বিদ্যুতের ভুতুড়ে বিল বন্ধ করতে হবে: বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী

  • স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ডিপিডিসি কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী/ছবি: বার্তা২৪.কম

ডিপিডিসি কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী/ছবি: বার্তা২৪.কম

বাড়ি বাড়ি না গিয়ে ভুতুড়ে বিল করে। বছর শেষে সমন্বয় করার জন্য বিশাল বিল পাঠিয়ে দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) ডিপিডিসি (ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি) কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধু কর্ণার ও ব্লকচেইন প্রযুক্তির মাধ্যমে প্রি-পেইড মিটার রিচার্জের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ভুতুড়ে বিলের কারণে গ্রাহকদের ভোগান্তি হচ্ছে। এটা রোধ করতে হবে। আমরা গ্রাহকদের হয়রানিমুক্ত সেবা নিশ্চিত করতে চাই।

ব্লকচেইন সম্পর্কে তারেক আমিন ভুইয়া বলেন, ব্লকচেইনে ডাটা লাখ লাখ কম্পিউটারে রাখা হয়। যে কারণে আজ পর্যন্ত ব্লকচেইন হ্যাকিং হওয়ার কোনো খবর পাওয়া যায়নি। ব্লকচেইন প্রযুক্তি সাশ্রয়ী এবং অনেক দক্ষ। বাংলাদেশ ব্যাংকও ব্লকচেইন প্রযুক্তি ব্যবহারের চিন্তা করছে। এই প্রযুক্তি ব্যবহার করলে অডিটররা নিজের পজিশনে বসেই তথ্য যাচাই করতে পারবেন। এই পদ্ধতি ব্যবহার করে যে কোনো ওয়ালেট দিয়ে বিল প্রেমেন্ট দেওয়া যাবে।

বিজ্ঞাপন

প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রশ্ন করেন ডিপিডিসি বিলিং কত হয়। জবাব দেন ৬০০ কোটি টাকা। এবার জানতে চান অনলাইন গ্রাহকের তথ্য।

ডিপিডিসি কর্মকর্তারা জানান, ৪ লাখের মতো ওয়ালেটে ট্রানজেকশন হচ্ছে। এতে কত টাকা নিয়ে যাচ্ছে, এটা জানতে হবে। কাস্টমারের সুনির্দিষ্ট পরিসেবার অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে, বিদেশে কিন্তু এমন নয়। তারা অনলাইনে ঢুকে ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে গিয়ে নোট দিচ্ছে, ব্যাংক ইউটিলিটির বিল প্রেমেন্ট দিচ্ছে। আমাদেরকে সেদিকে যেতে হবে।

বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব ড. সুলতান আহমেদ বলেন, গ্রাহকের ব্যাংকের অ্যাকাউন্টের সঙ্গে যুক্ত হতে পারলে ভালো। তাহলে সাশ্রয়ী খরচে সেবা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।

ডিপিডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকাশ দেওয়ান বলেন, আমরা নতুন প্রযুক্তির মাধ্যমে ভালো সেবা নিশ্চিত করতে চাই। যে কারণে ব্লকচেইন প্রযুক্তি চালু করা হচ্ছে।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসাইন, ঢাকা ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক বি. জে. (অব.) শহীদ সারওয়ার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।