হরতালে লেনদেন স্বাভাবিক, বিনিয়োগকারীদের উপস্থিতি কম
ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করে বিএনপির ডাকা হরতালে স্বাভাবিকভাবে শুরু হয়েছে পুঁজিবাজারের লেনদেন। সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় লেনদেন হচ্ছে। তবে ব্রোকারেজ হাউজে বিনিয়োগকারীদের উপস্থিতি কম রয়েছে।
রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর মতিঝিলের দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) ব্রোকারাজে হাউজে গিয়ে এই চিত্র দেখা গেছে।
এদিন অন্যান্য দিনের মতই সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন শুরু হয়েছে। লেনদেন শুরু হলেও ব্রোকারেজ হাউজগুলোতে হাতে গোনা দুই একজন বিনিয়োগকারীদের দেখা গেছে। বেশির ভাগ ব্রোকারেজ হাউজ ছিলো বিনিয়োগকারী শূন্য। শুধু ট্রেডাররা উপস্থিত থেকে শেয়ার কেনা বেচার করছেন।
নাম না প্রকাশের শর্তে এম সিকিউরিটিজের এক ট্রেডার বলেন, চাকরির দায়ে হাউজে এসেছি। তিনি বলেন, প্রতিদিন এই হাউজে সকালেই অন্তত ১০-১২ জন বিনিয়োগকারী থাকেন। আজ কেউ নেই (দুপুর ১২টা পর্যন্ত)। হরতাল হলে ভালো, জ্যাম থাকে না। পুঁজিবাজারও ভালো থাকে। সূচক বাড়ে।
এদিন সূচকের ওঠানামার মধ্যদিয়ে ডিএসইতে লেনদেন শুরু হয়। লেনদেনের ১০ মিনিট পর থেকে সূচক বাড়তে থাকে। দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ডিএসইর সূচক ২২ পয়েন্টে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৪৯২ পয়েন্টে।
বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ১৮৫টির, কমেছে ১০৭টির। আর ৫৫টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ২২৮ কোটি ৬৫ লাখ টাকা।
অপর বাজার সিএসইর প্রধান সূচক ৪৪ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ৬৩০ পয়েন্টে। লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ৯০টির, কমেছে ৬৩টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ২৪টি কোম্পানির। লেনদেন হয়েছে ১২ কোটি ৫০ লাখ ৮০ হাজার টাকা।