‘সব প্রশ্নের উত্তর দেওয়া টাফ’

  • স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

সংবাদ সম্মেলনে এমন কথা বলেন আব্দুল জলিল, ছবি: বার্তা২৪.কম

সংবাদ সম্মেলনে এমন কথা বলেন আব্দুল জলিল, ছবি: বার্তা২৪.কম

বহুল আলোচিত সমালোচিত রেন্টাল-কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র আর নবায়ন না করার নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)।

বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে এমন নির্দেশনার কথা জানিয়েছেন কমিশনের চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল।

বিজ্ঞাপন

রেন্টাল-কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র বসিয়ে রেখে ক্যাপাসিটি পেমেন্টের কারণে বিদ্যুতের উৎপাদন খরচ বেড়ে যাচ্ছে কি না জানতে চাইলে চেয়ারম্যান এ কথা জানান। তিনি বলেন, ‘আমরা যেসব নির্দেশনা দিয়েছি, একটু কষ্ট করে পড়ে নিয়েন। তাহলেই বুঝতে পারবেন।’

চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমরা স্পষ্ট করে বলেছি, চলমান রেন্টাল-কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের চুক্তির মেয়াদ শেষ হলে আর কোনোভাবেই নবায়ন করা যাবে না। এছাড়া যেখানে গ্যাসের নেটওয়ার্ক রয়েছে, সেসব এলাকায় তেল-ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করা যাবে না।’

বিজ্ঞাপন

আরেক প্রশ্নের জবাবে বিইআরসি চেয়ারম্যান বলেন, ‘নিম্ন আয়ের লোকজনের ওপর যাতে চাপ বেশি না পড়ে, তাই কম ব্যবহারকারীদের বিদ্যুতের দাম কম বাড়ানো হয়েছে। সে কারণে সহনীয় থাকবে বিদ্যুতের দাম।’

আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমলেও বিদ্যুতের ক্ষেত্রে তেলের দাম কেন কমানো হচ্ছে না। এতে বিদ্যুতের উৎপাদন খরচ বেশি পড়ছে। এ বিষয়ে কমিশন কিছু ভাবছে কি-না? জবাবে চেয়ারম্যান বলেন, ‘তেলের দাম আমরা নির্ধারণ করি না।’
কমিশনের সদস্য রহমান মুরশেদ বলেন, ‘বিইআরসিকে জ্বালানির দাম নির্ধারণের এখতিয়ার দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে তেলও পড়ে। কিন্তু তেলের দাম এখনও নির্বাহী আদেশে নির্ধারণ করা হয়। আমাদের কাছে কেউ দামের বিষয়ে প্রস্তাব নিয়ে এলে তখন আমরা আদেশ দেই।’

বিদ্যুৎ খাতের কিছু সিদ্ধান্ত নিয়ে সাংবাদিকরা সমালোচনা মুখর হলে বিইআরসি চেয়ারম্যান বলেন, ‘সব প্রশ্নের উত্তর দেওয়াটা টাফ। কিছু বিষয় রয়েছে নীতি নির্ধারণী। এখানে আমাদের তেমন কিছু করার নেই।’

বিদ্যুতের বর্ধিত উৎপাদন ক্ষমতার সমালোচনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বিদ্যুৎ নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহের জন্য এক-তৃতীয়াংশ উৎপাদন ক্ষমতা বেশি থাকতে হয়। চাহিদা যদি দুই হয়, তাহলে উৎপাদন ক্ষমতা হবে তিন। কিছু থাকবে স্ট্যান্ডবাই। কারণ জরুরি রক্ষণাবেক্ষণের কারণে কিছু বন্ধ থাকতে পারে।’

বাংলাদেশে বর্তমানে সর্বোচ্চ উৎপাদনের রেকর্ড ১২ হাজার, আর উৎপাদন ক্ষমতা ২৪ হাজার মেগাওয়াট। অর্থাৎ উৎপাদন ক্ষমতা দ্বিগুণের মতো। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে কোনো মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকেন চেয়ারম্যান।