৩শ’ ছোঁবে পেঁয়াজের দাম, শঙ্কিত ক্রেতারা!



নাজমুল হাসান সাগর, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
পেঁয়াজ

পেঁয়াজ

  • Font increase
  • Font Decrease

গত দুই মাস ধরে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি তুমুল আলোচনায় এলেও কোরবানির ঈদের পরে থেকেই পেঁয়াজের দাম বাড়তে শুরু করে। গত কয়েকদিনে পেঁয়াজের মূল্য ক্রেতাদের নাগালের বাইরে চলে গিয়ে এখন তা জাতীয় ইস্যুতে পরিণত হয়েছে। দুই মাস আগে ৪০ টাকা কেজি দরে যে পেঁয়াজ কিনেছেন ক্রেতারা আজ সেই পেঁয়াজ কিনছেন ২৩০ টাকা কেজি দরে।

রাতারাতি পেঁয়াজের এমন মূল্য বৃদ্ধিকে অকল্পনীয় ও অবিশ্বাস্য মনে করছেন পেঁয়াজ কিনতে আসা কারওয়ান বাজারের হোটেল ব্যবসায়ী আবদুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, গতকালের দাম অনুযায়ী দশ কেজি পেঁয়াজ কেনার পরিকল্পনা নিয়ে বাজারে এসে সেই টাকায় পাচ্ছি সাত কেজি। কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে বাজারের পরিস্থিতি এতটা বদলে যাচ্ছে, এটা অকল্পনীয়!

এই হোটেল ব্যবসায়ী মনে করেন, বাজার নিয়ন্ত্রণে যারা কর্তাব্যক্তি আছেন, পেঁয়াজের বাজার সম্পর্কে তাদের কোন ধারণাই নেই। ধারণা থাকলে পেঁয়াজের বাজারের এই অবস্থা হতো না এবং পেঁয়াজের দাম কমবে বলে একেকজন একেক দিন আলাদা আলাদা বক্তব্য দিতেন না।

কারওয়ান বাজারের খুচরা বিক্রেতা খুশবুল ইসলাম বলেন, কেন কিভাবে পেঁয়াজের দাম বাড়ছে তা আমরা জানি না। কিন্তু দাম বৃদ্ধির কারণ সবার আগে আমাদেরই ব্যাখ্যা করতে হয়। ক্রেতাদের সঙ্গে দরদাম এক পর্যায়ে বাকবিতণ্ডায় গিয়ে পৌঁছায়। অথচ দাম বাড়ার পিছনে আমাদের কোনো হাত নেই। আমরা আড়তে যাওয়ার পর জানতে পারি পেঁয়াজের দাম বেড়েছে।

কেন পেঁয়াজের দাম বেড়েই চলেছে জানতে চাইলে কারওয়ান বাজারের ২৪ নম্বর আড়তের মালিক আশরাফ আলী বলেন, নানা কারণে পেঁয়াজের দাম বাড়ছে। একে তো দেশে পেঁয়াজের স্টক নেই। অন্যদিকে ভারত থেকে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দেওয়ায় সবচেয়ে বেশি অসুবিধা হচ্ছে।

হিসাব কষে আড়তদার আশরাফ আলী বলেন, যখন দেশে পেঁয়াজের অর্ধ মৌসুম ছিল তখনও প্রতিদিন শুধু পাবনা থেকেই ঢাকায় আসতো ১০০ ট্রাক পেঁয়াজ। আর সারা দেশের বিভিন্ন বন্দর ও মোকাম থেকে আসতো কমপক্ষে ২০০ ট্রাক। আর এখন আসে সাকুল্যে দশ ট্রাক। তাহলে পেঁয়াজের দাম বাড়বে না কেন?

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে পেঁয়াজের সংকটের অবস্থা বিবেচনা করে বার্মা (মিয়ানমার) ও মিশরের মতো দেশগুলো পেঁয়াজের দাম বাড়িয়েছে। আর পেঁয়াজ এমন একটা পণ্য যা পচনশীল, দেখা গেলো পঞ্চাশ বস্তা পেঁয়াজ আনলে কখনো কখনো সেখানে বিশ বস্তা টেকে, বাকিটা নষ্ট হয়ে যায়। বিশেষ করে বার্মা থেকে যে পেঁয়াজগুলো আসে সেগুলো অর্ধেকের বেশি নষ্ট হয়ে যায় পরিবহনকালীন সময়েই। নষ্ট পেঁয়াজের দাম তুলতেই দামটা আরও বেড়ে যায়।

আশরাফ আলী বলেন, গতকাল (বৃহস্পতিবার) আমি মিশরের পেঁয়াজ আড়তে বিক্রি করেছি ১৪০ টাকা কেজি দরে। কিন্তু আজকে এই পেঁয়াজ কিনেছি ১৮০ টাকা কেজি দরে। তাহলে আমি বা আমরা বিক্রি করব কত টাকা করে? লোকসান দিয়ে নিশ্চয়ই ব্যবসা করব না?

