ডাবল সেঞ্চুরিতে রসুন, বেড়েছে পেঁয়াজ-আদার দাম



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
বেড়েছে রসুন-পেঁয়াজের দাম/ছবি: বার্তা২৪.কম

বেড়েছে রসুন-পেঁয়াজের দাম/ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আবারও অস্থির হয়ে উঠেছে কাঁচাবাজার। এক সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে আদা-রসুন ও পেঁয়াজের দাম। একই সঙ্গে তাল মিলিয়ে চাল-ডাল-ডিম-মাংসসহ নিত্যপণ্যের বাজারে দ্রব্যমূল্য ক্রেতাদের নাগালের বাইরে। ক্রেতাদের অভিযোগ করোনা ভাইরাসের জন্য চীন থেকে আদা-রসুন আমদানি বন্ধ হয়ে গেছে অজুহাতে দাম বাড়িয়েছেন বিক্রেতারা।

বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর সেগুনবাগিচা এবং শান্তিনগর কাঁচাবাজার গিয়ে দেখা যায়, রসুন পাইকারি প্রতি কেজিতে বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকায়। আর খুচরা বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকায় আবার কোথাও বিক্রি হচ্ছে ২১০ টাকা কেজিতে। অথচ এক সপ্তাহ আগেও রসুনের দাম ছিলো ১৩০-১৫০ টাকা কেজি।

আদা-পেঁয়াজ-রসুনের দোকান

একইভাবে আদা বিক্রি হচ্ছে ১৫০-১৬০ টাকা কেজিতে। অথচ গত সপ্তাহে আদা বিক্রি হয়েছে ১২০-১৩০ টাকা কেজিতে। আদা-রসুনের পাশাপাশি পেঁয়াজের দাম বেড়েছে কেজি প্রতি ২০ টাকা। গত সপ্তাহে ভালো মানের দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১১০ থেকে ১২০ টাকা কেজিতে। আর বৃহস্পতিবার একইবাজারে বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা কেজিতে। দেশি পেঁয়াজের পাশাপাশি বিদেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯০-৯৫ টাকা কেজি দরে।

সেগুনবাগিচা কাঁচাবাজারের ব্যবসায়ী আনিসুজ্জামান বার্তা২৪.কমকে বলেন, পেঁয়াজ-আদা-রসুনের দাম বাড়ছে, আরও বাড়বে। কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, করোনা ভাইরাসের কারণে জিনিস পত্রের দাম বাড়ছে বলে দাবি করছেন বিক্রেতারা। আজকে আমি ২০০ টাকা কেজি দরে রসুন বিক্রি করছি। কাল থেকে ১১০ টাকা কেজি বিক্রি করতে হবে। কারণ আজকে রসুন কিনতেই হয়েছে ১৯০ টাকা কেজিতে।

নিত্যপণ্যের বাজার

বাজার দুটিতে দেখা গেছে, ভালো মানের মিনিকেট চালের দাম বেড়েছে ৩ টাকা। গত সপ্তাহে ৫২ টাকা কেজিতে বিক্রি হওয়া মিনিকেট চাল বিক্রি করছি ৫৫ টাকা কেজিতে। পাশাপাশি পুরাতন ২৮ নম্বর চাল ২ টাকা বেড়েছে। আমরা আজকে বিক্রি করছি ৪২ টাকা কেজিতে।

হঠাৎ বাড়ছে কেন প্রশ্নের জবাবে মদিনা এন্টারপ্রাইজের দোকানদার আইয়ুব মুকিত বার্তা২৪.কমকে বলেন, আমার বেশি দামে কিনতে হয়েছে। তাই বেশি দামে বিক্রিও করতে হচ্ছে।

চালের বাজার

ভালো মানের নাজিরশাইল চাল বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ৫৬ টাকায়। মাঝারি মানের নাজিরশাইল চাল বিক্রি হচ্ছে ৫২ টাকা কেজিতে। বাজারে পাইজাম চাল বিক্রি হচ্ছে ৩৬ টাকায়। নতুন ২৮ চাল বিক্রি হচ্ছে ৩৮ টাকা কেজিতে।

