অপরিবর্তিত পেঁয়াজ, চালের বাজারে সিন্ডিকেট

  • নাজমুল হাসান সাগর , স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

কারওয়ান বাজারে চাল ব্যবসায়ী/ ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

কারওয়ান বাজারে চাল ব্যবসায়ী/ ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

পেঁয়াজের মূল্য বৃদ্ধিকে অনুসরণ করে বৃদ্ধি পাচ্ছে চালের দাম। গত এক সপ্তাহে আটাশ ও মিনিকেট চালের দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি তিন থেকে পাঁচ টাকা।

খুচরা বাজারে যে আটাশ চাল গত সপ্তাহে ৩৩ থেকে ৩৪ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতো, সেই চাল এখন বিক্রি হচ্ছে আটত্রিশ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে। অপরদিকে মিনিকেট চাল গত সপ্তাহে ৪৩ থেকে ৪৪ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও এখন বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৪৬ থেকে ৪৮ টাকা কেজি দরে।

বিজ্ঞাপন

শনিবার (১৬ নভেম্বর) পেঁয়াজের দাম না বাড়লেও গত দিনের মতো অপরিবর্তিত রয়েছে। আড়তগুলোতে দেশি পেঁয়াজ কেজি প্রতি দাম রাখা হচ্ছে ২২০-২২৫ টাকা, বার্মা থেকে আনা পেঁয়াজ কেজি প্রতি দাম রাখা হচ্ছে ২১৫-২২০ টাকা এবং মিসরের পেঁয়াজ প্রতি কেজি দাম রাখা হচ্ছে ১৯০ টাকা। এই পেঁয়াজই খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকা থেকে ২৫০ টাকা পর্যন্ত।

পেঁয়াজের আড়ত/ ছবি:বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

পেঁয়াজের দর বৃদ্ধির আলোচনার সাথে সাথে ডালপালা গজিয়েছে চালের দর বৃদ্ধির। শনিবার দুপুরে কারওয়ান বাজারের চালের জন্য প্রসিদ্ধ কিচেন মার্কেট ঘুরে একাধিক চালের দোকানদারের সাথে কথা বলে জানা যায়। চলতি মাসের শুরু থেকেই চালের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে মিল মালিকরা।

বিজ্ঞাপন

যাদের কাছে বাড়তি চাল কেনা ছিল তারা পুরনো দামে বিক্রি করার কারণে এতদিন চালের দাম বৃদ্ধির বিষয়টি আলোচনায় ছিল না। কিন্তু গত সপ্তাহ থেকে দোকানিদের পূর্বের দামে কেনা চাল শেষ হয়ে গেলে তারা নতুন দামে কেনা চাল বাড়তি দামে বিক্রি শুরু করলে আলোচনায় আসে চালের দাম বৃদ্ধি।

চালের দাম বাড়ল কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে কিচেন মার্কেটে চাঁদপুর ট্রেডার্স এর চাল ব্যবসায়ী হাজী আমীন মিয়াজী বলেন, ধানের দাম বাড়লে চালের দাম বাড়বে এটা স্বাভাবিক। কিন্তু এখন তো ধানের দাম বাড়ে নাই। তারপরও যখন চালের দাম বেড়েছে তখন বুঝতে হবে এখানে মিল মালিকদের হাত আছে। মূলত মিল মালিকরা সিন্ডিকেট করে চালের দাম বাড়িয়েছে। আমাদের যখন বস্তাপ্রতি দুইশত টাকা বেশি দিয়ে চাল কিনতে হচ্ছে তখন খুচরা বাজারে কেজি প্রতি তিন থেকে পাঁচ টাকা বাড়িয়ে চাল বিক্রি করতে হবে। লোকসান দিয়ে তো আর ব্যবসা হয় না।

আলোচনার মাঝে উপযাচক হয়ে মন্তব্য করলেন একজন সাধারণ ক্রেতা। তিনি বলেন, যেসব চালের চাহিদা বেশি সেইসব চালের দামই বাড়ানো হয়েছে। বাজারে মিনিকেট ও আটাশ চালের চাহিদা বেশি হওয়ায় এই চালের দাম বাড়ানো হয়েছে। তিনি মনে করেন, সিন্ডিকেট তো বটেই বাজার মনিটরিংয়ে অব্যবস্থাপনা এবং সংশ্লিষ্টদের অনীহার কারণেই চালের দাম দাম এভাবে বাড়ানো হয়েছে কোন কারণ ছাড়াই। ওই ক্রেতা আরো বলেন, পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধির পেছনে সুনির্দিষ্ট দুইটা কারণ বলার মতো আছে কিন্তু চালের দাম বৃদ্ধির পেছনে কি কোন কারণ আছে?