আরও বেড়েছে আদা ও রসুনের দাম, কমেছে পেঁয়াজ
অস্থির কাঁচাবাজারে নতুন করে বেড়েছে আদা ও রসুনের দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে এই দুটি পণ্যের দাম কেজি প্রতি বেড়েছে ১০-২০ টাকা।
অন্যদিকে আগের মতই বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে তেল, চাল, ডাল, ডিমসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য। শুধু তাই নয়, শীতকালীন সবজি বাজারে সয়লাব থাকার পরেও বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে সিম, লাউ, টমেটোসহ অন্যান্য সবজিগুলো। তবে তার মধ্যে একটু সুখের খবর হল-পেঁয়াজের দাম একটু কমেছে।
ক্রেতাদের অভিযোগ, করোনা ভাইরাসের জন্য চীন থেকে আদা-রসুন আমদানি বন্ধ হয়ে যাওয়ার অজুহাতে দাম বাড়িয়েছেন বিক্রেতারা।
বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর সেগুনবাগিচা এবং শান্তিনগর কাঁচাবাজার গিয়ে দেখা যায়, চীন থেকে আমদানি করা রসুন পাইকারি বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ১৯০ টাকায়। খুচরা বিক্রি হচ্ছে ২১০-২২০ টাকায়। অথচ এক সপ্তাহে আগে এটি বিক্রি হয়েছিল ২০০ টাকায়। তারও আগে রসুনের দাম ছিল ১৩০-১৫০ টাকা।
একইভাবে আদা বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ১৬০-১৭০ টাকায়। গত সপ্তাহে যা বিক্রি হয়েছিলো ১৫০-১৫৫ টাকায়। তার আগের সপ্তাহে আদা বিক্রি হয়েছিল ১২০-১৩০ টাকায়।
আদা-রসুনের দাম নতুন করে বাড়লেও কমেছে পেঁয়াজের দাম। গত সপ্তাহে দেশি ভালো মানের পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১৪০ টাকা কেজিতে। কিন্তু এ সপ্তাহে কেজিতে ২০ টাকা করে কমে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২০টাকায়। আমদানিকৃত পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০-৯০ টাকা দরে।
সেগুনবাগিচার ব্যবসায়ী রোকন উদ্দিন বার্তা২৪.কমকে বলেন, করোনা ভাইরাসের কারণে চীন থেকে আদা-রসুন আমদানি বন্ধ রয়েছে। ফলে একটু দাম বাড়িয়ে বিক্রি করছে আড়ত মালিকরা। আমরা সেখান থেকে বেশি দামে কিনছি। তাই বিক্রিও করছি বেশি দরে।
বাজার দুটিতে দেখা গেছে, ভালো মানের মিনিকেট বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ৫৫ টাকা। ভালো মানের নাজিরশাইল চাল ৫৬ টাকায়, মাঝারি মানের নাজিরশাইল চাল ৫২ টাকায়, পাইজাম চাল ৩৬ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া নতুন ২৮ চাল বিক্রি হচ্ছে ৩৮ টাকায় ও পুরাতন ২৮ চাল বিক্রি হচ্ছে ৪২ টাকা দরে।
বাজার দুটিতে প্রতি কেজি চিকন মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকায়। আর মোটা মসুর ডাল ৭০ টাকায় ও মুগ ডাল ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
তিন প্রকার ডিমের মধ্যে ব্রয়লার মুরগির ডিম পাইকারিতে ডজন বিক্রি হচ্ছে ৯০-৯৫ টাকা দরে। আর খুচরা হালি বিক্রি হচ্ছে ৩৩-৩৫ টাকা দরে। অন্যদিকে হাঁসের ডিম খুচরায় হালিতে ৫৫ টাকায় ও দেশি মুরগির ডিম হালিতে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে সবজির যোগান ব্যাপক থাকা সত্ত্বেহ কমছে না দাম। শীতকালীন ভালোমানের ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৪০-৪৫ টাকা দরে, একটু নিন্মমানের ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৩০-৩৫ টাকা পিস। বাঁধাকপিও একই দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে লাউ বিক্রি হচ্ছে পিস প্রতি ৬৫-৭০ টাকায়। শীতকালীন অন্যান্য সবজির মধ্যে শিম ৩০-৫৫ টাকা (প্রকার ভেদে), মুলা ২০ টাকা, টমেটো ৪০-৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া নতুন আলু বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকা কেজিতে।
করলা ৫০ টাকা, বেগুন ৩০ টাকা, শসা ৪০ টাকা, ধুন্দল ৫০ টাকা, পেঁপে ৩০ টাকা, গাজর ৩০ টাকা, কাঁচামরিচ ৬০ টাকা, শালগম ৪০ টাকা, গট কচু ৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া পটল ১০০ ও বরবটি ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মিষ্টি কুমড়া বড় সাইজ ১২০ টাকা, ছোট সাইজ ৪০ টাকা এবং মৌসুমি শাক আঁটি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৫ থেকে ১৫ টাকা দরে।
মাংসের মধ্যে ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৩৫-১৪০ টাকায়। পাকিস্তানি মুরগি প্রতি কেজি ২৪০ টাকায়, দেশি ৪৫০ টাকায়, সাদা কক ২১০ টাকায়, ব্রয়লার ১৩০ টাকায় এবং প্রতি পিস হাঁস বিক্রি হচ্ছে ৫০০ টাকায়। গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ টাকা ও ৭৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে খাসির মাংস।