করোনার থাবায় পুঁজি নেই ১৫ হাজার কোটি টাকা

  • সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

বিশ্বপুঁজিবাজারের পাশাপাশি করোনার থাবা পড়েছে দেশের পুঁজিবাজারেও। আর তাতে বিদায়ী সপ্তাহে বিনিয়োগকারীদের পুঁজি অর্থাৎ বাজার মূলধন নেই হয়েছে ১৫ হাজার ৩৮৪ কোটি টাকা।

এ অবস্থায় নতুন করে চরম হতাশায় দিন পার করছে বিনিয়োগকারী, ব্রোকারেজ হাউজ কর্তৃপক্ষ এবং পুঁজিবাজারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাই। দেশের পুঁজিবাজারে বর্তমানে ২৫ লাখ ৭৮ হাজার টিও বিও হিসাবধারী রয়েছে।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) তথ্য অনুসারে, বিদায়ী সপ্তাহে (৮-১২মার্চ) মোট পাঁচ কার্যদিবস লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে প্রথম দু’দিন এবং সপ্তহের শেষ কার্যদিবস বাজারে ধস হয়েছে। আর মধ্যখানের দু’দিন সার্পোট দিয়ে পুঁজিবাজারকে রক্ষা করার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু কোনো সার্পোটে কাজ হয়নি।

বিদায়ী সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার (৮ মার্চ) দেশে করোনাভাইরাসের আক্রান্তের ঘোষণা আসে। আর সেইদিন সূচক কমে ৯৭ পয়েন্ট। এরপর দিন সোমাবার ধস নামে। সেইদিন সূচক কমেছে ২৭৯ পয়েন্ট। এরপর দুদিন সূচক ২০০ পয়েন্টের মতই বাড়লেও। সপ্তাহের শেষদিন সূচক কমে ১০১ পয়েন্ট।

বিজ্ঞাপন

সবমিলে তিনদিন সূচক পতন আর দুদিন উত্থান শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক আগের সপ্তাহের চেয়ে ২৫৪ পয়েন্ট কমে ৪ হাজার ১২৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক ৮০ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৩৮১ পয়েন্ট এবং ডিএসইএস শরীয়াহ সূচক ৫৮ পয়েন্ট কমে ৯৫৭ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ২৫টির, কমেছে ৩২৬টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৭টি প্রতিষ্ঠানের। এর আগের সপ্তাহে লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছিলো ৯৭টির, কমেছিলো ২৩৭টির আর অপরিবর্তিত ছিলো ২৪টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।

ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ৮৮ কোটি ৫৪ লাখ ৭৫ হাজার ৯৫৮ টাকা। এর আগের সপ্তাহের লেনদেন হয়েছিলো ২ হাজার ৪১০ কোটি ৭৮ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। যা আগের সপ্তাহের ৩২২ কোটি টাকা কম। যা শতাংশের হিসেবে ১৩ দশমিক ৩৭ শতাংশ কম।

আর তাতে বিনিয়োগকারীদের বাজার মূলধন অর্থাৎ পুঁজি ১৫ হাজার ৩৮৪ কোটি ৪৯ লাখ ৩২ হাজার ৮০১ টাকা কমে ৩ লাখ ২১ হাজার ৩৬২কোটি ৫৬ লাখ ৮২ হাজার ৮৪২ টাকায় দাঁড়িয়েছে।

অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সূচক ৭৬১ পয়েন্ট কমে ১২ হাজার ৬৪৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। সেই সময়ে লেনদেন হয়েছে ১৩২ কোটি ২১ লাখ ২২ হাজার ৭৯২ টাকা। লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ২৬টির, কমেছে ২৬১টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৯টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম। এর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিলো ৯২ কোটি ১৮লাখ ৫৪ হাজার ৭০৪ টাকা।

সূচক ও শেয়ারের দাম কমায় সিএসইতেও বাজার মূলধন ১৪ হাজার ২২১ কোটি ৪৮ লাখ ৯ হাজার টাকা কমে ২ লাখ ৫২ হাজার ৯৮৪ কোটি ৪৯ লাখ ২ হাজার টাকা।