অস্থির নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ও ফলের বাজার



মাহফুজুল ইসলাম, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের কারণে তেল, পেঁয়াজ, আদা, রসুনসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের পাশাপাশি ফলের বাজারও অস্থির হয়ে উঠেছে। প্রায় সব ধরনের পণ্যের দাম বেড়েছে অস্বাভাবিক হারে। ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের প্রতিবেদনে এই তথ্য বাণিজ্য মন্ত্রনালয়কে জানানো হয়েছে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, নিত্য পণ্যের বেশিরভাগই আমদানি করা হয় চীন থেকে। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে দেশটির সঙ্গে আমদানি-রফতানি বন্ধ রয়েছে। ফলে চাহিদার তুলনায় মজুদের সংকট দেখা গিয়েছে। এ অজুহাতে আবারও অস্থির হয়ে উঠেছে নগরীর ভোগ্যপণ্যের পাইকারি বাজার। দিন যতই যাচ্ছে অস্থিরতা আরও বাড়ছে।

কাওরান বাজার কিচেন মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতি, ঢাকা। সংগঠনটির পক্ষ থেকে বলা হয়, চীন থেকে আমদানি বন্ধের কারণে বাজারে মাখন, কনডেন্সড মিল্ক, নুডলস, ইনস্ট্যান্ট নুডলস, চিপস, পিকলড ফ্রুটস, জ্যাম ডেলি, বোতলজাত ফলের রস, সস, টমেটো পেস্ট, ফার্মেন্টড ভিনেগার, ফরটিফায়েড এডিবল রাইস ব্র্যান অয়েলে ইত্যাদির সরবরাহ সংকট দেখা দিয়েছে।

শ্যামবাজার বণিক সমিতি বলছে, প্রতি মাসে চীন থেকে পেঁয়াজ, আদা, রসুনের আমদানির পরিমাণ আনুমানিক ৫০০ কন্টেইনার। কন্টেইনারের মূল্য আনুমানিক ৩৫ লাখ টাকা। ভাইরাসের কারণে চীন থেকে আমদানি বন্ধ। তবে আদা ও রসুন ভারত থেকে আমদানি হওয়ায় দেশীয় বাজারে এর প্রভাব কম পড়বে বলে মনে করছে সংগঠনটি।

প্রতিবেদনে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির পক্ষ থেকে বলা হয়, চীনে করোনাভাইরাসের অজুহাতে আবারও অস্থির হয়ে উঠেছে নগরীর ভোগ্যপণ্যের পাইকারি বাজার। এক সপ্তাহের ব্যবধানে অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে আদা, রসুন ও পেঁয়াজের দাম।

পেঁয়াজ ৮৫ থেকে ৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছিল যা এখন বেড়ে ৯৫ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে

পেঁয়াজ: ভারত পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করার পর দেশের বাজার নির্ভর হয়ে পড়েছে মিয়ানমার ও চীনের ওপর। কিছুদিন আগেও মিয়ানমার ও চীন থেকে পেঁয়াজ এনে ঘাটতি মেটানোর চেষ্টা করা হচ্ছিল। কিন্তু গত এক সপ্তাহ ধরে বাজারে চীনের পেঁয়াজ সরবরাহ এক প্রকার বন্ধই রয়েছে। এতে প্রভাব পড়েছে মিয়ানমার থেকে আমদানি করা পেঁয়াজের দামেও। গত সপ্তাহে মিয়ানমারের প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৮৫ থেকে ৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছিল যা এখন বেড়ে ৯৫ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

রসুন: নিত্যপণ্যের মধ্যে রসুনের দাম নিয়মিতভাবে বাড়ছে। আমদানি করা রসুন কিনতে হচ্ছে ২২০ টাকায়। ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য অনুযায়ী, গত এক বছরে দেশি রসুনের দাম বেড়েছে ১৯১.৬৭ শতাংশ। আর আমদানি করা রসুনের মূল্য বেড়েছে ১৬০ শতাংশ। তবে গত এক মাসের ব্যবধানে আমদানি করা রসুনের দাম বেড়েছে ৮৮.৮৮ শতাংশ। খুচরা ব্যবসায়ীদের দাবি, গত বছর যে রসুন ৫০ টাকা কেজিতে পাওয়া যেত এখন সেই রসুন প্রতি কেজি ২০০-২১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহেও আমদানি করা রসুন প্রতি কেজি ২২০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।