বাজারে পেঁয়াজের মূল্য বৃদ্ধির পেছনে ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশও (টিসিবি) অনেকটা দায়ী বলে মন্তব্য করেন আড়তের এক কর্মচারী। তিনি বলেন, টিসিবি যে অল্প মূল্যে পেঁয়াজ বিক্রি করে এটার জন্যেও বাজারে প্রভাব পড়ে। টিসিবি যে পেঁয়াজগুলো বিক্রি করছে সেগুলো তারা শ্যামপুর মানে আমরা যেখান থেকে পেঁয়াজ কিনি সেখান থেকেই কেনে। একে তো বাজারে পেঁয়াজ সংকট তার ওপর সরকারিভাবে সেখান থেকে পেঁয়াজ কিনে তারা কেজি প্রতি ৫০ থেকে ৭০ টাকা ভর্তুকি দিয়ে বিক্রি করে। এতে আমরা চাহিদামতো পেঁয়াজ তো কিনতেই পারি না তার ওপর অল্প পেঁয়াজের অর্ধেক তারা কিনে নিয়ে যায়। মূল সংকটটা তৈরি হয় এখানে। টিসিবি যদি সরাসরি পেঁয়াজ আমদানি করতো তাহলে সুফলটা পাওয়া যেত।

কবে নাগাদ পেয়াজের দাম কমবে এমন প্রশ্নের জবাবে একাধিক আড়তদার বলেন, নতুন পেঁয়াজ বাজারে ওঠার দিন পনের পরে পেঁয়াজের দাম কমবে। এর আগে কোনভাবেই কমার সম্ভাবনা নেই৷ এবার ৩০০ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ কিনে খেতে হবে দেশের মানুষকে। কেউ কেউ বলছেন এবার প্রতি কেজি পেঁয়াজ তিন শত টাকা ছাড়িয়ে যাবে।

কারওয়ান বাজারে পেঁয়াজের আড়ত ঘুরে দেখা যায়, সেখানে পেঁয়াজের মজুদ খুব একটা নেই। যারা দৈনিক ৫০ বস্তা পেঁয়াজ কেনেন তারা ১০ বস্তাও কিনতে পারছেন না। কেউ টাকা সংকটের কথা বললেও বেশির ভাগ আড়তদাররা বলছেন, টাকা নিয়ে পেঁয়াজ কিনতে গিয়ে ঘুরে আসতেছি শ্যামবাজার থেকে। পকেটে টাকা থাকলেও সেখানে পেঁয়াজ নেই।

শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) আড়তগুলোতে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ২২৫ টাকা কেজি দরে, বার্মিজ পেঁয়াজ ২০০-২২৫ এবং মিশরের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৮৫ থেকে ১৯০ টাকা কেজি দরে। এসব পেঁয়াজা খুচরা বাজার ভেদে বিক্রি হচ্ছে ২৩০ থেকে ২৫০ টাকা কেজি দরে।

   

ফের বাড়ল স্বর্ণের দাম



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ফের বাড়ল স্বর্ণের দাম

ফের বাড়ল স্বর্ণের দাম

  • Font increase
  • Font Decrease

ভরিতে ২ হাজার ৬৫ টাকা বাড়িয়ে একভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ১৯ হাজার ৬৩৮ টাকা। যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) এক বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) জানিয়েছে, শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) থেকে নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

;

শসা চাষিদের পাশে ‘স্বপ্ন’



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রমজানের মধ্যে শসার বাজার চড়া দাম থাকলেও বর্তমানে শসা চাষিরা শসার দাম নিয়ে বেশ বিপাকে পড়েছেন। তবে এমন দুঃসময়ে শসা চাষিদের পাশে দাঁড়িয়েছে দেশের সেরা রিটেইল চেইন সুপারশপ ‘স্বপ্ন’ ।

