অস্থির পেঁয়াজের বাজার, ক্রেতাদের নাগালে সবজি

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

আমদানি বেড়ে যাওয়ায় কমছে সবজি দাম, ছবি: বার্তা২৪.কম

আমদানি বেড়ে যাওয়ায় কমছে সবজি দাম, ছবি: বার্তা২৪.কম

বৃষ্টির কারণে গত সপ্তাহে পেঁয়াজ ও শীতের সবজির দাম যেন পাল্লা দিয়ে বাড়ছিল। আমদানি বেড়ে যাওয়ায় কমছে শীতকালীন সবজির দাম। কিন্তু অপরিবর্তিত রয়েছে পেঁয়াজের দাম। একই সঙ্গে বেড়ে যাওয়া চাল, মাংস, ডিম, আটা ও মাছের দামও কমেনি।

শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) ছুটির দিনে রাজধানীর কাঁচা বাজারগুলো ঘুরে দেখা যায়, শীতের সবজির দাম কিছুটা কমলেও পেঁয়াজের বাজারের রয়েছে অস্থিরতা। গত সপ্তাহের তুলনায় দেশি পেঁয়াজের দাম কমেছে সাইজ ও মান ভেদে ২০ থেকে ৪০ টাকা আর দুই একটি সবজি বাদে প্রায় সব সবজিরই দাম কমেছে কেজি প্রতি ৩ থেকে ৫ টাকা।

বিজ্ঞাপন
আমদানি বেড়েছে সবজির

কারওয়ান বাজারে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ সাইজ ভেদে বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা, পাকিস্তানি ১২০ টাকা, মিশর ৭০-৮০ টাকা এবং চায়না পেঁয়াজ ৬০ টাকা দরে।

পেঁয়াজের ব্যবসাটা খুব সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে আড়তদার হযরত আলী বলেন, ‘গতকাইল যে দামে আমরা পেঁয়াজ কিনছি আইজ সেই দামেই বাজারে বিক্রি করতাছি। পেঁয়াজের দাম বাড়তি থাকলে ব্যবসা কইরা শান্তি নাই। গতকাইলের যে বাজারদর আছিল, আইজ তার থেইকা কেজি প্রতি চার টাকা লস দিয়া বিক্রি করতাছি। আগামীকাইল যে আবার বাজার কেমন হইব বলা যায় না। খুব অনিশ্চয়তার মধ্যে পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা।’

বিজ্ঞাপন
রসুনের আড়ত

এদিকে, খুচরা বাজারে প্রতি কেজি করলা বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা, শিম ২০-৪০ টাকা, মুলা ২০ টাকা, বেগুন ৩০ টাকা, বরবটি ১২০ টাকা, ধুন্দল ৫০ টাকা, নতুন আলু ২৬ টাকা, পেঁপে ৩০ টাকা, গাজর ৩০ টাকা, শসা ৪০ টাকা, কাঁচামরিচ ৬০ টাকা, টমেটো ৪০ টাকা, শালগম ৪০ টাকা, গট কচু ৫০ টাকা দরে। এছাড়া প্রতি পিস লাউ বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকা, ফুলকপি ৩০ টাকা, বাঁধাকপি ৩০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া বড় সাইজ ১২০ টাকা-ছোট সাইজ ৪০ টাকা এবং মৌসুমি শাক আঁটি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৫ থেকে ১৫ টাকা দরে।

ক্রেতা ও বিক্রেতারা বলছেন, সবজির দাম কিছুটা কমছে। তবে শীতকাল হিসেবে সবজির দাম আরও কম থাকার কথা।

মাছের বাজার

মসলার বাজারে ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি চায়না রসুন ১৫০ টাকায়, নাটোরের রসুন ১৮০ টাকায়, তিন কোয়া রসুন ১৮০ টাকায় ও এক কোয়া রসুন ২৩০ টাকায় এবং ক্যারেল আদা ১৪০ টাকায় ও থাইল্যান্ড আদা ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

চালের বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি আটাশ চাল ৩৫ টাকায়, মিনিকেট ৪৬-৪৭ টাকায় এবং পোলাওয়ের চাল ৯০-১০৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

মাংসের বাজার

মাছের বাজারে চিংড়ি সাইজ ও জাত ভেদে ৫০০ থেকে ১ হাজার টাকা কেজি, ইলিশ মাছ সাইজ ভেদে ৭০০ থেকে ১৪০০ টাকা, রূপচাঁদা ৭৫০ থেকে ৮৫০ টাকা কেজি, দেশি বড় রুই মাছ ১২০০ টাকা কেজি, কাতল মাছ বড় ৯০০ টাকা কেজি, আইড় মাছ ১০০০ টাকা কেজি, বোয়াল মাছ ৮০০ টাকা কেজি, নদীর পাঙাশ মাছ ১০০০ টাকা কেজি। এছাড়া লইট্টা ২০০ টাকা কেজি, পাবদা ৫০০ ও মলা ৪০০ টাকা কেজি, কাচকি ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

ডজন প্রতি ডিম বিক্রি হচ্ছে ৯৬ টাকায়, পাকিস্তানি মুরগি প্রতি কেজি ২৪০ টাকায়, দেশি ৪৫০ টাকায়, সাদা কক ২১০ টাকায়, ব্রয়লার ১৩০ টাকায় এবং প্রতি পিস হাস বিক্রি হচ্ছে ৫০০ টাকায়।

শীত মৌসুমে কমেছে ইলিশ

বাজারের বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আবহাওয়া যত দ্রুত ভালো হবে, বাজারে পণ্যের আমদানি তত বাড়বে। পণ্যের আমদানি বাড়লে বিশেষ করে সবজির আমদানি বাড়লে দাম খুব দ্রুতই কমে যাবে।