ট্যারিফ কমিশনের মতে, রসুনের কোনো বিকল্প বাজারে না থাকায় দাম ঊর্ধ্বমুখী। ট্যারিফ কমিশনের হিসেবে, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে রসুন উৎপাদিত হয়েছে ৬ লাখ ১৩ হাজার টন। সেখান থেকে পচে যাওয়া রসুন বাদ দিয়ে প্রকৃত উৎপাদন ধরা হয়েছে ৫ লাখ ২২ হাজার টন। তবে বিবিএসের হিসাবে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে রসুনের উৎপাদন হয়েছে ৪ লাখ ৬৬ হাজার টন।

আদা: এক সপ্তাহের ব্যবধানে চীনা আদার দাম অস্বাভাবিক হারে বেড়ে গেছে। সপ্তাহ আগে চীনা আদার দাম ছিল ১০০ টাকা যা ৫০ টাকা বেড়ে বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়।

বেড়েছে আদা ও রসুনের নাম্বারও

আমদানি সমস্যা

পাইকারি ব্যবসায়ীদের মতো দেশে আমদানিকৃত রসুনের ৯৬ শতাংশই আসে চীন থেকে। করোনা ভাইরাসের কারণে প্রায় এক মাস ধরে চীনের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ থাকায় সেখান থেকে রসুন আসছে না। বিকল্প হিসেবে বর্তমানে ভারত ও মিয়ানমার থেকে অল্প পরিমাণ রসুন আমদানি হচ্ছে। বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের তথ্য বলছে, ২০১৯-২০ অর্থ বছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর এই ছয় মাসে মোট ৫২ হাজার ৪৬১ টন রসুন আমদানি হয়েছে।

বিগত ২০ জানুয়ারির পর থেকে কোনো আদা-রসুন শিপমেন্ট দিচ্ছে না। ফলে পুরানো শিপমেন্টের পণ্য এখন বাজারে আসছে। নতুন করে চীন থেকে রসুন আসে তা পৌঁছাবে মার্চের শেষ সপ্তাহে। এর মাঝে যে ক’দিন গ্যাপ থাকবে তখন বাজারে ঘাটতি দেখা দেবে। তখন আবার নতুন করে দাম বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

ভারত থেকে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করার পর চীন ও মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ এনে ঘাটতি মেটানোর চেষ্টা করা হচ্ছিল। কিন্তু গত এক সপ্তাহ ধরে বাজারে চীনের পেঁয়াজ সরবরাহ একরকম বন্ধই রয়েছে। রয়েছে আদা-রসুনও। করোনাভাইরাসের কারণে আমদানিকারকরা এই ৩টি পণ্য সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে। এতে নতুন করে তৈরি হয়েছে সংকট। যার প্রভাব পড়েছে পণ্য ৩টির দামে। যারা আগে এলসি খুলেছিল তাদের চালানও আসছে না। নতুন করে কেউ এলসিও খুলতে পারছে না। সব মিলিয়ে বাজারে একটা সংকট সৃষ্টি হয়েছে।

বাংলাদেশ-চায়না চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (বিসিসিসিআই) বলছেন, চীন থেকে বাংলাদেশ মূলত আদা, রসুন ও দারুচিনিসহ কিছু ভোগ্যপণ্য আমদানি করে। এ বছর অবশ্য চীনের পেঁয়াজ বাংলাদেশে এসেছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) তথ্য অনুযায়ী সমুদ্রপথে আমদানি হওয়া রসুনের পুরোটাই চীন থেকে আসে। আর আমদানি হওয়া আদার ৬০ শতাংশ এবং দারুচিনির ৬৭ শতাংশ আসে চীন থেকে।

