আরইবির লোকবল ছাঁটাইয়ের সুপারিশ



সেরাজুল ইসলাম সিরাজ, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির (পবিস) মধ্যে বর্তমানে মুনাফায় রয়েছে ১৮টি। ওঅ্যান্ডএম (অপরেশন অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট) ব্যয় কমানোসহ কিছু সংস্কারের মাধ্যমে অবশিষ্ট সমিতিগুলোও মুনাফায় আসতে পারে।

ডিসেম্বর ২০১৯ পর্যন্ত মুনাফায় থাকা ১৮ সমিতির নিট মার্জিনের পরিমাণ ছিল ১ হাজার ৪৪০ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। একই সময়ে ৬২ লোকসানি সমিতির নিট ক্ষতির পরিমাণ ছিল ৮১৭ কোটি ২২ লাখ টাকা। ক্রস সাবসিডির মাধ্যমে সমিতির কার্যক্রমকে গতিশীল রাখা হয়েছে।

বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (বিআরইবি) টাস্কফোর্সের এক বিশ্লেষণে এমন তথ্য উঠে এসেছে। বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে পরিচালিত প্রকল্পের পরামর্শক আরভি শাহীর পরামর্শে এ টাস্কফোর্স গঠন করা হয়। এর প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে লাভজনক সমিতির সংখ্যা বৃদ্ধির কৌশল চূড়ান্ত করা। টাস্কফোর্স মনে করছে, একটু আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করা গেলে জুনের মধ্যে আরও ১৩টি সমিতিকে লাভজনক করা সম্ভব। ২০২১ সালের জুনের মধ্যে আরও ২৩টি সমিতি মুনাফায় আসতে পারে।

ঘাটতি কাটিয়ে মুনাফা আনতে হলে প্রথমেই ওঅ্যান্ডএম ব্যয় হ্রাস, সিস্টেম লস কমানো এবং অপ্রয়োজনীয় জনবল সরিয়ে ফেলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সমিতিগুলোতে ৪টি পদের বিপরীতে ৫ হাজার অতিরিক্ত জনবল রয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি উদ্বৃত্ত জনবল রয়েছে মিটার রিডার কাম ম্যাসেঞ্জার পদে। এ পদে ১০ হাজার ৫শ’ লোকবল রয়েছে। কিন্তু টাস্কফোর্স মনে করছে, এখানে ৫ হাজার লোকবল হলেই যথেষ্ট। এ পদে লোকবল কমিয়ে বছরে ৭৮ কোটি টাকা বেতন সাশ্রয় করা সম্ভব। দ্বিতীয় পর্যায়ে রয়েছে ক্যাশিয়ার ও সহকারী ক্যাশিয়ার পদে। এ পদে লোকবলের প্রয়োজন ৫৬৪ জন। এ পদে বর্তমানে লোকবল রয়েছে ৮১৮ জন। বাড়তি লোকবল কমিয়ে বছরে ১৩ কোটি ৪৪ লাখ টাকা সাশ্রয় করা সম্ভব।

ওয়ারিং পরিদর্শক পদে লোকবল প্রয়োজন ৬৪৪ জন, এ পদে বর্তমানে লোকবল রয়েছে ৭৫৬ জন। সহকারী হিসাবরক্ষক পদে বাড়তি লোকবল রয়েছে ২৫৮ জন। অন্যদিকে সিস্টেম লস ৫০ শতাংশ কমিয়ে বছরে ১শ’ কোটি টাকা সাশ্রয় করা সম্ভব।

সামগ্রিক ওঅ্যান্ডএম ব্যয় কমলেও আরও কমানোর সুযোগ ও প্রয়োজনীয়তা দেখছে টাস্কফোর্স। ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে ওঅ্যান্ডএম ব্যয় হয়েছে ২ হাজার ৯৭২ কোটি টাকা। যা ইউনিট প্রতি দাঁড়ায় ৯৬ পয়সা। আর চলতি অর্থ বছরের প্রথম ৬ মাসে ৭২ পয়সায় এসে ঠেকেছে। মোট ওঅ্যান্ডএম ব্যয় দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ২৬৫ কোটি টাকা।

