করোনা থেকে শ্রমিকদের সুরক্ষায় বিজিএমইএর একগুচ্ছ উদ্যোগ

  • সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

করোনাভাইরাস সংক্রমণ থেকে পোশাক শিল্পের শ্রমিকদের সুরক্ষা ও সচেতনতার বৃদ্ধির লক্ষ্যে একগুচ্ছ উদ্যোগ নিয়েছে পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ।

বিষয়টি বার্তা২৪.কম-কে নিশ্চিত করেছেন বিজিএমইএর সচিব মোহাম্মদ আবদুর রাজ্জাক। তিনি জানান, পোশাক শিল্পের শ্রমিকদের মাঝে করোনা নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য সদস্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে সার্কুলার দিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতর, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রকাশিত নির্দেশিকা কর্তৃপক্ষের নিজ উদ্যোগে কারখানার গেট, নোটিশ বোর্ড ও সিঁড়িসহ বিভিন্ন প্রদর্শিত স্থানে টানানো হয়েছে। একইসঙ্গে বিজিএমইএর নিজস্ব উদ্যোগে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে কী করা যাবে আর কী করা যাবে না, সে বিষয়েও একটি নির্দেশিকা তৈরি করে কারখানাগুলোতে পাঠানো হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

বিজিএমইএর সচিব আরও জানান, বিজিএমইএর কারখানা কর্তৃপক্ষ কর্তৃক সেফটি কমিটি, পার্টিসিপেশন কমিটি, পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা কমিটিকে করোনাভাইরাস বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি এবং পরবর্তীতে এই কমিটিগুলো কর্তৃক শ্রমিক-কর্মচারীদের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। করোনা প্রতিরোধে বিজিএমইএ কার্টুন চরিত্র ব্যবহার করে একটি ভিডিও চিত্র নির্মাণ করছে, যার লিংক সদস্য কারখানাগুলোকে দেওয়া হয়েছে এবং শ্রমিকদের মাঝে প্রদর্শনের অনুরোধ করা হয়েছে।

তিনি জানান, বিজিএমইএ’র উত্তরা অফিসে কর্মকর্তা-কর্মচারী ও আগতদের জন্য হাত ধোয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া ঢাকা শহরের সাধারণ মানুষদের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য বিজিএমইএ শহরের বিভিন্ন মসজিদে লিফলেট বিতরণ করেছে এবং এ বিষয়ে বিশেষ দোয়া পরিচালনা করার জন্য মসজিদগুলোকে অনুরোধ জানিয়েছে।

বিজ্ঞাপন

আবদুর রাজ্জাক, সুরক্ষার উদ্যোগের মধ্যে করোনাভাইরাস থেকে শ্রমিকদের সুরক্ষার জন্য সদস্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিজ নিজ শ্রমিকদের জন্য হাত ধোয়ার ব্যবস্থা রাখা, পর্যাপ্ত পানি ও সাবান রাখা এবং প্রয়োজনে গরম পানি সরবরাহের নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে। বিজিএমইএর উত্তরা অফিসে করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। এছাড়া করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিজিএমইএ ১১টি স্বাস্থ্যকেন্দ্র কারখানাগুলোকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিচ্ছে।

তিনি জানান, গার্মেন্টস শিল্প অধ্যুষিত এলাকায় করোনা পরিস্থিতি নজরদারি ও প্রয়োজনে পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিজিএমইএর কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে ৪টি এলাকাভিত্তিক (জোনওয়াইজ) কমিটি গঠন করা হয়েছে। এলাকাগুলো হলো- ১. আশুলিয়া, সাভার ও নবীগঞ্জ ২. গাজীপুর, শ্রীপুর ও মাওনা ৩. ডিএমপি এলাকা এবং নারায়ণগঞ্জ এলাকা।

জানা গেছে, এছাড়া করোনার বিষয়ে যেকোনো তথ্য জানানো কিংবা জানার জন্য বিজিএমইএ উত্তরা অফিসে একটি হটলাইন চালু করা হয়েছে। এই হটলাইনে কল রিসিভ করছেন বিজিএমইএর প্যারামেডিকস ও নার্স। হটলাইন থেকে করোনার বিষয়ে তথ্য পাওয়া গেলে সরেজমিনে দেখা ও পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য এলাকাভিত্তিক কমিটিগুলোকে সতর্ক অবস্থায় রাখা হয়েছে। মূল বিষয় হলো, করোনা প্রতিরোধে বিজিএমইএ-করোনা কন্ট্রোল রুম, এলাকাভিত্তিক চারটি কমিটি ও হটলাইন একযোগে কাজ করছে।

করোনাভাইরাসের বিষয়ে সরকারের বিশেষায়িত হাসপাতালগুলোর সঙ্গে বিজিএমইএ সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করছে, যেন জরুরি পরিস্থিতিতে তাৎক্ষণিকভাবে হাসপাতালের সেবা পাওয়া যায়।