বিনিয়োগকারীরা পুঁজি ফিরে পেলো সাড়ে ৬ হাজার কোটি টাকা
তিনদিন উত্থান আর দুদিন দরপতনের মধ্য দিয়ে নভেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহ পার করলো দেশের পুঁজিবাজার। তলানি থেকে পুঁজিবাজার ঘুরে দাঁড়াবে, এমনটাই প্রত্যাশা বিনিয়োগকারীদের।
বিদায়ী সপ্তাহে প্রথম দুদিন দরপতনের পর টানা তিন দিন সূচক ও প্রায় সব কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে। ফলে বিনিয়োগকারীরা তাদের হারানো পুঁজি অর্থাৎ বাজার মূলধন ফিরে পেয়েছেন সাড়ে ৬ হাজার কোটি টাকা।
এর মধ্যে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বিনিয়োগকারীরা মূলধন অর্থাৎ পুঁজি ফিরে পেয়েছেন ৩ হাজার ১৭২ কোটি ২১ লাখ ৬৮ হাজার টাকা। চট্টগ্রামের বিনিয়োগকারীরা পুঁজি ফিরে পেয়েছেন ৩ হাজার ৩০৯ কোটি ২৩ লাখ ৬ হাজার টাকা। সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেডের (সিডিবিএল) তথ্য মতে, বর্তমানে দুই পুঁজিবাজারে ২৫ লাখ ৭২ হাজার বেনিফিশিয়ারি ওনার্সধারী (বিও) রয়েছে।
ডিএসইর তথ্য মতে, গত সপ্তাহের (০৩-০৭ নভেম্বর) মোট পাঁচ কার্যদিবসে ডিএসইতে ৩৫৭টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের কেনা বেচা হয়েছে। তাতে মোট ১ হাজার ৬৫৫ কোটি টাকা ১২ লাখ ৬৯ হাজার টাকা লেনদেন হয়েছে। এর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৬৭৩ কোটি ৮৮ লাখ ৭ হাজার টাকা।
দৈনিক গড় লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩৩১ কোটি ২ লাখ ৫৩ হাজার টাকায়। এর আগের সপ্তাহে গড় লেনদেন ছিল ৩৩৪ কোটি ৭৭ লাখ ৬১ হাজার টাকা। অর্থাৎ নভেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে লেনদেন একটু কম হয়েছে।
লেনদেন কম হলেও ডিএসইর তিনটি সূচকই বেড়েছে। এর মধ্যে ডিএসইর প্রধান সূচক আগের সপ্তাহের চেয়ে ৮৯ পয়েন্ট বেড়ে ৪ হাজার ৭৭২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। ডিএসইর অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক ৩০ পয়েন্ট এবং ডিএসই শরিয়াহ সূচক ১৪ পয়েন্ট বেড়েছে।
এছাড়াও লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ২২১টির, কমেছে ১১২টির, আর অপরিবর্তীত রয়েছে ২২টির।
অপর বাজার সিএসইতে গত সপ্তাহে লেনদেন হয়েছে ১৪৮ কোটি ১২ লাখ ৫২ হাজার ২২৭ টাকা। লেনদেন হওয়া ৩০৮ কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দাম বেড়েছে ২০৮টির, কমেছে ৭৫টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ২৫টির। আর তাতে সিএসইর প্রধান সূচক ২৬২ পয়েন্ট বেড়ে ১৪ হাজার ৪৮৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।