গত অর্থবছরে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে ৬৪ হাজার ৭৯৬ টন রসুন আমদানি হয়েছে।এবারও চীনের নববর্ষের ছুটি শুরুর আগেই ব্যবসায়ীরা বিপুল পরিমাণ রসুন ও আদা আমদানি করেছেন। এরমধ্যে ডিসেম্বর মাসেই সাড়ে ১৮ হাজার টন রসুন আমদানি হয়। চীনে নববর্ষের আগে যেসব পণ্য আমদানির প্রক্রিয়া শেষ হয়েছিল, এখনো চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে সেসব পণ্য আসছে। ফলে করোনাভাইরাসের প্রভাবে বাংলাদেশের বাজারে এখন পর্যন্ত কোনো পণ্যের সরবরাহে ঘাটতি দেখা দেয়ার কারণ নেই।

ফলের বাজার নিয়ে বাংলাদেশ ফ্রেশ, ফ্রুটস ইম্পোটার্স এসোসিয়েশন বলছে, রাজধানীর ফলের পাইকারি বাজারগুলোতে আপেল, কমলা, নাশপাতি, আঙ্গুরসহ আমদানিকৃত প্রায় সব ধরনের ফলের সরবরাহ কমে গেছে। এর প্রভাব পড়েছে দামেও। খুচরা বাজারে ফল ভেদে প্রতি কেজিতে দাম বেড়েছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা।

   

ফের বাড়ল স্বর্ণের দাম



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ফের বাড়ল স্বর্ণের দাম

ফের বাড়ল স্বর্ণের দাম

  • Font increase
  • Font Decrease

ভরিতে ২ হাজার ৬৫ টাকা বাড়িয়ে একভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ১৯ হাজার ৬৩৮ টাকা। যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) এক বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) জানিয়েছে, শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) থেকে নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

;

শসা চাষিদের পাশে ‘স্বপ্ন’



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রমজানের মধ্যে শসার বাজার চড়া দাম থাকলেও বর্তমানে শসা চাষিরা শসার দাম নিয়ে বেশ বিপাকে পড়েছেন। তবে এমন দুঃসময়ে শসা চাষিদের পাশে দাঁড়িয়েছে দেশের সেরা রিটেইল চেইন সুপারশপ ‘স্বপ্ন’ ।

সম্প্রতি এক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ হয় যে, ন্যায্য দাম না পাওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েছেন দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার শসা চাষিরা। পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি শসা বিক্রি হচ্ছে মাত্র ২ থেকে ৪ টাকায়। ন্যায্য দাম পাচ্ছেন না চাষিরা। এমন সময় সেই শসা চাষিদের সঙ্গে যোগাযোগ করে ন্যায্যমূল্যে শসা কিনেন ‘স্বপ্ন’ কর্তৃপক্ষ। সেই শসা এখন খোলা বাজারের চেয়ে কম দামে স্বপ্ন আউটলেটে পাওয়া যাচ্ছে ।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) খোলা বাজারে ৪০ টাকা কেজিতে শসা বিক্রি করতে দেখা গেলেও স্বপ্ন আউটলেটে তা ১২টাকা কেজিতে অর্থাৎ সাশ্রয়ী মূল্যে খোলা বাজারের চেয়ে কম দামে গ্রাহকরা কিনতে পারছেন ।

এরইমধ্যে দিনাজপুরের খানসামার ওই এলাকা থেকে ২ টন এবং ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট এলাকা থেকে ৬ টন শসা কিনেছে স্বপ্ন প্রতিনিধি।

