পেঁয়াজের দাম কমলেও চাল-সবজিসহ নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বগতি



তৌফিকুল ইসলাম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বিভিন্ন জেলায় নতুন পেঁয়াজ উঠতে শুরু করায় এবং বিদেশ থেকে নতুন পেঁয়াজ নিয়ে আসার ফলে বর্তমান বাজারে পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমতে শুরু করেছে। এদিকে গত দুই সপ্তাহ ধরে সব ধরনের চালের দামও বেড়েছে। তাছাড়া পরিবহন শ্রমিকদের কর্মবিরতির ফলে, পণ্যবাহী ট্রাক না চলায়, রাজধানীর বাজারে চাহিদা অনুযায়ী সবজি না আসায় সব ধরনের সবজির দামে ঊর্ধ্বগতি লক্ষ্য করা গেছে।

সপ্তাহের ব্যবধানে ছুটির দিনে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৮০ টাকা কমেছে। দাম কমে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকায় এবং আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়। গত সপ্তাহে এসব পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ২০০ থেকে ২৫০ টাকা কেজিতে।

শুক্রবার (২২ নভেম্বর) সাপ্তাহিক ছুটির দিনে সকালে রাজধানীর সবচেয়ে বড় বাজার পাইকারি ও খুচরা কারওয়ান বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।

পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমেছে/ ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

চালের বাজার ঘুরে দেখা যায়, গত সপ্তাহের মত চালের দামে ঊর্ধ্বগতি রয়েছে। কেজিতে ৪ থেকে ৬ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে চালের দাম।

কারওয়ান বাজারের চাল ব্যবসায়ী হক সাহেব বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, হঠাৎ করে চালের দাম বাড়ার জন্য মিল মালিকরা দায়ী। মিল মালিকরা চালের দাম বাড়ানোর কারণে আমরা বাড়তি দামে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছি। তবে এখনই সরকার কোন পদক্ষেপ না নিলে চালের দাম আরও বাড়বে।

বর্তমান খুচরা বাজারে প্রতি কেজি মিনিকেট চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৮ থেকে ৫০ টাকায়, নাজিরশাইল চালের দাম বেড়ে ৫৫ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে যা আগে ছিলো ৫০ থেকে ৫২ টাকায়, বিআর-২৮ চাল বিক্রি হচ্ছে ৩৬ থেকে ৩৮ টাকায়, যা আগে ছিলো ৩৩ থেকে ৩৪ টাকা, স্বর্ণা চাল বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৩৬ টাকায় যা আগে ছিলো ৩৩ টাকা, তবে চিনিগুঁড়া চাল কেজিপ্রতি ৮ টাকা বেড়ে ৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে আসা ক্রেতা ফরিদ হোসেন বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, পেঁয়াজের ঝাঁজ কমতে না কমতেই গত সপ্তাহের মত চালের বাজার ঊর্ধ্বগামী। একের পর এক নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ার ফলে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়তে হচ্ছে নিম্ন মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষদের। বাজারে কার্যকর নজরদারি না থাকার কারণে একের পর এক নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে।

এদিকে শীতকালীন সবজির বাজার ঘুরে দেখা যায়, গত সপ্তাহের তুলনায় সবজির দামে কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী। প্রতি কেজি নতুন আলু ১২০ টাকা, আর পুরাতন আলু ২৫ টাকা, পেঁয়াজের কলি ২০০ টাকা, শালগম ৭০ টাকা, কাঁচা পেঁপে ৪০ টাকা, শিম ৮০-১০০ টাকা, টমেটো ১৬০ টাকা, কাঁচা মরিচ ১২০ টাকা, বেগুন ৭০-৮০ টাকা, মুলা ৪০ টাকা, গাজর ১০০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা, পটল ৫০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, কাঁকরোল ৭০ টাকা, করলা ৭০-৮০ টাকা, শসা ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তাছাড়া বাজারে, প্রতি পিস ফুলকপি ৫০-৬০ টাকা, বাঁধাকপি ৪০ টাকা , লাউ ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মাংসের বাজার/ ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

