করোনা আতঙ্কে পুঁজিবাজারে ধস, লেনদেন বন্ধের দাবি
করোনাভাইরাস আতঙ্কে সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে পুঁজিবাজারে আবারও বড় দরপতন হয়েছে।
রোববার (১৫ মার্চ) দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক কমেছে ১৬০ পয়েন্ট। অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে সূচক কমেছে ৪৫৬ পয়েন্ট।
এর আগের কার্যদিবস বৃহস্পতিবারেও ডিএসইর সূচক কমেছিল ১০১ পয়েন্ট। এর ফলে টানা দুদিনে ডিএসইতে সূচক কমলো প্রায় ৩শ’ পয়েন্ট। সূচকের পাশাপাশি কমেছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। আর এতে বিনিয়োগকারীরা পুঁজি হারিয়েছেন অন্তত ২০ হাজার কোটি টাকার।
এমন পরিস্থিতিতে পাকিস্তান-ভারতসহ বিশ্বের অনান্য পুঁজিবাজারের বাংলাদেশেও লেনদেন বন্ধের দাবি জানিয়েছে বিনিয়োগকারীদের একটি সংগঠন।
রোববার বাংলাদেশ ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে ডিএসইর পরিচালনা পর্ষদের কাছে এ দাবি জানানো হয়। তবে লেনদেন বন্ধের কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন ডিএসইর একাধিক পরিচালক। পুঁজিবাজারের বর্তমান পরিস্থিতি থেকে উত্তোলনে উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ডিএসইর চেয়ারম্যান ইউনুসুর রহমান।
এদিকে ধস থেকে উত্তোলনে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে বৈঠকে বসেছে বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশেনের একটি দল। বিষয়টি বার্তা২৪.কমকে নিশ্চিত করেছেন সংগঠনের সভাপতি ছায়েদুর রহমান।
ডিএসইর তথ্য মতে, বৃহস্পতিবারের মতোই সূচক পতনের মধ্য দিয়ে দিনের লেনদেন শুরু হয়। মাত্র ব্যাংক, বিমা, আর্থিক প্রতিষ্ঠানসহ ৯৮ শতাংশ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমায় ক্রেতা সংকটে পড়ে পুঁজিবাজার। আর তাতে মাত্র ১০ মিনিট লেনদেনের মাথায় সূচক পতন হয় ২০৯ পয়েন্ট। বাজারে গুজব ছড়ায় মার্কেট আরও পড়বে। কারণ করোনাভাইরাস বাংলাদেশের ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। এমন পরিস্থিতির মধ্য শেষ হয় দিনের বাকি লেনদেন।
দিন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ১৬০ পয়েন্ট কমে ৩ হাজার ৯৬৯ পয়েন্টে অর্থাৎ চার হাজার পয়েন্টের নিচে দাঁড়িয়েছে। প্রধান সূচকের পাশাপাশি ডিএস-৩০ সূচক কমেছে ৪৮ পয়েন্ট এবং ডিএসইএস সূচক কমেছে ৩১ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর দাম বেড়েছে ১০টির, কমেছে ৩৩৮টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৭টি কোম্পানির শেয়ারের দাম। মোট লেনদেন হয়েছে ৩৭৩ কোটি ৬৯ লাখ ৩৫ হাজার টাকার। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিলো ৪০৯ কোটি টাকার।
অপর বাজার সিএসইর প্রধান সূচক কমেছে ৪৫৬ পয়েন্ট। লেনেদেন হয়েছে ২৪ কোটি ৭১ লাখ টাকা। লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ১৬টির, কমেছে ২২৯টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৫টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিন ডিএসইতে দাম কমার শীর্ষে থাকা কোম্পানিগুলো হচ্ছে—অ্যাপোলো ইস্পাত, প্রাইম ফাইনেন্স ফাস্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড, আইডিএলসি, শ্যামপুর সুগার, অগ্রণী ইন্স্যুরেন্স, ঝিলবাংলা ও মেঘনা কনডেন্সড মিল্ক।