এসএস স্টিলের বিরুদ্ধে জালিয়াতির অভিযোগ



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত কোম্পানি এসএস স্টিলের বিরুদ্ধে জালিয়াতির মাধ্যমে শোর ক্যাপ হোন্ডিংস লিমিটেডের নামে বরাদ্দকৃত প্লেসমেন্ট শেয়ার হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। আর এ কাজে এসএস স্টিলের চেয়ারম্যান জাভেদ অপগ্যানহ্যাপেনকে সহায়তা করছে দ্যা রেজিস্টার অব জয়েন্ট স্টক কোম্পানিজ এন্ড ফার্মস (আরজেএসসি) এবং শেলটেক ব্রোকারেজ লিমিটেড।

রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টায় রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এতথ্য জানান শোর ক্যাপ হোন্ডিংস লিমিটেডের কোম্পানি সচিব মুহাম্মদ মাজাহারুল ইসলাম। এসময় উপস্থিত ছিলেন শোর ক্যাপ হোন্ডিংস লিমিটেডের এইচআর ম্যানেজার মনিরুজ্জামান রাসেল, পারচেজ অফিসার মুনায়েম খান ও অ্যাকাউন্টস অফিসার মো. সাজ্জাদ হোসেন।

তবে শোর ক্যাপ হোল্ডিংসের করা এই দাবিকে মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও অযৌক্তিক বলে দাবি করেছে এসএস স্টিল কর্তৃপক্ষ। শোর ক্যাপের এই দাবির পেছনে কোনো ষড়যন্ত্র আছে বলেও মনে করছে প্রতিষ্ঠানটি।

এসএস স্টিলের সচিব মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, 'টাকা দিয়ে প্লেসমেন্ট শেয়ার না পাওয়ার দাবি মিথ্যা। তারা সংবাদ সম্মেলনে মিথ্যা দাবি করেছে। নিশ্চয় এর পেছনে কোনো ষড়যন্ত্র আছে। প্রসপেক্টাসে তাদের দাবিকৃত কোম্পানির নামই নাই। ২০১৭ সাল থেকে অনলাইনে আছে। এতদিন তারা কিছু বলেনি। কিন্তু হঠাৎ অযৌক্তিক দাবি করার কারণ বুঝতে পারছি না।'

তিনি আরো বলেন, শোর ক্যাপ হোল্ডিংসের মালিকানায় রয়েছে শেয়ারবাজার কারসাজিকর ও জুয়ারি লুৎফর রহমান বাদল। তিনি বিদেশে থেকেও এ ষড়যন্ত্র ত্যাগ করতে পারেননি। তিনি এসএস স্টিলের সুনাম ক্ষুণ্ণ করতে চাচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে শোর ক্যাপ হোন্ডিংস লিমিটেডের কোম্পানি সচিব মুহাম্মদ মাজাহারুল ইসলাম বলেন, 'এসএস স্টিল লিমিটেড অভিনব পন্থায় জালিয়াতি করে অন্য কোম্পানির নামে বরাদ্দকৃত শেয়ার হাতিয়ে নেয়ার পাঁয়তারা করছে। প্রায় একই নামে কোম্পানি খুলে প্লেসমেন্ট শেয়ার হাতিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছে তারা। এই অবৈধ কাজে সহায়তা করছে আরজেএসসি এবং শেলটেক ব্রোকারেজ। আর এ জালিয়াতিতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন এসএস স্টিলের চেয়ারম্যান জাভেদ অপগ্যানহ্যাপেন।'

লিখিত বক্তব্যে আরো বলেন, '২০১৫ সালের জুন মাসে আমাদের কোম্পানি এসএস স্টিল লিমিটেড থেকে ৯৯ লাখ ৯১ হাজার প্লেসমেন্ট শেয়ার ক্রয় করে। আইসিবি ইসলামিক ব্যাংকের ছয়টি চেকের মাধ্যমে ওই বছরে জুন থেকে আগস্ট পর্যন্ত সময়ে শেয়ারের মূল্য হিসেবে ৯ কোটি ৯৯ লাখ টাকা পরিশোধ করা হয়। এরপর আরজেএসসি’র মাধ্যমে এসএস স্টিলের লিমিটেডের শেয়ার বরাদ্দ দেয়া হয়। ২০১৭ সালে এসএস স্টিলের শেয়ার হোল্ডিংয়ের তথ্যে (ফরম-১০এ) আমাদের কোম্পানি শোর ক্যাপ হোল্ডিংস লিমিটেডের নামে উল্লেখিত শেয়ার দেখানো হয়। কিন্তু ২০১৮ সালে পুঁজিবাজারে আইপিও প্রসপেক্টাসে ঠিকানা ঠিক রেখে 'শোর ক্যাপ হোল্ডিংস লিমিটেড' এর নাম বদলে 'শোরক্যাপ হোল্ডিং লিমিটেড' করা হয়।