বাজারটিতে চিকন মুসর ডাল প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকায়। মোট মুসর ডাল এখন বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা কেজিতে। মুগ ডাল বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা কেজিতে।

সবজির বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, শীতকালীন ভালোমানের ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৪০-৪৫ টাকা দরে, একটু নিন্মমানের ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৩০-৩৫ টাকা পিস। বাধাকপিও একই দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে সবচেয়ে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে লাউ। ৪০ টাকা দামের লাউ বিক্রি হচ্ছে ৬৫-৭০ টাকা পিস দরে। শীতকালীন অন্যান্য সবজির মধ্যে শিম বিক্রি হচ্ছে ২০-৪০ টাকা কেজি দরে। মুলা বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা, টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা কেজিতে। নতুন আলু বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকা কেজিতে।

বেড়েছে বেগুন ও লাউয়ের দাম

এছাড়াও বাজারগুলোতে করলা বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা, বেগুন ৩০ টাকা, শসা ৪০ টাকা, ধুন্দল ৫০ টাকা, পেঁপে ৩০ টাকা, গাজর ৩০ টাকা, কাঁচামরিচ ৬০ টাকা, শালগম ৪০ টাকা, গট কচু ৫০ টাকা দরে। পটল বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়, বরবটি ১২০ টাকায়। পাশাপাশি প্রতি পিস লাউ বিক্রি হচ্ছে ৪৫-৫০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া বড় সাইজ ১২০ টাকা, ছোট সাইজ ৪০ টাকা এবং মৌসুমি শাক আঁটি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৫ থেকে ১৫ টাকা দরে।

সবজির বাজার

সবজির পাশাপাশি বাজারটিতে ডিমের মধ্যে মুরগির ডিম ডজন বিক্রি হচ্ছে ৯৫ টাকায় আর হাঁসের ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা দরে। তবে খুচরা মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকা হালিতে। হাঁসের ডিম ডজন প্রতি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়। তবে খুচরা বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকায়। আর দেশি মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা হালিতে।

মাংসের বাজার

মাংসের মধ্যে ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৩৫-১৪০ টাকা কেজিতে। পাকিস্তানি মুরগি প্রতি কেজি ২৪০ টাকায়, দেশি ৪৫০ টাকায়, সাদা কক ২১০ টাকায়, ব্রয়লার ১৩০ টাকায় এবং প্রতি পিস হাস বিক্রি হচ্ছে ৫০০ টাকায়। গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ টাকা কেজি দরে আর ৭৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে খাসির মাংস।

মাছের বাজার

মাছের বাজারে চিংড়ি সাইজ ও জাত ভেদে ৫০০ থেকে ১ হাজার টাকা কেজি, ইলিশ মাছ সাইজ ভেদে ৭০০ থেকে ১৪০০ টাকা, রূপচাঁদা ৭৫০ থেকে ৮৫০ টাকা কেজি, দেশি বড় রুই মাছ ১২০০ টাকা কেজি, কাতল মাছ বড় ৯০০ টাকা কেজি, আইড় মাছ ১০০০ টাকা কেজি, বোয়াল মাছ ৮০০ টাকা কেজি, নদীর পাঙাশ মাছ ১০০০ টাকা কেজি। এছাড়া লইট্টা ২০০ টাকা কেজি, পাবদা ৫০০ ও মলা ৪০০ টাকা কেজি, কাচকি ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

   

