‘২০৪১ সালে মাথাপিছু আয় হবে ১৬ হাজার ইউএস ডলার’
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, ‘২০৪১ সাল নাগাদ সে সময়ের বাজারদর অনুসারে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় দাঁড়াবে প্রায় ১৬ হাজার ইউএস ডলারে। বতর্মানে বাজারদর অনুসারে সেটি এখন সাড়ে ১২ হাজার ডলার।’
সোমবার (২৫ নভেম্বর) রাজধানীর ওয়েস্টিন হোটেলে কর্পোরেট সোশ্যাল রেসপনসিবিলিটি (সিএসআর) সেন্টারের বার্ষিক রিপোর্টের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
এ সময় পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘এসডিজি (টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা) বাস্তবায়নে ক্রমান্বয়ে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। বিভিন্ন বছর মেয়াদী পরিকল্পনা করে যাচ্ছি এবং পরিকল্পনা বাস্তবায়নও করছি। ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হওয়ার লক্ষ্য নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি।’
দেশের বিভিন্ন উন্নয়নের কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, প্রত্যেক গ্রামকে শহরে রূপান্তর করতে হবে। আর সেজন্যই প্রত্যন্ত অঞ্চলসহ সব গ্রামের ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে গেছে। তাছাড়া প্রায় প্রত্যেক উপজেলায় লিংক রোড করা হয়েছে, যাতে সহজেই উপজেলার মানুষ জেলা শহরে যাতায়াত করতে পারে।’
সিএসআর প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘বিশেষ করে যেসব বেসরকারি প্রতিষ্ঠান অনেক মুনাফা করে, সেসব প্রতিষ্ঠান থেকেই সিএসআর বেশি করা হয়। তবে যার যার জায়গা থেকে সবাইকেই সিএসআরমূলক কাজ বেশি করে করা উচিত। কারণ সিএসআর কার্যক্রম আমাদের এসডিজি অর্জনে বড় ধরনের সহায়ক হিসেবে কাজ করে।’
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে সিএসআর সেন্টারের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান ফারুক সোবহান বলেন, ‘দেশ-বিদেশে কর্পোরেট সেক্টরগুলো কীভাবে সিএসআর প্রোগ্রামের প্রজেক্টের সঙ্গে যুক্ত হয়, সিএসআর সেন্টার তা এ রিপোর্টের মাধ্যমে তুলে ধরেছে। বাংলাদেশ যেহেতু জাতীয় পর্যায়ে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা প্রয়োগ করে, সেহেতু সিএসআর কার্যক্রমগুলো টেকসই ব্যবসা এবং বিনিয়োগে ইতিবাচক ভূমিকা রাখে। সিএসআর রিপোর্ট-২০১৯ তরুণ সমাজকে সমৃদ্ধ করবে এবং এসডিজি অর্জনের ক্ষেত্রে ভালো অবদান রাখবে।’
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইডিশ হাইকমিশনার এইচ ই শারলোটা স্লাইটার, গ্রিন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের সিইও এবং ম্যানেজিং ডিরেক্টর ফারজানা চৌধুরী, জাগো ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা করভী রাখসান্দা, সিএসআর সেন্টারের সিইও শাহামিন এম জামানসহ সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও বিভিন্ন বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।