কাওরান বাজারের ব্যবসায়ী মো. মতিন বলেন, পণ্যবাহী ট্রাক না চলায় চাহিদা অনুযায়ী পণ্য রাজধানীর বাজারে আসতে পারেনি। ফলে শীতকালীন সবজির দাম কিছুটা বেড়েছে। শীতকালীন সবজির কোনো সঙ্কট নেই। পণ্যবাহী ট্রাকে সবজি নিয়মিত আসতে থাকলে দাম আগের মতোই চলে আসবে।

মাংসের বাজার ঘুরে দেখা যায়, গত সপ্তাহের মতো স্থিতিশীল রয়েছে মাংসের দাম, বর্তমান বাজারে, প্রতি কেজি গরুর মাংস ৫২০-৫৫০ টাকা, খাসির মাংস ৭৫০ টাকা এবং বকরির মাংস ৬৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

তাছাড়া মুরগির দাম কমে, ব্রয়লার মুরগি কেজি প্রতি ১২৫-১৩০ টাকা, লেয়ার মুরগি ২১০ টাকা,পাকিস্তানি মুরগি ২৪০ টাকা, দেশি মুরগি ৩৮০-৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মাংস বিক্রেতা রেজানুল বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, গত কয়েক মাস ধরে বাজারে মাংসের চাহিদা কম। তাই মাংসের দাম বাড়েনি আগের মতোই রয়েছে। বর্তমান বাজারে মাংসের বেচাকেনা খুব একটা ভালো না।

বাজার করতে আসা ইশতিয়াক রাসেল নামের এক ক্রেতা বলেন, মাংসের বাজার স্বাভাবিক রয়েছে। কোনো ধরনের মাংসের দাম বাড়েনি। মুরগির দাম কিছুটা কমেছে গত সপ্তাহ থেকে। তবে সব ধরনের সবজির দাম বেড়েছে।

ইলিশের সঙ্গে অন্যান্য মাছের দামও বেড়েছে/ ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

কারওয়ান বাজারের মাছের বাজার ঘুরে দেখা যায়, গত তিন দিনের তুলনায় ভরা মৌসুমেও হালিতে ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা বেড়েছে ইলিশের দাম। তাছাড়া অন্যান্য মাছের দামও বেড়েছে। প্রতি কেজি পাবদা মাছ ৫০০ টাকা, রূপচাঁদা মাছ ৬০০-৮০০ টাকা, আইড় মাছ ৬৫০ টাকা, টেংরা মাছ ৭০০টাকা, চিংড়ি মাছ ৬০০টাকা, রুই মাছ ৩০০ টাকা, তেলাপিয়া মাছ ১৬০ টাকা, শিং মাছ ৬০০ টাকা, বেলে মাছ ৬০০ টাকা, কৈ মাছ ৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

দাম বেড়ে ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে, ১ কেজি ওজনের ইলিশ মাছ প্রতি কেজি এক হাজার ২০০ টাকা, ৮০০-৯০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের দাম এক হাজার টাকা, ৬০০-৭০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের দাম ৮০০ টাকা । এদিকে, এক কেজি ওজনের এক হালি ইলিশের দাম ৪০০০ থেলে ৪২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে, কারওয়ান বাজারের মুদি ব্যবসায়ী আনারুল ইসলাম বার্তাটোয়েন্টিফোর কমকে বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মধ্যে তেলের দাম বেড়েছে। প্রতি পাঁচ লিটার সয়াবিন তেলের জারে ১০ টাকা করে বেড়েছে। তাছাড়া আটা-ময়দা-চিনির দামও খানিকটা বাড়তি। লবণের লঙ্কা কাণ্ডের পর, বাজার স্বাভাবিক রয়েছে।