শোর ক্যাপ হোন্ডিংসের কোম্পানি সচিব বলেন, '২০১৯ সালে জন্ম নেয়া শোরক্যাপ হোল্ডিং লিমিটেডের নামে ২০১৮ সালের ১ নভেম্বর বিও অ্যাকাউন্ট খোলে স্বনামধন্য সিকিউরিটিজ হাউজ শেলটেক ব্রোকারেজ লিমিটেড। এটা পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টদের জন্য খুবই পরিতাপের বিষয় যে শেলটেক ব্রোকারেজও জালিয়াতিতে জড়িয়ে পড়েছে। এসএস স্টিলের চেয়ারম্যান জাভেদ অপগ্যানহ্যাপেন অত্যন্ত চতুর ও ক্ষমতাবান হলেও তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে তিনি জালিয়াতির কিছু ছাপ রেখে জান। শেলটেক ব্রোকারেজে তিনি ভিন্ন ঠিকানা ব্যবহার করে জালিয়াতি কোম্পানির নামে বিও অ্যাকাউন্ট খোলেন। যার নং ১২০২৫৫০০৬৬৯৩০৪২৪। তার বিরুদ্ধে বিএসইসিতে আরও একাধিক জালিয়াতির অভিযোগ রয়েছে।'

এসএস স্টিলের চেয়ারম্যান জাভেদ অপগ্যানহ্যাপেনের জালিয়াতি থেকে আমাদের স্বার্থ সুরক্ষায় আমরা উচ্চ আদালতে যাই। চলতি বছরের ১৫ জানুয়ারি শোরক্যাপ হোল্ডিংয়ের নামে থাকা বিও অ্যাকাউন্টে এসএস স্টিলের ৯৯ লাখ ৯১ হাজার প্লেসমেন্ট শেয়ার বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন উচ্চ আদালত। আসল মালিকের বদলে জালিয়াতির মাধ্যমে নতুন কোম্পানি গঠন করে প্লেসমেন্ট শেয়ার হস্তান্তর ও আত্মসাতের চেষ্টার অভিযোগে করা রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে উচ্চ আদালত ছয় মাসের জন্য ওই নিষেধাজ্ঞা দেন। আদেশে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত ওই প্লেসমেন্ট শেয়ার হস্তান্তর বা বিক্রি না করার কথাও বলা হয়েছে।

মাজাহারুল বলেন, গত ১৫ জানুয়ারি সোর ক্যাপ হোল্ডিংস লিমিটেডের পক্ষে আইনজীবীর মাধ্যমে কোম্পানি সচিব ওই রিট আবেদন করেন। আবেদনে এসএস স্টিলের চেয়ারম্যান জাভেদ অপগ্যানহ্যাপেন, ব্যবস্থাপনা পরিচালক সিরাজুল ইসলাম, কোম্পানি সচিব মোস্তাফিজুর রহমানসহ নামসর্বস্ব কোম্পানির পরিচালক হাসনা অপগ্যানহ্যাপেন, সাদাত রহমান, আরজেএসসি, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি), বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিডিবিএল), ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই), চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) ও শেলটেক ব্রোকারেজ লিমিটেডের বিরুদ্ধে প্লেসমেন্ট শেয়ার হস্তান্তরে জালিয়াতির অভিযোগ আনা হয়।

