছে, কেনো এবং কারা জনগণের অর্থ লোপাটের ফলে লাভবান হচ্ছেন, তা জানার অধিকার থেকে বঞ্চিত হবেন। যা কোনোভাবেই সুবিবেচকের কাজ হতে পারে না। বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃপক্ষের মনে রাখতে হবে, তাঁরা জনস্বার্থের সুরক্ষার ভূমিকা পালনের কথা, ঋণখেলাপি আর ব্যাংকিং খাতের সংকটের জন্য দায়ী মহলের নয়।

সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক নেতৃত্ব কেন্দ্রীয় ব্যাংকে সাংবাদিকদের বাধাহীন প্রবেশের পরিস্থিতি নিশ্চিতে অবিলম্বে উক্ত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করার ঘোষণার মাধ্যমে অবাধ তথ্য প্রকাশের পথকে সুগম করবেন-এমনটাই প্রত্যাশা করে টিআইবি।

;

ঢাকা-কুয়ালালামপুর যাত্রা শুরু করলো ইউএস-বাংলার এয়ারবাস ৩৩০-৩০০



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বহরে যুক্ত হওয়া এয়ারবাস ৩৩০-৩০০ প্রথমবারের মতো ঢাকা থেকে কুয়ালালামপুরের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকাল ১১টা ২৫ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ৪২২ জন যাত্রী নিয়ে কুয়ালামপুরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় এয়ারবাসটি।

আবার কুয়ালালামপুর থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ৪০৯ জন যাত্রী নিয়ে এয়ারবাসটি ছেড়ে আসে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৮টা ১৫মিনিটে। ইউএস-বাংলার বহরে ২টি এয়ারবাস ৩৩০-৩০০ সহ মোট ২৪টি এয়ারক্রাফট রয়েছে, যা ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের এগিয়ে যাওয়ার সূচককে নির্দেশ করে।

এদিন এয়ারবাস দিয়ে ঢাকা থেকে মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম গন্তব্য দুবাই রুটেও ফ্লাইট পরিচালিত হবে। এখন থেকে প্রতিদিন সকাল ১০টা ৫০মিনিটে ঢাকা থেকে কুয়ালালামপুর ও রাত ৯টা ৫০ মিনিটে ঢাকা থেকে দুবাই রুটে এয়ারবাস ৩৩০-৩০০ দিয়ে ফ্লাইট পরিচালিত হবে।

বর্তমানে আন্তর্জাতিক রুট কুয়ালালামপুর, দুবাই ছাড়াও শারজাহ, আবুধাবী, দোহা, মাস্কাট, সিঙ্গাপুর, ব্যাংকক, মালে, গুয়াংজু, চেন্নাই, কলকাতা রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স।

;

ইসলামী ব্যাংকের ১০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি-এর পরিচালনা পর্ষদ ব্যাংকের শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ২০২৩ সালে ১০% ক্যাশ ডিভিডেন্ড সুপারিশ করেছে। ব্যাংকের ৪১তম বার্ষিক সাধারণ সভার অনুমোদন সাপেক্ষে এ ডিভিডেন্ড প্রদান করা হবে।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) ব্যাংকের চেয়ারম্যান আহসানুল আলম-এর সভাপতিত্বে পরিচালনা পর্ষদের সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভায় ভাইস চেয়ারম্যান তানভীর আহমেদসহ অন্যান্য পরিচালকবৃন্দ, ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ও সিইও মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা এবং অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ও কোম্পানি সেক্রেটারি জে কিউ এম হাবিবুল্লাহ, এফসিএস উপস্থিত ছিলেন।

আগামী ২৫ জুন ২০২৪, মঙ্গলবার ব্যাংকের ৪১তম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। লভ্যাংশ প্রাপ্তি এবং সাধারণ সভায় যোগদানের ক্ষেত্রে রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ১৬ মে ২০২৪। এ ছাড়া সভায় অন্যান্য আলোচ্যসূচির সাথে ৩১ মার্চ শেষ হওয়া ২০২৪ সালের প্রথম প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী অনুমোদন করা হয়।

;