বাজারের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, জিনিসপত্রের দামের ঊর্ধ্বগতির ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ভোক্তারা। বাজারে নিত্যপণ্যের দাম যাতে ঊর্ধ্বমুখী না থাকে, কর্তৃপক্ষের জরুরী ভিত্তিতে উদ্যোগ নেয়া উচিত।

   

ওয়ালটনের আদর্শ ও নীতিমালার পরিপন্থী নাটক প্রচার করায় বিজ্ঞাপনী প্রতিষ্ঠানকে আইনি নোটিশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিষয়বস্তু অবহিত না করে ওয়ালটনের আদর্শ ও নীতিমালার পরিপন্থীভাবে ‘রূপান্তর’ শিরোনামের একটি নাটক প্রচার করায় বিজ্ঞাপনী প্রতিষ্ঠান ‘লোকাল বাস এন্টারটেইনমেন্ট’কে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছে ওয়ালটন। পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে সব ধরনের বিজ্ঞাপনী চুক্তিও বাতিল করেছে ওয়ালটন। একইসঙ্গে বিষয়টির জন্য ওয়ালটন গ্রুপ সম্মানিত ক্রেতা ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের নিকট আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছে।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) বিজ্ঞাপনী প্রতিষ্ঠান ‘লোকাল বাস এন্টারটেইনমেন্ট’ এর স্বত্বাধিকারী মোহন আহমেদকে ওই আইনি নোটিশ পাঠানো হয়।

ওয়ালটনের পক্ষে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট মো. রাইসুল ইসলাম রিয়াদ স্বাক্ষরিত আইনি নোটিশে বলা হয়েছে, আপনি লোকাল বাস এন্টারটেইনমেন্ট বিজ্ঞাপনী প্রতিষ্ঠান এর স্বত্বাধিকারী। আপনার প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে আপনার নির্মিত ৬টি নাটকে ওয়ালটন ফ্রিজ ব্র্যান্ডিং করতে সম্মত হয়। শর্ত থাকে যে, উক্ত নাটকসমূহে দেশের আইন, নীতি, নৈতিকতা বা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হয় এরকম কোনো বিষয় অর্ন্তভুক্ত হবে না। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজনক যে, উক্ত নাটকসমূহের মধ্যে ‘রূপান্তর’ নাটকটিতে এমন কিছু বিষয় অর্ন্তভুক্ত করা হয়েছে, যাতে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে ও মানুষের অনুভূতিতে আঘাত লেগেছে।

নোটিশে আরো বলা হয়েছে, ওয়ালটন কর্তৃপক্ষকে নাটকটির বিষয়বস্তু সম্পর্কে পূর্বে অবহিত না করে রূপান্তর নাটক প্রচার করায় আপনার সঙ্গে চুক্তি বাতিল করা হলো এবং সেই সাথে কেন আপনার বিরুদ্ধে ওয়ালটনের আদর্শ ও নীতিমালার পরিপন্থিভাবে নাটক প্রচারের জন্য আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা নোটিশ প্রাপ্তির ৭ দিনের মধ্যে জানানোর জন্য বলা হলো।

এর আগে, ফেসবুক-ইউটিউবসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যম থেকে ‘রূপান্তর’ নাটকটি প্রত্যাহারের জন্য বিজ্ঞাপনী সংস্থাকে নির্দেশ দেয় ওয়ালটন। তাৎক্ষণিকভাবে ফেসবুক-ইউটিউবসহ সব মাধ্যম থেকে নাটকটি প্রত্যাহার করে নেয়া হয়।

এরপরই বিজ্ঞাপনী সংস্থার সঙ্গে চুক্তি বাতিল করে ওয়ালটন গ্রুপের আদর্শ ও নীতিমালার পরিপন্থি নাটকে বিজ্ঞাপন প্রচারের জন্য কেন আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তা জানতে চেয়ে বিজ্ঞাপনী সংস্থা ‘লোকাল বাস এন্টারটেইনমেন্ট’কে লিগাল নোটিশ দেয় ওয়ালটন কর্তৃপক্ষ।

