সবজির দাম চড়া, কমেনি পেঁয়াজের দামও
বাজারে শীতের সবজি আসলেও দাম বেশ চড়া। আদা ও চালের দাম কিছুটা কমেছে। তবে পেঁয়াজ, আঠা, ময়দা, ডিম, আলু, এলাচ ও ব্রয়লার মুরগির দাম কমেনি বরং বেড়েছে। পেপে ছাড়া সব ধরনের সবজির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা ওপরে। প্রতি কেজি পেঁপে বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়।
বিক্রেতারা বলছেন, সবজি বাজারে আসলেও রাজধানীর সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার কারওয়ান বাজারে দাম বেশি হওয়ায় খুচরা বাজারে বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (২৮নভেম্বর) সেগুনবাগিচা, রামপুরা, ভাটারা ও বাড্ডার কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২৪০-২৫০ টাকায়। আর আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ২২০-২৩০ টাকা দরে। ফুলকপি এখনো প্রতি পিস ৪০-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ছোট আকৃতির সাদা ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে সবনিম্ন ৪০ টাকা আর আকারে একটু বড় সতেজ ফুলকপি ৫০-৬০ টাকা। নতুন দেশি আলু বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা কেজি।
মরিচের দাম কেজিতে ৫-৭ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। ভালো মানের কাঁচা মরিচ বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৮০-৯০ টাকা। একটু নিম্নমানের বা কয়েক দিনের পুরনো কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৭০-৭৫ টাকা।
শীতের সবজি শিমেরও দাম কমেনি। চ্যাপ্টা ও লম্বা শিম প্রতি কেজি ৫০-৬০ টাকা। নতুন কাঁচা টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৮০-৮৫ টাকা। সাদা ও কালচে বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়। লাল শাক বিক্রি হচ্ছে প্রতি আঁটি ১৫-২০ টাকায়।
প্রতি কেজি চিচিঙ্গা বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়, করলা ৬০ টাকা, ঝিঙ্গা ৭০ টাকা, মূলা ৫০ টাকা, বরবটি ৭০ টাকা, কচুর লতি ৫০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০, পটল ৬০, পেঁপে ৩০ এবং কাঁকরোল ৭০ টাকা কেজিতে। এছাড়াও শশা বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা কেজিতে। একই দরে বিক্রি হচ্ছে টমেটো।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ৫-১০ টাকা বেড়েছে। গত সপ্তাহে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছে ১১০-১২০ টাকা। তবে মুরগির এই দাম বেড়ে বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) বিক্রি হয়েছে ১১৫-১২০ টাকা। কোনো কোনো বাজারে ১২৫ টাকা করেও ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছে। গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৫০০-৫২০ টাকা। খাসি মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭০০-৭৫০ টাকা দরে।
চিকন চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকা থেকে ৬০ টাকা দরে। এর মধ্যে সবচেয়ে ভালো মানের নাজির ও মিনিকেট চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৫-৬০ টাকা কেজিতে। সাধারণ মানের নাজির ও মিনিকেট চাল বিক্রি হচ্ছে ৫০-৫৫ টাকা কেজিতে।
মাঝারি মানের চাল চিকন চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৮-৫২ টাকায়। পাইজম চাল বিক্রি হচ্ছে ৪০-৪৫ টাকা দরে। মোট স্বর্ণা চাল বিক্রি হচ্ছে ৩৮-৪০ টাকা কেজি দরে।
চালের পাশাপাশি আটা বিক্রি হচ্ছে ৩৬-৩৮ টাকা কেজি দরে। ময়দাও বিক্রি হচ্ছে ৪০-৪৮ টাকা কেজি দরে। ৮০ টাকা লিটার সয়াবিন তৈল বিক্রি হচ্ছে ৮৫ টাকা দরে। ৪৩০ টাকার ৫ লিটারের সয়াবিন বিক্রি হচ্ছে ৫০০ টাকা দরে।
১০০ টাকা কেজির দেশি মুসরের ডাল বিক্রি হচ্ছে ১০৫ টাকা দরে। ১১৫ টাকা কেজি নেপালি ডাল বিক্রি হচ্ছে ১২৫ টাকায়। ৯০ টাকার মুগডাল বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকা কেজি দরে। দেশি রসুন ১৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। বিদেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকা কেজিতে। শুকনা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকা কেজিতে। ১৬০ টাকার গুড়া হলুদ বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা কেজিতে।
মাছের মধ্যে রুই মাছ কেজি প্রতি ২৮০ থেকে ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, কাতলা ২৮০-৩৫০ টাকা কেজি, শোল মাছ প্রতি পিস ৩৫০ থেকে ৫০০ টাকা, শিং মাছ প্রতি কেজি ৪০০ টাকা, চিংড়ি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ থেকে ৬৫০ টাকা কেজি, পুঁটি মাছ ১৫০-২০০ টাকা কেজি এবং টেংড়া প্রতি কেজি ৫৫০-৬০০ টাকা দরে।