রয়েছে পর্যাপ্ত যোগান, তবু কমছে না পেঁয়াজের দাম



তৌফিকুল ইসলাম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
কমছে না পেঁয়াজের দাম, ছবি: বার্তা২৪.কম

কমছে না পেঁয়াজের দাম, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বাজারে পর্যাপ্ত দেশি পেঁয়াজ থাকার পরও পেঁয়াজের দাম এখনও ১০০ টাকা ওপরেই রয়েছে। কেজি প্রতি দেশি পেঁয়াজ ১৪০ টাকায়, বার্মিজ পেঁয়াজ ১৩০ টাকায় এবং পাকিস্তানি পেঁয়াজ ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ১৫ দিন আগেও পেঁয়াজের দাম ছিল ১০০ টাকার ওপরে।

সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজার ঘুরে এমন চিত্রই দেখা যায়।

শীতের সবজির দাম স্থিতিশীল রয়েছে, ছবি: বার্তা২৪.কম

সবজির বাজার ঘুরে দেখা যায়, শীতকালীন সবজির দাম মোটামুটি গত সপ্তাহের মতই আছে। পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকায় দাম বাড়েনি সবজির। বাজারে প্রতি পিস বড় ফুলকপি ও বাঁধাকপি ৩০ টাকা করে, কাঁচকলা হালি ৪০ টাকা, লাউ ৮০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকা এবং পেঁয়াজের কলি ১০ টাকা আঁটি বিক্রি হচ্ছে। আর প্রতি কেজি নতুন আলু বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকায়, মুলা ৩০ টাকায়, শালগম ৪০ টাকায়, বরবটি ৫০ টাকায়, কচুর লতি ৬০ টাকায়, বেগুন ৬০ থেকে ৭০ টাকায়, শিম ৫০ টাকায়, কাঁচা পেঁপে ৩০ টাকায়, টমেটো ৫০ টাকায়, কাঁচা মরিচ ১২০ টাকায়, গাজর ৫০ টাকায়, করলা ১১০ টাকায় এবং শসা ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

শীতের সবজির দাম স্থিতিশীল রয়েছে, ছবি: বার্তা২৪.কম

সাপ্তাহিক বাজার করতে আসা মো. ইমরান শেখ বার্তা২৪.কমকে বলেন, বাজারে প্রতিটা জিনিসের দাম বাড়তি। সকাল, বিকেল আর সন্ধ্যায় বাজারে পণ্যের দাম একেক রকম চান ব্যবসায়ীরা। কোনো পণ্যই ন্যায্যমূল্যে কিনতে পারি না। যথাযথ নজরদারি না থাকায় এমনটা হচ্ছে।

কমছে না পেঁয়াজের দাম, ছবি: বার্তা২৪.কম

এদিকে মাংসের বাজারে দেখা যায়, গত সপ্তাহের মত মাংসের দাম একই রকম রয়েছে। প্রতি কেজি গরুর মাংস ৫৫০ টাকা, খাসির মাংস ৯০০ টাকা এবং বকরির মাংস ৮০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

খাসির দাম ৯০০, ছবি: বার্তা২৪.কম

ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়ে প্রতি কেজি ১২০ থেকে ১২৫ টাকা, কক মুরগি ১৮০ টাকা, পাকিস্তানি মুরগি ২২০ টাকা, দেশি মুরগি ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা, পাতি হাঁস প্রতি পিস ৬০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

কারওয়ান বাজারের মাংস ব্যবসায়ী রাসেল বার্তা২৪.কমকে বলেন, চাহিদা বেশি আর যোগান কম থাকায় শীতে খাসির মাংসের দাম কিছুটা বেশি। তবে গরুর মাংসের দাম আগের মতই রয়েছে।

শীতের বাজারে রয়েছে পর্যাপ্ত হাঁস, ছবি: বার্তা২৪.কম

মাছের বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি তেলাপিয়া ১৮০ টাকা, কৈ ১৮০ টাকা, শিং ৬০০ টাকা, টেংরা ৫০০ টাকা, সরপুঁটি ২০০ টাকা, বড় সাইজের রুই ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা, সাইজ ভেদে চিংড়ি ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা, রূপচাঁদা ৮০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে বাজারে পর্যাপ্ত ইলিশ থাকা সত্ত্বেও এ সপ্তাহে দাম কিছুটা বাড়তি। প্রতিটি এক কেজি সাইজের ইলিশের হালি ৩৬০০ টাকা এবং এর চেয়ে কিছুটা ছোট ইলিশ ২৪০০ টাকা হালি বিক্রি হচ্ছে।