এদিকে, আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে ওয়ালটন জানিয়েছে দেশের মানুষের ধর্মীয় ও সামাজিক অনুভূতিতে আঘাত করে এমন কোনো কর্মকাণ্ড কখনও সমর্থন করে না এবং এসব কর্মকান্ডে সম্পৃক্ত থাকে না। অনাকাঙ্ক্ষিত এই বিষয়টির জন্য ওয়ালটন গ্রুপ মর্মাহত এবং সম্মানিত ক্রেতা ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের নিকট আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছে। এ ধরনের ঘটনা যাতে পুনরাবৃত্তি না ঘটে, সেজন্য তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে বলে বিবৃতিতে জানিয়েছে ওয়ালটন।

;

সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকে ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঈদ পরবর্তী প্রথম কর্মদিবসে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকে ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান উদযাপিত হয়েছে। সোমবার (১৫ এপ্রিল) সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে বর্ণাঢ্য এ ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান উদযাপিত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী জাফর আলম। এ সময় ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ ফোরকানুল্লাহ, আব্দুল হান্নান খান ও মোহাম্মদ হাবীবুর রহমান, ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের বিভাগীয় প্রধানগণ, বিভিন্ন অঞ্চলের আঞ্চলিক প্রধান, ঢাকাস্থ কয়েকটি শাখার ব্যবস্থাপক সহ প্রধান কার্যালয়ের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে ঊর্ধ্বতন নির্বাহীদের বক্তব্যের পাশাপাশি অন্যান্য কর্মকর্তাদের ঈদ ও বাংলা নববর্ষ বরণের অনুভূতি ব্যক্তকরণ, স্মৃতিচারণ, কৌতুক, গান, স্বরচিত কবিতা ও কবিতা আবৃত্তি ইত্যাদি পরিবেশনা অনুষ্ঠানটিকে আরও প্রাণবন্ত ও বর্ণিল করে তোলে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি জাফর আলম নিজের ঈদ উদযাপনের অনুভূতি ব্যক্ত করেন এবং সকলের সাথে ঈদ ও নববর্ষের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। তিনি বলেন, কর্মক্ষেত্রে যাদের সাথে আমরা বেশিরভাগ সময় কাটাই তারা আমাদের আরেকটি বৃহৎ পরিবার। এই পরিবারের সকলের সাথে ঈদ ও নববর্ষের আনন্দ ভাগ করে নিতে পারছি এটা অনেক আনন্দের। আমরা সকলে মিলে এই ব্যাংককে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি, আমাদের ব্যাংক রেমিট্যান্স, আমানত ও গ্রাহক সংখ্যায় ভালো করছে। ব্যাংকের এই অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে সকলকে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।

;

সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকে ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকে ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত

সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকে ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঈদ পরবর্তী প্রথম কর্মদিবসে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক এক বর্ণাঢ্য ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।

সোমবার (১৫ এপ্রিল) প্রধান কার্যালয়ে এ পুনর্মিলনীর আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্তিত ছিলেন- ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী জাফর আলম।

এসময় ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ ফোরকানুল্লাহ, আব্দুল হান্নান খান ও মোহাম্মদ হাবীবুর রহমান, ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের বিভাগীয় প্রধানগণ, বিভিন্ন অঞ্চলের আঞ্চলিক প্রধান, ঢাকাস্থ কয়েকটি শাখার ব্যবস্থাপকসহ প্রধান কার্যালয়ের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে ঊর্ধ্বতন নির্বাহীদের বক্তব্যের পাশাপাশি অন্যান্য কর্মকর্তাদের ঈদ ও বাংলা নববর্ষ বরণের অনুভূতি ব্যক্তকরণ, স্মৃতিচারণ, কৌতুক, গান, স্বরচিত কবিতা ও কবিতা আবৃত্তি ইত্যাদি পরিবেশনা অনুষ্ঠানটিকে আরও প্রাণবন্ত ও বর্ণিল করে তোলে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি জাফর আলম নিজের ঈদ উদযাপনের অনুভূতি ব্যক্ত করেন এবং সকলের সাথে ঈদ ও নববর্ষের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