সমিতি ভিত্তিক সবচেয়ে বেশি ওঅ্যান্ডএম ব্যয় দেখা গেছে পটুয়াখালী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে। এ সমিতিতে ডিসেম্বর ২০১৮ সালে ওঅ্যান্ডএম ব্যয় ছিল ১.২৮ টাকা। ১ বছর পর ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে হয়েছে ১.২১ টাকা। পটুয়াখালী সমিতি বিদায়ী বছরে মোট লোকসান দিয়েছে ৯ কোটি ১৩ লাখ টাকা।

ওঅ্যান্ডএম ব্যয় বেশি প্রসঙ্গে পটুয়াখালী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জিএম মনোহর কুমার বিশ্বাস বার্তা২৪.কমকে বলেন, আমাদের এখানে জনসংখ্যার ঘনত্ব অনেক কম। অনেক এলাকায় প্রতি কিলোমিটারে ৭০ থেকে ৯০ জন গ্রাহক রয়েছেন। সেখানে আমাদের সমিতিতে রয়েছেন ৩০ থেকে ৩৫ জন। আর আমাদের নেটওয়ার্ক বিশাল এলাকা জুড়ে এ কারণে আমাদের ওঅ্যান্ডএম ব্যয় একটু বেশি। তবে আমরা এ ব্যয় কমিয়ে আনার টেষ্টা করছি।

ওঅ্যান্ডএম ব্যয় বেশি থাকা চাঁদপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জিএম কেফায়েত উল্লাহ বার্তা২৪.কমকে বলেন, আমাদের সমিতি আশির দশকে প্রতিষ্ঠা হয়েছে। খুঁটি ও তারগুলো পুরাতন হয়েছে সেগুলো পরিবর্তন করতে হচ্ছে। এ কারণে এ ব্যয় বেড়ে গেছে। তবে ব্যয় কমিয়ে আনার চেষ্টা চলছে। যার ফলও পেতে শুরু করেছি।

টাস্কফোর্স বলেছে, বিআরইবির নিজস্ব কেন্দ্রীয় ডেটা সার্ভারে সব সমিতিকে অন্তর্ভুক্ত করে কেন্দ্রীয় বিলিয় সিস্টেমের মাধ্যমে সহজেই বিলিং কার্যক্রম সম্পন্ন করা যায়। এতে পবিসের ক্যাশ শাখায় কাজের চাপ কমবে, নতুন করে জনবল নিয়োগ করার প্রয়োজন পড়বে না।

আরইবির সম্ভাবনা হিসেবে দেখানো হয়েছে বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চল, নতুন শিল্প ও বাণিজ্যিক সংযোগ এবং গ্রামের মানুষের বিদ্যুতের ব্যবহার বেড়ে যাওয়াকে। অন্যদিকে ঝুঁকি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে প্রতিকূল মূল্যবৃদ্ধি, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, অনলাইনে বিল আদায়ের ঝুঁকি ও দুর্ঘটনা জনিত ঝুঁকি। দুর্বলতা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে সদিচ্ছার অভাব, দুর্নীতি ও দালালদের উপস্থিতি, নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত না হওয়া এবং উচ্চ সিস্টেম লস।

আরইবির লোকজন মনে করেন, লোডশেডিং মুক্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করা গেলে তাদের বিক্রির পরিমাণ বাড়বে। এর মাধ্যমে তাদের আয় বেড়ে যাবে। পাশাপাশি অনেক সমিতির এলাকায় শিল্পায়ন হচ্ছে। শিল্পে বেশি দরে বিদ্যুৎ বিক্রি করেও মুনাফা বাড়বে।
যেসব সমিতির এলাকায় শিল্প প্রতিষ্ঠান রয়েছে, মূলত সেসব পবিস মুনাফায় রয়েছে।

মুনাফায় থাকা পবিসগুলো হচ্ছে ঢাকা-১, ৩ ও ৪, নারায়ণগঞ্জ-১ ও ২, গাজীপুর-১ ও ২, ময়মনসিংহ-২, নরসিংদী-১ ও ২ মুন্সীগঞ্জ, হবিগঞ্জ, কক্সবাজার, মানিকগঞ্জ ও কুমিল্লা-১, ২ ও ৩। সবচেয়ে বেশি মুনাফা করেছে ঢাকা পবিস-১। বিদায়ী ডিসেম্বর পর্যন্ত ঢাকা জেলার এ সমিতি নিট মুনাফা করেছে ২৬৬ কোটি ৭২ লাখ টাকা।

