লাগামহীন সবজির দাম

  • সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

লাগামহীন শীতকালীন সবজির দাম, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

লাগামহীন শীতকালীন সবজির দাম, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

অক্টোবর মাস থেকেই বাজারে আসতে শুরু করে শীতের আগাম সবজি। কিন্তু ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে বেড়ে যাওয়া সবজির দাম এখনো লাগামহীন। শীত মৌসুমে ফুলকপি প্রতি পিস ১৫-২০ টাকা বিক্রি হলেও এখন বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকায়। শিমের কেজি ৮০ টাকা, কাঁকরোল ৯০-১০০ টাকা। শুধু তাই নয়, পুরনো শসা বিক্রি হচ্ছে কেজিতে ১০০ টাকা।

রোববার (১৭ নভেম্বর) রাজধানীর মতিঝিল এজিবি কলোনি, ফকিরাপুল কাঁচাবাজার এবং শান্তিনগর বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, ঢেঁড়স কেজিতে ৬০ টাকা, শিম ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। একই দামে বিক্রি হচ্ছে বরবটি। এছাড়া বেগুন, পটল, কাঁকরোল, করলা, ঝিঙে এবং ধুন্দলের দাম ৬০ টাকা ও পেঁপের দাম ২০ টাকা।

বিজ্ঞাপন
ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে বেড়ে যাওয়া সবজির দাম এখনো কমেনি

নতুন দেশি টমেটোর কেজি ১২০ টাকা আর পুরাতন টমেটো ১০০ টাকা, শসা দাম ১০০ টাকা। তবে গাজর বিক্রি হচ্ছে ৫০-৫৫ টাকা কেজি। লাউ প্রতি পিস ৪০-৫০ টাকা, জালি প্রতি পিস ৩৫-৪০ টাকা।

আরও পড়ুন: পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করেছে

বিজ্ঞাপন

মুরগির ডিম ডজন বিক্রি হচ্ছে ৯৫-১০০ টাকা। ব্রয়লার মুরগির মাংস ১২০-১৩০ টাকা কেজি, গরু মাংস ৫০০- ৫৫০ টাকা এবং খাসির মাংস ৭০০-৭৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

মাছের বাজারে দাম কিছুটা স্বভাবিক রয়েছে

মাছের মধ্যে মাঝারি মানের ইলিশের কেজি ৯০০-১২০০ টাকায়, কৈ মাছ ১৭০-৩০০ টাকায়, তেলাপিয়া ১৩০-২২০ টাকায়, রুই ৩২০ টাকায়, কাতল ৩৫০ টাকায়, পাবদা ৪৮০ টাকায়, শৈল ৫০০ টাকায়, ট্যাংরা ৬৫০ টাকায়, লইট্টা ১৮০ টাকায়, ছোট আইড় ৬৮০ টাকায়, বাগদা চিংড়ি বড় ৫৫০ টাকায়, গলদা চিংড়ি বড় ৭০০ টাকায়, কোরাল ৬০০ টাকায়, পোয়া ৩৫০ টাকায়, শিং ৬০০ টাকায় এবং রূপচাঁদা ৯৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

শান্তিনগর কাঁচাবাজারে ব্যবসায়ী খন্দকার মাহবুব বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে বলেন, ‘কাঁচামালের কোনো ভরসা নাই। দামের কোনো ঠিক ঠিকানাও নাই। বুলবুলের ঝড়ের পর থেকে সবজির দাম বেড়েছে। দাম কমার কোনো নাম গন্ধ নাই।’

মুরগির বাজার

তিনি আরও বলেন, ‘গত দুই সপ্তাহ দরে শসা ও ফুলকপির দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। এখনো কমছে না। বেশি দামে কিনে আনতে হয়, তাই আমরাও কম দামে বিক্রি করতে পারছি না। জিনিসের দাম কমলে বিক্রি বেশি হয়। দাম বাড়লে বিক্রি কমে যায়।’