তিনি বলেন, কর্মক্ষেত্রে যাদের সাথে আমরা বেশিরভাগ সময় কাটাই তারা আমাদের আরেকটি বৃহৎ পরিবার। এই পরিবারের সকলের সাথে ঈদ ও নববর্ষের আনন্দ ভাগ করে নিতে পেরেছি, এটা অনেক আনন্দের। আমরা সকলে মিলে এই ব্যাংককে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি, আমাদের ব্যাংক রেমিট্যান্স, আমানত ও গ্রাহক সংখ্যায় ভালো করছে। ব্যাংকের এই অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে সকলকে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।

;

একীভূতকরণ নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত জানাল বাংলাদেশ ব্যাংক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (বিডিবিএল), রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, বেসিক ব্যাংক, পদ্মা ব্যাংক ও ন্যাশনাল ব্যাংকের বাইরে আপাতত অন্য কোনো ব্যাংক একীভূতকরণ করা হবে না বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

সোমবার (১৫ এপ্রিল) এ তথ্য জানান বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক।

তিনি জানান, আপাতত রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, বিডিবিএল, বেসিক, পদ্মা ও ন্যাশনাল ব্যাংকের একভূতীকরণ নিয়ে কাজ করবে বাংলাদেশ ব্যাংক। এই ব্যাংকগুলোর বাইরে নতুন কোনো ব্যাংককে আপাতত একীভূত করা হবে না। তবে পরবর্তী সময়ে অন্য কোনো ব্যাংক একীভূত করা হবে কি না, সে রকম কোনো সিদ্ধান্ত এখনই নেওয়া হচ্ছে না বলেও জানান তিনি।

উল্লেখ্য, পদ্মা ও এক্সিম ব্যাংকের একীভূতকরণের ঘোষণার পর তালিকায় এসেছে সরকারি-বেসরকারি আরও ডজনখানেকের নাম। বিশ্লেষকরা বলছেন, শুধু দুর্বল ব্যাংক একীভূতকরণ করেই সুশাসন ফেরানো যাবে না এই খাতে। ব্যবস্থা নিতে হবে দায়ী পরিচালকদের বিরুদ্ধেও।

এদিকে ব্যাংক একীভূতকরণ সংক্রান্ত নীতিমালা জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতিমালার আলোকে দুর্বল (খারাপ অবস্থা) থাকা ব্যাংকগুলো নিজ থেকে একীভূত না হলে বাধ্যতামূলকভাবে একীভূত করা হবে। তার আগে দুই ব্যাংকের মধ্যে সমঝোতা সই করতে হবে। এরপর আমানতকারী, পাওনাদার ও বিনিয়োগকারীর অর্থ ফেরতের পরিকল্পনা জমা দিতে হবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক বহিঃনিরীক্ষক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ব্যাংকের সার্বিক আর্থিক চিত্র বের করবে। সবশেষ আদালতের কাছে একীভূতকরণের আবেদন করতে হবে।

এতে কোনো ব্যাংক মূলধন ও তারল্য ঘাটতি, খেলাপি ঋণ, সুশাসনের ঘাটতি এবং আমানতকারীদের জন্য ক্ষতিকর কার্যকলাপের কারণে পিসিএ ফ্রেমওয়ার্কের আওতাভুক্ত হলে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক পুনরুদ্ধারে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিধিনিষেধ মানতে হবে। পুনরুদ্ধার পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ব্যর্থ হলে আমানতকারীর স্বার্থে ব্যাংক বাধ্যতামূলক একীভূতকরণ হবে। একীভূতকরণ প্রক্রিয়া সুশৃঙ্খল এবং সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হওয়ার লক্ষ্যে ব্যাংকের অনুসরণের এ নীতিমালা জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক।

;