পুরাতন গাড়ি আমদানিতে কর প্রত্যাহার চায় বারভিডা

  • সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

আসছে বাজেটে (২০২০-২১ অর্থবছরের) ইলেকট্রিক ব্যাটারি চালিত মোটরগাড়ি আমদানিতে সম্পূরক শুল্ককর সম্পূর্ণ প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ রিকন্ডিশন ভেহিক্যালস ইম্পোর্টার্স অ্যান্ড ডিলারস অ্যাসোসিয়েশন (বারভিডা)।

বর্তমানে ২০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ককর রয়েছে। এছাড়া মাইক্রোবাস আমদানিতে ৩০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ককর মওকুফসহ ৯ ধরনের গাড়ি আমদানিতে কর মওকুফ চায় বারভিডা। এগুলোর মধ্যে মাত্র এক শতাংশ শুল্কে রিকন্ডিশন্ড বাস, ডাম্প ট্রাক, ফায়ার ফাইটিং গাড়ি, মিক্সার লরি, ক্রেন লরিসহ অন্যান্য গাড়ি আমদানির সুবিধা।
গত বৃহস্পতিবার (১৯ মার্চ) জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যানের কাছে এই প্রস্তাব তুলে ধরেন বারিভডা সভাপতি আব্দুল হক।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘দেশের বর্তমান সামাজিক বাস্তবতায় রিকন্ডিশন্ড গাড়ি এখন থেকে বিলাসদ্রব্যের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া উচিত। নতুন ও পুরাতন গাড়িতে অবাস্তব শুল্ক কাঠামোতে বিরাজমান। শুল্কের এই বৈষম্য দূর করুন। রিকন্ডিশন্ড গাড়ি আমদানি ও বিপণন খাতে বর্তমানে ২০ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ রয়েছে। এ খাত থেকে সরকারের কোষাগারে বিপুল অবদান রাখা হয়। তা সত্ত্বেও শুল্কায়ন মূল্য নির্ধারণসহ নানাবিধ বৈষম্য এবং প্রতিবন্ধকতার কারণে এই খাত এক নাজুক পরিস্থিতির মুখোমুখি।’

বারভিডার সভাপতি বলেন, ‘নতুন গাড়ির ক্ষেত্রে আমরা অসম প্রতিযোগিতার মুখে পড়েছি। পুরাতন গাড়ি আমদানি ব্যাপকহারে কমানো হয়েছে। অনেক ব্যবসায়ী ক্রমাগত লোকসানের কারণে ব্যবসা গুটিয়ে নিয়েছেন। ফলে সরকারের রাজস্ব আহরণও লক্ষ্যণীয়হারে কমে গেছে।’

বিজ্ঞাপন

বারভিডার বাজেট প্রস্তাবে বলা হয়েছে, বিগত ২ থেকে ৩ বছর ধরে কিছু নেতিবাচক নীতিমালার কারণে রিকন্ডিশন্ড মোটরযান খাতে বিপর্যয় নেমে এসেছে। ফলে আমদানি ও বিক্রি কমে যাওয়ায় ব্যবসায়ীরা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। পুরাতন গাড়ির দাম বেশি হওয়ায় ক্রেতারা নিম্নমানের নতুন গাড়ি কিনে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।

এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম প্রস্তাবগুলো বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘যেসব গাড়িতে রাজস্ব আসবে, সেটাই দেখবে এনবিআর। বেশ কিছু স্থানীয় উদ্যোক্তা ও বিদেশি বিনিয়োগকারী বাংলাদেশে ব্র্যান্ড নিউ গাড়ির কারখানা স্থাপন করতে চায়। তারা স্থানীয় বাজার চাহিদা পূরণের পাশাপাশি বিশ্ববাজারে ব্র্যান্ড নিউ গাড়ি রফতানিও করবে।’