   

সরবরাহ বাড়ায় কমেছে পেঁয়াজের দাম



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দামে যখন ঊর্ধ্বগতি তখন স্বস্তির বার্তা হয়ে এসেছে পেঁয়াজের দাম। গেলো কয়েক সপ্তাহে যেখানে পেঁয়াজের ঝাঁজে ক্রেতাদের নাজেহাল অবস্থা। সেই পেঁয়াজ এখন বাজারে পাওয়া যাচ্ছে সুলভ মূল্যে। মূলত দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়ায় এবং ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির ঘোষণার পর থেকে নেমে এসেছে পেঁয়াজের দাম।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) সকালে রাজধানীর হাতিরপুল বাজার ঘুরে দেখা গেছে গত সপ্তাহে যে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছিল ৯০-১০০ টাকা তা মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে নেমে এসেছে অর্ধেকেরও কম দামে। বাজার ঘুরে দেখা যায় প্রকারভেদে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০-৪৫ টাকা যা পাইকারি বাজারে ৩০-৩৫ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।

ক্রেতারা বলছেন গত কয়েক সপ্তাহে সবকিছুর দামে যে আগুন লেগেছিল তা মনে হয় কিছুটা কমতে শুরু করেছে। যদিও অসাধু ব্যবসায়ীরা যা ব্যবসা করার তা করে ফেলেছে। সবার বাসায় এখন পর্যাপ্ত পেঁয়াজ, আলু ও অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের পর্যাপ্ত মজুদ আছে। তাই ক্রেতাদের আনাগোনা বাজারে কমে যাওয়ায় কমেছে জিনিসপত্রের দাম।

শুক্রবার বাজারে প্রতি কেজি শশা বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০। ক্যাপসিকাম ২৫০-৩০০ টাকা। বেগুন প্রতি কেজি ৫০-৬০, লেবুর হালি প্রকারভেদে ২০-৫০ টাকা, কচুর লতি ৬০ টাকা, শিম ৪০ টাকা, মুলা ৩০ টাকা, লাউ ৮০ টাকা, চাল কুমড়া ৫০, করলা ৬০-৭০, টমেটো ৫০-৬০ কেজি, পটল ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া প্রতি পিছ ৪০টাকা, বাঁধাকপি ৪০, ফুলকপি ৫০ এবং কাঁচকলা বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকা দরে।

পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকায় আগের দামেই পাওয়া যাচ্ছে সকল মাছ

এছাড়া আলু ৪০ টাকা প্রতি কেজি, আদা ২২০, রসুন ২০০, কাঁচামরিচ ৪০ টাকা, পেয়াজ ৪০-৪৫ টাকা , ধনেপাতা ৬০ টাকা কেজি।

হাতিরপুল বাজারের বিক্রেতা নিরব জানান, গত সপ্তাহের চাইতে এই সপ্তাহে সবজির দাম কিছুটা কম। মূলত আমদানি বাড়ার কারণে দাম কমেছে পেঁয়াজ সহ সকল শাক সবজির দাম। আগে ৮০ টাকার নিচে সবজির গায়ে হাত দেয়া যেতো না। কিন্তু এখন তা ৩০ থেকে ৪০ টাকায় নেমে এসেছে।

আরেক ব্যবসায়ী আমান হোসেন জানান, বেগুন ব্যবসায়ীরা এবার ধরা খাইছে। রমজানের প্রথম দুই দিনে বেগুন নিয়ে যে সিন্ডিকেট হইছিলো তাতে পাবলিক ক্ষেপে গিয়ে বেগুন কেনা কমাইয়া দিছে তাই প্রথম দুই দিনে বেগুন ১২০ টাকা করে পাইকারি বিক্রি হলেও এখন তা প্রকারভেদে মাত্র ১০-৩০ টাকা পাইকারিতে পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়া ঈদের আগে আর কোন জিনিসের দাম বাড়ার সম্ভাবনা নাই আশাকরি।

এদিকে মাছের বাজারেও দেখা গেছে একই চিত্র। বাজারে ক্রেতা কম থাকায় এবং মাছের পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকায় আগের দামেই পাওয়া যাচ্ছে সকল মাছ।

