পাঁচ বছরের মধ্যে পুঁজিবাজারে সর্বোচ্চ ধস
করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) আতঙ্কে বোরবার (১৫ মার্চ) পুঁজিবাজারে পাঁচ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ ধস হয়েছে। এই ধসে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক কমেছে ১৬০ পয়েন্ট।
সূচকের পাশাপাশি কমেছে লেনদেন ও শেয়ারের দাম। আর তাতে ২৫ লাখ ৭৮ হাজার বিও অ্যাকাউন্টধারীর পুঁজি নেই হয়েছে ১০ হাজার ২৪৮ কোটি ৮৯ লাখ ৬৭ হাজার টাকা। যা গত ৫ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ ধস।
এর আগে ২০১৫ সালের ৪ মে ডিএসইর প্রধান সূচক আগের দিনের চেয়ে মাত্র ৮৭ পয়েন্ট কমে ৩ হাজার ৯৫৯ পয়েন্ট দাঁড়িয়েছিল। এদিন আগের দিনের চেয়ে মূলধন ৩ হাজার ৮৭২ কোটি টাকা কমে ২ লাখ ৯৩ হাজার ৪৭৩ কোটি ৮৯ লাখ ৪৮ হাজার টাকায় দাঁড়িয়েছিল। লেনদেন হয়েছিল ৩৩০ কোটি ৪৪ লাখ ১ হাজার টাকা।
ডিএসইর তথ্য মতে, রোববার ডিএসইর প্রধান সূচক ১৬০ পয়েন্ট কমে ৩ হাজার ৯৬৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। বাজার মূলধন ১০ হাজার কোটি টাকা কমে ৩ লাখ ১১ হাজার ১১৩কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। আর লেনদেন হয়েছে মাত্র ৩৭৩ কোটি টাকা। একই অবস্থা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)।
দিন যতই যাচ্ছে পুঁজিবাজারে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। পুঁজি হারিয়ে নিঃস্ব হচ্ছে বিনিয়োগকারীরা। এমন পরিস্থিতে লেনদেন বন্ধের দাবি জানিয়েছে বিনিয়োগকারীরা। তারা ভারত পাকিস্তানের মতই ডিএসই ইনডেক্সে সার্কিট ব্রেকার রাখার দাবি জানিয়েছেন। যাতে বেশি সূচক বেশি পতন হলে এমনিতে লেনদেন বন্ধ হয়ে যায়। ডিএসইর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে লেনদেন বন্ধের কোনো সিদ্ধান্ত এখনি তারা নিচ্ছে না।