২০১৯ সালের ১০ অক্টোবর লতিফ সিকিউরিটিজের বেনিফিশিয়ারি ওনার্স (বিও) অ্যাকাউন্টে শেয়ার হস্তান্তরের জন্য এসএস স্টিলকে চিঠি দেয় শোর ক্যাপ হোল্ডিংস লিমিটেড। কিন্তু কোম্পানিটি সেই চিঠির কোনো উত্তর দেয়নি। যে কারণে এ বিষয়ে বিএসইসি, সিডিবিএল, ডিএসই ও সিএসই’র হস্তক্ষেপ চায় কোম্পানিটি। এরপর এসএস স্টিলের পক্ষ থেকে শোর ক্যাপ হোল্ডিংস লিমিটেডের বদলে কাছাকাছি নামের 'শোরক্যাপ হোল্ডিং লিমিটেড'-এর শেল্টেক ব্রোকারেজে থাকা অন্য বিও অ্যাকাউন্টে ওই শেয়ার হস্তান্তর করা হয়। বিষয়টি পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির নজরে আনলে সংস্থাটি আরজেএসসি ও আইপিও প্রসপেক্টাসের তথ্য বিশ্লেষণ করে সঠিক বিও অ্যাকাউন্টে শেয়ার হস্তান্তরের নির্দেশ দেয়। কিন্তু ওই নির্দেশনা আমলে নেয়নি এসএস স্টিল।

তিনি আর বলেন, 'উচ্চ আদালতের আদেশ ও বিএসইসির হস্তক্ষেপে শেয়ার বিক্রি-হস্তান্তর করতে পারছে না জালিয়াত কোম্পানি শোরক্যাপ হোল্ডিং। এবার উচ্চ আদালতের আদেশের পর শোর ক্যাপ হোল্ডিংসের আইনজীবী অ্যাডভোকেট অন রেকর্ড সত্য রঞ্জন মন্ডলকে না জানিয়ে গত ২০ জানুয়ারি চেম্বার জজ আদালতে আবেদন করেছে শোরক্যাপ হোল্ডিং লিমিটেড। সত্য রঞ্জন মন্ডলের অনুপস্থিতিতে শুনানি শেষে উচ্চ আদালতের দেয়া নিষেধাজ্ঞা স্থগিত করেছেন চেম্বার জজ আদালত। আইন ভেঙ্গে আবেদনের শুনানির পরিপ্রেক্ষিতে এ বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ নেয়ার অনুরোধ জানিয়ে সুপ্রীম কোর্টের রেজিস্টারের হস্তক্ষেপ চাওয়া হয়েছে।

 

   

ইসলামী ব্যাংকের নোয়াখালী জোনের কর্মকর্তা সম্মেলন অনুষ্ঠিত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির নোয়াখালী জোনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিয়ে কর্মকর্তা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার ( ২৬ এপ্রিল) ম্যাজিক প্যারাডাইস পার্ক এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

ব্যাংকের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। ব্যাংকের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. মাকসুদুর রহমান-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মুহাম্মদ কায়সার আলী, ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মুহাম্মদ শাব্বির এবং সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট আবু ছাঈদ মো. ইদ্রিস।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন নোয়াখালী জোনপ্রধান এ. এফ. এম আনিছুর রহমান। সম্মেলনে ব্যাংকের কুমিল্লা জোনপ্রধান মো. মুনিরুল ইসলাম, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট খালেদ মাহমুদ রায়হান, এফসিসিএ সহ প্রধান কার্যালয়ের নির্বাহী, নোয়াখালী জোনের অধীন শাখাসমূহের প্রধান, উপ-শাখা ইনচার্জ, সর্বস্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন।

;

বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা, নিন্দনীয় দৃষ্টান্ত: টিআইবি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বাংলাদেশ ব্যাংক

বাংলাদেশ ব্যাংক

  • Font increase
  • Font Decrease

আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠান এবং জনগণের অর্থের শেষ অবলম্বন বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে নিয়ন্ত্রণ আরোপের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।

এমন পদক্ষেপকে জনস্বার্থে ব্যাংকিং ও আর্থিক খাতের তথ্য প্রকাশে গণমাধ্যমের পেশাগত দায়িত্ব পালনের পথে অভূতপূর্ব প্রতিবন্ধকতা উল্লেখ করে অবিলম্বে তা প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।

গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ অনুযায়ী, ব্যাংকিং ও আর্থিক খাতের তথ্য সংগ্রহে গণমাধ্যম ও সংবাদকর্মীরা বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রবেশের ক্ষেত্রে প্রায় মাসাধিককাল ধরে বাধার সম্মুখীন হচ্ছিলেন। এক্ষেত্রে নিরুপায় হয়ে সমস্যা সমাধানে গভর্নরের সহায়তা চাইলেও ইতিবাচক কোনো ফল আসেনি।

