হঠাৎ বেড়ে যাওয়া পেঁয়াজের দাম কমছে
বৃষ্টির কারণে হঠাৎ করে বেড়ে যাওয়া পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করেছে। ফলে শুক্র ও শনিবার ২০০ টাকায় বিক্রি হওয়া দেশি পেঁয়াজ রাজধানীতে ১৫০-১৭০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। দেশি পেঁয়াজের পাশাপাশি আমদানি পেঁয়াজের দাম বেড়েছিলো। এসব পেঁয়াজেরও দামও কিছুটা কমেছে।
সোমবার (০৬ জানুয়ারি) রাজধানীর মেরুল বাড্ডা ও সেগুন বাগিচা কাঁচাবাজারে, দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৫০-১৮০ টাকা কেজিতে। পাকিস্তানি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৩০-১৪০ টাকা কেজিতে। তুর্কি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮০-৯০ টাকা কেজি দরে। আর পাতাসহ নিম্নমানের দেশি পেঁয়াজ আরও কম দামে বিক্রি হচ্ছে। অথচ গত শুক্র, শনিবার ও হঠাৎ করে ২০০ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে বাজারগুলোতে।
মেরুল বাড্ডার পেঁয়াজ ব্যবসায়ী মুরাদ খান বার্তা২৪.কমকে বলেন, পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করেছে। তিনি বলেন, কাল পরশু আরও কমবে। পেঁয়াজের দাম কমার কারণ সম্পর্কে তিনি বলেন, চাহিদা অনুসারে পেঁয়াজ আসতে শুরু করেছে। ফলে পেঁয়াজের দামও কমছে।
সেগুনবাগিচা কাঁচাবাজারে ব্যবসায়ী রহমত উল্লাহ বলেন, মাঝে মাঝে পেঁয়াজের আড়তদাররা কৃত্রিমভাবে সংকট তৈরি করে পেঁয়াজের দাম বাড়ায়। এরা কোনো ইস্যু পেলেই এই কাজ করে।
তিনি বলেন, এখন পেঁয়াজের দাম বাড়ার কোনো কারণ নেই। উল্টো তিনি দুয়েকদিন বৃষ্টি হলেই পেঁয়াজের দাম বাড়বে কেন? প্রশ্ন করেন বলেন, যে পেঁয়াজ আগেই জমি থেকে উঠানো হয়েছে। এখনো সেই পেঁয়াজই তো বিক্রি হয়নি। তারপরও হুজুগ তুলে পেঁয়াজের দাম বাড়ায়। আমরা বেশি দামে কিনি আর তাই বেশি দামে বিক্রিও করি। আমাদের লাভ নেই। মাঝখানে সবার কথা শুনতে হয়।
শ্যামবাজারের পাইকারি পেঁয়াজ ব্যবসায়ী মেসার্স আলী ট্রেডার্সের পরিচালক মো. সামসুর রহমান বার্তা২৪.কমকে বলেন, বৃষ্টি আর শীতের কারণে কৃষক ক্ষেত থেকে পেঁয়াজ ওঠাতে পারেননি।এ কারণে বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ কমে যায়। ফলে পেঁয়াজের দাম বাড়ে।
তিনি বলেন, এখন আবহাওয়া ভাল হয়েছে কৃষকরা ক্ষেত থেকে পেঁয়াজ ওঠাচ্ছে। আশার করছি পেঁয়াজের দাম কমবে।
এদিকে সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ জানিয়েছেন, নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে শিগগিরই চারটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে দুই লাখ টন পেঁয়াজ আমদানি করা হবে।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, সিটি গ্রুপ আমদানি করবে ৫০ হাজার টন, মেঘনা গ্রুপ ৫০ হাজার, এস আলম গ্রুপ ৫০ হাজার এবং রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান টিসিবির মাধ্যমে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানি করা হবে।
শ্যামবাজারের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী হাজী মো. মাজেদ বলেন, পেঁয়াজ নিয়ে ভবিষ্যতে আবারও সর্তক হওয়ার প্রয়োজন আছে। গত কয়েক সপ্তাহে পেঁয়াজের ঘাটতির জন্য ৩৫ থেকে ৪০ টাকা দাম বেড়ে গেছে। বৃষ্টি হলেই পেঁয়াজ নিয়ে বেশি সমস্যা তৈরি হয়। ভারতেও পেঁয়াজের দাম তুলনামুলক অনেক বেশি তাই সহসায় তারা পেঁয়াজ রফতানির ওপর যে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সেটা তুলবে না।