পাঁচ হাজার কোটি টাকার ফান্ডে ভারমুক্ত পোশাক মালিকরা: রুবানা হক
তৈরি পোশাক খাত, নিটওয়্যারসহ সব রফতানিমুখী খাতের জন্য পাঁচ হাজার কোটি টাকার ফান্ড ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ টাকায় শ্রমিকদের বেতন-বোনাস দেওয়া হবে।
বুধবার (২৫ মার্চ) স্বাধীনতা দিবস ও করোনার সংক্রমণ রোধে জনসাধারণের করণীয় সম্পর্কে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি এ ঘোষণা দেন।
প্রধানমন্ত্রীর এমন উদ্যোগে শ্রমিক মজুরি পরিশোধ নিয়ে গার্মেন্টস মালিকরা কিছুটা ভারমুক্ত হলেন বলে জানিয়েছেন তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সভাপতি রুবানা হক।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে মোকাবেলায় রফতানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য পাঁচ হাজার কোটি টাকার যে প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন- তাকে স্বাগত জানিয়েছেন রুবানা হক বলেন, রফতানিমুখী পোশাক কারখানা মলিকদের প্রতিমাসে শ্রমিকের মজুরি বাবদ চার হাজার কোটি টাকা পরিশোধ করতে হয়। প্রধানমন্ত্রীর এমন উদ্যোগে শ্রমিক মজুরি পরিশোধ নিয়ে গার্মেন্টস মালিকরা কিছুটা ভারমুক্ত হলেন।
করোনাভাইরাস সংক্রমণের ফলে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের শিল্প উৎপাদন ও রফতানি বাণিজ্যে আঘাত আসতে পারে। এই আঘাত মোকাবিলায় আমরা কিছু আপদকালীন ব্যবস্থা নিয়েছি। রফতানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠানের জন্য আমি পাঁচ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করছি। এ তহবিলের অর্থ দিয়ে কেবল শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করা যাবে।
বিজিএমইএর সভাপতি রুবানা হক এক ভিডিও বার্তায় গণমাধ্যমকে জানান, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আমরা অপার কৃতজ্ঞতা জানাই। আমাদের পোশাকশিল্পের এই ক্লান্তিলগ্নে যখন আমাদের লাখ-লাখ শ্রমিক অনেক রকম ঝুঁকির সম্মুখিন হয়েছিলেন , ঠিক সেই সময় তার এই সময়োচিত ঘোষণা তাদের বেতন বাবদ পাঁচ হাজার কোটি টাকার এই প্রণোদনা প্যাকেজ তাদের (শ্রমিকদের) জীবন বাঁচাবে। আমাদের গোটা শিল্পখাত, রফতানিমুখী শিল্পখাত তার কাছে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাই।’
প্রসঙ্গত, করোনাভাইরাসের কারণে সারা বিশ্ব স্থবির হয়ে পড়েছে। প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশের পোশাক খাতেও। একের পর এক ক্রয়াদেশ বাতিল হওয়ায় এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিজিএমইএ সভাপতি রুবানা হক।
তিনি জানান, করোনার কারণে পোশাক খাতে ভয়াবহ বিপর্যয় নেমে এসেছে। বায়াররা সব অর্ডার ক্যানসেল করে দিচ্ছে।
এদিকে বিজিএমইএ পরিচালক ও ঢাকা চেম্বারের সাবেক সভাপতি আসিফ ইব্রাহিম জানান, বুধবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ৯৩৬টি কারখানার ৮০০ দশমিক ১৮ মিলিয়ন পোশাক পণ্যের অর্ডার বাতিল ও স্থগিত হয়েছে। যার মূল্য ২ দশমিক ৫৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।