বর্তমানে তাদের উৎপাদিত শসা পৌঁছে গেছে স্বপ্ন’র আউটলেটে, স্টক থাকা অবধি এই অফার গ্রাহকরা পাবেন। স্বপ্ন’র নির্বাহী পরিচালক সাব্বির হাসান নাসির জানান, আমরা শসা চাষিদের দুর্ভোগের কথা জানতে পেরেছি নিউজের মাধ্যমে। আমরা দিনাজপুর, ময়মনসিংহসহ বেশকিছু এলাকার কৃষকের দুর্ভোগের কথা জানার পর তাঁদের কাছ থেকে শসা কিনেছি ন্যায্যমূল্যে। অনান্য ব্যবসায়ীদেরও কৃষকদের জন্য এগিয়ে আসার আহ্বান থাকবে । মধ্যস্বত্বভোগীদের লাভবান না করে কৃষকদের সঙ্গে সরাসরি সেতুবন্ধনের চেষ্টা করে আসছে স্বপ্ন। এই চেষ্টা সবসময় অব্যাহত থাকবে।

এ প্রসঙ্গে স্বপ্ন’র হেড অফ পার্চেজ সাজ্জাদুল হক বলেন, বিভিন্ন গণমাধ্যমে শসা চাষিদের সংকটের খবর দেখার পর আমরা সিদ্ধান্ত নেই যে, এই কৃষকদের পাশে আমরা দাঁড়াবো। দিনাজপুর, ময়মনসিংহসহ বেশ কয়েকটি এলাকা থেকে এরইমধ্যে ৮ টন শসা আমরা কিনেছি। দুঃসময়ে কষ্টে থাকা অনেক কৃষকদের পাশে ‘স্বপ্ন’ এর আগেও দাঁড়িয়েছে। সামনেও পাশে থাকবে।

দিনাজপুরের খানসামা এলাকার কৃষক সাকিব হোসেন জানান, প্রায় এক বিঘা জমিতে শসা চাষ করেছিলাম এবার। শসার বীজ, সারসহ নানা কাজে লাখ টাকা খরচ হয় আমার। কিন্তু ১০ রমজান অবধি কিছু শসা বিক্রি করার পর বাজারে শসার দাম কমে যায় । প্রতি কেজি ১০ টাকা, এরপর পর ৫ টাকা এবং সবশেষে আরও কম দামে বিক্রি করতে বাধ্য হয়। অনেক শসা নষ্টও হয়ে যায়। অনেক লোকসান হচ্ছিল। আমার এলাকার এক সাংবাদিক নিউজ করার পর এসিআই কোম্পানীর ‘স্বপ্ন’ থেকে যোগাযোগ করে আমার অনেকগুলো শসা কিনে নিয়েছেন উনারা। এতে করে লোকসানের অনেক ঘাটতি পূরণ হয়েছে আমার । তাঁদেরকে অশেষ ধন্যবাদ ।

;

বিকাশ অ্যাপে ‘সেন্ড মানি’ এখন আরও সুরক্ষিত, নির্ভুল



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গ্রাহকের লেনদেন আরও নির্ভুল ও সুরক্ষিত করতে বিকাশ অ্যাপের ‘সেন্ড মানি’ সেবায় যুক্ত হলো আরও একটি সতর্কীকরণ ধাপ বা ‘ডিসক্লেইমার’। সেভ করা নাম্বারের বাইরে অন্য কোনো নাম্বারে তাড়াহুড়ো করে সেন্ড মানি করার সময় ভুল নাম্বারে টাকা পাঠানোর বিড়ম্বনা এড়াতেই বিকাশ অ্যাপে এই সুবিধা যুক্ত করা হয়েছে।

এখন থেকে বিকাশ অ্যাপে সেভ করা নাম্বার ছাড়া অন্য কোনো নাম্বারে ‘সেন্ড মানি’ করার সময় একটি ‘ডিসক্লেইমার প্রম্পট’ বা সতর্কীকরণ বার্তা দেখা যাবে, যেখানে বলা আছে “নাম্বারটি সঠিক কি না তা অনুগ্রহ করে আবার চেক করুন”। সে অনুযায়ী নাম্বারটি নিশ্চিত হয়ে পরবর্তী ধাপে টাকার পরিমাণ উল্লেখ করে সেন্ড মানি করলেই ভুল নাম্বারে টাকা পাঠনোর কোনো বিড়ম্বনা থাকেনা। ‘সেন্ড মানি অটো পে’ সেট করার সময় এবং ‘গ্রুপ সেন্ড মানি’ -তে সেভ করা নাম্বারের বাইরে অন্য কোনো নাম্বার যোগ করার সময়েও এই সুবিধা পাওয়া যাবে।