সম্প্রতি এক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ হয় যে, ন্যায্য দাম না পাওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েছেন দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার শসা চাষিরা। পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি শসা বিক্রি হচ্ছে মাত্র ২ থেকে ৪ টাকায়। ন্যায্য দাম পাচ্ছেন না চাষিরা। এমন সময় সেই শসা চাষিদের সঙ্গে যোগাযোগ করে ন্যায্যমূল্যে শসা কিনেন ‘স্বপ্ন’ কর্তৃপক্ষ। সেই শসা এখন খোলা বাজারের চেয়ে কম দামে স্বপ্ন আউটলেটে পাওয়া যাচ্ছে ।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) খোলা বাজারে ৪০ টাকা কেজিতে শসা বিক্রি করতে দেখা গেলেও স্বপ্ন আউটলেটে তা ১২টাকা কেজিতে অর্থাৎ সাশ্রয়ী মূল্যে খোলা বাজারের চেয়ে কম দামে গ্রাহকরা কিনতে পারছেন ।

এরইমধ্যে দিনাজপুরের খানসামার ওই এলাকা থেকে ২ টন এবং ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট এলাকা থেকে ৬ টন শসা কিনেছে স্বপ্ন প্রতিনিধি।

বর্তমানে তাদের উৎপাদিত শসা পৌঁছে গেছে স্বপ্ন’র আউটলেটে, স্টক থাকা অবধি এই অফার গ্রাহকরা পাবেন। স্বপ্ন’র নির্বাহী পরিচালক সাব্বির হাসান নাসির জানান, আমরা শসা চাষিদের দুর্ভোগের কথা জানতে পেরেছি নিউজের মাধ্যমে। আমরা দিনাজপুর, ময়মনসিংহসহ বেশকিছু এলাকার কৃষকের দুর্ভোগের কথা জানার পর তাঁদের কাছ থেকে শসা কিনেছি ন্যায্যমূল্যে। অনান্য ব্যবসায়ীদেরও কৃষকদের জন্য এগিয়ে আসার আহ্বান থাকবে । মধ্যস্বত্বভোগীদের লাভবান না করে কৃষকদের সঙ্গে সরাসরি সেতুবন্ধনের চেষ্টা করে আসছে স্বপ্ন। এই চেষ্টা সবসময় অব্যাহত থাকবে।

এ প্রসঙ্গে স্বপ্ন’র হেড অফ পার্চেজ সাজ্জাদুল হক বলেন, বিভিন্ন গণমাধ্যমে শসা চাষিদের সংকটের খবর দেখার পর আমরা সিদ্ধান্ত নেই যে, এই কৃষকদের পাশে আমরা দাঁড়াবো। দিনাজপুর, ময়মনসিংহসহ বেশ কয়েকটি এলাকা থেকে এরইমধ্যে ৮ টন শসা আমরা কিনেছি। দুঃসময়ে কষ্টে থাকা অনেক কৃষকদের পাশে ‘স্বপ্ন’ এর আগেও দাঁড়িয়েছে। সামনেও পাশে থাকবে।

দিনাজপুরের খানসামা এলাকার কৃষক সাকিব হোসেন জানান, প্রায় এক বিঘা জমিতে শসা চাষ করেছিলাম এবার। শসার বীজ, সারসহ নানা কাজে লাখ টাকা খরচ হয় আমার। কিন্তু ১০ রমজান অবধি কিছু শসা বিক্রি করার পর বাজারে শসার দাম কমে যায় । প্রতি কেজি ১০ টাকা, এরপর পর ৫ টাকা এবং সবশেষে আরও কম দামে বিক্রি করতে বাধ্য হয়। অনেক শসা নষ্টও হয়ে যায়। অনেক লোকসান হচ্ছিল। আমার এলাকার এক সাংবাদিক নিউজ করার পর এসিআই কোম্পানীর ‘স্বপ্ন’ থেকে যোগাযোগ করে আমার অনেকগুলো শসা কিনে নিয়েছেন উনারা। এতে করে লোকসানের অনেক ঘাটতি পূরণ হয়েছে আমার । তাঁদেরকে অশেষ ধন্যবাদ ।

;

বিকাশ অ্যাপে ‘সেন্ড মানি’ এখন আরও সুরক্ষিত, নির্ভুল



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গ্রাহকের লেনদেন আরও নির্ভুল ও সুরক্ষিত করতে বিকাশ অ্যাপের ‘সেন্ড মানি’ সেবায় যুক্ত হলো আরও একটি সতর্কীকরণ ধাপ বা ‘ডিসক্লেইমার’। সেভ করা নাম্বারের বাইরে অন্য কোনো নাম্বারে তাড়াহুড়ো করে সেন্ড মানি করার সময় ভুল নাম্বারে টাকা পাঠানোর বিড়ম্বনা এড়াতেই বিকাশ অ্যাপে এই সুবিধা যুক্ত করা হয়েছে।