বাজারে প্রতি কেজি কাচকি পাওয়া যাচ্ছে ৪০০-৬০০ টাকা কেজি। এছাড়া বেলে মাছ ৫০০, ফলি ৫০০, কোরাল ৭০০, পাবদা ৪৫০, লইট্টা ৩০০, বোয়াল ৬০০, আইর ৮০০, রুই ৩৫০, চিতল ৮০০, পাঙ্গাশ ২০০ তেলাপিয়া ২২০, বড় চিংড়ি ১০০০, রুপচাঁদা ১৩৫০, এবং ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ১২০০ টাকা কেজি দরে।

;

রিজার্ভের পরিমাণ জানাল কেন্দ্রীয় ব্যাংক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
রিজার্ভের পরিমাণ জানাল কেন্দ্রীয় ব্যাংক

রিজার্ভের পরিমাণ জানাল কেন্দ্রীয় ব্যাংক

  • Font increase
  • Font Decrease

দীর্ঘদিন ধরে দেশে ডলার সংকটের প্রভাবে বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয় বা রিজার্ভ ধারাবাহিকভাবে কমছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সর্বেশষ গণনায় দেশের রিজার্ভ ১৯ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসেবে তা ২৪ দশমিক ৮১ বিলিয়ন ডলার।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সাপ্তাহিক হালনাগাদ প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। 

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত এক সপ্তাহে গ্রস রিজার্ভ কমেছে ৫৩ কোটি ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে গত ২১ মার্চ সঞ্চিত বিদেশি অর্থের পরিমাণ ছিল ২৫ দশমিক ২৪ বিলিয়ন ডলার। আর আইএমএফের গণনা পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী তা ছিল ১৯ দশমিক ৯৮ বিলিয়ন ডলার।

এ ছাড়া কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিট রিজার্ভের আরেকটি হিসাব রয়েছে। যা শুধু প্রকাশ করা হয় না, শুধুমাত্র আইএমএফকে দেওয়া হয়। জানা গেছে, ওই হিসাবে বর্তমানে দেশের প্রকৃত রিজার্ভ এখন প্রায় সাড়ে ১৭ বিলিয়ন ডলার। যা দিয়ে ৩ মাসের আমদানি ব্যয় মিটবে।

অর্থাৎ, পণ্য কেনা বাবদ মাসিক প্রায় ৬ বিলিয়ন ডলার করে দায় পরিশোধ করা হয়। নিয়ম অনুযায়ী যেকোনো দেশের ন্যূনতম ৩ মাসের আমদানি খরচের সমান রিজার্ভ থাকতে হয়। বাংলাদেশেরও সেই পরিমাণ রিজার্ভ রয়েছে।

;

ইসলামী ব্যাংকে বঙ্গবন্ধুর জীবনাদর্শের উপর আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির উদ্যোগে এবং বঙ্গবন্ধু পরিষদ ইসলামী ব্যাংক ইউনিটের সহযোগিতায় “বঙ্গবন্ধুর জীবনাদর্শ ও বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন” শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী এবং স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন। ব্যাংকের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ও সিইও মুহাম্মদ মুনিরুল মওলার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আ.ব.ম ফারুক, ইসলামী ব্যাংকের পরিচালক, মুক্তিযোদ্ধা মো. জয়নাল আবেদীন, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্টের সচিব অধ্যক্ষ মো. শাহজাহান আলম সাজু, বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক একেএম আফজালুর রহমান বাবু, বঙ্গবন্ধু পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডাঃ শেখ আব্দুল্লাহ আল মামুন। স্বাগত বক্তব্য দেন বঙ্গবন্ধু পরিষদ ইসলামী ব্যাংক ইউনিটের সভাপতি মো. মোজাহারুল ইসলাম মেহেদী। অনুষ্ঠানে প্রধান কার্যালয়ের নির্বাহী ও কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

;

চীনের সঙ্গে এফটিএ করতে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রতিবেদন বিনিময়



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
চীনের সঙ্গে এফটিএ করতে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রতিবেদন বিনিময়

চীনের সঙ্গে এফটিএ করতে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রতিবেদন বিনিময়

