সবজির দাম কমেনি কমেছে ডিমের
নতুন পেঁয়াজ বাজারে আসার পাশাপাশি চাহিদা মত আমদানি হচ্ছে। কিন্তু তারপরও কমছে না দাম। শুধু তাই নয়, শীতকালীন সব ধরনের সবজি বাজারে আসলেও এখনো কমেনি দাম। একই অবস্থায় বিক্রি হচ্ছে চাল, ডালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যগুলো। ফলে বাজার করতে এসে নাজেহাল ক্রেতারা।
খুচরা দোকানদাররা বলছেন, বেশি দামে কিনে বিক্রিও করতে হয় বেশি দামে। ডিমের দাম হালি প্রতি কমেছে ৫-১০ টাকা। গত সপ্তাহে ১০০ টাকা হালিতে বিক্রি হওয়া মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকায়। প্রতি হালি ডিম বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়।
বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) রাজধানীর সেগুনবাগিচা কাঁচাবাজারে দিয়ে দেখা গেছে, পাতাসহ পেঁয়াজের কলি বিক্রি হচ্ছে ৮৫-৯০ টাকা কেজিতে। আমদানিকৃত চীনা বড় পেঁয়াজগুলো বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা কেজিতে। মিয়ানমার ও ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৭০-১৮০ টাকা কেজিতে। দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২০০-২২০ টাকা কেজিতে। তবে রাজধানীর অন্যান্য বাজারে দামের কিছুটা হের-ফের রয়েছে বলে জানিয়েছেন ক্রেতারা।
তবে পেঁয়াজ নিয়ে একটু আশার বাণী শোনালেন সেগুন বাগিচার কাঁচাবাজারের ব্যবসায়ী মইনুল ইসলাম লিটন। তিনি বার্তা২৪.কম-কে বলেন, নতুন পেঁয়াজ আসতে শুরু করেছে। আগামী সপ্তাহ থেকে দাম কমতে পারে।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি পিস ছোট ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ২০-২৫ টাকায়। মাঝারি আকারের ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৩৫-৪০ টাকায়। আর ভালো মানের ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৪৫-৫০ টাকা পিস। কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ৩৫-৪০ টাকা কেজি দরে। নিম্নমানের শিম ৩৫-৪০ টাকা, ভালো মানের শিমের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০-৫৫ টাকা কেজি দরে। গাজর বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজিতে। বেগুন ৫০, টমেটো ৯০-১০০, বরবটি ৭০, করলা ৬৫-৭০, শসা ৬০, মুলা ৩৫, পটল ৫০, লাউ ৪০, পেঁপে ৩০, নতুন আলু ৫০ ও পুরাতন আলু ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এ ছাড়াও শালগম ২৫-৩০ টাকা, বাঁধাকপি ৩০ টাকা, কচুর লতি ৩০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০-৫০ টাকা এবং চিচিঙ্গা ৪০-৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি পিস লাউ ২৫ টাকা ও মিষ্টি কুমড়া পাওয়া যাচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকায়। শাকের মধ্যে আঁটিপ্রতি লাল শাক পাঁচ টাকা, মুলা শাক ১০ টাকা, লাউ শাক ১০-১৫ টাকা ও পুঁই শাক ১৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
নতুন ধান বাজারে আসছে। চাল তৈরি করে বিক্রিও হচ্ছে। কিন্তু চালের দাম কমছে না। প্রতি কেজি মিনিকেট চাল ৫০ টাকা দরে সেগুন বাগিচা বাজারে বিক্রি হচ্ছে। একইভাবে ২৮ চাল কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকায়, নাজিরশাইল বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকা কেজি দরে। পাইজাম চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৪ টাকা কেজিতে।
জানতে চাইলে মেসার্স নিউ শিমুল রাইস এজেন্সি দোকানদার আরমান হোসেন বার্তা২৪.কম-কে বলেন, নতুন ধান বাজারে আসছে। কৃষকরা বিক্রি করতে এসে দাম পাচ্ছে না। কিন্তু মালের (চালের) দাম কমছে না। আমাদের বেশি দামে কিনতে হয়। তাই বিক্রিও করি বেশি দামে।
মাংসের মধ্যে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১২০-২৫ টাকা কেজিতে। লেয়ার মুরগি ২০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। গরুর মাংস ৫৫০ টাকা, খাসির মাংস ৮০০ টাকা আর বকরির মাংস ৭৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। দেশি মুরগি ৪২০ টাকা ও পাকিস্তানি মুরগি ২৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। মাসের মধ্যে এক কেজির প্রতিটি ইলিশ ১১০০-১২০০ টাকা ও ৬০০-৭০০ গ্রামের একেকটি ইলিশ ৭০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আর অন্যান্য মাছের মধ্যে রুই মাছ ২২০ টাকা ও কার্প মাছ ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।