দাম বেড়েছে ব্রয়লার মুরগির, ছবি: বার্তা২৪.কম

মুদির বাজার ঘুরে দেখা যায়, গত সপ্তাহের মত একই রকম রয়েছে চালসহ সব ধরনের মুদি পণ্যের দাম। প্রতি কেজি মিনিকেট চাল ৬০ টাকা, মান ভেদে নাজিরশাইল ৬০ থেকে ৮০ টাকা, বিআর-২৮ ৩৮ টাকা, স্বর্ণা ৩৩ টাকা, পুরনো চিনিগুঁড়া ১১৫ টাকা এবং নতুন চিনিগুঁড়া চাল ৯৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর তেল, চিনি, আটা, ময়দা ও ডিমের দাম একই আছে।

মাছের দাম একই রকম আছে, ছবি: বার্তা২৪.কম

এদিকে বাজার করতে আসা সোহান রহমান অভিযোগ করে বার্তা২৪.কমকে বলেন, বাজার যে কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রণে নেই, তার বড় প্রমাণ পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে না আসা। দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ থাকা সত্ত্বেও এখনও পেঁয়াজের দাম ১০০ টাকা নিচে আনতে পারল না। সেই সঙ্গে চাল, রসুনসহ আরও কিছু পণ্য বিক্রি হচ্ছে বাড়তি দামেই। সব মিলিয়ে কম আয়ের মানুষের মুখে ভাত তোলা বেশ কঠিন হয়ে যাচ্ছে।

বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন পণ্য, ছবি: বার্তা২৪.কম

কারওয়ান বাজারের মুদি ব্যবসায়ী মোহাম্মদ হায়দার আলী বার্তা২৪.কমকে বলেন, মুদি পণ্যের মধ্যে সবচেয়ে অস্থির রয়েছে মসলার বাজার। তাছাড়া কমছে না চালের দামও। প্রতিদিনই কোনো না কোনো পণ্যের দাম বেড়েই চলেছে। আমরা খুচরা বিক্রেতা, আমাদের কিছুই করার নেই। যে দামে কিনে আনি, তার চেয়ে কিছুটা লাভে বিক্রি করি।

   

সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের ১০ শতাংশ লভ্যাংশ অনুমোদন



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের ২৯তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার (২৬ জুন) বার্ষিক সাধারণ সভায় ২০২৩ সালের জন্য ১০ শতাংশ লভ্যাংশ অনুমোদন করা হয়, এর মধ্যে ৫ শতাংশ নগদ এবং ৫ শতাংশ স্টক।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ কামাল উদ্দিন। ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ সাঈদুর রহমান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী জাফর আলম সহ পরিচালনা পর্ষদের সদস্যগণ, শরী’আহ সুপারভাইজরী কমিটির চেয়ারম্যান এবং উল্লেখযোগ্য শেয়ারহোল্ডার এতে অংশগ্রহণ করেন। এছাড়াও সভায় ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালকগণ উপস্থিত ছিলেন। ভার্চুয়াল সভায় শেয়ারহোল্ডারগণ ১০% লভ্যাংশের জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এবং ব্যাংকের অগ্রগতির জন্য নানা পরামর্শ প্রদান করেন। ব্যাংকের কোম্পানী সচিব মোঃ নাজমুল আহসান, এফসিএস অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ।

সভাপতির বক্তব্যে ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ কামাল উদ্দিন সম্মানিত শেয়ারহোল্ডার ও নিয়ন্ত্রক সংস্থাসমূহকে ধন্যবাদ প্রদান করেন এবং তাদের অকৃত্রিম সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা জানান। তাদের সহযোগিতা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী জাফর আলম সভায় শেয়ারহোল্ডারদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন এবং ব্যাংকের অগ্রগতির বিভিন্ন সূচক তুলে ধরেন। তিনি ব্যাংকের বিভিন্ন সেবাপণ্য সম্পর্কে শেয়ারহোল্ডারদের অবহিত করেন এবং ব্যাংকের উপর আস্থা রাখার জন্য তাঁদের ধন্যবাদ জানান। পরিচালনা পর্ষদের দিকনির্দেশনায় সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক কাক্সিক্ষত লক্ষ্য অর্জনে সক্ষম হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

;

ইসলামী ব্যাংকের বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে সভা, ছবি: সংগৃহীত

ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে সভা, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি-এর পরিচালনা পর্ষদের সভা ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৫ জুন) এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এতে সভাপতিত্ব করেন ব্যাংকের চেয়ারম্যান আহসানুল আলম। সভায় ভাইস চেয়ারম্যান ডা. তানভীর আহমেদ, অন্যান্য পরিচালকবৃন্দ, ম্যানেজিং ডিরেক্টর মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা এবং অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও কোম্পানি সেক্রেটারি জে.কিউ.এম. হাবিবুল্লাহ, এফসিএস উপস্থিত ছিলেন।