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ বাড়ানোর লক্ষ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) সই করার বিষয়ে যৌথভাবে খসড়া সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রতিবেদন বিনিময় করেছে দুই দেশ।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ সমীক্ষা প্রতিবেদন বিনিময় করে বাংলাদেশ ও চীন।

এসময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ, বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

তপন কান্তি ঘোষ বলেন, বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ বর্তমান সরকারের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রার উল্লেখযোগ্য অর্জন। এ অর্জন বিশ্বে বাংলাদেশের ইতিবাচক ভাবমূর্তি সৃষ্টি এবং বিনিয়োগ ও বাণিজ্যে নতুন সম্ভাবনা তৈরির পাশাপাশি বেশ কিছু চ্যালেঞ্জও তৈরি করবে।

তিনি আরও বলেন, যার মধ্যে স্বল্পোন্নত দেশ হিসাবে উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশে পণ্য রপ্তানির সময় শুল্কমুক্ত কোটামুক্ত প্রবেশাধিকার সুবিধা ২০২৬ সালের পরে হারানো এবং মূল্য সংযোজনের হার অন্যতম। এর ফলে বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যকে ওই সব দেশের বাজারে প্রবেশের সময় সাধারণভাবে আরোপিত শুল্কের সম্মুখীন হতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ফলে ওই সকল দেশে বাংলাদেশের রপ্তানি বাজার সংকোচনের সম্ভাবনা রয়েছে।

কবে নাগাদ এফটিএ সই হতে পারে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, এখনো চুক্তি হয়নি। এখন আলোচনা শুরু হবে। আগামী তিন বছরের মধ্যে চুক্তি সম্পন্ন করতে পারলে ভালো। যদি না হয় আমাদের আলোচনা চালিয়ে যেতে হবে। আলোচনা শেষ না হলে ততোদিন যেন আমাদের এলডিসি হিসাবে এই সুবিধাগুলো তাঁরা দেয় এর জন্য বলবো।

চুক্তির ফলে বাংলাদেশ কি ধরনের সুবিধা পাবে এ বিষয়ে তপন কান্তি ঘোষ বলেন, আমাদের প্রধান রপ্তানি পণ্য গার্মেন্টের বাইরে আরও কিছু পণ্য আছে। রাষ্ট্রদূততের সঙ্গে আলাপকালে তিনি জানিয়েছেন আম ও পাটজাত পণ্যের অনেক সম্ভাবনা আছে। তারপর হস্তশিল্পের বিষয় আছে।

তিনি বলেন, এছাড়া আরও পণ্য আছে। আমরা ইতোমধ্যে চামড়া রপ্তানি করছি। আমরা মানসম্মত চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি করতে পারি। চীনে ১৪০ কোটি মানুষ। সেখানে যদি আমরা বৈচিত্র্য পণ্য নিয়ে যেতে পারি, বড় বাজার। চুক্তি হয়ে গেলে বিনিয়োগ বাড়ারও সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান তিনি।

তপন কান্তি ঘোষ বলেন, আমরা প্রধানত তৈরি পোশাক রপ্তানি করি। ২০২২-২৩ অর্থবছরে আমরা চীনে ৬৭৭ মিলিয় মার্কিন ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছি। বিপরীতে চীন থেকে ২২ দশমিক ৯০ বিলিয়ন ডলার আমদানি করা হয়েছে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, বাংলাদেশে চীনের বড় বিনিয়োগ রয়েছে। এখন চীন বাংলাদেশে দ্বিতীয় বৃহৎ বিনিয়োগকারী দেশ। এফটিএ সই হওয়ার পর বিনিয়োগ আরও বাড়বে। বাংলাদেশ চীনে আম, কাঠাল, আলু, পাটপণ্য, চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি করতে পারে।

তিনি আরও বলেন, বর্তমান বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য এফটিএ করা প্রয়োজন।

অনুষ্ঠানে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এলডিসি উত্তরণ পরবর্তী সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকারের অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা অনুসারে বাংলাদেশের রপ্তানি বাজার সংরক্ষণ এবং সম্প্রসারণে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন দেশ ও ট্রেড ব্লকের সাথে আঞ্চলিক বাণিজ্য চুক্তি সম্পাদনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।

;