এছাড়া আরও কিছু বিষয়ে নজর রাখলে ভুল নাম্বারে টাকা পাঠানোর কোনো বিড়ম্বনাই থাকেনা –

• নতুন কোনো নাম্বারে সেন্ড মানি করার আগে প্রাপকের সাথে কথা বলে নাম্বারটি নিশ্চিত করে নেয়া যেতে পারে
• সেভ করা নাম্বার ছাড়া অন্য কোনো নাম্বারে সেন্ড মানি করার সময় নাম্বারটি কয়েকবার মিলিয়ে নেয়া ভালো
• টাকার পরিমাণ প্রবেশ করার পর টাকার অংক ঠিক আছে কি না তা দেখে নেয়া দরকার
• ভুল নাম্বারে টাকা পাঠিয়ে ফেললে দ্রুত বিকাশ হেল্পলাইন ১৬২৪৭, অফিশিয়াল ওয়েবসাইট/লাইভ চ্যাট অথবা ফেসবুক পেজে যোগাযোগ করতে হবে

সুরক্ষিত এই সেন্ড মানি সেবার পাশাপাশি এই মুহূর্তে বিকাশ গ্রাহকরা মোবাইল রিচার্জ, ক্যাশ ইন, ক্যাশ আউট, মার্চেন্ট পেমেন্ট, অ্যাড মানি, ইউটিলিটি বিল পেমেন্ট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ফি পরিশোধ, ই-টিকেটিং, ডোনেশন, বিদেশ থেকে রেমিটেন্স গ্রহণ, ইন্স্যুরেন্স ও মাইক্রোফাইন্যান্স এর পেমেন্ট, ডিজিটাল ন্যানো লোন ও সেভিংস সহ নানান সেবা ব্যবহার করছেন। এভাবেই নতুন নতুন উদ্ভাবনী সেবা আনার মাধ্যমে একটি পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল লাইফস্টাইল অ্যাপে পরিণত হয়ে বিকাশ, গ্রাহকের প্রতিদিনকার লেনদেনে আরও স্বাধীনতা ও সক্ষমতা আনার প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে।

;

নারীর অধিকার আদায়ে ইসলামী ব্যাংকের মুদারাবা মোহর সঞ্চয়ী হিসাব



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মোহর ইসলামে নারীর প্রতি সম্মান আর অধিকার প্রদর্শনের একটি নিদর্শন। বিবাহের সময় কনের দাবিকৃত অর্থ মোহর, আর বরের পক্ষ থেকে কনেকে এই মোহর আদায় করা অত্যবশকীয় কর্তব্য।

পবিত্র কোরানের সুরা নিসায় আল্লাহ বলেন “আর তোমরা আনন্দের সাথে স্ত্রীদের মোহর আদায় করে দাও। তবে যদি তারা স্বেচ্ছায় মাফ করে দেয়, তাহলে তা সানন্দে ভোগ করতে পার”।

মোহর যে স্ত্রীর অপরিহার্য অধিকার এবং স্বামীকে যে অবশ্যই পালন করতে হবে এমন চিন্তা বেশিরভাগ মানুষের থাকে না। ফলে সমাজে মোহর আদায়ের সংস্কৃতি কিছুটা কম। বিয়েতে মোটা অংকের মোহর নির্ধারণ করা হয়, কিন্তু সংসারের খরচ চালাতে গিয়ে এই মোহর আদায় কারো কারো পক্ষে কঠিন হয়ে উঠে। ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি মোহর আদায়ের সংস্কৃতি চালু রাখতে ও আরো সহজ করতে মুদারাবা মোহর সেভিংস একাউন্ট চালু করেছে।