;

প্রবৃদ্ধি ও মূল্যস্ফীতির সংশোধিত লক্ষ্যও পূরণ হচ্ছে না: আইএমএফ



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চলতি ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশে মোট দেশজ উৎপাদনে মাত্র ৫.৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হবে বলে আশঙ্কা করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। এই আশঙ্কা সত্যি হলে কোভিড-১৯ এর সংক্রমণে ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে বড় ধরনের পতনের পর চার বছরের মধ্যে এবারই সর্বনিম্ন প্রবৃদ্ধি হচ্ছে।

চলতি অর্থবছরের বাজেটে ৭.৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য নির্ধারণ করা হলেও প্রথম ছয় মাসের গতিপ্রকৃতি পর্যালোচনা করে পুরো বছরে ৫.৮২ শকাংশ প্রবৃদ্ধি হবে বলে প্রাথমিক হিসাবে জানিয়েছে সরকারি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)।

পরিসংখ্যান ব্যুরোর সাময়িক হিসাবের চেয়ে বছর শেষে প্রায় ০.৪২ শতাংশীয় পয়েন্ট কম প্রবৃদ্ধি হবে বলে ধারণা আইএমএফ’র।

বাংলাদেশের জন্য পূর্ব প্রতিশ্রুত ঋণ সহায়তার তৃতীয় কিস্তির ১১৪৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অনুমোদনের লক্ষ্যে তৈরি করা এক প্রকাশনায় এ সব তথ্য জানিয়েছে সংস্থাটি।

জিডিপির প্রবৃদ্ধি বাড়ানোর পাশাপাশি নিত্যপণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যও পূরণ হচ্ছে না জানিয়ে আইএমএফ বলেছে, চলতি অর্থবছরে গড় মূল্যস্ফীতি দাঁড়াবে ৯.৪ শতাংশে। অর্থবছরের শুরুতে মূল্যস্ফীতির হার ৬ শতাংশে নামিয়ে আনার লক্ষ্য থাকলেও বছর ব্যাপী নিত্যপণ্যের বাড়তি মূল্যের কারণে সংশোধিত বাজেটে লক্ষ্য বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয় ৮ শতাংশ।

জুন মাসের শুরুতে আগামী অর্থবছরের বাজেট বক্তৃতায় ঘোষণা করা এই সংশোধিত লক্ষ্যের চাইতে প্রকৃত মূল্যস্ফীতি ১.৪ শতাংশীয় পয়েন্ট বেশি হবে বলে আইএমএফ এর প্রাক্কলনে উঠে এসেছে।

মে মাস পর্যন্ত প্রকাশিত পরিসংখ্যান ব্যুরোর প্রতিবেদন বলছে, গত ১২ মাসে গড়ে ৯.৭৩ শতাংশ মূল্যস্ফীতি হয়েছে। এ হিসাবে পুরো বছরের মূল্যস্ফীতি আইএমএফ এর প্রাক্কলনের চাইতে বেশি থাকবে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

আগামী অর্থবছরে মূল্যস্ফীতির হার ৬.৫ শতাংশে নামিয়ে আনার পাশাপাশি জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬.৭৫ শতাংশে উন্নীত করতে জাতীয় বাজেটে যে লক্ষ্য ঘোষণা করা হয়েছে তা পূরণ হবে না বলেও মনে করে বৈশ্বিক ঋণদাতা সংস্থাটি।

প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, আগামী অর্থবছরে কিছুটা বেড়ে প্রবৃদ্ধি দাঁড়াতে পারে ৬.৬ শতাংশে। আর বার্ষিক গড় মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমে দাঁড়াতে পারে ৭.২ শতাংশে।

সরকারের লক্ষ্যের চাইতে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ০.১৫ শতাংশীয় পয়েন্ট কম ও গড় মূল্যস্ফীতি ০.৭ শতাংশীয় পয়েন্ট বেশি হবে বলে মনে করে সংস্থাটি।

গত এপ্রিলে চলতি অর্থবছরের জন্য প্রায় ছয় শতাংশ প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছিল আইএমএফ। প্রবৃদ্ধি ও মূল্যস্ফীতির লক্ষ্য পূরণ না হওয়ার বিষয়ে সংস্থাটি বলেছে, অর্থবছরের প্রথম অর্ধেক সময়ে জিডিপির প্রবৃদ্ধি ৪.৮ শতাংশে নেমেছে। এপ্রিলে মূল্যস্ফীতি উঠেছে এক দশকের সর্বোচ্চ ৯.৭ শতাংশে।

