টানা তিনদিন পুঁজিবাজারে দরপতন
তারল্য সংকট নিরসনে বাংলাদেশ ব্যাংকের বিশেষ ফান্ডে আগ্রহ কম দেখাচ্ছে ব্যাংক এবং সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠান এমন খবরে আবারও টানা তিনদিন দরপতন হয়েছে পুঁজিবাজারে। নতুন এই দরপতনে সর্বশেষ কার্যদিবস সোমবার (২৪ ফেব্রয়ারি) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচক কমেছে ৪৮ পয়েন্ট। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সূচক কমেছে ৮৩ পয়েন্ট। সূচকের পাশাপাশি কমেছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। এ নিয়ে বুধবার সূচক বৃদ্ধির পর বৃহস্পতিবার, রোববার এবং সোমবার টানা তিনদিন দরপতন হলো।
ডিএসই ও সিএসইর তথ্য মতে, সোমবার ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৪৮ পয়েন্ট কমে ৪ হাজার ৬৫০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএস-৩০ সূচক ২০ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৫৭১ এবং ডিএসইএস সূচক ১২ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৭৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। এদিন ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৬০০ কোটি ৫৬ লাখ ২ হাজার টাকা। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিলো ৬৬৮ কোটি ৪৫ লাখ ৬ হাজার টাকা। লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ১০৩ টির কমেছে ২০১টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৫১টি কোম্পানির শেয়ারের।
সিএসইর প্রধান সূচক আগের দিনের চেয়ে ৮৩ পয়েন্ট কমে ১৪ হাজার ২৬৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। লেনদেন হয়েছে ২৫ কোটি ৯৮ লাখ ৪৬ হাজার টাকা। লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ৭৮টির, কমেছে ১৩৪টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৩২টি কোম্পানির শেয়ারের।
বিশ্লেষণে দেখা গেছে, বোরবারের মতো সোমবারও ব্যাংক, বিমা এবং আর্থিক খাতের শেয়ারের দাম কমেছে। এছাড়াও গ্রামীণফোনসহ বড় কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। আর তাতে বড় দরপতন হয়েছে।
বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিনিয়োগকারীদের মধ্যে এখনও আস্থা সংকট কাটেনি। তার সঙ্গে যোগ হয়েছে বিশেষ ফান্ডে বিনিয়োগকারী এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের আগ্রহ কমে যাওয়া। এছাড়াও গ্রামীণফোনকে সরকারের পাওনা পরিশোধ করতে হবে এমন খবরে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে পুঁজিবাজারে।