এটিকে জনগণের তথ্য জানার আইনসিদ্ধ অধিকার নিশ্চিতের পথে অনৈতিক ও স্বেচ্ছাচারী পদক্ষেপ উল্লেখ করে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান প্রশ্ন রাখেন, ‘খেলাপি ঋণ, আর্থিক প্রতারণা ও জালিয়াতি এবং সার্বিক সুশাসনের অভাবসহ নানাবিধ সংকটে ব্যাংকিং খাত যখন জর্জরিত তখন তথ্যের অবাধ প্রবাহ বন্ধের সিদ্ধান্তের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের শীর্ষ নেতৃত্ব সবার কাছে কী বার্তা দিতে চান? কিংবা এর মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংক কী অর্জন করতে চায়? তবে কি খাদের কিনারায় উপনীত ব্যাংকিং খাতে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় নিজেদের ব্যর্থতার তথ্য গোপন করতেই এই উদ্যোগ? না-কি যারা ঋণখেলাপি ও জালিয়াতিসহ এ খাতের সংকটের জন্য দায়ী-তাদের স্বার্থ সুরক্ষার প্রয়াস এটি।’ 

বিগত কয়েক বছরে আর্থিক খাতের হাজার হাজার কোটি টাকা কেলেঙ্কারির যে সব তথ্য জনস্বার্থে প্রকাশিত হয়েছে তার বেশিরভাগই এসেছে গণমাধ্যমকর্মীদের বাংলাদেশ ব্যাংকে অবাধ প্রবেশাধিকারের সূত্র ধরে, এমন কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ড. জামান বলেন, ‘তবে কি ধরে নিতে হবে, বাংলাদেশ ব্যাংক এ খাতের অনিয়মের সঙ্গে জড়িত ঋনখেলাপি, জালিয়াতি ও অর্থপাচারের মতো অপরাধী মহলের অব্যাহত সুরক্ষা নিশ্চিতে কাজ করছে এবং চক্রটির হাতে বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতি ও নেতৃত্ব যে জিম্মি হয়ে পড়েছে, তা গোপন করতেই এহেন নিন্দনীয় পদক্ষেপ নিয়েছে।’

ব্যাংকিং খাত নিয়ে জনমনে যখন আস্থার প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে, কিংবা ব্যাংকের গ্রাহকদের স্বার্থ সুরক্ষার নামে ব্যাংক একীভ‚তকরণ নিয়ে যখন কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিজেই দৃশ্যমান কিংকর্তব্যবিমূঢ়, তখন গোপনীয়তার ঘেরাটোপ আরো বড় বিপদ ডেকে আনতে পারে বলে মনে করে টিআইবি। গণমাধ্যমকর্মীরা নিরুপায় হয়ে সমস্যা সমাধানে গর্ভনরের সহায়তা চাইলে ব্যাংকিং খাতের তথ্যের স্পর্শকাতরতা বিষয়ে গনমাধ্যম ও সংবাদকর্মীদের প্রশিক্ষণের নামে আমলাতান্ত্রিক দীর্ঘসূত্রিতার মাধ্যমে মূলবিষয়কে এড়িয়ে বাস্তবে সাংবাদিকদের বাধাহীন তথ্য সংগ্রহের সুযোগ ফিরিয়ে দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করতে যে বাংলাদেশ ব্যাংক নারাজ, তা পরিষ্কার বলে উদ্বেগ প্রকাশ করছে টিআইবি। যা শুধু স্বেচ্ছাচারিতার বহিঃপ্রকাশই নয়, বরং ঔপনিবেশিক মানসিকতারও পরিচায়ক আখ্যা দিয়ে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলছেন, ‘সমস্যার সমাধান না করে গভর্নর যে পাসনির্ভর ব্যবস্থা চালু করার কথা বলছেন, প্রশিক্ষণের প্রস্তাব দিচ্ছেন, তা আর যা-ই হোক, গণমাধ্যমকর্মীদের পেশাগত দায়িত্ব, বিশেষ করে অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের তথ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে বাস্তবে অপ্রতিরোধ্য নিষেধাজ্ঞা আরোপই শুধু নয়, বরং এর ফলে বাংলাদেশ ব্যাংকের যে কোনো পর্যায়ের কর্মকর্তাই সাংবাদিকদের সাক্ষাত প্রদানে বিরত থাকতে চাইবেন। কেননা সাক্ষাতের পর সংশ্লিষ্ট সাংবাদিক প্রতিবেদন প্রকাশ করলে নির্দিষ্ট কর্মকর্তাকে যে প্রশাসনিক জবাবদিহির নামে হয়রানির মুখোমুখি হতে হবে, তা না বললেও চলে। অর্থাৎ তথ্য প্রাপ্তির সুযোগ কার্যত রুদ্ধ হবে, জনগণ ব্যাংকিং খাতে কী হচ্ছে, কেনো এবং কারা জনগণের অর্থ লোপাটের ফলে লাভবান হচ্ছেন, তা জানার অধিকার থেকে বঞ্চিত হবেন। যা কোনোভাবেই সুবিবেচকের কাজ হতে পারে না। বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃপক্ষের মনে রাখতে হবে, তাঁরা জনস্বার্থের সুরক্ষার ভূমিকা পালনের কথা, ঋণখেলাপি আর ব্যাংকিং খাতের সংকটের জন্য দায়ী মহলের নয়।

সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক নেতৃত্ব কেন্দ্রীয় ব্যাংকে সাংবাদিকদের বাধাহীন প্রবেশের পরিস্থিতি নিশ্চিতে অবিলম্বে উক্ত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করার ঘোষণার মাধ্যমে অবাধ তথ্য প্রকাশের পথকে সুগম করবেন-এমনটাই প্রত্যাশা করে টিআইবি।

;

ঢাকা-কুয়ালালামপুর যাত্রা শুরু করলো ইউএস-বাংলার এয়ারবাস ৩৩০-৩০০



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বহরে যুক্ত হওয়া এয়ারবাস ৩৩০-৩০০ প্রথমবারের মতো ঢাকা থেকে কুয়ালালামপুরের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকাল ১১টা ২৫ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ৪২২ জন যাত্রী নিয়ে কুয়ালামপুরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় এয়ারবাসটি।

আবার কুয়ালালামপুর থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ৪০৯ জন যাত্রী নিয়ে এয়ারবাসটি ছেড়ে আসে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৮টা ১৫মিনিটে। ইউএস-বাংলার বহরে ২টি এয়ারবাস ৩৩০-৩০০ সহ মোট ২৪টি এয়ারক্রাফট রয়েছে, যা ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের এগিয়ে যাওয়ার সূচককে নির্দেশ করে।

এদিন এয়ারবাস দিয়ে ঢাকা থেকে মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম গন্তব্য দুবাই রুটেও ফ্লাইট পরিচালিত হবে। এখন থেকে প্রতিদিন সকাল ১০টা ৫০মিনিটে ঢাকা থেকে কুয়ালালামপুর ও রাত ৯টা ৫০ মিনিটে ঢাকা থেকে দুবাই রুটে এয়ারবাস ৩৩০-৩০০ দিয়ে ফ্লাইট পরিচালিত হবে।

বর্তমানে আন্তর্জাতিক রুট কুয়ালালামপুর, দুবাই ছাড়াও শারজাহ, আবুধাবী, দোহা, মাস্কাট, সিঙ্গাপুর, ব্যাংকক, মালে, গুয়াংজু, চেন্নাই, কলকাতা রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স।

;

ইসলামী ব্যাংকের ১০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি-এর পরিচালনা পর্ষদ ব্যাংকের শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ২০২৩ সালে ১০% ক্যাশ ডিভিডেন্ড সুপারিশ করেছে। ব্যাংকের ৪১তম বার্ষিক সাধারণ সভার অনুমোদন সাপেক্ষে এ ডিভিডেন্ড প্রদান করা হবে।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) ব্যাংকের চেয়ারম্যান আহসানুল আলম-এর সভাপতিত্বে পরিচালনা পর্ষদের সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভায় ভাইস চেয়ারম্যান তানভীর আহমেদসহ অন্যান্য পরিচালকবৃন্দ, ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ও সিইও মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা এবং অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ও কোম্পানি সেক্রেটারি জে কিউ এম হাবিবুল্লাহ, এফসিএস উপস্থিত ছিলেন।

আগামী ২৫ জুন ২০২৪, মঙ্গলবার ব্যাংকের ৪১তম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। লভ্যাংশ প্রাপ্তি এবং সাধারণ সভায় যোগদানের ক্ষেত্রে রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ১৬ মে ২০২৪। এ ছাড়া সভায় অন্যান্য আলোচ্যসূচির সাথে ৩১ মার্চ শেষ হওয়া ২০২৪ সালের প্রথম প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী অনুমোদন করা হয়।

;