এখন থেকে বিকাশ অ্যাপে সেভ করা নাম্বার ছাড়া অন্য কোনো নাম্বারে ‘সেন্ড মানি’ করার সময় একটি ‘ডিসক্লেইমার প্রম্পট’ বা সতর্কীকরণ বার্তা দেখা যাবে, যেখানে বলা আছে “নাম্বারটি সঠিক কি না তা অনুগ্রহ করে আবার চেক করুন”। সে অনুযায়ী নাম্বারটি নিশ্চিত হয়ে পরবর্তী ধাপে টাকার পরিমাণ উল্লেখ করে সেন্ড মানি করলেই ভুল নাম্বারে টাকা পাঠনোর কোনো বিড়ম্বনা থাকেনা। ‘সেন্ড মানি অটো পে’ সেট করার সময় এবং ‘গ্রুপ সেন্ড মানি’ -তে সেভ করা নাম্বারের বাইরে অন্য কোনো নাম্বার যোগ করার সময়েও এই সুবিধা পাওয়া যাবে।

এছাড়া আরও কিছু বিষয়ে নজর রাখলে ভুল নাম্বারে টাকা পাঠানোর কোনো বিড়ম্বনাই থাকেনা –

• নতুন কোনো নাম্বারে সেন্ড মানি করার আগে প্রাপকের সাথে কথা বলে নাম্বারটি নিশ্চিত করে নেয়া যেতে পারে
• সেভ করা নাম্বার ছাড়া অন্য কোনো নাম্বারে সেন্ড মানি করার সময় নাম্বারটি কয়েকবার মিলিয়ে নেয়া ভালো
• টাকার পরিমাণ প্রবেশ করার পর টাকার অংক ঠিক আছে কি না তা দেখে নেয়া দরকার
• ভুল নাম্বারে টাকা পাঠিয়ে ফেললে দ্রুত বিকাশ হেল্পলাইন ১৬২৪৭, অফিশিয়াল ওয়েবসাইট/লাইভ চ্যাট অথবা ফেসবুক পেজে যোগাযোগ করতে হবে

সুরক্ষিত এই সেন্ড মানি সেবার পাশাপাশি এই মুহূর্তে বিকাশ গ্রাহকরা মোবাইল রিচার্জ, ক্যাশ ইন, ক্যাশ আউট, মার্চেন্ট পেমেন্ট, অ্যাড মানি, ইউটিলিটি বিল পেমেন্ট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ফি পরিশোধ, ই-টিকেটিং, ডোনেশন, বিদেশ থেকে রেমিটেন্স গ্রহণ, ইন্স্যুরেন্স ও মাইক্রোফাইন্যান্স এর পেমেন্ট, ডিজিটাল ন্যানো লোন ও সেভিংস সহ নানান সেবা ব্যবহার করছেন। এভাবেই নতুন নতুন উদ্ভাবনী সেবা আনার মাধ্যমে একটি পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল লাইফস্টাইল অ্যাপে পরিণত হয়ে বিকাশ, গ্রাহকের প্রতিদিনকার লেনদেনে আরও স্বাধীনতা ও সক্ষমতা আনার প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে।

;

নারীর অধিকার আদায়ে ইসলামী ব্যাংকের মুদারাবা মোহর সঞ্চয়ী হিসাব



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মোহর ইসলামে নারীর প্রতি সম্মান আর অধিকার প্রদর্শনের একটি নিদর্শন। বিবাহের সময় কনের দাবিকৃত অর্থ মোহর, আর বরের পক্ষ থেকে কনেকে এই মোহর আদায় করা অত্যবশকীয় কর্তব্য।

পবিত্র কোরানের সুরা নিসায় আল্লাহ বলেন “আর তোমরা আনন্দের সাথে স্ত্রীদের মোহর আদায় করে দাও। তবে যদি তারা স্বেচ্ছায় মাফ করে দেয়, তাহলে তা সানন্দে ভোগ করতে পার”।

