দক্ষিণ এশিয়ার সুষম উন্নয়নে প্রযুক্তি ও অভিজ্ঞতা বিনিময় জরুরি

  • স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

পাওয়ার সামিট-২০১৯ এ বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, ছবি: সংগৃহীত

পাওয়ার সামিট-২০১৯ এ বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, ছবি: সংগৃহীত

বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, দক্ষিণ এশিয়ায় ভূ-রাজনৈতিক অবস্থার সমন্বিত উন্নয়নে বিদ্যুৎ বাণিজ্য তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রাখছে। বিদ্যুৎ বিনিময় এ অঞ্চলের দ্রুত অর্থনৈতিক উন্নয়নে সহযোগিতা করবে।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে অনুষ্ঠিত ‘পাওয়ার সামিট-২০১৯’ এ মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপনকালে তিনি এসব কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

প্রতিমন্ত্রী বলেন, সুষম উন্নয়নের জন্য প্রযুক্তি ও অভিজ্ঞতাও বিনিময় করা যেতে পারে। বাংলাদেশ ভারত থেকে ১১৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করছে। নেপাল ও ভুটান থেকেও বিদ্যুৎ আমদানি করতে ইচ্ছুক। শীতকালে নেপাল ও ভুটান বাংলাদেশ থেকেও বিদ্যুৎ নিতে পারে কেননা তখন বাংলাদেশের চাহিদা কম থাকে। অন্যদিকে নেপাল ও ভুটানে চাহিদা বেশি থাকে। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সহযোগিতা ভারতের সেভেন সিস্টারস রাজ্যসমূহে বাড়ানো যেতে পারে। আঞ্চলিক পাওয়ার মিক্স, গ্রীড কোড, অভিজ্ঞতা বিনিময়, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, সোলার হোম সিস্টেম ইত্যাদি ক্ষেত্রে একসাথে কাজ করার সুযোগ রয়েছে। এই সুযোগগুলো কাজে লাগানো গেলে আগামীতে আমরা শক্তিশালী দক্ষিণ এশিয়া দেখতে পাবো।

বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, নেপালের কারনেলী হাইড্রো পাওয়ার প্রকল্প হতে জিএমআর এর মাধ্যমে ৫০০ মেগাওয়াট জলবিদ্যুৎ আমদানি প্রায় চূড়ান্ত। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সহযোগিতা বাড়ানোর জন্য দ্বি-পাক্ষিক, ত্রি-পাক্ষিক ও বহু-পাক্ষিক সমন্বয় সভার উপর গুরুত্ব দেন।

বিজ্ঞাপন

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নেপালের জ্বালানি, পানি ও কৃষি মন্ত্রী বার্শামান পুন ভুটানের অর্থনৈতিক বিষয়ক মন্ত্রী লোকনাথ শর্মা ও নেপালের ইন্ডিপেন্ডেন্ট পাওয়ার প্রডিউসার এসোসিয়েশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট কুমার পান্ডে প্রমুখ।