সরবরাহ বাড়ায় কমেছে পেঁয়াজের দাম



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দামে যখন ঊর্ধ্বগতি তখন স্বস্তির বার্তা হয়ে এসেছে পেঁয়াজের দাম। গেলো কয়েক সপ্তাহে যেখানে পেঁয়াজের ঝাঁজে ক্রেতাদের নাজেহাল অবস্থা। সেই পেঁয়াজ এখন বাজারে পাওয়া যাচ্ছে সুলভ মূল্যে। মূলত দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়ায় এবং ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির ঘোষণার পর থেকে নেমে এসেছে পেঁয়াজের দাম।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) সকালে রাজধানীর হাতিরপুল বাজার ঘুরে দেখা গেছে গত সপ্তাহে যে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছিল ৯০-১০০ টাকা তা মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে নেমে এসেছে অর্ধেকেরও কম দামে। বাজার ঘুরে দেখা যায় প্রকারভেদে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০-৪৫ টাকা যা পাইকারি বাজারে ৩০-৩৫ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।

ক্রেতারা বলছেন গত কয়েক সপ্তাহে সবকিছুর দামে যে আগুন লেগেছিল তা মনে হয় কিছুটা কমতে শুরু করেছে। যদিও অসাধু ব্যবসায়ীরা যা ব্যবসা করার তা করে ফেলেছে। সবার বাসায় এখন পর্যাপ্ত পেঁয়াজ, আলু ও অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের পর্যাপ্ত মজুদ আছে। তাই ক্রেতাদের আনাগোনা বাজারে কমে যাওয়ায় কমেছে জিনিসপত্রের দাম।

শুক্রবার বাজারে প্রতি কেজি শশা বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০। ক্যাপসিকাম ২৫০-৩০০ টাকা। বেগুন প্রতি কেজি ৫০-৬০, লেবুর হালি প্রকারভেদে ২০-৫০ টাকা, কচুর লতি ৬০ টাকা, শিম ৪০ টাকা, মুলা ৩০ টাকা, লাউ ৮০ টাকা, চাল কুমড়া ৫০, করলা ৬০-৭০, টমেটো ৫০-৬০ কেজি, পটল ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া প্রতি পিছ ৪০টাকা, বাঁধাকপি ৪০, ফুলকপি ৫০ এবং কাঁচকলা বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকা দরে।

পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকায় আগের দামেই পাওয়া যাচ্ছে সকল মাছ

এছাড়া আলু ৪০ টাকা প্রতি কেজি, আদা ২২০, রসুন ২০০, কাঁচামরিচ ৪০ টাকা, পেয়াজ ৪০-৪৫ টাকা , ধনেপাতা ৬০ টাকা কেজি।

হাতিরপুল বাজারের বিক্রেতা নিরব জানান, গত সপ্তাহের চাইতে এই সপ্তাহে সবজির দাম কিছুটা কম। মূলত আমদানি বাড়ার কারণে দাম কমেছে পেঁয়াজ সহ সকল শাক সবজির দাম। আগে ৮০ টাকার নিচে সবজির গায়ে হাত দেয়া যেতো না। কিন্তু এখন তা ৩০ থেকে ৪০ টাকায় নেমে এসেছে।

আরেক ব্যবসায়ী আমান হোসেন জানান, বেগুন ব্যবসায়ীরা এবার ধরা খাইছে। রমজানের প্রথম দুই দিনে বেগুন নিয়ে যে সিন্ডিকেট হইছিলো তাতে পাবলিক ক্ষেপে গিয়ে বেগুন কেনা কমাইয়া দিছে তাই প্রথম দুই দিনে বেগুন ১২০ টাকা করে পাইকারি বিক্রি হলেও এখন তা প্রকারভেদে মাত্র ১০-৩০ টাকা পাইকারিতে পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়া ঈদের আগে আর কোন জিনিসের দাম বাড়ার সম্ভাবনা নাই আশাকরি।

এদিকে মাছের বাজারেও দেখা গেছে একই চিত্র। বাজারে ক্রেতা কম থাকায় এবং মাছের পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকায় আগের দামেই পাওয়া যাচ্ছে সকল মাছ।

বাজারে প্রতি কেজি কাচকি পাওয়া যাচ্ছে ৪০০-৬০০ টাকা কেজি। এছাড়া বেলে মাছ ৫০০, ফলি ৫০০, কোরাল ৭০০, পাবদা ৪৫০, লইট্টা ৩০০, বোয়াল ৬০০, আইর ৮০০, রুই ৩৫০, চিতল ৮০০, পাঙ্গাশ ২০০ তেলাপিয়া ২২০, বড় চিংড়ি ১০০০, রুপচাঁদা ১৩৫০, এবং ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ১২০০ টাকা কেজি দরে।