চলমান আমদানি সংকোচন এবং নীতি কঠোর করণের কারণে প্রকৃত জিডিপি প্রবৃদ্ধি চলতি বছর ৫.৪ শতাংশে দাঁড়াবে। আর আমদানি পুনরুদ্ধার ও বিদেশি মুদ্রার চাপ কিছুটা কমে আসলে তা আগামী অর্থবছরে ৬.৬ শতাংশে উঠবে৷

চলতি অর্থবছরে গড় মূল্যস্ফীতি ৯.৪ শতাংশে উন্নীত হলেও ক্রমাগত কঠোর নীতির পাশাপাশি বিশ্বব্যাপী খাদ্যসহ অন্যান্য পণ্যের দাম কমে আসলে মূল্যস্ফীতি ৭.২ শতাংশে নেমে আসতে পারে।

;

ঈদ উপলক্ষে বিকাশে রেমিটেন্স আসার হার বেড়েছে ৬৬ শতাংশ



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রতিবারের মতো এবারও ঈদের সময় দেশে থাকা প্রিয়জনের বিকাশ অ্যাকাউন্টে রেমিটেন্স পাঠিয়েছেন সারা বিশ্বে অবস্থান করা প্রবাসী বাংলাদেশিরা। বিশ্বব্যাপী বিকাশ-এর পার্টনার মানি ট্রান্সফার অর্গানাইজেশন (এমটিও)-গুলোর মাধ্যমে নিজেদের সুবিধামতো সময়ে মোবাইল ওয়ালেট কিংবা সংশ্লিষ্ট এমটিও-এর এজেন্ট পয়েন্ট থেকে ব্যাংকিং চ্যানেল হয়ে বৈধপথে রেমিটেন্স পাঠাতে পারছেন প্রবাসীরা।

গত বছরের তুলনায় এ বছর ঈদ উপলক্ষে বিকাশে রেমিটেন্স আসার হার বেড়েছে প্রায় ৬৬ শতাংশ, যা সম্প্রতি বাড়তে থাকা দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভকে শক্তিশালী করতেও অবদান রাখছে।

এদিকে, প্রবাসীর পাঠানো রেমিটেন্সের উপর প্রতি হাজারে ২৫ টাকা সরকারি প্রণোদনাসহ পুরো অর্থ মুহূর্তেই বিকাশ অ্যাকাউন্টে পেয়ে যাচ্ছেন দেশে থাকা স্বজনেরা। পাশাপাশি, রেমিটেন্সের টাকা এখন আরো কম খরচে ক্যাশ আউটের সুযোগ নিতে পারছেন প্রবাসীর স্বজনেরা। দেশজুড়ে ১৯টি বাণিজ্যিক ব্যাংক-এর প্রায় ২,৭০০ এটিএম বুথ থেকে হাজারে মাত্র ৭ টাকা চার্জে *২৪৭# ডায়াল করে বা বিকাশ অ্যাপ ব্যবহার করে গ্রাহকরা রেমিটেন্সের টাকা ক্যাশ আউট করতে পারছেন। এছাড়া, বিকাশ-এর এজেন্ট পয়েন্ট থেকে ক্যাশআউটও এখন আরো সাশ্রয়ী, কারণ মাসে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত হাজারে ১৪.৯০ টাকা খরচে দুটি প্রিয় এজেন্ট থেকে ক্যাশ আউট করতে পারছেন। দেশজুড়ে ছড়িয়ে থাকা ৩ লক্ষ ৭৯ হাজার এজেন্ট পয়েন্টে এই সুবিধা গ্রহণ করতে পারছেন তাঁরা।

সহজ, তাৎক্ষণিক ও নিরাপদ হওয়ায় দিন দিন জনপ্রিয় হচ্ছে বিকাশ-এর মাধ্যমে রেমিটেন্স প্রেরণ। বর্তমানে বিশ্বের শতাধিক দেশ থেকে ১০০টিরও বেশি মানি ট্রান্সফার অর্গানাইজেশন (এমটিও)-এর হয়ে দেশের শীর্ষ বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোয় সেটেলমেন্টের মাধ্যমে বৈধপথে প্রিয়জনের বিকাশ অ্যাকাউন্টে সরাসরি রেমিটেন্স পাঠাতে পারছেন প্রবাসীরা। বিকাশ অ্যাকাউন্টে সরাসরি রেমিটেন্স আসায় প্রবাসীর প্রিয়জনরা বিকাশ-এর মাধ্যমেই বিভিন্ন ধরনের পেমেন্ট, গ্যাস-বিদ্যুৎ-পানির মতো ইউটিলিটি সেবার বিল পরিশোধ, টাকা পাঠানো, মোবাইল রিচার্জ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা সরকারি সেবার ফি পরিশোধ, যাকাত-ফিতরা, অনুদান প্রদানসহ অসংখ্য সেবা নিতে পারছেন ঘরে বসেই।

;