মোহর যে স্ত্রীর অপরিহার্য অধিকার এবং স্বামীকে যে অবশ্যই পালন করতে হবে এমন চিন্তা বেশিরভাগ মানুষের থাকে না। ফলে সমাজে মোহর আদায়ের সংস্কৃতি কিছুটা কম। বিয়েতে মোটা অংকের মোহর নির্ধারণ করা হয়, কিন্তু সংসারের খরচ চালাতে গিয়ে এই মোহর আদায় কারো কারো পক্ষে কঠিন হয়ে উঠে। ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি মোহর আদায়ের সংস্কৃতি চালু রাখতে ও আরো সহজ করতে মুদারাবা মোহর সেভিংস একাউন্ট চালু করেছে।

সমাজের সর্বস্তরের মুসলিম জনসাধারণ বিশেষত পেশাজীবী, চাকরিজীবী, ব্যবসায়ী, প্রবাসী তাদের সামর্থ অনুযায়ী মাসিক কিস্তিতে টাকা জমা দিয়ে এই প্রকল্পের আওতায় একাউন্ট খুলতে পারবেন। মাসিক কিস্তি ৫০০ টাকা থেকে ৫,০০০ টাকার কিস্তিতে ৫ বছর ও ১০ বছর মেয়াদী এ হিসাব পরিচালনাকারী হিসেবে ভূমিকা পালন করবে স্বামী বা বিবাহেচ্ছুক পুরুষ। কাবিননামায় উল্লেখিত মোট টাকার পরিমাণ, আদায়কৃত টাকা এবং আদায়যোগ্য টাকার পরিমাণ উল্লেখ করে আদায়যোগ্য টাকার উপর মাসিক হার নির্ধারণ করা হয়। উল্লেখ্য, ইতোমধ্যে প্রায় ৩৩ হাজার গ্রাহক ইসলামী ব্যাংকে মোহর একাউন্ট খুলেছেন।

বাংলাদেশের যে কোন বৈধ নাগরিক তার জাতীয় পরিচয় পত্র/পাসপোর্ট/ ড্রাইভিং লাইসেন্সের ফটোকপি, নিজের ২ কপি ছবি, স্ত্রীর ২ কপি ছবি (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) ও নমিনির এক কপি ছবি নিয়ে ইসলামী ব্যাংকের যে কোন শাখা, উপশাখা কিংবা এজেন্টে মোহর একাউন্ট খুলতে পারবে, এছাড়া ইসলামী ব্যাংকের ডিজিটাল অ্যাপস সেলফিনের মাধ্যমেও এই একাউন্ট খোলা যায়। অন্য শাখা, উপ-শাখা কিংবা এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট থেকে অনলাইনের মাধ্যমে কিস্তির টাকা জমা দেওয়া যায়। মোবাইল ভিক্তিক ব্যাংকিং আ্যাপস সেলফিনের মাধ্যমে মাসের যে কোন দিন যে কোন স্থান থেকে খুব সহজে মাসিক কিস্তি দেওয়া যায় অথবা শাখায় স্পেশাল ইনস্ট্রাকশন দিয়ে রাখলে প্রতি মাসে নির্দিষ্ট তারিখে স্বয়ংক্রিয়ভাবে অটোমেটিক সংশ্লিষ্ট সেভিংস হিসাব থেকে মোহর একাউন্টে ট্রান্সফার হয়ে যাবে। এছাড়া ইসলামী ব্যাংকের ইন্টারনেট ব্যাংকিং ও এমক্যাশের মাধ্যমেও মাসিক কিস্তি পরিশোধ করা যায়। গ্রাহক চাইলে কিস্তির টাকা অগ্রিম পরিশোধ করতে পারেন। উক্ত একাউন্টের মূল টাকা ও প্রদত্ত মুনাফা সবই স্ত্রীর প্রাপ্য। হিসাব খোলার সময় কিস্তির হার ও মেয়াদ নির্ধারণ করতে হবে। পরবর্তীতে তা পরিবর্তন করা যাবে না।

মুদারাবা মোহর হিসাবে সঞ্চিত অর্থ দিয়ে একজন স্বামী তার স্ত্রীর মোহরের ঋণ থেকে নিজেকে মুক্ত করতে পারেন। মোহর পরিশোধের মাধ্যমে নারীর জীবনে আর্থিক স্বচ্ছলতা আসে। এবং সম্মান প্রতিষ্ঠিত হয়। সর্বোপরি সমাজে নারীর অধিকার আদায়ের মাধ্যমে তাদের ক্ষমতায়ন হয়। মোহর আদায়ের সংস্কৃতি চালু করতে ইসলামী ব্যাংকের এ উদ্যোগ কৃতিত্বের দাবিদার।

;