;

রিজার্ভের পরিমাণ জানাল কেন্দ্রীয় ব্যাংক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
রিজার্ভের পরিমাণ জানাল কেন্দ্রীয় ব্যাংক

রিজার্ভের পরিমাণ জানাল কেন্দ্রীয় ব্যাংক

  • Font increase
  • Font Decrease

দীর্ঘদিন ধরে দেশে ডলার সংকটের প্রভাবে বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয় বা রিজার্ভ ধারাবাহিকভাবে কমছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সর্বেশষ গণনায় দেশের রিজার্ভ ১৯ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসেবে তা ২৪ দশমিক ৮১ বিলিয়ন ডলার।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সাপ্তাহিক হালনাগাদ প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। 

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত এক সপ্তাহে গ্রস রিজার্ভ কমেছে ৫৩ কোটি ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে গত ২১ মার্চ সঞ্চিত বিদেশি অর্থের পরিমাণ ছিল ২৫ দশমিক ২৪ বিলিয়ন ডলার। আর আইএমএফের গণনা পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী তা ছিল ১৯ দশমিক ৯৮ বিলিয়ন ডলার।

এ ছাড়া কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিট রিজার্ভের আরেকটি হিসাব রয়েছে। যা শুধু প্রকাশ করা হয় না, শুধুমাত্র আইএমএফকে দেওয়া হয়। জানা গেছে, ওই হিসাবে বর্তমানে দেশের প্রকৃত রিজার্ভ এখন প্রায় সাড়ে ১৭ বিলিয়ন ডলার। যা দিয়ে ৩ মাসের আমদানি ব্যয় মিটবে।

অর্থাৎ, পণ্য কেনা বাবদ মাসিক প্রায় ৬ বিলিয়ন ডলার করে দায় পরিশোধ করা হয়। নিয়ম অনুযায়ী যেকোনো দেশের ন্যূনতম ৩ মাসের আমদানি খরচের সমান রিজার্ভ থাকতে হয়। বাংলাদেশেরও সেই পরিমাণ রিজার্ভ রয়েছে।

;

ইসলামী ব্যাংকে বঙ্গবন্ধুর জীবনাদর্শের উপর আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির উদ্যোগে এবং বঙ্গবন্ধু পরিষদ ইসলামী ব্যাংক ইউনিটের সহযোগিতায় “বঙ্গবন্ধুর জীবনাদর্শ ও বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন” শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী এবং স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন। ব্যাংকের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ও সিইও মুহাম্মদ মুনিরুল মওলার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আ.ব.ম ফারুক, ইসলামী ব্যাংকের পরিচালক, মুক্তিযোদ্ধা মো. জয়নাল আবেদীন, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্টের সচিব অধ্যক্ষ মো. শাহজাহান আলম সাজু, বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক একেএম আফজালুর রহমান বাবু, বঙ্গবন্ধু পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডাঃ শেখ আব্দুল্লাহ আল মামুন। স্বাগত বক্তব্য দেন বঙ্গবন্ধু পরিষদ ইসলামী ব্যাংক ইউনিটের সভাপতি মো. মোজাহারুল ইসলাম মেহেদী। অনুষ্ঠানে প্রধান কার্যালয়ের নির্বাহী ও কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

;

চীনের সঙ্গে এফটিএ করতে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রতিবেদন বিনিময়



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
চীনের সঙ্গে এফটিএ করতে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রতিবেদন বিনিময়

চীনের সঙ্গে এফটিএ করতে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রতিবেদন বিনিময়

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ বাড়ানোর লক্ষ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) সই করার বিষয়ে যৌথভাবে খসড়া সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রতিবেদন বিনিময় করেছে দুই দেশ।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ সমীক্ষা প্রতিবেদন বিনিময় করে বাংলাদেশ ও চীন।

