শিগগিরই পুঁজিবাজারে আসছে সরকারি ৫ প্রতিষ্ঠান

  • সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, ছবি: সংগৃহীত

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, ছবি: সংগৃহীত

অতি শিগগিরই পুঁজিবাজারে আসছে আরও সরকারি পাঁচ প্রতিষ্ঠান। পাশাপাশি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত দুই কোম্পানি নতুন করে শেয়ার অফলোড করবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) আগারগাঁওয়ের অর্থমন্ত্রীর কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

মন্ত্রী বলেন, লাভজনক সরকারি সাতটি প্রতিষ্ঠানকে দ্রুত পুঁজিবাজারে আসার জন্য নির্দেশনা দিয়েছি। এই কোম্পানিগুলো আগামী ২ মাসের মধ্যে অডিট সংক্রান্ত সকল কার্যক্রম শেষ করবে। এরপর পুঁজিবাজারে আসার জন্য আবেদন করবে। আর যে কোম্পানিগুলো পুঁজিবাজারে লিস্টে সেগুলো আরও বেশি করে শেয়ার ছাড়বে। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি ১০ শতাংশ থেকে ২৫ শতাংশ পর্যন্ত ধীরে ধীরে প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে এগুলোকে বাজারে নিয়ে আসব।

প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে তালিকাভুক্ত হতে যাওয়া সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে- নর্থ ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি, ইলেক্ট্রিসিটি জেনারেশন কোম্পানি অব বাংলাদেশ লিমিটেড (ইজিসিবি), আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানি লিমিটেড, বি-আর পাওয়ারজেন লি. (বিআরপিএল), গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানি লিমিটেড (জিটিসিএল)। নতুন করে শেয়ার অফলোড করবে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (টিজিটিডিসিএল) এবং পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ।

বিজ্ঞাপন

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, কোম্পানিগুলো টেকসই করতে হবে। প্রথমে প্রত্যেকটা কোম্পানির ব্যালেন্সশিটগুলো আমাদের অ্যাসেস করতে হবে। এখন থেকে ১০ বছর আগের অ্যাসেটের দাম, আর এখনকার দাম এক নয়। এখন কারেন্ট প্রাইসে এগুলো আমাদের রিভ্যালু করতে হবে। আমাদের সম্পদের পরিমাণ রিভ্যালু করতে হবে। রিভ্যালু করতে যে সময় লাগবে সেই সময় কোম্পানিগুলোকে দিতে হবে। আমার মনে হয় সম্পদের পরিমাণ রিভ্যালু করতে দুই মাস সময় লাগবে।

তিনি আরো বলেন, সাতটি কোম্পানি প্রাইভেট সেক্টর থেকে কাজ করতে পারে আইসিবি (ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ) থেকেও তারা কাজ করতে পারে। আমরা তাড়াতাড়ি সাতটি সরকারি প্রতিষ্ঠান পুঁজিবাজারে নিয়ে আনতে চাই। এই জন্য সাতটি ফার্মকে দিয়ে সম্পদের মূল্যায়ন করব। যাতে কাজটি তাড়াতাড়ি করা যায়। আমরা দুই মাস সময়ের মধ্যে সাতটি কোম্পানির সম্পদের পরিমাণ অ্যাসেস করতে পারব। যেটা নেট অ্যাসেস দাঁড়াবে সেটার ভিত্তিতেই শেয়ারগুলো ভ্যালুয়েশন হবে।

কত দিনের মধ্যে এসব কোম্পানি বাজারে আসবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ওভারনাইটতো তাদের আনা যাবে না, একটু সময় লাগবে। তবে আমাদের পুঁজিবাজার শক্তিশালী করতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ দরকার। আমাদের শেয়ারবাজারে যারা আছে তারা নিজস্বভাবে আছে। উন্নত দেশের মতো আমাদের দেশের পুঁজিবাজারও ব্রডবেজড করতে হবে। এ জন্য আমাদের প্রাতিষ্ঠানিক কোম্পানিগুলোকে পুঁজিবাজারে আনতে হবে। আমি আগেও বলেছিলাম বাজারকে শক্তিশালী করার জন্য সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে পুঁজিবাজারে নিয়ে আসা উচিত। পুঁজিবাজারকে শক্তিশালী ও স্থিতিশীল করার জন্য আজ এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সাতটি কোম্পানিরই ব্যালেন্সশিট এখন এস্টেট করতে হবে।’

এখন থেকে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে পুঁজিবাজারে আনার বিষয়টি দেখভালের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে অর্থমন্ত্রণালয়ের সচিবকে। এর আগে দায়িত্বে ছিলেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক আর্থিক বিভাগের সচিব।