দেশের মাটি থেকে অর্থপাচার, দুর্নীতি দূর করব: অর্থমন্ত্রী
দেশের মাটি থেকে অর্থপাচার, দুর্নীতি ও সন্ত্রাস দূর করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, দুর্নীতি ও সন্ত্রাস হলো দেশের শত্রু তবে অর্থপাচার একটি বিশ্ব সমস্যা; সব দেশ মিলেই এটি মোকাবিলা করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন।
শনিবার (১৬ নভেম্বর) হোটেল ইন্টার কন্টিনেন্টালে ‘অর্থপাচার রোধে জাতীয় কৌশল প্রণয়ন এবং সন্ত্রাসে অর্থায়ন রোধ ২০১৯-২০২১’ বিষয়ক সেমিনারে এসব কথা বলেন অর্থমন্ত্রী।
অর্থপাচার যেহেতু বিশ্ব সমস্যা তাই সবাই মিলে তা মোকাবিলা করতে হবে মন্তব্য করে মুস্তফা কামাল বলেন, এটি আমাদের দেশের জন্য হুমকিস্বরূপ। সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। শুধু বাংলাদেশের পক্ষে একা নয়, সারা বিশ্বকে এক হতে হবে মানবকল্যাণের জন্য।
তিনি বলেন, এ ধরনের হুমকি ভবিষ্যত প্রজন্মের স্বার্থে টিকে থাকতে দেওয়া যায় না।
অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশ বাণিজ্য ভিত্তিক অর্থনীতি। আমরা অটোমেশন পদ্ধতি গ্রহণ করেছি। অর্থপাচার জলবায়ু সংকটের মতো ভয়াবহ, যা একটি দেশ একাই মোকাবিলা করতে পারে না। মানব সভ্যতা, পৃথিবীর জন্য এটি সংকট। অর্থনীতির যেমন ক্ষতি করে তেমনি দেশের মানুষকে ধ্বংস করে দেয়। প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, দেশ থেকে সকল প্রকার দুর্নীতি, অর্থপাচার, সন্ত্রাস দূর করবেন।
সেমিনারে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, অর্থপাচার একটি বিশ্ব সমস্যা। বিশ্বের সব দেশ মিলে এ সমস্যা মোকাবিলা করতে হবে। দুর্নীতি শুরু হয় অর্থপাচারের মাধ্যমে। সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স দেখানোর সঙ্গে সঙ্গে অর্থপাচারেও একই মনোভাব দেখিয়ে যাচ্ছে। বিশ্ব ও আঞ্চলিক বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে বাংলাদেশ অর্থপাচার রোধে কাজ করে যাচ্ছে। আমাদের আন্তর্জাতিক সহায়তা দরকার।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেন, অর্থপাচার সংক্রান্ত অপরাধে দুদকের করা মামলায় সাজা দেওয়া হচ্ছে। শুধু সন্ত্রাসে অর্থায়ন হয় না, বরং দেশের পুঁজি অন্য জায়গায় স্থানান্তর (ক্যাপিটাল ফ্লাইং) হচ্ছে, যা দেশের অর্থনৈতিক বিকাশে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। তদন্ত এবং বিচার প্রক্রিয়া অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত।
বাংলাদেশের অর্থপাচার সংক্রান্ত অপরাধ প্রতিরোধে তদন্তকারী কর্মকর্তা, আইনজীবী এবং সংশ্লিষ্ট বিচারকদের প্রশিক্ষণে সহায়তার আহ্বান জানান দুদক চেয়ারম্যান।