ঢাকার রাস্তায় ঝুলন্ত তার অপসারণের তাগিদ প্রতিমন্ত্রীর

  • নিউজ ডেস্ক
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

বিদ্যুৎ ভবনে আয়োজিত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ

বিদ্যুৎ ভবনে আয়োজিত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ

ঢাকা শহরের রাস্তায় ঝুলন্ত ক্যাবল (তার) দ্রুত অপসারণের জন্য তাগিদ দিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

তিনি বলেন, শহরের সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য দ্রুত ঝুলন্ত তার অপসারণ করা প্রয়োজন। বিদ্যুতের পোলে তার ঝুলে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহে বিঘ্ন ঘটাচ্ছে। বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থাকে ঝুঁকিতে রেখে কোয়াব বা আইএসপিএ প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ করছে, যা সার্বিকভাবে অনভিপ্রেত।

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) বিদ্যুৎ ভবনে আয়োজিত এক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন প্রতিমন্ত্রী।

ঢাকা মহানগরীর রাস্তার পাশে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ঝুলন্ত তার ও বিতরণ লাইনকে ভূগর্ভস্থ বিতরণ লাইন ব্যবস্থার আওতায় স্থাপনের বিষয়ে এ সভা আয়োজিত হয়।

বিজ্ঞাপন

সভায় নসরুল হামিদ বলেন, ন্যাশনওয়াইড টেলিকমিউনিকেশন ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্কের (এনটিটিএন) আওতাধীন অপারেটরদের ভূগর্ভস্থ লাইন করে ইন্টারনেট সেবা দেওয়ার কথা। কোয়াবকেও এ অবকাঠামো ব্যবহার করা উচিত। কিন্তু তা না করে বিদ্যুতের পোল ব্যবহার করছে। ঢাকা শহরের বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থা ভূগর্ভস্থ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বিদ্যুতের ডাক্ট সেবা প্রদানকারী সংস্থাগুলো ব্যবহার করতে পারে।

বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, তথ্য ও বিনোদন ব্যবস্থাকে সমন্বিতভাবে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে চাই। কিন্তু বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থাকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে নয়।


ঢাকা মহানগরীর যেসব এলাকায় লোকাল ডিস্ট্রিবিউশন পয়েন্ট (এলডিপি) ব্যবস্থা রয়েছে সেসব এলাকায় জিপিএস ম্যাপসহ তালিকা প্রস্তুত, যেসব এলাকায় এখনও আন্ডারগ্রাউন্ড ফাইবার অপটিক ক্যাবল সুবিধা তৈরি হয়নি সেসব এলাকায় কর্মপরিকল্পনাসহ সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের নিয়ে আগামী পনের দিনের মধ্যে বিদ্যুৎ বিভাগের যুগ্মসচিবকে (সুশাসন ও কর্মসম্পাদন ব্যবস্থাপনা) পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দেন প্রতিমন্ত্রী।

উল্লেখ্য, এনটিটিএন, আইএসপিএ, টেলিফোন লাইন, ডিশ লাইন ইত্যাদি সংস্থার তার বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে সংযুক্ত রয়েছে।

আন্তঃমন্ত্রণালয়ের সভায় অন্যান্যের মাঝে আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এস এম জিয়াউল আলম, পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসাইন, বিদ্যুৎ বিভাগ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ, স্থানীয় সরকার বিভাগ, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ কোম্পানি, ঢাকা উত্তর/দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন, জননিরাপত্তা বিভাগ ও পেট্রোবাংলার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।