সমাজের সর্বস্তরের মুসলিম জনসাধারণ বিশেষত পেশাজীবী, চাকরিজীবী, ব্যবসায়ী, প্রবাসী তাদের সামর্থ অনুযায়ী মাসিক কিস্তিতে টাকা জমা দিয়ে এই প্রকল্পের আওতায় একাউন্ট খুলতে পারবেন। মাসিক কিস্তি ৫০০ টাকা থেকে ৫,০০০ টাকার কিস্তিতে ৫ বছর ও ১০ বছর মেয়াদী এ হিসাব পরিচালনাকারী হিসেবে ভূমিকা পালন করবে স্বামী বা বিবাহেচ্ছুক পুরুষ। কাবিননামায় উল্লেখিত মোট টাকার পরিমাণ, আদায়কৃত টাকা এবং আদায়যোগ্য টাকার পরিমাণ উল্লেখ করে আদায়যোগ্য টাকার উপর মাসিক হার নির্ধারণ করা হয়। উল্লেখ্য, ইতোমধ্যে প্রায় ৩৩ হাজার গ্রাহক ইসলামী ব্যাংকে মোহর একাউন্ট খুলেছেন।

বাংলাদেশের যে কোন বৈধ নাগরিক তার জাতীয় পরিচয় পত্র/পাসপোর্ট/ ড্রাইভিং লাইসেন্সের ফটোকপি, নিজের ২ কপি ছবি, স্ত্রীর ২ কপি ছবি (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) ও নমিনির এক কপি ছবি নিয়ে ইসলামী ব্যাংকের যে কোন শাখা, উপশাখা কিংবা এজেন্টে মোহর একাউন্ট খুলতে পারবে, এছাড়া ইসলামী ব্যাংকের ডিজিটাল অ্যাপস সেলফিনের মাধ্যমেও এই একাউন্ট খোলা যায়। অন্য শাখা, উপ-শাখা কিংবা এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট থেকে অনলাইনের মাধ্যমে কিস্তির টাকা জমা দেওয়া যায়। মোবাইল ভিক্তিক ব্যাংকিং আ্যাপস সেলফিনের মাধ্যমে মাসের যে কোন দিন যে কোন স্থান থেকে খুব সহজে মাসিক কিস্তি দেওয়া যায় অথবা শাখায় স্পেশাল ইনস্ট্রাকশন দিয়ে রাখলে প্রতি মাসে নির্দিষ্ট তারিখে স্বয়ংক্রিয়ভাবে অটোমেটিক সংশ্লিষ্ট সেভিংস হিসাব থেকে মোহর একাউন্টে ট্রান্সফার হয়ে যাবে। এছাড়া ইসলামী ব্যাংকের ইন্টারনেট ব্যাংকিং ও এমক্যাশের মাধ্যমেও মাসিক কিস্তি পরিশোধ করা যায়। গ্রাহক চাইলে কিস্তির টাকা অগ্রিম পরিশোধ করতে পারেন। উক্ত একাউন্টের মূল টাকা ও প্রদত্ত মুনাফা সবই স্ত্রীর প্রাপ্য। হিসাব খোলার সময় কিস্তির হার ও মেয়াদ নির্ধারণ করতে হবে। পরবর্তীতে তা পরিবর্তন করা যাবে না।

মুদারাবা মোহর হিসাবে সঞ্চিত অর্থ দিয়ে একজন স্বামী তার স্ত্রীর মোহরের ঋণ থেকে নিজেকে মুক্ত করতে পারেন। মোহর পরিশোধের মাধ্যমে নারীর জীবনে আর্থিক স্বচ্ছলতা আসে। এবং সম্মান প্রতিষ্ঠিত হয়। সর্বোপরি সমাজে নারীর অধিকার আদায়ের মাধ্যমে তাদের ক্ষমতায়ন হয়। মোহর আদায়ের সংস্কৃতি চালু করতে ইসলামী ব্যাংকের এ উদ্যোগ কৃতিত্বের দাবিদার।

;