এসময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ, বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

তপন কান্তি ঘোষ বলেন, বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ বর্তমান সরকারের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রার উল্লেখযোগ্য অর্জন। এ অর্জন বিশ্বে বাংলাদেশের ইতিবাচক ভাবমূর্তি সৃষ্টি এবং বিনিয়োগ ও বাণিজ্যে নতুন সম্ভাবনা তৈরির পাশাপাশি বেশ কিছু চ্যালেঞ্জও তৈরি করবে।

তিনি আরও বলেন, যার মধ্যে স্বল্পোন্নত দেশ হিসাবে উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশে পণ্য রপ্তানির সময় শুল্কমুক্ত কোটামুক্ত প্রবেশাধিকার সুবিধা ২০২৬ সালের পরে হারানো এবং মূল্য সংযোজনের হার অন্যতম। এর ফলে বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যকে ওই সব দেশের বাজারে প্রবেশের সময় সাধারণভাবে আরোপিত শুল্কের সম্মুখীন হতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ফলে ওই সকল দেশে বাংলাদেশের রপ্তানি বাজার সংকোচনের সম্ভাবনা রয়েছে।

কবে নাগাদ এফটিএ সই হতে পারে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, এখনো চুক্তি হয়নি। এখন আলোচনা শুরু হবে। আগামী তিন বছরের মধ্যে চুক্তি সম্পন্ন করতে পারলে ভালো। যদি না হয় আমাদের আলোচনা চালিয়ে যেতে হবে। আলোচনা শেষ না হলে ততোদিন যেন আমাদের এলডিসি হিসাবে এই সুবিধাগুলো তাঁরা দেয় এর জন্য বলবো।

চুক্তির ফলে বাংলাদেশ কি ধরনের সুবিধা পাবে এ বিষয়ে তপন কান্তি ঘোষ বলেন, আমাদের প্রধান রপ্তানি পণ্য গার্মেন্টের বাইরে আরও কিছু পণ্য আছে। রাষ্ট্রদূততের সঙ্গে আলাপকালে তিনি জানিয়েছেন আম ও পাটজাত পণ্যের অনেক সম্ভাবনা আছে। তারপর হস্তশিল্পের বিষয় আছে।

তিনি বলেন, এছাড়া আরও পণ্য আছে। আমরা ইতোমধ্যে চামড়া রপ্তানি করছি। আমরা মানসম্মত চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি করতে পারি। চীনে ১৪০ কোটি মানুষ। সেখানে যদি আমরা বৈচিত্র্য পণ্য নিয়ে যেতে পারি, বড় বাজার। চুক্তি হয়ে গেলে বিনিয়োগ বাড়ারও সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান তিনি।

তপন কান্তি ঘোষ বলেন, আমরা প্রধানত তৈরি পোশাক রপ্তানি করি। ২০২২-২৩ অর্থবছরে আমরা চীনে ৬৭৭ মিলিয় মার্কিন ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছি। বিপরীতে চীন থেকে ২২ দশমিক ৯০ বিলিয়ন ডলার আমদানি করা হয়েছে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, বাংলাদেশে চীনের বড় বিনিয়োগ রয়েছে। এখন চীন বাংলাদেশে দ্বিতীয় বৃহৎ বিনিয়োগকারী দেশ। এফটিএ সই হওয়ার পর বিনিয়োগ আরও বাড়বে। বাংলাদেশ চীনে আম, কাঠাল, আলু, পাটপণ্য, চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি করতে পারে।

তিনি আরও বলেন, বর্তমান বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য এফটিএ করা প্রয়োজন।

অনুষ্ঠানে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এলডিসি উত্তরণ পরবর্তী সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকারের অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা অনুসারে বাংলাদেশের রপ্তানি বাজার সংরক্ষণ এবং সম্প্রসারণে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন দেশ ও ট্রেড ব্লকের সাথে আঞ্চলিক বাণিজ্য চুক্তি সম্পাদনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।

;